লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন :- By @vivv | ১২ জানুয়ারি ২০২২ | (১০% বেনিফিশারি প্রিয় লাজুক-খ্যাক এর জন্য )

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
নমস্কার আমার বাঙলা ব্লগের সমস্ত স্টিমিটিয়ান বন্ধুদের। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সমস্তপ্রফেসর, মডারেটর এবং অ্যাডমিনদের যাদের কাছে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি। গত তিন দিনের #abb-lebel03 তিন ক্লাসের আমার প্রাপ্ত জ্ঞান এবং সিলেবাসে থাকা সমস্ত কোর্স মডিউল শেষ করার পর কি শিখেছি সে সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষার দিন আজ। আমার প্রফেসর - @alsarzilsiam

image.png

লেবেল তিনের পরীক্ষা

সিলেবাসে ছিল তিনটি বিষয় - কনটেন্ট, কিউরেশন এবং মার্ক ডাউন। আমরা এই তিনটি বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করবো।

কনটেন্ট - কনটেন্ট হচ্ছে আপনার লেখনী, এবং তার বিষয় বস্তু। আপনার বা আমার লেখাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এই তিনটি ভাগ হচ্ছে কনটেন্টের প্রকার ভেদ। সেগুলি নিম্নরুপ -

১ - টেক্সট কনটেন্ট
২ - অডিও কনটেন্ট
৩ - ভিডিও কনটেন্ট

প্রশ্ন - আপনি যে বিষয়ের ওপর লিখছেন সেই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি কেন ?

আমরা যে কোন বিষয় নিয়েই লিখি না কেন সেই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক, উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক রান্নার রেসিপির কথা। আমাদের পোস্ট লেখার সময় প্রতিটি উপাদানের অন্তত একটা করে ছবি এবং সাথে সেই ছবির নীচে ছবির বিবরন অর্থাৎ ক্যামেরা ডিটেলস এবং ছবির ডিটেলস দেওয়া জরুরি। সাথে প্রতিটি ছবির সাথে ডানদিকে বা বাম দিকে যথেস্ট পরিমানে বিবরণ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ বর্ননা এবং প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরা প্রয়োজন। কমপক্ষে ৫ টি ছবি একটি রান্নার পুর্নাঙ্গ রেসিপি বর্ণনা করার জন্য জরুরি। শুধু রান্না না, ট্রাভেল বিবরণ বা যে কোন লেখার জন্যই প্রয়োজনীয় এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি সহ বিবরন দেওয়া প্রয়োজন এবং প্রতিটি ছবির নীচে সেই ছবির টেকনিক্যাল বর্ণনা থাকা জরুরি।

প্রশ্নঃ--- কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত?

উত্তরঃ- জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা এই বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করেই কনটেন্টের টপিকস নির্বাচন করা হয়।



এবার আমরা লিখবো কিউরেশন সম্পর্কে -


কিউরেশন বিষয়ে লেখার আগে আমাদের জানা দরকার ভোটিং ভ্যালু এবং তার সাথে রিওয়ার্ড পুল সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় গুলি ।

রিওয়ার্ড পুল কি তা আমরা লেবেল ওয়ানে আলোচনা করেছি। এখন আলোচনা করবো যে কিভাবে ভোট ভ্যালু ডিস্ট্রিবিউট হয় এবং কিভাবে কিউরেশন জমা হয়।

অর্থাৎ এভাবে বলা যায়- ধরুন আপনার পোস্টে মোট ভোট এসেছে ১০০ ডলারের। ৭ দিন পর সেই ১০০ ডলার প্রথমে দুভাগে ভাগ হবে। ৫০ ডলার এবং ৫০ ডলার।

এবার প্রথম ৫০ ডলার আবার দুভাগে ভাগ হবে। ২৫ এবং ২৫।
প্রথম ২৫ ডলার হচ্ছে আমার এস বি ডি কয়েন এবং দ্বিতীয় ২৫ ডলার হচ্ছে আমার এস পি।
এই দ্বিতীয় ২৫ ডলার সব সময় সেই মুহূর্তের sp ভ্যালু যা থাকবে তা দিয়ে ভাগ হবার পর সেই মুল্যের স্টীম পাওয়ার আপনার আকাউন্টে জমা হবে। সেটিই হবে সেই পোস্ট থেকে প্রাপ্ত স্টীম পাওয়ার আপনার জন্য।

