মেয়ের জন্য আলমারি বানাতে দেওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে এসেছি । মেয়ের জন্য আলমারি বানাতে দেওয়ার অনুভূতি নিয়ে আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আসলে বেশ কিছুদিন থেকে চিন্তা করছি একটি এক পাল্লার আলমারি বানাবো । যেহেতু বাসায় তিন পাল্লার আলমারি রয়েছে, মেয়ের জন্য ছোট করে এক পাল্লার একটি আলমারি বানাবো । মেয়ে শোনার পর থেকে বেশ খুশি । কারণ তার নিজের একটি আলমারি হবে । তার জিনিসপত্র সে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখবে । যাই হোক আলমারি বানাতে দেবার জন্য আমার ভাড়াটিয়া ভাবিকে নিয়ে ফার্নিচারের দোকানে গেলাম । যদিও আগে থেকে আমার কাছে একটি ডিজাইন ছিল ।তারপর দোকানের কয়েকটি আলমারি দেখে আমার ডিজাইনের সঙ্গে মিল রেখে বানাতে দিলাম।
মেয়ের জন্য আলমারি বানাতে দেওয়া
আমার মেয়েও বায়না ধরলো সেও আমাদের সঙ্গে যাবে এবং ডিজাইন পছন্দ করবে । যাই হোক তাকেও সঙ্গে করে নিয়ে গেলাম । যদিও আমাদের বাসা থেকে কয়েকটা বাসা পরেই ছিল ফার্নিচারের দোকানটা । এলাকার মধ্যেই । তারপর বেশ কিছু আলমারি আমরা দেখতে লাগলাম । তারপর দোকানের লোকটিকে আমার ডিজাইনটি দেখালাম । এভাবে বানিয়ে দিতে হবে বললাম। দোকানদার বলল ঠিক আছে আপনারা দেখুন এখানের কোন ডিজাইন পছন্দ হয় কিনা ।তারপর একটি আলমারির বাইরের ডিজাইন টা আমার কাছে বেশ পছন্দ হলো । তারপর বাইরের ডিজাইন টা ওটাই দিলাম।
তারপর আরো বেশ কিছু জিনিসপত্র দেখতে লাগলাম । ঘোরাঘুরি করার পর আমাদের আলমারিটা ফাইনাল করা হলো এবং জানানো হলো ৫-৬ দিন পর এটা কমপ্লিট হয়ে যাবে । তারপর লোকটি আমাকে ফোন দিবে । তারপর আমরা সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসলাম ।
তারপর ছয়দিন হয়ে গেল দোকানের কোন ফোন না পেয়ে আমি নিজেই ফোন করলাম । জানতে চাইলাম আমাদের আলমারিটা কমপ্লিট হয়েছে কিনা । তারপর লোকটি জানালো আমিও আজকেই আপনাকে ফোন দিতাম ভালই হয়েছে আপনি ফোন দিয়েছেন । এটি কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে আপনি এসে নিয়ে যান । তারপর আলমারিটা দেখতে গেলাম , দেখলাম যে সবকিছু ঠিক আছে । তারপর টাকা পরিশোধ করে একটি ভ্যানে করে বাসায় নিয়ে এলাম ।
বাসায় আনার পর মেয়ে তো ভীষণ খুশি তার নিজের আলমারি । তার সমস্ত যত হেয়ার ব্যান্ড, চুরি,চশমা, নেইলপলিশ ,ব্রেসলেট যা যা ছিল সব ড্রয়ার থেকে বের করে সব আলমারির নিচের তাকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলো । সে বেশ খুশি হয়েছে কারণ নিজস্ব একটা জিনিস পেয়েছে । আসলে বাচ্চারা ছোট ছোট জিনিসগুলোতেই অনেক বেশি খুশি হয় যেটা দেখতে আমাদের সত্যি বেশ ভালো লাগে । এই ছিল আমার আজকের আয়োজন । আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনার আলমারি টা চমৎকার হয়েছে। সত্যি বাচ্চাদের নিজের বলে যদি কিছু দেওয়া যায় তাহলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। আর নিজের জিনিসের যত্ন আলাদা। আপনার মেয়ের আলমারি টা দারুণ ভাবে সাজিয়ে। আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে আলমারি টা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন।
আলমারির ভিতর জিনিসপত্র গুছানো রাখা দেখেই আসলে বুঝা যাচ্ছে যে আপনার মেয়ে কতটা খুশি হয়েছে। হা হা হা.. তাছাড়া আলমারির ডিজাইন এবং আলমারির রং টাও আমার কাছে বেশ সুন্দর লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া মেয়ে তো বেশ খুশি তার নিজের একটা জিনিস হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন ।
