বৃদ্ধ ।। SAY NO TO RAPE || রেস্পেক্ট ওম্যেন ( 10 % reseved for shy-fox )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

image.png

image source

রোদে পোড়া গ্রাম্য দুপুর । সূর্যদেবের অকুন্ঠ উদারতায়, চারিদিক দিক যেন ঝলসে যাচ্ছিল। একটি সাদা ফরচুনার নির্বিকার ভাবে ছুটে চলেছে, ন্যাশনাল হাইওয়ে দিয়ে। গাড়ির সামনের কাচে সাঁটানো ছোট স্টিকারে জ্বলজ্বল করছে " PRESS" এর ট্যাগ। প্রধান রাস্তার থেকে বা দিকে বাঁক নিয়ে কিছুদুর গিয়ে রাস্তার ডান দিকে একটি চওড়া মাটির রাস্তা দিয়ে গ্রামের পথে ঢুকে গেল গাড়িটা। গ্রামে ঢুকে ড্রাইভার একে ওকে জিজ্ঞাসা করতে করতে, গাড়িটিকে এনে দাঁড় করালো একটী মাটির বাড়ির সামনে। পাটকাঠি ও বাঁশের বাতা দিয়ে বাঁধা বেড়ার প্রাচীর। বাড়িটার পাশে একটি আম গাছ, রয়েছে। যার ছায়ায় দুটো ছাগল বাধা। তার পাশে ছোট একটি পুকুর , যাতে ভরদুপুরে একদল গ্রামের বাচ্চা মহানন্দে ঝাপাঝাপি করছে।

গাড়ি থেকে ড্রাইভার সমেত আরো দু-তিন জন মানুষ ধীরে ধীরে নেমে এলেন৷ তাদের পরনের ঝাঁ চকচকে পোশাক, ঔদ্ধত্যপূর্ণ বাচনভঙ্গি তাদের চরিত্রের শহুরে উন্নাসিকতার বৈশিষ্ট্যের সংকেত বহন করছে। ড্রাইভার তাড়াতাড়ি গিয়ে, বাড়িটির দরজায় টোকা দিয়ে বৃদ্ধর নাম ধরে ডাকতে শুরু করল। আর এদিকে গাড়ি থেকে নামা বাবুরা এবার গাড়ি থেকে নেমে আম গাছের ছায়ায় গিয়ে দাড়িয়ে একেকটা সিগারেট ধরালো।

এদিকে দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে গামছা কাঁধে বেরিয়ে আসেন এক বৃদ্ধ। চেহারায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। ড্রাইভার টি বৃদ্ধর কানের কাছে গিয়ে লোক গুলিকে দেখিয়ে কি সব বুঝিয়ে বলল। বৃদ্ধ গিয়ে দাড়াল লোক গুলোর সামনে।

"এই যে..আপনিই তাহলে মেয়েটির বাবা? তাইতো?" বেশ কিছুটা কর্কশ স্বরে জিজ্ঞাসা করেন একজন।

"আজ্ঞে হ্যা , আমিই ওর বাবা ! কিন্তু কেন স্যার?" নীচু গলায় জানতে চায় বৃদ্ধটি

"হুমম! শুনুন, আমরা কোলকাতা থেকে আসছি আমি সেখানকার এক নামী নিউজ চ্যানেলে সাংবাদিকতা করি। আপনার মেয়েকে কারা নাকি ধর্ষণ ও খুন করে গেছে, এই খবর টা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষন আওয়াজ উঠছে। তাই এটা নিয়ে একটা নিউজ করার ইচ্ছে আছে। তাই আজ এখানে আমরা। বহুজনে বহু কথা বলছে, কিন্তু আমরা সরাসরি আপনার থেকেই জানতে এসেছি যে ঠিক কি হয়েছিল আপনার মেয়ের সাথে? বলুন।"
বলে নিয়ে থামল লোকটা। সিগারেটে আবার একটা বড় সুখটান দিয়ে.. বৃদ্ধটির সামনেই এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে আবার বলা শুরু করল লোকটা -
"দেখুন যা জানেন, বেশি ঘোরপ্যাঁচ না করে পরিস্কার করে আমাদের বলুন, স্টোরি টা আমাদের ভালো লাগলে আমরা এটা নিয়ে খবর করব। আপনাদের টিভিতে দেখাবে। ফেমাস হয়ে যাবেন মশায়। উপরন্তু ক্ষতিপূরনের টাকাটাও জলদি পাবেন।"

