অপ্রত্যাশিত কিছু পাবার আনন্দ অনেক বেশি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।মূলত কিছু দিন আগে আমরা ঢাকায় তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়েছিলাম।সেখানে তানিয়াও এসেছিল।সবাই মিলে কয়েকদিন বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম দীর্ঘদিন পর।যে কয় দিন ছিলাম ,সে কয়দিনই আমরা বাইরে ঘুরাঘুরি করেছি।বেশ মজা করেছি সবাই মিলে।বাচ্চারাও বেশ আনন্দ করেছে কয়েক দিন পর।এরই মধ্যে একদিন আমাকে আমার বোনরা ও হাসবেন্ড মিলে একটা সারপ্রাইজ দিয়েছিল। সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল।যা আমি প্রত্যাশাই করি নি।তার অবশ্য একটি কারণ ছিল সেই অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
অপ্রত্যাশিত কিছু পাবার আনন্দ অনেক বেশি
সেদিন আমাদের সকাল সকাল ঘুরতে বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবাই মিলে বাচ্চাদের নিয়ে রেডি হতে হতে আমরা প্রায় দুপুর পার করে ফেললাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম তিনটার দিকে আমরা বের হব ।কিন্তু বাসা থেকে বের হতে হতে সাড়ে তিনটা বেজে গেল। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা দিয়াবাড়ি যাব ।তাই আমরা প্রথমে মেট্রো রেল কাউন্টারে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা মেট্রোরেলে করে যাব ঠিক করলাম।কারণ দিয়াবাড়ি ছিল উত্তরার শেষ মাথায়। মেট্রো রেল যে পর্যন্ত যায় সেই পর্যন্ত যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম।
তারপর রিক্সায় করে আমরা মেট্রো রেল স্টেশনে পৌঁছালাম। ওখান থেকে আমরা টিকেট নিয়ে মেট্রোরেলে উঠলাম। যদিও আমরা মেট্রোতে উঠতে উঠতে অফিস ছুটির সময় হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে মেট্রোরেলে লোকজনে ভরপুর ছিল। বেশ ঝামেলা হয়েছিল আমাদের ওখানে এত ভিড়ের মধ্যে। আগে জানলে তখন মেট্রো রেলে করে যেতাম না ।যাই হোক কি আর করার আমরা মেট্রো রেল স্টেশন থেকে নামার পর দিয়া বাড়ি গেলাম। সেখান থেকে ঘুরাঘুরি করে আমাদের বাসায় পৌঁছাতে প্রায় নয়টা বেজে গেল।
বাসার নিচে আসার পর সবাই যখন উপরে উঠবে তখন দেখলাম আমার হাজবেন্ড কোন একটা শপিং মলে যেতে চাইছে, তার কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন ।সে আমার বোনকে বললো এখন বেইলি রোডের শপিংমল খোলা থাকবে কিনা। তখন আমার বোন বললো থাকতে পারে ।আমার হাসবেন্ড আমার বোনকেও যেতে বললো।আর আমাকে বললো আমি যাব কিনা। আমিও যেতে চাইলাম। সে বললো থাক তোমার শরীর ভালো লাগছে না, তাহলে তোমার যাওয়ার দরকার নেই।একটু আগে যদিও আমি বলেছিলাম মাথা ব্যাথা করছে ।তার জন্য সে নিতে চাই নি তাই ভাবলাম কিন্তু ঘটনা ছিল অন্য।আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নিতে চায় নি।তারপর আমি আর গেলাম না ।আমি অন্যদের সঙ্গে উপরে চলে গেলাম। আমার হাসবেন্ড,বোন,ভাইয়া চলে গেল শপিংয়ে।
আমি বাসায় এসে একটু শুয়ে চোখ বন্ধ করে থাকলাম।ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।বেশ অনেকক্ষন পর সবাই ফিরে এলো।মেয়ে এসে আমাকে বললো মাম্মি আজকে কার যেন জন্মদিন। খালামণি কেক এনেছে আর বাবা গিফট এনেছে। তখন আমি চিন্তা করলাম আজকে আবার কার জন্মদিন।তখন কয় তারিখ তাই ভাবলাম।তখন দেখি ওমা সেদিন রাত বারোটায় আমার বিবাহ বার্ষিকী ।আর আমি ভুলে গিয়েছি।তারপর আমি বুঝতে পারলাম তারা কিছু একটা করছে।
যাইহোক রাত বারোটায় আমাকে কেক কাটার জন্য ডাকা হলো। আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়া হলো।হাসবেন্ড আমাকে একটি ভালো ব্র্যান্ডের পার্স গিফট করলো।তারপর বাচ্চাদের নিয়ে সবাই মিলে কেক কাটা হলো।যদিও কেক কাটার ব্যাপারে হাসবেন্ড একেবারেই রাজি ছিল না। মেয়ের জোরাজুরিতে এসে দাঁড়িয়েছিল।কেক মূলত আমার বোনেরা এনেছিল।সত্যি অনেক দিন পর দারুন ভাবে ইনজয় করলাম বিবাহ বার্ষিকী।এই জন্য সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ।সত্যি পুরো বিষয় টা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে। শুভ লেট বিবাহ বার্ষিকী। আসলে এমন একটি দিন তো আমরা সবাই ভুলে যাই। কারন আমরা যে সংসার সামলাই আর সবার কথা চিন্তা করি। তাই নিজের বিশেষ দিনগুলোই আমরা ভুলে যাই। অনেক বছর বেচেঁ থাকুক এমন ভালোবাসা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।সব সময় ভালো থাকবেন এই শুভকামনা রইল।
আপন মানুষগুলো সব সময় সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। আপনার বোনরা যেহেতু একসাথে ছিল তাই তো তারা প্লান করে সারপ্রাইজ দিয়েছে। আর সেইসাথে ভাইয়াও আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য সবকিছুই গোপন রেখেছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে। জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত আনন্দে কাটুক এই প্রত্যাশাই করি আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন সব সময়।
লেট শুভ বিবাহ বার্ষিকী। অপ্রত্যাশিত ভাবে কিছু পেলে বেশ ভালো লাগে। প্রায় সবারই মনে হয় এমন হয়।বিশেষ দিনগুলো মনে থাকে কিন্তু আগেরদিন ভুলে যায়। যদি আয়োজন করে উদযাপন করা না হয়। তবে বেশ সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভাইয়া ও আপু। বেশ খুশি হয়েছিলেন নিশ্চয়ই এমন সারপ্রাইজ পেয়ে। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আমার ক্ষেত্রেও এমন হয় আগে মনে থাকে। আসল দিনটি যখন আসে তখন ভুলে যাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ওই তিনটা দিন আমাদের অনেক মজা করে কেটেছে সেই পুরনো দিনের মতো । তিনটা দিন ঘোরাফেরা করতে করতে সময় গুলো খুব দ্রুতই পার হয়ে গিয়েছিল । আর এরকম হঠাৎ করে গিফট গুলো কিন্তু ভালোই লাগে অনেক । আমরাও কেক কাটার মুহূর্তটা অনেক এনজয় করেছিলাম ।