মানে যদি স্টীমের মুল্য ০.৫০ হয় তাহলে আপনার স্টিম পাওয়ার হবে - ২৫ ভাজিত ০.৫০ ( ২৫ / ০.৫০ ) অর্থাৎ ৫০ ষ্টীম পাওয়ার আপনার ওয়ালেটে জমা হবে।

এবার আসি কিউরেশন রিওয়ার্ড - প্রথম ১০০ ডলার ভোট যে দুভাগে ভাগ হয়েছিল সেই ভাগের দ্বিতীয় ৫০ ডলারও একই ভাবে সেই মুহূর্তের স্টীম ভ্যালুর সাথে ডিভাইড ( ভাজিত ) হবার পর যে আমাউন্ট হবে সেটি হবে সেই পোস্টের কিউরেশন রিওয়ার্ড এবং সেই স্টীম পাওয়ার সেই পোস্টের সমস্ত ভোটারদের মধ্যে সম পরিমানে বন্টন হয়ে যাবে।

অর্থাৎ ৫০ ডিভাইড ০.৫০ ( ৫০/ ০.৫০ ) = ১০০ ষ্টীম পাওয়ার। আপনার পোস্টে যদি টোটাল ১০ জন ভোট দিয়ে থাকেন তাহলে সেই ১০০ স্টিম পাওয়ার ১০ জনের মধ্যে সম পরিমানে বন্টন হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভোটার পাবেন ১০ স্টীম করে স্টীম পাওয়ার।

প্রশ্ন - ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন।

উত্তরঃ - $3.5 USD অর্থাৎ ৭ স্টিম পাওয়ার।

এবারের প্রশ্ন - তাহলে এই নিয়মেই আমি যদি অন্য পোস্টে আপভোট দিই তাহলে সর্বচ্চো পরিমাণে কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবার জন্য আমাকে কি করতে হবে ?

উত্তর - এই প্রসঙ্গে যাবার আগে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে কোন পোস্টের সবথেকে বেশি কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়া যায় প্রথম ৫ মিনিটের পর থেকে পরের ১২ ঘন্টা আগে ওবধি। এই সময় কাল টুকু আমাদের জন্য ১০০ পারসেন্ট কিউরেট করা হয়। এবং প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যে আপভোট দিলে কিছু শতাংশ কিউরেশন ভ্যালু কম পাওয়া যায় । যা নিম্নরুপ -

প্রথম ১ মিনিটের কিউরেশন রিওয়ার্ড মাত্র ২০ শতাংশ
২ মিনিটের কিউরেশন রিওয়ার্ড ৪০ শতাংশ
৩ মিনিটের কিউরেশন রিওয়ার্ড ৬০ শতাংশ
৪ মিনিটের কিউরেশন রিওয়ার্ড ৮০ শতাংশ
এবং ৫ মিনিট বা তার পরের কিউরেশন রিওয়ার্ড ১০০ শতাংশ ।

এবং এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা দরকার ৫ মিনিট থেকে শুরু করে ভোটিং টাইম ৭ দিন শেষ হবার আগের ১২ ঘন্টা ওবধি আমাদের কিউরেশন রিওয়ার্ড ১০০ শতাংশ । শেষ ১২ ঘন্টার কিউরেশন রিওয়ার্ড বাউন্স করার শতাংশ মিনিটের হিসেবে না বরং ২ ঘন্টা ৪০ মিনিটের হিসেবে হয় যা একই ২০ শতাংশ , ৪০ শতাংশ, ৬০ শতাংশ ৮০ শতাংশের ব্যাস্তানুপাতিক বা অঙ্কের হিসেবে inversely propotional হয়। প্রথম ৫ মিনিট প্রোপোজনাল ( proportional ) ।

এছাড়াও কোন ইউজার কতটা ভোট রিওয়ার্ড পাবেন সেটি নির্ভর করে একটি লিনিয়ার ইকুয়েশন এবং তার সময় কালের ওপর। এই আর্থিক বিষয়টি অর্থাৎ কিউরেশন ভ্যালুর সুত্র নিম্নরুপ