ভালোই হলো আপনার মেয়ের জন্য এক পাল্লার একটি আলমারি বানিয়েছে। এবং আপনার মেয়ে তাতে খুব খুশি হয়েছে। আপনার মেয়ে নিজেই গিয়ে ডিজাইন পছন্দ করেছ যেন ভালো লাগলো।আসলে একটু বড় হলে তাদের নিজেদের জিনিসপত্র নিজেরা গুছিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে। সিম্পল এর মধ্যে আলমারির ডিজাইন টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মেয়ের জন্য আলমারি বানাতে দেওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল । ভালো থাকবেন ।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আপনার মেয়ের জন্য এক পাল্লার একটি আলমারি বানাতে দিয়েছেন আর এটা জেনে আপনার মেয়ে খুশি হয়েছে জেনে আরো বেশি ভালো লাগছে। নিজের পার্সোনাল এবং নির্দিষ্ট একটা জিনিস থাকুক এটা আমরা সকলেই চাই আপনার মেয়ে ও তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম নয়। অবশেষে সে আলমারি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছে এবং আলমারি বাসায় নিয়ে এসে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে রেখে দিয়েছে দেখছি। যাইহোক মেয়ের এরকম ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া এটা মেয়ের জন্য দরকার ছিল । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
আপনার মেয়ের আলমারির কালার টা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার মেয়ে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আলমারিটা সাজিয়েছে। আসলে মেয়েদের জিনিসপত্র ছেলেদের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই তাঁদের পার্সোনাল জিনিসপত্র দরকার হয়। তবে আপনার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বাচ্চারা খুশি থাকলে বড়দের মনটাও ভালো থাকে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা খুশি হলে বড়দেরও বেশ ভালো লাগে । যেমনটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এত সুন্দর একটা আলমারি পেলে মেয়ে তো খুশি হবেই। তাছাড়া তার নিজস্ব আলমারি। খুব সুন্দর করে আলমারি গুছিয়ে রেখেছে দেখছি। দোকানদার বেশ ভালো মনে হলো সময় মতোই দিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফার্নিচার ওয়ালারা যে টাইম বলে তার থেকে অনেক বেশি সময় নেয়।আপনার আলমারিটা আমারও খুব পছন্দ হয়েছে। কত নিলো আলামরির দাম?
আপু দোকানদার ওয়ালা বেশ ধার্মিক লোক । এজন্য তার কথা রেখেছে । এটার দাম পড়েছে ছয় হাজার টাকা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই বাচ্চারা নিজের কোন কিছু পেলে বেশ খুশি হয়।নিজের জিনিসের যত্ন করতে শেখে। আপনি বেশ সুন্দর একটি আলমারি বানিয়ে দিয়েছেন আপনার মেয়েকে। মেয়েতো দেখি আলমারি পেয়ে তার সব কিছু গুছিয়েও রেখেছে।।আলমিরাটা বেশ সুন্দর হয়ে সিম্পলের মধ্যে। অনেক ধন্যবাদ আলমিরা বানানোর অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা নিজের কিছু পেলে বেশ খুশি হয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন।
হে আলমারি গুলো বেশ সুন্দর আপু কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় একটা নেওয়া হয়েছে অনেক সুন্দর দুই পার্টের আলমিরা গুলো। মেয়ের জন্য তাহলে বেশ সুন্দর আলমারি বানাতে দিলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। বাসার পাশাপাশি হলে একটু সুবিধা হয় হুটহাট বের হয়ে জিনিস গুলো দেখা যায়।
হ্যাঁ আপু আলমারি গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে । তাই তো মেয়ের থেকে আমার বানানোর ইচ্ছাটাই অনেক বেশি ছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আলমারি জন্য আপনার মেয়ের বায়না ধরাটা যথার্থ ছিল বলে আমি মনে করি। যাহোক আলমারিটি বাসায় নিয়ে আসার পরে আপনার মেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছিল এটা জেনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আলমারি বানানোর জন্য আমার মেয়ে বায়না ধরে নি। আমি নিজের থেকেই বানিয়েছি । যাইহোক বানানোর পরে ও বেশ খুশি হয়েছে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।