স্টীমিট আমার বাংলা ব্লগে আমার লিখিত পরীক্ষা । লেবেল ১ এর পড়াশুনো এবং পরীক্ষা ( 10% beneficiary for @shy-fox )

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

স্টিমিট লেবেল ১ এ গত এক সপ্তাহের পড়াশুনোর ফলে কি কি শিখলাম তার বর্ননা এবং আমার বাংলা ব্লগের আইন কাকুন সংক্রান্ত পরীক্ষা

কোর্স মেটিরিয়াল -
স্টিমিট কি , ব্লকচেইন কি , পোস্ট হেডিং , পোস্টিং নিয়ম , ট্যাগিং কি ও তার নিয়ম, ফলো আনফলো , আপভোট-ডাউনভোট-রিস্টিম, রিওয়ার্ড পুল - পে আউট , স্পাম , কপিরাইট পলিসি , প্লাগিরিজম , আবিউজিং কনটেন্ট, রি-রাইট, লাজুক খ্যাক্স, হিরোইজম, ম্যাক্রো পোস্ট , ট্রাভেল সিরিজ , ফটোগ্রাফি , স্টিমিট এক্সক্লুসিভ , এবং ওভারঅল আইডিওলোজি।

স্টিমিট কি - স্টিমিট হচ্ছে অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়া গুলোর মতই একটা স্যোশাল মিডিয়া যেখানে আপনি আপনার মতামত এই প্লাটফর্মের বাকি ব্যাবহারকারীদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এবং পার্থক্য হচ্ছে অন্য প্লাটফর্মে আপনাকে তাদের প্লাটফর্ম ব্যাবহার করার জন্য কোন অর্থ দেওয়া হয় না, স্টিমিটে অর্থ রোজগার করা যায়।
এর কারণ স্টিমিট হচ্ছে ডিসেন্ট্রালাইজড প্লাটফর্ম এবং সি ডি এন নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করার জন্য স্টিমিট প্রতিটি ব্যাবহারকারীর ডেটাকে "পুল" হিসেবে চিহ্নিত করে নিজের ব্লকে মাইনিং করতে পারে। যদিও এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়, ব্যাবহার কারীর জন্য স্টিমিট হচ্ছে সেই প্লাটফর্ম যা ব্যাবহার কারীর স্টিম পাওয়ার, আপভোট এবং কিউরেশনের ওপর ভিত্তি করে ব্যাবহারকারীকে স্টিম প্রদান করে, সেই স্টীমকে ব্যাবহারকারী নিজের দেশের কারেন্সিতে পরিবর্তন করে লিকুইড ক্যাশ বা নগদ টাকায় হাতে পেতে পারে।

ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন একটি টেকনোলোজি যেমন নোড জে-এস , রুবি , এক্সপ্রেস নোড, বা জাভা এইচ টি এম এলের মতই একটি টেকনোলোজি যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেছনে চলমান থাকে এবং ব্লকচেইনের সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা প্রতিটি কন্টেন্টকে তার নিজস্ব কয়েন বা কারেন্সিতেও কনভার্ট করতে পারে। যদি আপনার নিজের কোন কয়েন থাকে , ধরা যাক আপনার নাম বিনোদ এবং আপনার ব্লকচেইনের কয়েনের নাম বিনোদ কয়েন তাহলে আপনি সেই কয়েনের মার্কেট ভ্যালু পুল করার পর তার সাথে যে কোন ডেটা সেন্ট্রিক সি - ডি -এন কানেক্ট করেন সেক্ষেত্রে সেই ডেটার পুল ভ্যালুকেও বিনোদ কয়েন নিজের সাথে জুড়ে নিয়ে আরো ব্লক তৈরি করতে পারে। এক কথায় এটা এমন একটা মেশিন বা সফটওয়্যার বা আপ্লিকেশন যা কোন বিশেষ শব্দ, ছবি, লেখা, বা ডিজিটাল এমেন্ডমেন্টকে আর্থিক রুপ দিতে পারে। এই আর্থিক রুপ দেবার ঘটনাকে বলা হয় মাইনিং এবং পুরো টেকনোলোজি বা কনসেপ্টকে বলা হয় ব্লকচেইন কারণ এটি ব্লক অর্থাৎ একটি হেক্সাডাইগোনাল ফ্রেমের সাথে অন্য ফ্রেম জুড়তে জুড়তে কাজ করে। স্টিমিটে যে ষ্টীম ব্লকচেইন ব্যাবহার হয় তাতে প্রতি ব্লকে চল্লিশটি নোড থাকে । আমাদের সুবিধার জন্য আমরা ধরতে পারি যে প্রতি ৩ সেকেন্ডের মধ্যে স্টিমিট একটি ব্লক তৈরি করে বা প্রতি ৩ সেকেন্ডে আক্টিভিটি যেমন পোস্ট, লাইক , কমেন্ট আপভোট একসাথে চল্লিশটি আকসেপ্ট করতে বা দিতে পারে।

