নারীর দিন শেষ এ নেই বাড়ি!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটা নারীর যখন বিয়ে হয়ে যায়। তখন সাথে সাথেই তার দুটো বাড়ি হয়ে যায়। অর্থাৎ এটাই আমাদের সমাজের সকল মানুষরা বলে যে, নারী মানুষের বাড়ির অভাব হয় না। কারণ নারীর বাবার বাড়ি থাকে, স্বামীর বাড়ি থাকে, ছেলের বাড়ি থাকে। হয়তো বিয়ের আগ পর্যন্ত নারীদের কোনো আলাদা বাড়ি বলতে হয় না। অর্থাৎ যেমন, ধরুন যাদের বিয়ে হয়নি। ওরা কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই বলে যে, আমার বাড়ি এটা কিংবা আমার বাড়ি এখানে।
কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করলে দেখবেন যে। যখন একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় তখন মানুষ যখন তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করে তখন সে মেনশন করে দেয় একটা ব্যাপার যে, তার বাপের বাড়ি অমুক জায়গায় এবং তার শ্বশুরবাড়ি তমুক জায়গায়। আবার যখন দেখবেন কোনো নারী একটু বৃদ্ধ বয়সে চলে যায়। তখন বাবার বাড়ির ব্যাপারটি খুব একটা উল্লেখ না করলেও। তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করলে সে দুটি বাড়ির কথা মেনশন করে একটা হলো তার শ্বশুরবাড়ি এবং আরেকটা হলো তার ছেলের বাড়ি।
কিন্তু দিনশেষে যে ব্যাপারটি আমাকে অনেক বেশি অবাক করে। সেটা হচ্ছে নারী নিজের কোনো বাড়ি নেই, যে বাড়িটাকে দেখিয়ে মানুষকে এসে পরিচয় দিবে যে ওই বাড়িটা হলো তার নিজের। আসলেই ব্যাপারটি যখন আমার মনে আসে। তখন আমার মাথাটা একটু ঝিমঝিম করে ওঠে যে, আমরা একজন মেয়ে হিসেবে এতোটাই অসহায় যে আমাদের নিজেদের কোনো বাড়ি নেই!
কেনো জানিনা আমার সে কারণে মনে হয় যে, নারীদের আর কিছু না করুক। কোনো নারী যদি স্বাবলম্বী হয়। তাহলে প্রথমেই তার নিজের একটা বাড়ি করা উচিত। সেটা হতে পারে খুবই সামান্য কিংবা খুবই একেবারে নড়বড়ে কিন্তু তাও এক চিলতে ছাদের নিচে যেনো সে নিজের ইচ্ছেতে থাকতে পারে। অন্যের ইচ্ছেতে যেনো তার সে বাড়িতে থাকতে না হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটা এমনটাই হয়ে গিয়েছে যে নারীদেরকে যতটুকু সম্মান দেওয়ার কথা। তা খুব একটা দেওয়া হয় না। আবার তাদের কোনো নিজের বাড়িও নেই। দিনশেষে তাদের একটাই নিজের ঘর হয়, সেটা হচ্ছে তাদের কবর।