দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা (পঞ্চম পর্ব)
তখন সোহেলের এক বন্ধু বুদ্ধি দেয় যে ডাকাতি করে যে সোনা নিয়ে গিয়েছে। সেই সোনা গুলো তারা বিক্রি করার চেষ্টা করবে। আমাদের গ্রামে তো কোনো স্বর্ণকারের দোকান নেই। উপজেলা বাজারে দুটো সোনার দোকান আছে। এই দুটো দোকানে যদি আমরা কয়েকদিন নজর রাখতে পারি। তাহলে যদি এলাকার কেউ ডাকাতি করে থাকে তাদেরকে ধরা সম্ভব হতে পারে। বুদ্ধিটা তাদের সবারই পছন্দ হোলো। সোহেল সাথে এটাও যোগ করলো ডাকাতি করার সাথে সাথে সাধারণত ডাকাতেরা স্বর্ণ বিক্রি করতে যায় না। কিছুদিন পরে তারা স্বর্ণ গুলো বিক্রি করার চেষ্টা করে যার ফলে এখনো ডাকাতি করা মালপত্র ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সোহেলের এক বন্ধু সোহেলকে জিজ্ঞেস করে টোটাল কত ভরি সোনা ছিলো? সোহেল বলে এক্সাক্ট বলা তো কঠিন তবে ২৫-৩০ ভরির কম হবে না। এতো স্বর্ণের কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো। সোহেলের আরেক বন্ধু বলল তাহলে তো ক্যাশ টাকা থেকে তোদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে স্বর্ণ গুলো নিয়ে যাওয়াতে। সোহেল বললো হ্যাঁ তুই ঠিকই বলেছিস। সেদিন রাতেই তারা সিদ্ধান্ত নিলো পরদিন সন্ধ্যা থেকে পালা ক্রমে সোহেলের দুই বন্ধু উপজেলা বাজারের সেই সোনার দোকান দুটোর উপর নজর রাখবে। কারণ তারা চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছে চুরি ডাকাতির স্বর্ণ গুলো কেউ দিনের বেলায় বিক্রি করতে যাবে না।
তারা সবাই মিলে পরিকল্পনা করলো পালাক্রমে আগামী কয়েক দিন দুটো স্বর্ণের দোকানের উপরে নজর রাখা হবে। সন্দেহ ভাজন কাউকে দেখলেই ফোনে বাদবাকি সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। সাথে সাথে তারা যেনো সেখানে চলে আসে। সোহেল তখন তার আরেক বন্ধু যার বাবা তাদের এলাকার চেয়ারম্যান। তাকে বললো তোদের বাড়িতে একটা বন্দুক আছে না? সেই বন্দুকটা রেডি রাখিস। আমিও আমাদের বন্দুকটা আজকে রাতের ভেতরেই পরিষ্কার করে রেডি করে ফেলছি। সময় মতো কাজে লাগতে পারে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আপনার এই দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা পঞ্চম পর্ব টা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনার আগের পর্বগুলোও আমার পড়া আসলে এই ধরনের গল্প পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে আগ্রহী হয়ে থাকি কখন পরবর্তী পর্ব গুলো পড়বো। আমি আপনার পরবর্তী পর্ব টা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
এতগুলো স্বর্ণ তাও বাড়িতেই রাখা ছিল। আর ডাকাত দল তো এগুলো পেয়ে লাভবান হয়ে গেল। বাকি টাকা তো তাদের কাছে কিছুই ছিল না তাহলে। আসলে ২৫ -৩০ ভরি স্বর্ণের কথা শুনে আমি নিজেই চমকে গেলাম। যাইহোক তাদের এই পরিকল্পনা কতটুকু কার্যকর হয়, ডাকাত দলকে তাড়াতাড়ি ধরতে পারে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পাঁচ লক্ষ টাকা এবং এতগুলো স্বর্ণ ডাকাতি করে নিয়ে গিয়ে তো ডাকাতেরা খুশিতে দিন কাটাচ্ছে মনে হচ্ছে। কিন্তু সোহেল তার বন্ধুদের সাথে যে প্ল্যান করেছে, এতে করে ডাকাতেরা খুব শীঘ্রই ধরা পরবে বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।