পোস্ট হেডিং - স্টিমিটে পোস্ট লেখার জন্য যে পোস্ট টাইটেল দেওয়া হয় তাকে পোস্ট হেডিং বলা হয়, এবং এটি টেক্সট বা লেখার আকারেই দেওয়া যায়। এই পোস্ট হেডিং এর সর্বাধিক সংখ্যা হচ্ছে ২৫৫ । ইংরেজিতে ২৫৫ ক্যারেক্টার বা ২৫৫ টি বর্নমালা ।

পোস্টিং নিয়ম - পোস্ট হেডিং এর মতই বডিলাইন বা মেইন পোস্টেরও একটা সীমিত আকার আছে যা হচ্ছে 65 kb। অর্থাৎ স্টিমিটের নিজস্ব সংখ্যাতত্ব অনুসারে যদি আপনার পোস্টের ওজন ৬৫ কেবির বেশি হয় সেক্ষেত্রে স্টিমিটে সেটা পোস্ট করা যাবে না। এবং তা লেখা, ছবি এবং অডিও ভিডিও সমেত সবকিছু মিলিয়েই। যদিও স্টিমিট বর্তমানে লেখা বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত রকম কনটেন্ট নিজস্ব রিপোজোটরিতে রাখে তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে ৬৫ কেবি সাইজ অর্থাৎ বিশাল একটি সাইজ। মোটামুটি একটি সাধারণ পোস্ট এর থেকে অনেক কম সাইজেরই হয়।

ট্যাগিং - ট্যাগিংকে অনেকেই হ্যাশট্যাগও বলে থাকেন, ট্যাগিং হচ্ছে একটা শব্দ যা আপনার লেখা পোস্টকে একটি কি-ওয়ার্ডের মধ্যে ধরে রাখে, ধরা যাক আপনি একা একটি পাহাড়ে ঘুরতে যাবার পোস্ট লিখলেন এবং সেটির ট্যাগ দিলেন সোলো ট্র্যাভেল, সেক্ষেত্রে সোলো ট্রাভেল হলো একটি কি ওয়ার্ড বা ট্যাগ বা হ্যাশট্যাগ যা দিয়ে আপনার পোস্টটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে বা আপনার মত যারা আরো লেখা লিখেছেন তাদের সবার পোস্টের সাথেই আপনার পোস্টটিও দেখতে পাওয়া যাবে।
স্টিমিটে ট্যাগিং এর কিছু নিয়ম আছে, ফেসবুকের মত যত্র তত্র ব্যাবহার করা যায় না, যদি পোস্টের মধ্যেই ব্যাবহার করেন সেক্ষেত্রে তাকে হ্যাশট্যাগ বলা হয়। আর যদি ট্যাগ দেবার/লেখার নির্দিষ্ট যায়গাতেই লেখেন তাহলে তাকে ট্যাগ বলা হয়। ট্যাগ সর্বচ্চ আটটি ব্যাবহার করা যায়, প্রতি ট্যাগের পর একটি কমা দিতে হয় এবং ট্যাগ সবসময় নিউম্যারিক ভ্যালু বা ইংরেজি বর্নমালাতেই লিখতে হয় স্টিমিটের ক্ষেত্রে।

