অতিরিক্ত যানবাহনের ফলাফল।

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে অতিরিক্ত যানবাহনের ফলাফল সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে প্রাচীনকালে মানুষ সামান্য একটু পথ যাওয়ার জন্য তাদের অনেক বেশি কষ্ট হতো। কারণ বর্তমান সময়ের মত এত যানবাহন তখনকার সময় ছিল না। তাই তাদেরকে পায়ে হেঁটে এই অতিরিক্ত পথ যেতে হতো। আসলে মানুষ যখন সর্বপ্রথম চাকার আবিষ্কার করল তখন থেকে মানুষ আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল। আর এর ফলে আস্তে আস্তে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হতে হতে আমরা বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন তো দূরত্ব বলে কিছুই নেই। মানুষ এখন হাজার হাজার কিলোমিটার পথ কয়েক ঘন্টার ভিতরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেতে পারবে। আসলে এসব কিছু হল আধুনিক বিজ্ঞানের ফল।


কিন্তু একদিক থেকে পৃথিবীতে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি অন্য দিক থেকে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে প্রাচীনকালের সময়ে যানবাহনগুলো গরু বা ঘোরার মাধ্যমে চলত। তখনকার সময়ে ইঞ্জিন আবিষ্কার হয়নি। আর এই ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে যানবাহনের গতি আগের তুলনায় তাই অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এই ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর থেকে প্রথম অবস্থায় মানুষ বাষ্পীয় ইঞ্জিন ব্যবহার করত। এরপর আস্তে আস্তে ডিজেল পেট্রলের ইঞ্জিন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কিন্তু এই ডিজেল পেট্রোল ইঞ্জিনের ভেতর থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তা পরিবেশের জন্য সবথেকে ক্ষতিকারক।


এখন জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হারেও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে এই যানবাহনও যেমন বাড়ছে তেমনি মানুষের জন্য রাস্তারও অনেক বড় প্রয়োজন হচ্ছে। তাইতো এখন মানুষ রাস্তার দুপাশের গাছ কেটে সেই রাস্তাকে প্রশস্ত করছে এবং এই গাছ কাটার ফলে পরিবেশ সবথেকে বেশি দূষিত হচ্ছে। আসলে গাড়ির ধোঁয়া যেমন পরিবেশ দূষণ করছে তেমনি অন্য দিক থেকে গাছ কাটার ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে একসাথে দুই দিক থেকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।


একদিক থেকে আমরা পরিবেশের এই দূষণ রক্ষা করতে পারছি না আর অন্য দিক থেকে বিভিন্নভাবে মানুষ যেভাবে পরিবেশ দূষিত করছে তাতে করে খুব শীঘ্রই পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। এখন মাথাপিছু একজনের জন্য একটি করে যন্ত্রচালিত যানবাহন রয়েছে। আসলে বর্তমান সময়ে আমরা শহর অঞ্চলগুলোতে বেরোলেই দেখতে পাই যে রাস্তায় এই বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে প্রায় ভর্তি থাকে। আসলে এই অতিরিক্ত পরিমাণ যানবাহনের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত জ্বালানির।


আসলে আমরা জানি যে এইসব যানবাহনের যেসব জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু খনি থেকে উত্তোলন করা হয়। আর এভাবে অতিরিক্ত যানবাহনের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হয় তার জন্য বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত পরিমাণ খনি খনন করা হচ্ছে এবং সেই খনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বালানি বের করা হচ্ছে। আসলে এর ফলেও কিন্তু প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আর যানবাহনের কোলাহল তো সবসময় লেগেই আছে। কিন্তু এইভাবে যদি যানবাহনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশকে অনেক বেশি দূষিত করে ফেলছে।


তাইতো বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীরা এইসব জ্বালানি চালিত যানবাহন ব্যবহার কম করার জন্য তারা ব্যাটারি চালিত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বাজারে নিয়ে এসেছে। আসলে এই ইলেকট্রিক যানবাহনগুলো ব্যবহারের ফলে পরিবেশের দূষণের পরিমাণ অনেকাংশ কমে যেতে শুরু করেছে। কারণ এই ইলেকট্রিক যানবাহন থেকে কোন প্রকার বিষাক্ত ধোঁয়া বের হয় না। আসলে আমাদের কেও যাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পায় এবং এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য যাতে করে যানবাহন অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 2 months ago 

বাহ্ দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি।অতিরিক্ত যানবাহন মানুষের জীবন যেমনি সহজ করে তুলছে।ঠিক তেমনি পরিবেশের জন্য হচ্ছে ক্ষতিকর আর সেটার প্রভাব গিয়ে মানুষের কাছে পড়ছে।প্রাচীনকালে মানুষদের যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত ছিল বেশিরভাগ এলাকার লোকজন নৌ পথে যাত্রা করত এজন্য অনেকের প্রাণহানি হতো ঝড় বৃষ্টির কবলে।ভালো লাগলো পোস্টটি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65702.61
ETH 3485.24
USDT 1.00
SBD 2.51