ভোগান্তির নাম বাড়তি ভাড়া।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


প্রতিটি উৎসবে মানুষ চেষ্টা করে তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে। যদিও সব উৎসবে এটা সম্ভব হয় না। তবে রোজার ঈদ বাংলাদেশের মুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে সবচাইতে বড় অনুষ্ঠান। সবাই চেষ্টা করে এই ঈদটা পরিবারের সাথে কাটাবে। তবে চাইলেই সহজে পরিবারের সাথে ঈদ কাটানো যায় না। কারণ এই সময়ে মানুষের পদে পদে লেগে থাকে ভোগান্তি। প্রথম চিন্তা থাকে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে সেখানে চুরি ডাকাতি হবে কিনা? সবচাইতে বেশি সমস্যা হয় যেটা নিয়ে সেটা হচ্ছে বাড়িতে যাওয়ার নিয়ে টিকিট পাওয়া যাবে কিনা? বা টিকেট পাওয়া গেলেও সেই টিকেট কিনতে হবে কত বেশি দামে? এরকম নানা রকম চিন্তা ভাবনা আমাদের করতে হয় উৎসবের সময়। যার ফলে উৎসবের আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যায় আগে থেকেই। এই ঈদেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পত্রিকার মারফত জানতে পারলাম এবারও যাত্রীদের কাছ থেকে দুই গুণ তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যদিও এইসব নিয়ে সরকারিভাবে আগে থেকেই নির্দেশনা দেয়া থাকে বাড়তি ভাড়া নেয়া যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশনা শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।

IMG_20240407_152509.jpg

নির্দেশনা মানানোর ব্যাপারে সরকারেরও আন্তরিকতার অনেক ঘাটতি দেখা যায়। প্রতিবছরই দেশের সাধারণ মানুষজন অভিযোগ করে পরিবহন খাতের লোকজনেরা তাদেরকে জিম্মি করে বেশি টাকা আদায় করে। কিন্তু এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শুধু লোক দেখানোর জন্য দু-চারটে পরিবহনকে অল্প কিছু টাকা জরিমানা করা হয়। অথচ এই সময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া হিসেবে হাতিয়ে নেয়া হয়। এবারও দেখলাম একই রকম কর্মকান্ড চলছে। প্রত্যেকটা জায়গায় বাস ভাড়া দুই গুণ তিন গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা পড়েছে সবচাইতে বড় সমস্যায়। কারণ তাদেরকে বাড়তি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। এই তালিকায় অবশ্য নিম্নবিত্তরাও রয়েছেন। তাদের জন্য যে কোন বিশেষ ছাড় আছে তেমনটা নয়। অথচ সরকার একটু ভালোভাবে তদারকি করলেই জনগণ এই সমস্যা থেকে বাঁচতে পারতো।


খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন ছিলো না। ঢাকায় বড় দুটো বাস স্ট্যান্ড আছে। একটা হচ্ছে গাবতলী আর একটা সায়দাবাদ। এই দুটো বাসস্ট্যান্ডে সরকার নজরদারি করলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যেতো। একইভাবে দেশের প্রত্যেকটা জেলার বাস স্ট্যান্ডগুলোতে জেলা প্রশাসন যদি নজরদারি করতো তাহলে সেখানকার মানুষজনও এই সমস্যা থেকে বাঁচতে পারতো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা পদক্ষেপ নিলে জনগণ সমস্যা থেকে বাঁচতে পারতো তারা এই সমস্যা থেকে মুক্ত। তাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে রয়েছে গাড়ি আরো বিশেষ সুযোগ সুবিধা। যার ফলে এই সমস্যাটা তারা কখনোই অনুভব করতে পারে না। এখন দেখা যাক আরো কতো বছর আমাদেরকে এমন ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়?

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  

Es triste observar los problemas que generan algunas celebraciones.

En Venezuela ocurre algo parecido en las fiestas de diciembre.

Muchas personas que trabajan en la ciudad, desean regresar a su tierra de origen y compartir con la familia.

Pero, el precio de los pasajes en los terminales es abusivo. Las colas interminables y el caos reina.

En pocas ocasiones se ofrecen soluciones. Al final, las personas pierden el entusiasmo por visitar a la familia.

Me gustó leerte.

Saludos 🙋🏻

si es cierto yo soy venezolano lo confirmo

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65702.61
ETH 3485.24
USDT 1.00
SBD 2.51