এক্ষেত্রে দুটো ট্যাগের ব্যাপারে মাথায় রাখা জরুরি । NSFW এবং steemexclusive । nsfw অর্থাৎ not safe for work , যে ছবি ভিডিও বা লেখা আপনি সব জায়গায় ব্যাবহার করতে পারেন না সেগুলোই এই ট্যাগের মধ্যে আসে যেমন ধরা যাক যৌনতামুলক ছবি বা ভিডিও , দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ছবি ভিডিও , ধর্মীয় বিশেষ কিছু আচার উপাচার যেমন বলী, কুরবানী ইত্যাদি পোস্ট সবার জন্য উপযুক্ত নয় তাই এই সব পোস্ট সবসময় এই ট্যাগের অধীনেই আসে।

steemexclusive - এই ট্যাগের অর্থ এমন কিছু যা আপনি স্টিমিটের এই গ্রুপে শেয়ার করছেন যা অন্য কোথাও নেই। অর্থাৎ যদি আপনি বাড়িতে দারুন মাংস রান্না করে স্টিম এক্সক্লুসিভ ট্যাগ দেন তাহলে সেটি ভুল করছেন, কারণ এরকম রান্না প্রতিদিনই কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও করছে কাজেই আপনি বাকি দুনিয়ার জন্য নতুন কিছুই করছেন না তাই এক্ষেত্রে এই ট্যাগ দেওয়া নিয়ম বিরুদ্ধ। কিন্তু যদি আপনি ষ্টীম হোয়াইট পেপার বা কোন বিশেষ টেকনোলোজি , বিশেষ কিছু পেপার লিখলেন যা এর আগে কেউ কখনো করেনি সেক্ষেত্রেই আপনি এই ট্যাগ ব্যাবহার করতে পারবেন। অন্যথায় তা গ্রুপের নিয়ম বিরুদ্ধ।

এই প্রসঙ্গে একটা কথা , স্টিমিট আমার বাংলা ব্লগে মোটামুটি সব কিছু নিয়েই লেখা যায় বিশেষ কয়েকটি বিষয় ছাড়া, যেমন ধর্মীয় নিয়ম, উপাচার, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী বা বিশ্বাসযোগ্যতা বা বিশেষ কোণ ধরনের পরিধেয় বা খাদ্যাভাস সংক্রান্ত কোন লেখা যা অন্যের ব্যাক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী নয় সেরকম লেখা স্তিমিট আমার বাংলা ব্লগে পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

ফলো- আনফলো - ফলো বা আনফলো হচ্ছে ফেসবুক বা বাকি সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলো আনফলো সুবিধার মতই একটা ফাংশনালিটি। যদি আপনি কাউকে ফলো করে রাখেন তাহলে steemit.com ওয়েব সাইট খুলে যদি তারা পোস্ট করে থাকেন তাহলে তাদের পোস্ট প্রথমেই দেখতে পাবেন। এবং ব্যাপারটি বিপরিতার্থক, অর্থাৎ আপনাকে যদি কেউ ফলো করে রাখে তাহলে তারাও আপনার পোস্ট আগে দেখতে পারে।

একই ভাবে আনফলো ব্যাপারটি হচ্ছে যদি আপনি ফলো না করতে চান তাহলে যদি আনফলো করে দেন তাহলে তার পোস্ট প্রায়োরিটি বা " আগে এলে আগে পাবেন " নিয়মে দেখতে পাবেন না, ম্যানুয়ালি সার্চ করে বা খুঁজে নিয়ে দেখতেই পারেন।

