জসীম মেলা ভ্রমণ পর্ব-২
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত আমাদের শহরের ঐতিহ্যবাহী মেলা ভ্রমণ নিয়ে হাজির হয়েছি।এটি আমাদের শহরের ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা ।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের স্মরণে তারই বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও মাঝে দু তিন বছর মেলার আয়োজন বন্ধ ছিল বিভিন্ন জটিলতার কারণে। তখন মনে হতো জসিম মেলা মনে হয় শেষ হয়ে গেল। আর কখনো হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে আবার শুরু হয়েছে মেলা। জসিম পল্লী মেলা তার ঐতিহ্য ধরে চলেছে দীর্ঘদিন থেকে। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সঙ্গে এই মেলা ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম ।আজ আবার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মেলা প্রাঙ্গণে।
জসীম মেলা ভ্রমণ পর্ব-২
মেলায় যখন আমরা ঘুরতে যাই তখন বিভিন্ন ধরনের স্টল আমাদের চোখে পড়ে ।মেলায় নেই এমন কোন জিনিস নেই। বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায় মেলায় ।বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া গেলেও কেনার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কি কিনব ভেবে পাইনা ।শেষমেষ দেখা যায় তেমন কিছু কেনাই হয়ে ওঠেনা।মেলায় ঘুরে বেড়াতে কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। এই দোকানটিতে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের জিনিস ছিল ।রংবেরঙের কলম পেন্সিল ছিল যেগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।
এই দোকানটিতে বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী হাড়ি,পাতিল ছিল ।এছাড়াও গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কাঠের জিনিসপত্র ছিল ।আমি কাঠের একটি চামচ কিনেছিলাম। আসলে এই দোকানগুলো থেকে খুব একটা জিনিসপত্র কেনা হয়ে ওঠে না। কেননা এগুলো আগে থেকেই বাড়িতে থাকে, যার কারণে খুব একটা কেনা হয়ে ওঠেনা।
এই দোকানটিতে বাচ্চাদের মূলত বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী ছিল ।প্লাস্টিক থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের খেলনার সামগ্রী ছিল, যেগুলো দিয়ে বাচ্চারা বেশ ভালো খেলাধুলা করতে পারে। তবে এই ধরনের খেলনা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না ।একদম ছোট বাচ্চাদের জন্য এই খেলনাগুলো ঠিক আছে।
এই দোকানটিতে গৃহস্থালির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল ।স্টিলের অনেক জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছিলাম। তবে মেলায় দেখা যায় যে ,বাজারের থেকে দাম খুব একটা কম হয় না ।আমার কাছে মনে হয় মেলায় দাম একটু বেশি রেখে থাকে।
এভাবে বেশ কিছু স্টল আমরা ঘুরে বেড়ালাম এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখতে থাকলাম। আর টুকিটাকি দু একটা জিনিস কিনেছিলাম। এর আগেই বলেছি আপনাদের মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস থাকলেও আমি কেনার মত তেমন কিছু খুঁজেই পাই না, তবে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালই লাগে।।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে একটি স্যান্ডেলের দোকান দেখতে পেলাম ।সেখানে যেয়ে দেখলাম দুইশো টাকা দরে সব স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে। যদিও মেলার স্যান্ডেল গুলো খুব একটা ভালো হয়ে ওঠে না। তারপরেও মনে হল একটা কিনে নেই। দেখতে দেখতে আমার কাছে দুটো মোটামুটি ভালো লাগলো ।তারপর দুটো স্যান্ডেল কিনলাম ।যদিও এই গুলো পড়া হয়না ।তারপরেও মেলায় যেয়ে এগুলো কিনতে ভালই লাগে ।এখন পর্যন্ত স্যান্ডেল গুলো পড়াই হয়নি, ওভাবেই রেখে দিয়েছি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে আমরা কিছু মেলামাইনের সামগ্রী দেখতে পেলাম ।আবার কিছু অর্নামেন্টসের দোকান দেখতে পেলাম। সেখান থেকেও ঘোরাফেরা করলাম ।যদিও তেমন কিছুই কেনা হয়ে ওঠেনি ।আসলে মেলায় ঘুরতেই ভালো লাগে ।মেলার জিনিসপত্র কেনা হয়ে ওঠে না তেমন একটা। কেননা এগুলো সবই শপিংমলেই পাওয়া যায়। তারপরেও ঘুরে বেড়াতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | জসীম মেলা, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
যদিও প্রথম পর্ব দেখি নাই আপু কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। জসীম মেলায় বেশ ঘোরাঘুরি করলেন। আমার কাছেও মেলার জিনিস গুলো বেশ ভালই লাগে। তবে কোনটা কিনব এই ভাবতে ভাবতে মাঝেমধ্যেই একদম কেনা হয়ে উঠে না। সাধারণত আমরা মেলাতে আনকমন কোন কিছু জিনিস পাই কিনা চেষ্টা করি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কিছু দেখলে নেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার মেলায় ঘোরাঘুরির পর্বটি শেয়ার করলেন।