1/2 * √A * (√B - √C)

A - অর্থাৎ টোটাল বা মোট প্রদেয় ভোট ভ্যালু
B - অর্থাৎ আমার ভোট দেবার পর সর্বমোট ভোট ভ্যালু
C - আমার ভোট দেবার আগে সর্বমোট ভোট ভ্যালু

অর্থাৎ B এখানে আমি, যা লিনিয়ার অবজেক্টিভ হিসেবে সর্বদায় C অর্থাৎ বাকি ভোটের তুলনায় সুপিরয়র অর্থাৎ যা factorial value (!) । যাকে আমরা অঙ্কের সুত্রে ডেরিবেটিব বা ফাক্টোরিয়াল ভ্যালু ( !B ) হিসেবে চিনহিত করি।
সেক্ষেত্রে এই সুত্রে B ভ্যালু সবসময় বেশিই হবে।

প্রশ্ন - তাহলে কি কিউরেশন করার জন্য সব পোস্টে ভোট দিলে বেশি আর্নিং হবে নাকি আমাদের @heroism কে ডেলিগেট করলে বেশি আর্নিং হবে ?

উত্তর - অবশ্যই @heroism কে ডেলিগেট করলে বেশি আর্নিং হবে কারণ আমার স্টিম পাওয়ার ভ্যালুর থেকে hiroism এর স্টিম পাওয়ার বেশি। ফলত সাধারণ ঐকিক নিয়ম স্টিমিটের base node fundamental অনুযায়ী যার স্টীম পাওয়ার বেশি তারই রেভিনিউ বেশি জেনারেট হবে। ফলত আমি যদি heroism কে আমার স্টিম পাওয়ার ডেলিগেট করে রাখি তাহলে তার স্টীম পাওয়ারের ওপর নির্ভর করে আমারও কিউরেশন রিওয়ার্ড বেশি হবে।

এবার আমরা আলোচনা করবো সিলেবাসের সর্বশেষ সাবজেক্ট অর্থাৎ মার্কডাউন (markdown ) বিষয়ে ।

মার্কডাউন কি - মার্কডাউন হচ্ছে বেসিক HTML এবং HTML - 5 ল্যাঙ্গুয়েজের ফাউন্ডেশন মডিউল। অর্থাৎ এই দুটো ল্যাঙ্গুয়েজের কোড লেখার জন্য জন্য যে সুত্র/ সংখ্যা বা ভাষা ব্যাবহার করা হয় সেগুলিকে সম্মিলিত ভাবে মার্কডাউন কোড এবং আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটা সংকেতকে সিনট্যাক্স বলা হয়। অর্থাৎ যেমন ইংরেজি বর্ন মালায় ২৬ টি আল ফাবেট আছে এবং প্রতিটা অ্যালফাবেটকে আলাদা আলাদা ভাবে vowel বা নন ভাওয়েল বলা হয় সেরকমই।
এখন স্টিমিট প্লাটফর্ম যে কয়েকটি ভাষায় ( স্টিমিটের ভাষা হচ্ছে python, NodeJS, HTML and java ) বানানো হয়েছে সেই ভাষা গুলির ফাউন্ডেশন মডিউল হচ্ছে বেসিক HTML ফলত HTML এর সিনট্যাক্স দিয়েই এখানে আপনি লিখতে পারেন বা কমান্ড দিতে পারেন প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজের জন্য।

মার্কডাউন কেন জরুরী - মার্ক ডাউন জরুরি কারণ এক কথায় বলতে গেলে একে বলা হয় লেখার বা আপনার রচনার রুপচর্চা। আপনি আপনার লেখাকে মোটা, সরু, বাঁকা , ডানদিকে, বাঁদিকে , মাঝখানে, ওপরে , নীচে বা ইচ্ছে মত যেখানে খুশি বসিয়ে আপনার লেখনীকে সাজাতে পারেন। তাতে সেটি দৃষ্টিনন্দন হয়। এই দৃষ্টি নন্দন করার জন্যই মার্ক ডাউনের ব্যাবহার করা হয়।

প্রসঙ্গত মার্কডাউন কোড বা সিনট্যাক্স কয়েক হাজার আছে, যদিও সেগুলি সব আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা এই মুহূর্তে @abb-school এর সিলেবাসে থাকা মার্ক ডাউন সংক্রান্ত প্রশ্ন গুলো নিয়েই আলোচনা করবো ।

প্রশ্ন - পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায় ?