এই প্রসঙ্গে আরো একটি কথা , তা হলো কমেন্ট বা প্রত্যুত্তর । কারো পোস্টের নীচে আপনি কমেন্ট করতেই পারেন কিন্তু মাথায় রাখবেন সেটি যেন বট, রোবোটিক বা অটোনোমাস না হয়, এবং সাথে সাথেই খুব ছোট ৩/৪/৫ টি শব্দেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা বাক্য না হয়। অর্থাৎ " বাহ খুব সুন্দর লিখেছেন " এবং " দারুন লিখেছেন তো " এই দুটি বাক্যের মানে বা অর্থ একই, যদি এরকম করেন তাহলে তা স্পামিং এর আওতায় চলে যাবে। যা বাঞ্ছনীয় নয়।

স্পাম - স্পাম অর্থাৎ একই কোথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বার বার লেখা। ওপরের উদাহরনেই বোঝা যাচ্ছে আমি একটু আগেই ভাত খেলাম বা আমি জাস্ট ভাত খেলাম বা এক্ষুনি ভাত খেয়ে উঠলাম একই কথা কিন্তু কথার বা বাক্যের উপস্থাপনা আলাদা। এগুলিকে বলা হয় স্পামিং। এগুলো করা বা লেখা আইনত সমস্ত সামাজিক মাধ্যমেই নিষিদ্ধ। এবং আমার বাংলা ব্লগেও এই আইন কঠোর ভাবেই মজুদ। সাথে কোন ব্যাক্তিকেও বার বার ট্যাগ করে বিভিন্ন কথা লিখে যাবার অর্থও স্পাম করা। যা গ্রুপের নিয়ম বিরুদ্ধ।

রিওয়ার্ড পুল এবং পে আউট - এটি একটু জটিল ব্যাপার তবে যথা সম্ভভ সহজে লেখার চেস্টা করবো। ধরা যাক আপনাকে কেউ একটি আপভোট দিল যেটির তাৎক্ষণিক মুল্য একশো টাকা। আপনি চাইলেও সেই টাকা সঙ্গে সঙ্গে পকেটে ভরে পাড়ার ক্যাফেতে গিয়ে একটা নো মিল্ক অর্ডার করতে পারবেন না, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাঙ্কের মতই স্টিমিটেও একটা নিয়ম আছে , ব্যাঙ্কে যেমন আপনার দেওয়া অর্থের ৩০ দিনের সুদ যোগ করে ব্যাঙ্কের প্রফিট বা লাভ রেখে বাকি টাকা আপনাকে দেওয়া হয় সেরকম ভাবেই স্টিমিটেও এই সময়টা ৬ দিনের। এবং সেটা যেহেতু মাইনড বা মাল্টি- এন্ড ক্রশ পয়েন্ট নেটওয়ার্ক তাই জন্য যদি আপনার ভোট ১০০ টাকার হয় ৬ দিন পর আপনি যখন হাতে টাকা পাবেন তখন তা ১০০ টাকার নাও থাকতে পারে। সেই মুহূর্তের স্টিম কয়েনের বাজার মুল্য এবং আরো যারা ভোট দিয়েছেন তাদের ভোটিং মুল্যের পরিমান সমস্ত একসাথে জুড়ে স্টিমিটের নিজস্ব লভ্যাংশ বাদ দেবার পর যেটুকু বেঁচে থাকে সেটি আপনার প্রাপ্য।

উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক- ধরা যাক আপনাকে ৫ জন ভোট দিয়েছে , সেক্ষেত্রে একটি ভোটের দাম ১০০ টাকা,
দুটি ভোটের দাম আলাদা আলাদা ভাবে ৫০ টাকা করে এবং বাকি দুটি ভোটের একটি ২০ টাকা এবং একটি ২৫ টাকা। অর্থাৎ রিয়েল টাইমে আপনাকে প্রদেয় অর্থ হচ্ছে ২৪৫ টাকা। স্টিমিট এই ২৪৫ টাকা নিজের আকাউন্টে জমা রাখে ৬ দিন এবং তার পর বাকী ৫টি ভোটের প্রদেয় অর্থ + তাদের কিউরেশন এবং স্টিমিটের নিজস্ব কিছু প্রফিট বাদ দেবার পর যে টাকা বাকি থাকে তা সেই মুহূর্তের ষ্টীম কয়েনের ভ্যালুর ওপর নির্ভর করে আপনাকে প্রদান করা হয়। এই প্রসঙ্গে স্টিমিটের একটি বিশেষ নিয়ম বা ফর্মুলা আছে যা আপনারা github reposetory তে পেয়ে যাবেন, যদিও তা এই মুহূর্তে এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
এই ৬ দিনের টাকা জমা রাখা এবং টাকা প্রদান করার পুরো বিষয়টিকে বলা হয় রিওয়ার্ড পুল এবং পে আউট । স্টিমিটের নিজস্ব ব্যাঙ্কিং বা ক্যালকুলেশনকে ব্লকচেইনের ভাষায় পুল, আপনাকে প্রদেয় টাকাকে রিওয়ার্ড এবং আপনাকে দিয়ে দেওয়াটাকে পে আউট বলা হয়।

কপিরাইট পলিসি - কপিরাইট অর্থাৎ অন্যের ভার্চুয়াল বা ডিজিটাল সম্পত্তিকে নিজের বলে চালানোর যে প্রাবন্ধিকতা তা আটকানোর নিয়ম এবং আইন। দুয়েকটি দেশ বাদে দুনিয়ার সব দেশেরই কপিরাইট আইন আছে, এবং স্টিমিটেও এর ব্যাতিক্রম নয়। এখানে স্টিমিট এবং আমার বাংলা ব্লগেও অন্যের লেখা বা ছবি তার অনুমতি ব্যাতীত ব্যাবহার করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। স্টিমিটের নিজস্ব টেকনোলোজি/আইডি/বট আছে যার নাম cheeta , এছাড়াও আমার বাংলা ব্লগও নিজেদের কিছু আইন রেখেছেন যা কোন ভাবেই কপিরাইট পলিসিকে লঙ্ঘন করা যায় না।

যদি আপনি একান্তই কোন ইউজারের ( বা অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করা ) লেখা , ছবি ভিডিও বা অন্য কিছু ব্যাবহার করতে চান সেক্ষেত্রে তার অনুমতি নিয়েই সেটি করা বাঞ্ছনীয় , যদিও সেই মৌলিক বিষয়ের সাথে যদি আর্থিক কোন রকম বিষয় জড়িয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিৎ নয়। ছবির ক্ষেত্রে যদি আপনার লেখার জন্য একান্তই কোন ছবি গুগল থেকে নিতে হয় সেক্ষেত্রে আপনি বিশেষ কিছু কপিরাইট ফ্রি সাইট থেকেই ছবি নিতে পারেন এবং ছবির নিচে সেই সাইটের নাম উল্লেখ করে কার্টসি বা ছবির সুত্র লিখে তাদের নাম/ সাইট ইউ আর এল লিখে দেবেন।

প্লাগিরজম - অনেকটা কপিরাইটের মতই এবং কিছুটা আলাদা, ধরা যাক আপনি স্কুলে রচনা লেখানো হলো গরুর ব্যাপারে, এবং আপনি বাড়িতে ফিরে মাম্মার কাছে যখন পড়তে বসলেন তখন আপনিও একটি গরুর রচনা লিখলেন আলাদা রকম ভাবে । কিন্তু যেহেতু স্কুলে পড়ানো গরুর রচনার একটা প্রতিচ্ছবি আপনার শিশু মাথায় রয়েই গেছে তাই মাম্মা আপনার লেখাটি দেখেই বুঝতে পারলেন যে স্কুলে আজকে এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আপনি যেটি নিজে লিখেছেন সেটি প্লাগিরিজম এর আওতায় পড়বে। স্টিমিট বা আমার বাংলা ব্লগে যখন কোন বিষয় নিয়ে লিখবেন তখন যদি আপনাকে গুগল করতে হয় বা অন্য কোথাও থেকে ইনফরমেশন বা প্রাসঙ্গিক সুত্র সংগ্রহ করতে হয় তাহলে অবশ্যই যেখান থেকে বিদ্যে অর্জন করেছেন সেই বই বা লিঙ্কের নাম অবশ্যই ক্রেডিট বা কার্টসি হিসেবে দেবেন এবং মাথায় রাখবেন আপনার লেখাটি অন্তত পক্ষে যেন ৭০ শতাংশ ইউনিক বা আপনার নিজের লেখা হয়। বাকি ৩০ শতাংশ আপনি পড়ে বা জেনে লিখেছেন। তবেই সেটি প্লাগিরিজম ফ্রি কন্টেন্ট হিসেবে গন্য হবে। নাহলে আমার বাংলা ব্লগ বা স্টিমিটের নিজস্ব চিতা আপনার ধরার জন্য ওঁত পেতে বসে আছে ।