কথাগুলো শুনে চমকে ওঠে বৃদ্ধ, এসব কি বলছে লোকটা! আজ তিন দিন হল তার মেয়েটা মারা গেছে, বড় কষ্ট পেয়ে মরেছে তার একমাত্র মেয়েটা। এখনো চোখ বন্ধ করলেই মেয়েটার সেই রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহের ছবি ভেসে ওঠে মনের আয়নায়। এখনো এই মাটির বাড়ির আনাচে কানাচে কান পাতলে তার সদ্য মৃত মেয়েটার নির্মল হাসির গুঞ্জন ভেসে বেড়ায়। ওর নুপুরের আওয়াজ, আজও কানে বাজে আর আজ ইনি কিনা তার মেয়েটার মৃত্যু নিয়ে খবর করে তাকে ফেমাস করবে বলছে? কাঁপা কাঁপা উদাস গলায় বৃদ্ধ বলল,
"মেয়েটাই তো আর নেই স্যার! আমার একমাত্র মেয়েটাকেই তো শেষ করে দিল ওরা...এখন এসব খবর টবর করেই বা কি হবে ? পুলিশ তো এমনিও ওদের ধরতি চায়না ওদের, আর খবর করে কি হবে, আমার মেয়ে তো ন্যায়বিচার পেলোনা। আমার মেয়েটাকে তো আর ফিরে পাবোনা। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে যেন আমার ফেমাস হযয়ার জন্যই, মেয়েটা মরেচে। "

-"আরে থামুন তো, বেশি কথা না বাড়িয়ে যা জিজ্ঞেস করব তার উত্তরটা ঠিকঠাক দেবেন, কেমন?"

"করুন স্যার ! আপনি কি জিজ্ঞেস করতে চান !!"

সাংবাদিক মহাশয় টেপ রেকর্ডার অন করে প্রশ্ন করা শুরু করেন-

"তা ঠিক কি হয়েছিল আপনার মেয়ের সাথে? কখন কি ভাবে আপনি জানতে পারেন আপনার মেয়েকে রেপ করে খুন করা হয়েছে? বলুন।"
বৃদ্ধ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে, বলতে শুরু করল
" স্যার, গত বুধ বার বিকেল ৪ টা ৫ টা নাগাদ আমার মেয়েটা পাশের গ্রামে ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও যখন মেয়েটা বাড়ি ফিরলনা তখন আমি,আর বাড়ির লোকজন মিলে ওকে খুঁজতে বেরোই।সারারাত খোঁজার পরও না পেয়ে ভোর রাতে বাড়ি ফিরে আসি। পরদিন সকালে লোকজনের মুখে খবর পেয়ে ছুটে যাই গ্রামের সীমান্ত সংলগ্ন একটি মাঠে। সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়েটার রক্তাক্ত নিথর দেহ পরে আছে মাটিতে... আমার.. মেয়েটাকে শেষ করে দিল ওরা স্যার" বলতে বলতে অঝোরে কেঁদে ফেলে বৃদ্ধ।

অঅঅ এত পিওর খুনের কেস!। তো রেপ রেপ বলে চ্যাঁচাচ্ছেন কেন, খুন হলেই কি রেপ হতে হবে নাকি, আপনারা কি ডাক্তার? নন তো? গেঁয়ো গুলোর এই এক সমস্যা... কিছু না জেনেই রেপ হয়ে গেলো রে বলে কেঁদে ভাসানো।

"না না , শুধু খুন নয় স্যার! আমার মেয়ের দেহটা স্যার মানে রক্তাক্ত অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গেছিল স্যার.. তাছাড়া পুলিশ আসার পর, ডাক্তার দিয়ে ওর দেহটা পরীক্ষা করে আমাদের জানিয়েছে যে আমার মেয়েটাকে বেশ কয়েকজন মিলে অত্যাচার করে তারপর গলা টিপে ওকে মেরে ফেলেছে স্যার! আমার একমাত্র মেয়েটাকে শেষ করে ফেলল শালারা... কাঁদো কাঁদো গলায় বলে মেয়েটির বাবা।"

আচ্ছা আচ্ছা শুনুন, আপনি বলছেন আপনার মেয়েকে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাইতো? তা ঠিক কেমন অর্ধ উলঙ্গ বলতে পারবেন, মানে পরনে কি ছিল,কি ছিল না। এইসবই আরকি....বলুন।" কুটিল হাসি চেপে বিকৃত মুখে বললেন সাংবাদিক। অপর দিক থেকে এবার আর কোন উওর আসে না, অঝোরে কাঁদতে থাকে মেয়েটির বাবা, কাঁদতে কাঁদতে বলে আপনারা মানুষ? লজ্জা করে না আপনাদের? বাবার মুখে শুনতে চাইছেন মেয়ে কতটা উলঙ্গ ছিল? পারতেন? পারতেন আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি নিজে এই প্রশ্নগুলির উওর দিতে।"

এই থামুন তো, ন্যাকা কান্না কাঁদবেন না..আর নিজেদের সাথে আমার তুলনা করবেন না একদম। যত্তোসব! আচ্ছা আমাদের তো খবরটা করতে হবে না কি। আরে বাবা খবরটা করলে আপনার মেয়েই হয়ত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে, যাকগে ওসব ছাড়ুন কে করেছে এই কাজ জানতে পেরেছেন?"

