বোনের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত🍟🍗🍴
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আমার রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব । বেশ কিছুদিন আগে আমার বোন আমার মায়ের বাসায় এসেছে । আমিও সেখানে ছিলাম । বেশ আনন্দে সময় কাটছিল আমাদের ।এর মধ্যে একদিন আমার বোন বলল চলো আমরা রিক্সায় করে ঘুরে আসি ।অনেকদিন হয় রিক্সায় ঘোরা হয় না । তারপর আমি , আমার বোন ও আমাদের দুজনের ছেলেমেয়েকে নিয়ে রিকশায় করে এক ঘন্টা ঘুরলাম । ঘোরার এক ঘন্টা শেষ হওয়ার একটু আগে আমার বোন বলল যাবার আগে চলো একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে যাই। অনেকদিন ফরিদপুরের রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয় না ।তারপর আমরা একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম ।সেই মুহূর্তগুলোই আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
বোনের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত
রেস্টুরেন্টের নাম ছিল টেরাকোটা । বাইরে থেকে রাতের বেলা রেস্টুরেন্ট টি দেখতে বেশ ভালো লাগছিল । বেশ সুন্দর করে লাইটটিং করা হয়েছিল । দেখতে বেশ ভালো লাগছিল । তারপর আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম । ভেতরের ডেকোরেশনটা আমার আপুর কাছে অতটা ভালো লাগলো না ।যদিও এর আগে এই রেস্টুরেন্টে বেশ কয়েকবার আমি গিয়েছি।আপু এই প্রথম গিয়েছিল । এই রেস্টুরেন্টে এবার দীর্ঘদিন পরে আমি গেলাম । আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগলো না । রেস্টুরেন্ট টিও কেমন যেন পুরনো হয়ে গিয়েছিল । তারপর ওদের মেনু কার্ড টা দেখলাম । তারপর মেনু কার্ড দেখে খাবার অর্ডার করলাম ।
আমরা যখন খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তখন আমরা বসে বসে গল্প করছিলাম । এই মুহূর্তে কোত্থেকে যেন একটি ফড়িং এসে আমার গায়ে বসল । আমার মেয়ে তো চিৎকার শুরু করল । আমি বললাম এতে ভয়ের কিছু নেই । এটি ফড়িং , ছোটবেলায় আমরা কত ধরেছি । আমি ফড়িং টিকে ধরে রেস্টুরেন্টের একটি কৃত্রিম গাছের উপর বসিয়ে দিলাম।
তারপর খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রেস্টুরেন্টের ভেতরের ডেকোরেশন এর কয়েকটি ফটোগ্রাফি তুললাম । বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছিল দেখে রেস্টুরেন্টটি তেমন একটা ভালো লাগছিল না । যদিও বসে পড়েছিলাম তাই আর বের হতে পারিনি ।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার চলে এলো । বাচ্চাদের জন্য ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম ।প্রথমে ফ্রেন্ডস ফ্রাই দিয়ে গেল ।তারপর আরো অর্ডার করেছিলাম থাই সুপ ,ফ্রাইড রাইস , চিকেন কারি , চিকেন ফ্রাই , চকলেট কোল্ড কফি ,ড্রিঙ্কস ।
তবে এদের ফ্রাইড রাইসটা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি । তবে থাই স্যুপটি বেশ চমৎকার হয়েছিল । খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল । এছাড়া চকলেট কোল্ড কফিটাও বেশ ভালো ছিল । তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এদের খাবারের মান আগের থেকে অনেক খারাপ হয়েছে ।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বাসার জন্য কিছু পার্সেল নিয়ে , বিল পরিশোধ করে , ওয়েটারকে টিপস দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । বেশ ভালোই কেটেছিল আমাদের সেই দিনের মুহূর্তটুকু । তাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি আপনার বোনের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সময় আলোকসজ্জায় ভরা রেস্টুরেন্ট গুলো বাহির থেকে যেমনটা লাগে ভিতরে গেলে তার উল্টোটা দেখতে পাওয়া যায়। যেহেতু রেস্টুরেন্টটি বেশ পুরনো তাই হয়তো আপনাদের কাছে ততটা ভালো লাগেনি। প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টে খাবারের মান দিনে দিনে ভালো হয় কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে দেখছি একেবারে ভিন্ন চিত্র। ফড়িংটি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। ছোটবেলায় এরকম ফড়িং অনেক ধরেছি।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্ট টার ব্যাপারটা আমার কাছে অন্যরকম লাগলো । আর এই ফড়িং আমরা অনেক দেখেছি কিন্তু এখন তো বাচ্চারা দেখলে ভয় পায় । সত্যি অবাক লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনার রেস্টুরেন্টের ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আমার খুব ইচ্ছা হচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য ্্।। তবে সময়ের বড্ড অভাব।