উত্তর - পোস্টের মধ্যে মার্কডাউন কোডগুলো কোন রকম পরিবর্তন না করেই চারটি স্পেস দিয়ে কোডগুলির দৃশ্যমানত পাওয়া যায়। এছাড়াও শুরুতে এবং শেষে আপ্যোসট্রপি দিয়ে এবং কোড শুরু করার সময় ফ্রন্টাল স্ল্যাশ দিয়েও দৃশ্যমানটা পাওয়া যায়। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে কোডের সামনে এবং পেছনে সিঙ্গেল কোলন ব্যাবহার করেও দৃশ্যমানতা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন - নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।

উত্তর -

user | age | location

-- | -- | --
viv | 34 | kolkata
xyz | 35 | delhi
king | 30 | mumbai

useragelocation
viv34kolkata
xyz35delhi
king30mumbai

প্রশ্ন - সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি ?
উত্তর - সোর্স উল্লেখ করার জন্য প্রথমে [ --] এই থার্ড সেট ব্রাকেটের মধ্যে ইংরেজিতে লিখতে হবে source এবং তারপর (url) অর্থাৎ ফাস্ট সেট ব্রাকেটের মধ্যে যে লিঙ্ক থেকে লেখা বা ছবিটি নিয়েছেন সেটিকে দিতে হবে ইংরেজিতে

[সোর্স]( আপনার লিঙ্ক ) --> source

প্রশ্ন - বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র - ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত হেডার গুলোর কোড লিখুন।
উত্তর -

< h1 > Hello world 1 < /h1> অথবা ## Hello world 1

< h2 > Hello world 2 < /h2> অথবা ### Hello world ২

< h3 > Hello world 3 < /h3> অথবা #### Hello world 3

< h4 > Hello world 4 < / h4> অথবা ##### Hello world 4

< h5 > Hello world 5 < /h5> অথবা ###### Hello world 5

< h6 > Hello world 6 < /h6> অথবা ###### Hello world 6


আউটপুট নীচে

Hello world 1

Hello world 2

Hello world 3

Hello world 4
Hello world 5

এছাড়াও h1 কোড ব্যাবহার না করেও # ব্যাবহার করেও ফন্ট সাইজ ছোট বা বড় করা যায় , সেক্ষেত্রে # চিহ্ন টি ১ থেকে ৬ বার পর পর টাইপ করার পর একটি স্পেস দিয়েও টেক্সট লেখা যায়।


প্রশ্ন - টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোড টি লিখুন।

উত্তর - <div class ="text-justify">YOUR TEXT</div>

এখানে YOUR TEXT এর জায়গায় আপনার মুল লেখাটি থাকবে ।

আমি @rme দাদাকে এবং @abb-school এর সমস্ত প্রফেসরদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের নিজেদের মুল্যবান সময় থেকে আমাদের শেখানোর জন্য সময় দেওয়া এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য

ধন্যবাদ

image.png

বিঃ দ্রঃ - আমার কাছে মার্কার পেন না থাকার জন্য এবং মোবাইলে ফ্রন্ট ক্যামেরার জন্য ছবিটি অস্পস্ট। সেহেতু আমি ছবিটির আরও দুটি আলাদা ছবি দিয়েছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী

Sort:  
 3 years ago 

দাদা আপনার পোস্ট টি পরে ভালো লাগলো অনেক। আপনি খুব ভালো করে লেভেল-৩ এর বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। আশা করি শিগ্রই এই লেভেল পার করে যাবেন। বাকি লেভেল গুলোর জন্য শুভকামনা রইলো। ।

 3 years ago 

খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয়ে স্থাপন করতে পেরেছেন। যেটা দেখে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আপনি।প্রত্যেকটা বিষয় নিখুঁত ভাবে শিখতে পেরেছেন।পরবর্তী লেভেল এর জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।🖤

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 57941.45
ETH 2579.63
USDT 1.00
SBD 2.39