আবিউজিং কন্টেন্ট - আবিউজ অর্থে বাংলায় বল্লে হয় খিস্তি মারা এবং ডিজিটাল ডোমেইনের মধ্যে হয় খিস্তি এবং মকিং বা পোলিং । অর্থাৎ ওপর চালাক হয়ে আপনি কোন কন্টেন্টকেই নতুন করে কিছু শব্দ জুড়ে লিখলেন বা বিভিন্ন যায়গা থেকে ডেটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে ডেটা মনিটরিং বা আর্টিক্যেল রিরাইটার জাতিও ফাংশন দিয়ে নতুন করে লেখার পর অন্য কোন থার্ড পার্টি সাইটে পোস্ট করলেন। এক্ষেত্রে প্রথমে হয়তো আপনাকে ধরা যাবে না কিন্তু ওই যে বাংলায় আছে না " সাত দিনের চোর একদিনের দারোগা " প্রবাদবাক্য, ঠিক ধরা পরে যাবেন, এবং ফলাফল সোজা ব্যান বা পাওয়ার ডাউন। এই পুরো বিষয়টিকে বলা হয় প্লাগিরিজম এন্ড আবিউজ। সাথে অন্যকে উতক্ত করা, সমালোচনা মুলক কথা বলা বা লেখা, ট্রোলিং মিম পোস্ট করা ইত্যাদি সবই যা ব্যাক্তি সম্মানের সাথে আপোস করে সেগুলিকে আবিউজ বলা হয় এবং তা পুরোপুরি স্টিমিট এবং আমার বাংলা ব্লগে নিষিদ্ধ। এবং জিরো টলারেন্স।

রি- রাইট এবং রি-স্টিম - রি রাইট ব্যাপারটি কন্টেন্ট আবিউজের মতই দেখতে হলেও ব্যাবহারিক উদ্দেশ্য আলাদা। ধরা যাক আপনি নিউক্লিয়ার ফিকশন নিয়ে কিছু লিখতে চান বা আমি মেশিন সিস্টেম প্রোটোকল নিয়ে একটা হোয়াইট পেপার পাবলিশ করতে চাই কোন বিখ্যাত সায়েন্স জার্নালে। সেক্ষেত্রে যেহেতু আপনিও বিজ্ঞানী নন বা আমিও এই বিষয়ের ওপর সবটুকু জানি না। ফলত দুজনকেই অন্য কোন লেখকের সাহায্য বা গাইড প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক লেখার পরিমান আপনার দিক থেকে কম করেও ৭৫-৮০ শতাংশ এবং বিশেষ কিছু ফর্মুলা নিয়ম বা আইন অন্যের থেকে কপি করতে পারেন। এবং সেটিকে পাবলিশ করতে পারেন। এমনিতে ইন্টারন্যাশেনাল নিয়ম অনুসারে পেপার বা থিসিস রি রাইট করার জন্য ফাইভ পয়েন্ট রুলস ফলো করা হয়।
পারপাস - পারসেপশেন - পাবলিশার - প্রোটোকল - পারমিশন । এই নিয়মে যদি আপনি কোন লেখা লেখেন তাহলে রি রাইট করতেই পারেন কিন্তু কঠোর ভাবেই এই ফাইভ পয়েন্ট রুলস বা নিয়ম মেনেই করা বাঞ্ছনীয়। অন্যথা তা আইন বিরুদ্ধ।