"হ্যা, জানি।পুলিশও জানে। খুব ভালো করে চিনি তাদের!"

বাআআ বা! চেনেন তাহলে ছেলেটাকে।কে ছিল ছেলেটা? কি নাম? আপনার মেয়ের সাথে কি সম্পর্ক ছিল? আর আপনার মেয়ের নামটাও বলবেন, ওটা জানা হয়নি।

আমার মেয়ের নাম মিলি রায় স্যার! ভারি লক্ষীমন্ত মেয়ে ছিল আমার। আমরা কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে কোন ছেলের সাথে ওর কোন সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু কয়েক মাস আগে সবটা জানতে পারি আমরা , বেশ কয়েক মাস ধরেই পিন্টু সামন্ত নামের একটা ছেলের সাথে ওর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। পরে শুনলাম ছেলেটি নাকি তাকে এখানে ওখানে বেড়াতে নিয়ে যেত। পিন্টু এই এলাকার এক বড় মাছ ব্যাবসায়ীর ছেলে স্যার। ওদের অনেক বড় ব্যাবসা, অনেক গোপন কারবার, অনেক উপর পর্যন্ত ওদের চেনাশোনা! আগে জানলে ! আমি মেয়েটাকে সাবধান করতে পারতাম। সেই সময় টাও পেলাম না হা ঈশ্বর.... " বলে বৃদ্ধ আবার হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে কিন্তু গোল বাঁধে কয়েক সপ্তাহ আগে, মিলি জানতে পারে আরও অনেক মেয়ের সঙ্গেই ছেলেটার সম্পর্ক রয়েছে। তখন ও ছেলেটার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছেলেটি কিছুদিন রাস্তায় ওকে আটকাতো। তাই বিরক্ত হয়ে মিলি একদিন ও আমাদের সবটা খুলে বলে।

আমি গিয়েছিলাম ছেলেটাকে বলতে যে ও যেন আমার মেয়েটাকে আর জ্বালাতন না করে।কিন্তু ওরা পয়সা আলা লোকের ব্যাটাতো, খুব দেমাগ তাই। ছেলেটা আর ওর বন্ধুরা মিলে আমাকে হুমকি দেয়,বলে বেশি চেঁচামেচি করলে আমার মেয়েকে নাকী ওরা তুলে নিয়ে যাবে। আমি ভয়ে আর কিছু বলিনি কাউকে,কিন্তু বুধবার বিকেলে ও যখন ওষুধ কিনতে বেরোয়, তখন জানোয়ারগুলো ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওকে রেপ করে খুন করে স্যার...-বলতে বলতে দু হাতে মুখ গুঁজে হাউ-হাউ কেঁদে ফেলে বৃদ্ধ।

সাংবাদিকটির মুখ থেকে আর কোন কথা বেরোয় না এবার, সে মনে মনে অনেক হিসাব কষে নেয়। বুঝতে পারে সে, যে এটা বড় লোকদের ব্যাপার, ওই ছেলেটার বাপ প্রভাবশালী লোক। আর সে এটাও জানে যে এটা নিয়ে বেশি মাতামাতি করলে কি ভীষণ প্রেসার এসে পরবে তার ও তার চ্যানেলের ওপর। এডিটর কে ফোন করে সবটা বলে, এডিটর ঘটনা শোনা মাত্র রে রে করে ওঠে।বলে, "এক্ষুনি কোলকাতায় চলে এস। এ বিষয় নিয়ে বেশি চ্যাঁচামেচির প্রয়োজন নেই, চাপ হয়ে যাবে।বোঝোই তো, তাই come back, as soon as possible "

