ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ ( প্রথম পর্ব)
শফিক বরুন আর সবুজ তিনজন খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই স্কুল জীবন থেকে তিনজনের এই বন্ধুত্বের শুরু। স্কুল থেকে কলেজ সব জায়গায় তিনজন একসাথে পড়ালেখা করেছে। তিনজনের শখও প্রায় একই রকম। খেলাধুলা করা আর ঘুরে ফিরে বেড়ানো। তবে তিন জনই মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় ঘোরাফেরা করার সুযোগ তাদের খুব একটা হয় না। যদিও ইদানিং তিনজনের আড্ডায় সবসময় শুধু বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এখন ফেসবুকে লগইন করলেই তারা বিভিন্ন রকম ট্রাভেল ব্লগ দেখতে পায়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সেই ট্রাভেল ব্লগ দেখে তারা আফসোস করে আর ঘুরতে যাওয়ার ব্যর্থ পরিকল্পনা তৈরি করে। তবে তিন বন্ধু মিলে ঠিক করেছে এইচএসসি পরীক্ষার পরে কক্সবাজার ঘুরতে যাবে। দেখতে দেখতে তাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো। তিনজনেই তাদের পরিবারের কাছে আগেই জানিয়ে রেখেছিলো কক্সবাজারে যাওয়ার কথা। পরীক্ষা শেষ হতেই তিন বন্ধু যার যার বাবার কাছে টাকা চাইলো কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার জন্য। শফিক আর সবুজের বাবা টাকা দিলেও বরুনের বাবা তাকে জানিয়ে দিলো তার পক্ষে এখন টাকা দেয়া সম্ভব না।
যদি বরুন পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারে তাহলে সে ঘুরতে যাওয়ার টাকা দেবে। এই কথাটা সে বরুনকে জানালো যেদিন তাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ঠিক সেদিন। এদিকে শফিক আর সবুজ তৈরি হয়ে বরুণের জন্য অপেক্ষা করছিলো। তারা বরুণের দেরি দেখে বরুণকে ফোন দিলে তখন বরুন তাদেরকে জানায় যে তার বাবা তাকে টাকা দেয়নি। তখন শফিক আর সবুজ মিলে চিন্তা করতে থাকে কি করা যায়?(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
তিন বন্ধুর স্বভাব একই রকম দেখছি। তবে এটা ঠিক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা সব দিক মিলিয়ে মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে পারে না, ঘুরতেও পারে না সব সময়। পরীক্ষার পর তারা কক্সবাজার ট্যুর দেয়ার প্ল্যান করেছে। কিন্তু বরুনের বাবা টাকা দেয়নি। যাই হোক পরবর্তীতে কি হলো সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।