রি স্টিম - এর অর্থ আপনি অন্য কারো পোস্টকে নিয়ের ওয়ালে শেয়ার করলেন, অনেকটা রি টুইট বা ফেসবুক শেয়ারের মতই ব্যাপার।

ট্র্যাভেল সিরিজ - আপনি গোয়া বা মানালি ধুরতে গিয়ে সাত দিনের ট্রিপকে সিরিজ আকারে প্রকাশ করার সময় পর্ব অনুসারে যেমন লেখেন সেভাবেই লেখার জন্যও কিছু নিয়ম অনুসরন করা বাঞ্ছনীয়। আপনাকে অবশ্যই সেই স্থানের বর্ননার সাথে ভৌগলিক অবস্থান, জার্নির বিবরন , যেখানে ঘুরতে গেছেন সেখানের অন্তত ৩-৫টা ছবি, অন্তত পক্ষে একটা নিজের ছবি সব সেলফি এবং যথা সম্ভব বর্ননার সাথে কম করেও ২৫০ শব্দের একটি পোস্ট দিত হবে। তার কম বলে ট্রাভেল সিরিজ ক্যাটাগরিতে সেটি থাকার উপযুক্ত হবে না গ্রুপের নিয়ম অনুসারে এবং অবশ্যই যথোচিত ট্যাগ ব্যাবহার করতে হবে। আপনি গোয়া বা শুনশান ভাইগাজ ঘুরতে গিয়ে সেটির ট্যাগে ভার্জিন ল্যান্ড ট্যাগ দিতে পারেন না। তা দলের আইন বিরুদ্ধ।

ফটোগ্রাফি - যদি শুধুই ছবি পোস্ট করতে হয় সেক্ষেত্রেও দলের কিছু নিয়ম আছে। যেমন ছবির সাথে ছবির টেকনিক্যাল বর্নানা যেমন ক্যামেরার নাম মডেল, ছবির ডিটেলস ( যদি সম্ভব ) যেমন অ্যাপারচার, আই এস ও, মোড, হোয়াইট ব্যালেন্স ইত্যাদি ছবির ডিটেলসের সাথে কম করেও ১০০ শব্দের একটি লেখা যা ছবির সাথে সামঞ্জস্য পুর্ন হয় এরকম লেখা দেবেন।
যদি আপনি কোন কপিরাইট ফ্রি ছবি পোস্ট করেন সেক্ষেত্রে ছবির সাথে কোথা থেকে সেটিকে নিয়েছেন সেই সোর্স বা সাইটের নাম কার্টসি সহ দেবেন। অন্যথা তা দলের আইন বিরুদ্ধ।
গানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার, নিজের গান হলে দরকার নেই কিন্তু সংগৃহীত হলে গায়কের নাম ধাম এবং বাকি সমস্ত বর্ননা সহ ১০০ শব্দের লেখা জরুরি , নাহলে সেটিও দলের নিয়ম বিরুদ্ধ।

রান্নার রেসিপি - আলু পোস্ত সবাই রান্না করতে জানে বলে অন্যের লেখাটি ঝেঁপে দেওয়া চলবে না, নতুনত্ব দরকার এবং মাথায় রাখবেন রান্না, কবিতা, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, DIY ভিডিও ইত্যাদি জিনিষ গুলো পুরোপুরি কপিরাইট প্রপার্টির আওয়ায় আসে এবং আপনি এগুলি ফ্রি কপিরাইট পেতে পারেন, কাজেই রেসিপির সাথে নিজের ছবি অবশ্যই দেবেন, কম করেও ৩টি ছবির সাথে রান্না শুরু থেকে শেষ অবধি বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করবেন যাতে পর পর সিকোয়েন্স বা সহজতা দিয়েই বোঝা যায় এবং রেসিপি এমন একটি জিনিষ যা পুরোপুরি কপিরাইটের আওতায় আসে তাই অন্যের রেসিপি চুরি করে নিজের বলে চালানোর চেস্টা করবেন না। তাতে স্বাদও আসবে না এবং তা দলের আইনের পরিপন্থী নয়। কাজেই রান্না করলে জমিয়ে করুন এবং নিজে করুন।

