অবিবেচক কিছু শিক্ষক ও অনলাইন ক্লাস!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝে ছুটি পেয়েছিলাম এবং ছুটিগুলো আসলে ছিলো এই বর্তমানে গ্রীষ্মের তাপদাহের কারণে। অর্থাৎ বলা যায় সরকারি ছুটি ছিলো। কারণ সরকার কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই ছুটিগুলো দেওয়া হয়েছিলো এবং সেই ছুটিগুলোর সময়ে আমাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষক এতোটা অবিবেচক হয়। যেটা আসলে কোনো বলার প্রশ্নই রাখে না কিংবা কোনো জায়গা ই নেই।

যেমন, আমি কয়েকটা শিক্ষকের উদাহরণ যদি দেই। তাহলে আমি কেনো এভাবে বলছি সেটা আপনারা খুব ভালো করেই বুঝতে পারবেন। যেমন আমাদের একটা শিক্ষক ছিলো। তিনি অনলাইন ক্লাস শুরু করতেন রাত দশটা থেকে। আপনি চিন্তা করুন একটা একাডেমিক কাজ কিভাবে রাত দশটা থেকে শুরু হয়? অর্থাৎ তিনি পুরো দিন সব কিছু করে এরপরে যখন ফ্রি হতেন। তখন ক্লাস নিতে আসতো। কিন্তু উনার প্রথম প্রায়োরিটি হওয়া উচিত ছিলো ক্লাস করানো।

এরপরে আরেকটি শিক্ষক ছিলো যিনি ক্লাস নিতো দুপুর এর ঠিক একটা কিংবা ২ঃ০০ টার সময় এবং তিনি ক্লাসে আসার পরে খুব ঘটা করে এটা বলতেন যে, তিনি আমাদের ক্লাস নেওয়ার জন্য দ্রুত ভাত খেয়ে গোসল করে রেডি হয়ে এসেছেন। কিন্তু এটা তিনি একবারও চিন্তা করতেন না যে, তিনি না হয় খেয়েদেয়ে এসেছেন। কিন্তু যারা উনার স্টুডেন্ট রয়েছে। সবার জন্যই কিন্তু দুপুর বারোটা বাজে খাওয়া-দাওয়া গোসল সব শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়। কারণ বাসার অনেক কাজ থাকে।

আসলে আমি যদি এখন এসব বলতে যাই, তাহলে হয়তো রাত ভোর হয়ে যাবে। কিন্তু তাও এসব শিক্ষকদের অবিবেচক হওয়ার কাহিনী শেষ হবে না। তাই আর খুব একটা কাহিনী বলছি না। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসে যতোটা না সুবিধা হয়েছে। তার চেয়ে বেশি শিক্ষকদের এসব বিরক্তিকর অবিবেচকময় কাজের শিকার হতে হয়েছে স্টুডেন্টদের। আমি আসলে ভাবতে পারিনা যে, শিক্ষক যারা একটা দেশের মানদন্ডের মতো, উনারা কি করে এসব করেন?
Sort:  
 3 months ago 

আসলে এসব মানুষদের শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা ই নেই। কারণ যারা স্টুডেন্টদের কথা না ভেবে,শুধুমাত্র নিজের কথাই ভাবে, তারা হলো প্রচন্ড স্বার্থপর মানুষ। দুপুর ১/২ টা বাজে স্টুডেন্টরা জোহর নামাজ না পড়ে, লাঞ্চ না করে অনলাইনে ক্লাস করবে, এটা ভাবতেই তো বিরক্ত লাগছে আমার। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।