হ্যাঁ আপু আপনিও তো দেখছি আমার মতই। কোনটা রেখে কোনটা কিনবো, শেষমেষ বেশি কিছু কেনাই হয় না ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এই মেলা ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব দেখেও খুবই ভালো লাগলো৷ মেলায় অনেক ধরনের জিনিস থাকে এবং ভিন্ন ভিন্ন জিনিস যেখানে থাকে৷ আমরা অনেকেই মেলায় গিয়ে থাকি৷ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখে থাকি৷ সুন্দর সময় অতিবাহিত করে থাকি৷ আপনিও এই মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ একদম ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনিও মেলায় ঘুরে বেড়ান এবং আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু মেলায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় শেষে কিছুই কেনার মত খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু ছোটবেলায় এই মেলায় গিয়ে মনে হতো যে কত কিছু কিনে ফেলি। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরও আবারও যে শুরু হয়েছে তাই অনেক। বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন মেলায়। ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ আপু ঘুরতে ঘুরতে শেষমেষ দেখা যায় বেশি কিছু কেনাই হয় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মেলায় ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম। জসিম মেলায় দেখছি ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আর আজকে দ্বিতীয় পর্বটা শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। মেলা থেকে কেনা স্যান্ডেল গুলো বেশি দিন যায় না। তবুও ভালো লাগাতে কিনেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। এগুলো ঘরে পড়ার জন্য কিনলে ভালো হয়। জসিম মেলায় ভ্রমণের তৃতীয় নাম্বার পূর্ব আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। মেলায় ঘুরাঘুরির সময় কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন, আর সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু মেলার এই স্যান্ডেল গুলো খুব একটা টেকসই হয় না। এগুলো ঘরে করার জন্যই মূলত কিনেছি। তারপরেও পড়া হয়নি, ওভাবেই রয়ে গিয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলা মানে বিভিন্ন রকম দোকান পাট ৷ আর সবচেয়ে ভালো লাগে মেলায় ঘুরতে ৷ আপনি দেখি দোকান গুলোর ছবি অনেক সুন্দর করে ছবি তুলেছেন ৷ তবে মেলায় বেশি দোকান কসমেটিক্স দোকান সবচেয়ে বেশি ৷ ভালো লাগলো আশা এর পররে পর্বে ভালো কিছু দেখতে পাবো ৷
হ্যাঁ ভাইয়া মেলায় কসমেটিকসের অনেক দোকান থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের স্মরণে তারই বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে জসিম মেলা অনেক বড় করে দেয়া হয়। এখানে সব ধরনের জিনিস বিক্রয় করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মেলার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মেলা টি বেশ বড় আকারের হয়ে থাকে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের স্মরণে এরকম একটি মেলার আয়োজন করা হয় জেনে ভালো লাগলো। যদিও প্রথম পর্বটি আমার দেখা হয়নি। তবে আজকের পর্ব দেখলাম। আসলে মেলায় কোন কিছু কিনার থেকেও ঘুরে ঘুরে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন মেলায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন মেলায় কেনাকাটা করার থেকে ঘুরে বেড়াতেই বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
পল্লি কবি জসিম উদ্দিন এর স্মরণে আয়োজিত মেলার কথা আগেও শুনেছি।। শুনেছি বেশ জাকজমক হয় নাকী মেলাটা। মেলায় গেলে কেনাকাটা খুবই কম হয়। তবে প্রচুর ঘোরাঘুরি হয়। স্টলে স্টলে ঘুরে জিনিসপত্র দেখার মধ্যে মজা আছে একটা। এই কথাটাও ঠিক এমন কোন জিনিস থাকে না যে মেলায় থাকে না। বেশ দারুণ একটা জায়গা এই মেলা। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন মেলায়। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া মেলাটি বেশ বড় আকারের হয়ে থাকে এবং এখানে অনেক ধরনের স্টল থাকে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখছি ঐতিহ্যবাহী একটা মেলায় গিয়েছিলেন আর সেখানে কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। মেলায় গিয়ে দেখছি ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আর আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে আজকে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাদের শহরে এরকম একটা মেলা হয় শুনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাও আবার পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ির সামনেই। যেহেতু জুতোগুলো কিনেছেন অবশ্যই পড়বেন কয়েক দিনের জন্য হলেও।
হ্যাঁ ভাইয়া জসীমউদ্দিনের বাড়ির সামনেই তার কবর ।আর কবরের পরে রাস্তার ওপারেই মেলার আয়োজন।স্যান্ডেলগুলো পর্ব নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
জসিম মেলা দু-তিন বছর বন্ধ ছিল সেটা তো জানতাম না । আসলে এরকম লম্বা টাইম মেলা বন্ধ থাকলে তখন মনে হয় বুঝি বন্ধই হয়ে গেল । আর জসিম মেলায় গেলে সেই ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে যায় । এখানে সব ধরনের স্টলই রয়েছে । মেলায় বিশেষ করে সবকিছু ওরা উঠানোর চেষ্টা করে । অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার জসিম মেলার পোস্টটি পড়ে ।
হ্যাঁ আপু মাঝে কয়েক বছর বন্ধ ছিল। আবার নতুন করে চালু হয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।