ম্যাক্রো পোস্ট - ফেসবুক স্টাটাস লেখার মত পোস্ট করলে তাকে ম্যাক্রো পোস্ট বলা হয় , আমার বাংলা ব্লগের নিয়ম অনুসারে যদি কোন পোস্ট ১০০ শব্দের কম হয় তাহলে তা ম্যাক্রো পোস্ট হিসেবে ধরা হবে এবং কিউরেশন সংক্রান্ত কোন ভোট বা স্টিম আপলিফটিং করা হবে না ।

লাজুক খাক্স - এটি একটি ভোটিং বট যা এই গ্রুপের জন্যই তৈরি করা এবং এর কাজ হচ্ছে বিনিময় করা। আপনি যদি আজ একে দশ টাকা দেন তাহলে কাল আপনাকে ১০ টাকা না হলেও কাছাকাছি একটা ভোট দেবে, অর্থাৎ লাজুক একটি কিউরেশন ভোট দেবার জন্য যে ক্ষমতার দরকার সেটি আপনি আপনার প্রত্যেক পোস্টেই ১০ পারসেন্ট বেনিফিসারি করে দেবেন। বেনিফিশারি করার জন্য পোস্টে সাবমিট করার আগে অ্যাডভান্স সেকশেনে ক্লিক করে বেনিফিসারি হিসেবে ১০ পারসেন্ট দিলেই আপনার প্রদেও পাওয়ারের ১০% লাজুক পেয়ে যাবে। এবং সবার থেকে ১০ পারসেন্ট করে নিয়েই লাজুক প্রত্যেককে কিউরেট করবে। যা আদতে আমাদের প্রত্যেকেরই লাভ।

হিরোইজম - এটিও একটি আপকামিং ডেলিগেশন প্রজেক্ট যাতে আপনি আপনার ষ্টীম পাওয়ার ডেলিগেট করলে প্রতিদিন আপনার পোস্টে একটা করে নির্দিষ্ট আমাউন্টের ভোট করবে। যদিও এটি লেভেল টু বা তার পরের লেবেলের ব্যাপার ।

এছাড়াও আরো কিছু বিষয় থেকেই যায় যেমন ভদ্রতা, ফিশিং-ক্লোনিং স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি ব্যাবহার করা যাবে না। সাথে অন্যকে যথাওযত সম্মান, সপ্তাহে অন্তত ৩-৪টে উন্নত মানের পোস্ট এবং নতুন দের সাহায্য বা মোটেভেট করার জন্ত তাদের পোস্টে কমেন্ট ইত্যাদি অবশ্যই বাঞ্ছনীয়।

বিঃ দ্রঃ - বেশ কিছু শব্দ ইংরেজিতে লিখতে বাধ্য হয়েছি সেগুলোর বাংলা মানে খুঁজে পাচ্ছিলাম না সেহেতু। যদিও সেটি সংখ্যায় সীমিত তবুও দলের ৫টির বেশি ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার করা যাবে না আইন বিরুদ্ধ। তাই গ্রুপ অ্যাডমিন, মডারেটর এবং বাকি সমস্ত সিনিয়র মেম্বারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

Sort:  
 3 years ago 

দাদা খুবই চমৎকার লিখেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ কিছু টেকনিক্যাল জিনিস জানতে পারলাম। পরবর্তী লেভেল এর জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ রুপক দাদা। আমার মত একজন নগন্য মানুষকে এভাবে সাহায্য করার জন্য আমি আপ্লূত। খুব ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68530.21
ETH 2695.40
USDT 1.00
SBD 2.72