রেস্টুরেন্ট গিয়ে আপনি অনেক টেস্টি কিছু খাদ্য অর্ডার করেছিলেন। বিশেষ করে ফ্রেন্ডস ফ্রাই বাচ্চাদের মতো আমিও খুব পছন্দ করি ্্!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমণের গল্প গুলো আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ্
ভাইয়া রেস্টুরেন্টের খাবার আমাদের সবারই ভীষণ প্রিয়, শুধু বাচ্চাদের নয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
টেরাকোটা রেস্টুরেন্টের দারুন একটা নাম দেখছি আপু। বোনের সাথে দারুন একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনি । অনেক খাবার খেয়েছেন আপনারা একত্রিতভাবে। আসলে এখনকার ছোট ছোট বাচ্চারা ফড়িং দেখলে একটু ভয়ই পাই যা আমরা ছোটবেলায় একদমই পেতাম না।
হ্যাঁ ভাইয়া দারুন একটা সময় উপভোগ করেছিলাম আমরা । আর এখনকার বাচ্চারা ফড়িংয়ের সঙ্গে ওতটা পরিচিত নয় । এজন্যই এই অবস্থা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
অনেকদিন পরে বোনকে কাছে পেয়ে ঘোরাঘুরির চিন্তাটা মাথায় চলে এসেছে। আসলে ভাই বোন এদের সম্পর্কটা সবথেকে মধুর হয়ে থাকে অন্যান্য সম্পর্কের থেকে। বোনের সঙ্গে এবং আপনাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন রিক্সায় সেই সাথে ঘুরাঘুরি শেষ করার পর রেস্টুরেন্টে খুবই চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সেদিনকার মুহূর্তগুলি সত্যিই চমৎকার ছিল । অনেকদিন পর এরকম ঘোরাঘুরি হয়েছে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপু বোনের সাথে বাবার বাড়িতে একসাথে হয়েছেন এটা বেশ ভালো লেগেছে। আবার দুজনে ছেলেমেয়ে নিয়ে রিকশায় ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন। আমার কাছেও রিক্সায় ঘুরতে ভীষণ মজা লাগে। এটা একদম ঠিক করেছেন বাসায় যাওয়ার আগে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে গেলেই ভালো। আপনার মেয়ে তো দেখছি ফড়িং দেখে ভয় পেয়ে গেল। আসলে ছোটরা তো এখনো ভালোভাবে সবকিছু চেনে না। কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার অর্ডার করেছেন। তার মধ্যে ফ্রাইড রাইসটা যদিও ভালো লাগেনি। রেস্টুরেন্টেও বেশ ভালোই লেগেছে।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্টে বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া করেছি আবার ঘোরাঘুরিও করেছি । বেশ ভালোই সময় কেটেছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
জানেন তো আপু, রিকশায় ঘুরে যে মজা পাওয়া যায় বিকেল বেলা,হাজার লাখ টাকার গাড়িতে চড়ে ঘুরেও সেই মজাটা নেই। আমার তো তাই মনে হয়। ঘোরাঘুরির পর ভালোই খাওয়া দাওয়ার পর্ব হয়েছে দেখছি। সব খাবারের মাঝে চকলেট কোল্ড কফি টা দারুণ ভাবে অ্যাট্রাক্ট করলো। আমার খুব প্রিয় এটা। ডেকোরেশন টা তো ভালোই লাগলো আমার কাছে। আর আপু ফড়িং টা কে পাশে বসিয়ে খেতেন, ওর ও বোধ হয় খিদে পেয়েছিল 😊। সুন্দর ছিল পোস্ট টা।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন রিকশায় ঘুরে যে মজা পাওয়া যায় আমার কাছে গাড়িতে ঘুরলে সেই মজাটা পাওয়া যায় না । আর ফড়িং টাকে পাশে রাখবো কি? ফড়িংটাটা মনে হচ্ছিল মরার মত পড়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনি আপনার বোনের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটা দেখতে খুবই সুন্দর এবং এর ভিতরের পরিবেশ অনেক ভালো লেগেছে। আমিও যখন রেস্টুরেন্টে যাই খাবার আশার আগ পর্যন্ত আমরা বসে বসে গল্প করতে থাকি। আপনার খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক কিছু খেয়েছেন। রেস্টুরেন্টে গিয়ে এই খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার খাবার দেখে খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনিও রেস্টুরেন্টে যেয়ে খেতে ভালোবাসেন জেনে বেশ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য । ভালো থাকবেন ।