দিনমজুর মানুষেরা

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দিনমজুর মানুষ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে এই গরমে আমরা ঘরে বসে বসে কষ্ট পাচ্ছি। যদিও আমাদের মাথার উপরে এবং পাশে ফ্যান সবসময় চলতে থাকে। তবুও নাকি আমাদের এসি ছাড়া চলে না। আসলে এই গরমের মধ্যে ঘরের নিচে ফ্যানের হাওয়া খেয়েও যদি আমাদের গরম না কমে তাহলে একবার ভাবুন যে দেশের দিনমজুর যারা লোক রয়েছে তাদের কি অবস্থা হচ্ছে। আসলে আমরা মানুষ বড়ই স্বার্থপর। কারন আমরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কারো স্বার্থ কখনো বুঝি না। আমরা যদি নিজেরা ভালো থাকি তাহলে কখনো অন্যদের কথা আর কখনো চিন্তা করি না। আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে যারা দিনমজুর শ্রেণীর লোক রয়েছে তারা কিন্তু কখনো ঘরে বসে সময় কাটাতে পারে না। কারণ তাদের ঘরে কোন সঞ্চিত মূলধন থাকে না।


তারা যদি একদিন বাইরে কাজ করতে না বের হয় তাহলে তাদের পরবর্তী দিন না খেয়ে কষ্ট দিন কাটাতে হবে। আর শুধুমাত্র সে একা নয়। তার পুরো পরিবারের সকল লোকরা অনাহারে দিন কাটাবে। আসলে এইসব লোকেরা এই তাদের পরিবারকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। আর এই কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তারা তাদের নিজেদের দিকে তাকানোর একটু সময় পায় না। আসলে তারা তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনাকে দূরে ঠেলে রেখে পরিবারের সকল সদস্যদের ভালো রাখার জন্য অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু এই রোদের মধ্যে আমাদের এত কষ্ট হচ্ছে তাহলে তারা সারাদিন এই রোদের নিচে খালি গায়ে বিভিন্ন ধরনের কঠোর পরিশ্রম করছে।


আসলে তাদের জীবনে হয়তোবা আমাদের মনে হয় কোন দুঃখ কষ্ট নেই। আসলে দুঃখ কষ্ট ভেবে কি লাভ। তারা তো জীবনেও সুখের মুখ কোনদিনও দেখতে পায় না। আসলে সুখ জিনিসটা যে কি এবং সুখে থাকলে মানুষের অনুভূতিটা কেমন হয় তা তারা এখনো জানে না। আসলে এই চরম গরমের মধ্যে আমরা সবাই জানি যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় মানুষ মারা যাচ্ছে প্রতিদিন। যদিও এই গরমের মাঝে কাজ করতে করতে তারা একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময় পায়না। কারণ তাদের জীবনে বিশ্রাম বলে কিছু নেই। আসলে এভাবেই কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তারা একদিন শেষ বয়সে চলে আসে। আর এভাবেই পরিশ্রম করতে করতে তারা একদিন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে যায়।


আসলে আমরা সবাই প্রতিনিয়ত জানি যে অতিরিক্ত গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোক করে মারা যায়। এসব শ্রমিকদের শরীর দেখলে বোঝা যায় যে তারা কতটা গরমের ভিতরে কাজ করতে করতে আজ তাদের শরীরের রং কয়লার মত কালো হয়ে গেছে। আসলে তাদের পুরো জীবনটা যায় এই কাজের মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ তাদের পিতা-মাতা যেমন সারা জীবন কাজ করতে করতে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তেমনি তারাও শৈশব কাল থেকে তাদের এই পিতামাতাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে তারাও কাজ করার জন্য বাইরে বের হয়েছে। যদিও তারা হাসিমুখে আমাদের সকল আবদার মেনে নেয়।


আসলে একজন শ্রমজীবী লোকের জীবনে না বলতে কিছুই নেই। কারণ তারা যদি জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে না বলে তাহলে তাদের সংসার ভালো ভালোভাবে চলবে না। আসলে এই শ্রমিক লোকরা যদিও কঠোর পরিশ্রম করে তবুও তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক কখনোই পায় না। কারণ কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তিরা এইসব গরিব লোকেদের কাছ থেকে তাদের ন্যায্য অর্থ থেকে বেশি অর্থ কেটে নিয়ে সেই অল্প অর্থ এসব শ্রমজীবী লোকেদের দিয়ে দেয়। আসলে এভাবে চলতে থাকলে দেশের শ্রমজবি লোকেরা যতই কঠোর পরিশ্রম করুক না কেন তারা কখনো তাদের জীবনের উন্নতি ঘটাতে সম্ভব হবে না।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  

অনেক সুন্দর পোস্ট

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65702.61
ETH 3485.24
USDT 1.00
SBD 2.51