ফোনটা রেখে সাংবাদিকটি তার সহকারীকে বলল, "গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে তৈরী থাকতে বল ড্রাইভার কে, আমি আসছি।" এবার সাংবাদিক টি ইতস্তত করে বলেন আমাদের এখুনি বেরোতে হবে বুঝলেন। আমাদের ইমিডিয়েটলি কোলকাতায় ফিরতে হবে।অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেল।চলি।
আচ্ছা যান, তবে একটা কথা জানার ছিল, বলব? বলে ফেলুন, কিন্তু যা বলবেন তারাতারি বলবেন

হ্যা, বলছিলাম আপনারা তো বেশ আগ্রহের সঙ্গেই আমার মেয়ের মরার গল্প শুনছিলেন, তাহলে হঠাৎ করে এমন কি হল যে চলে যাচ্ছেন। আমি জানি আপনারা খবর না করলেও তাতে আর কিছু যাবে আসবে না, তাতে আমি আমার মেয়েটাকে তো আর ফিরে পাব না।তবুও এই অদ্ভুত আচরণ দেখে জানতে ইচ্ছে হল আপনারা এমন হঠাৎ করে চলে যাচ্ছেন কেন?

চলে যাবনা তো কি করব বলতে পারেন! না মানে দাবিটা কি আপনার বলুন দেখি, এখানে থেকে আপনার ওই নাকি কান্না শুনব? আর অদ্ভুত আচরণ মানে টা কি? আমি আমার মর্জি মত যখন খুশি আসব যখন খুশি যাব তাতে আপনার কি মশাই? আর কি বললেন আপনার মেয়ের মরার গল্প শুনছিলাম, হাঃহাঃহাঃ... কথাগুলো বলেই হাসতে থাকেন লোকটি।

হাসি থামিয়ে হঠাৎ গম্ভীর মুখ করে বলেন, হ্যা গল্পই বটে। আপনার গুনী মেয়ে হাজারটা ছেলের সঙ্গে ফস্টি নষ্টি করে শেষে কার না কার হাতে মরেছে, আর আপনি গল্প বানিয়ে ফাঁসানোর ধান্দা করে যাচ্ছেন! কেন মশাই ছেলেটি টাকা পয়সাওয়ালা বলে? তাই সেখানে সুড়সুড়ি দিয়ে পয়সা ইনকামের ভালোই ফিকির খুঁজেছেন, যান যান নিজের কাজ করুন গে যান।"

কথাগুলো শুনে বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে বৃদ্ধর, মাথাটা ঝিম ঝিম করে ওঠে।মনে মনে বলেন! এসব কি বলছে কি লোকটা.. ছি ছি ছি ছিঃ তার মেয়েকে নিয়ে এতবড় অপবাদ! হা ঈশ্বর!

কাঁপা কাঁপা গলায় কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল বৃদ্ধ সাংবাদিকটি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল -
এই শুনুন আপনার আর কোন ফালতু কথা শোনার মত সময় বা আগ্রহ কোনোটাই আমার নেই তাই মেলা না বকে যান নিজের কাজ করুন

বৃদ্ধর গলা বুজে এল, অনেক কষ্টে বললেন। হ্যা ঠিকই! আমার কথা শুনবেন কেন! আমি যে আমি যে গরীব। শুনতে হবে না আপনাকে, কিচ্ছু শুনতে হবে না, আপনি যান.. বেরিয়ে যান আমার বাড়ির ত্রিসীমানার থেকে, নাহলে আপনাকে লাঠিপেটা করে তাড়াতে বাধ্য হব।

কথাগুলো শুনে সাংবাদিক মহাশয়ের মুখখানা শুকিয়ে গেল,তিনি তাড়াতাড়ি কাঁধে ব্যাগ নিয়ে উঠে পরলেন, যেতে যেতে বললেন - "আমাকে ভয় দেখানো? দেখে নেবো, দেখে নেবো আপনাকে। সাংবাদিক টি চলে যেতেই পা ছড়িয়ে মাটিতে বসে পরেন বৃদ্ধ, বুকের ভেতরটা মচড়িয়ে কান্না আসে তার, কিন্তু আশ্চর্য! এবার আর তার চোখ থেকে জল বেরোয় না!
মৃত মেয়ের একটা কথা বৃদ্ধের কানে বেজে ওঠে বার বার
" বাবা তুমিই না শিখিয়েছ অন্যায়ের সাথে আপোস করতে নেই... "

Sort:  
 2 years ago 

কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। তবে এটাই বলব আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেকেই সজাগ ও সচেতন হতে পারবে। কমেন্ট করতে গিয়ে বারবার কেমন জানি মুখ আটকে যেতে থাকলো। শুধু এটুকুই বলবো আপনার জন্য শুভ কামনা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 68526.92
ETH 3726.80
USDT 1.00
SBD 3.73