"কাসু দালাল "১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ) by tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৬ -০১-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন।আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছুক ।তাই আজকে আমি একটি নাটক শেয়ার করতে যাচ্ছি।নাটকের নাম " কাসু দালাল "নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো .......
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | কাসু দালাল |
---|---|
পরিচালক | রেদওয়ান রনি |
অভিনয় | চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, শাহনাজ খুশি,রকেয়া প্রাচী, হাবিবুর রহমান মধু, |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ১১ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং। |
নাটকের সার-সংক্ষেপ। |
---|
নাটকের শুরুতে চঞ্চল চৌধুরী একজন লোকের সাথে করে অন্য একজনের গরু কেনার জন্য গরুর মালিকের সাথে দেখা করতে আসে সেখানে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়। চঞ্চল চৌধুরী বলে তোমার গরুর মাড়িতে দাঁত পড়ে গেছে এছাড়া আরো কিছু বলে থাকে। তারপরে গরুর মালিক বলে ঠিক আছে পরে আমি তোমাকে জানাবো কি করা যায়।
যে লোকটি গরু কিনতে এসেছে, ওই লোকটি চঞ্চল চৌধুরীকে বলে তুমি যেভাবে কথা বললে এভাবে কথা বললে গরুর মালিক গরু দিবে তো? তখন চঞ্চল চৌধুরী বলে আমি হলাম কাসু দালাল। তুমি একটু চুপ থাকো, আমি ঠিকই গরু কিনে দিবো। এই বলে সে পকেট থেকে বিড়ি বের করে বিড়ি মুখে দেয়।
এরপরে গরু কেনার জন্য গরুর মালিকের সাথে কাসু দালাল সবকিছু ঠিকঠাক করে নেয়।গরুর দাম যখন ঠিক হয়ে যায় তখন গরুর মালিককে বলে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তোমার গরু আমি কিনে নিলাম।
গরু ক্রেতাকে কাসু দালাল বলল তুমি কি টাকা নিয়ে এসেছো? তখন সে বলে হে টাকা নিয়ে এসেছি। সে পকেট থেকে টাকা বের করে দেয়। সে বলে এখানে কত আছে? তখন বলে ৪২ হাজার টাকা।এবার কাসু দালাল বলে আমার টাকাটা দাও তুমি? তখন গরু ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০০ টাকা দালালি করি নেই।
কাসু দালাল গরুর মালিককের কাছে এসে তার পাওনা টাকা গুলো বুঝে দেয়। গরুর মালিক টাকা গুলো সুন্দর ভাবে গুনে নেয়। এরপরে গরুর মালিকে বলে আমার কিছু টাকা দাও? আবার মালিকের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নেই।
কাসু দালালের ছেলে কাসু দালালের বউকে বলে মা আমাদেরকে কুরবানী দেবে না এবার। ছেলের মা তখন তাকে বলে তুই চুপ থাক এখন তুই বসে থাক।
কাসু দালাল ঈদের সময় গরু বিক্রি করতে যাবে তো তারা এক গোত্রের লোকের সাথে অন্য গোত্রের লোকের সাথে যেতে দেবে না এই নিয়ে গ্রামের মাতব্বরো মিটিং করে।
চঞ্চল চৌধুরী এবং বৃন্দাবন দাস এরা উভয়ে গরুর বিক্রির জন্য উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় উভয় তাদের স্ত্রীর দিকে বারবার ফিরে তাকায়। এখানে চঞ্চল চৌধুরী অর্থাৎ কাসু দালাল তার সঙ্গে তার ছেলেকে নিয়ে যায়। তার ছেলে যাবে বলে বারবার তার বাবাকে বলে তাই সে সাথে করে নিয়ে যায়।
চঞ্চল চৌধুরী এবং বৃন্দাবন দাস তাদের গরুগুলো নৌকায় নেওয়ার জন্য সবাই ধরে টান দিচ্ছে এবং নৌকা তোলার জন্য তারা সবাই চেষ্টা করছে।
সমস্ত গরুগুলো যখন নৌকায় বাঁধা হয়ে গেল এরপরে তারা নৌকাগুলো ছেড়ে দিলো বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে কালো অন্ধকার মেঘ চলে আসে এবং জোরে জোরালো ভাবে পানি ঢেলে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
অনেক সময় পরে যখন চঞ্চল চৌধুরী ও বৃন্দাবন দাস দেখে যে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। চঞ্চল চৌধুরীর তখন হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। তার ছেলেকে খুঁজে পায়না চারিদিকে পাগলের মত খোঁজে। তারপরও তার ছেলেকে আর খুঁজে পায় না। এদিকে তার স্ত্রী তাদের জন্য পথ চেয়ে থাকে। কিন্তু তাদের আর তার সন্তানের আর কোন খোঁজ পায় না।
" কাসু দালাল "এ নাটকের গরুর দালালি গিরি করে গরু ক্রয় তার কাছ থেকে যেমন সে টাকা নেই আবার বিক্রেতার কাছ থেকেও টাকা নেই। আর এ ধরনের মানুষ আমাদের সমাজে এখন বহু হয়ে গেছে ।তবে এসব দালাল থেকে সমাজে মানুষকে সাবধান হতে হবে।তা না হলে উভয়ের ক্ষতি হবে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিবো ১০ এর মধ্যে ৭.৫ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি পাশাপাশি একটি ব্যবসা করি।এ ছাড়া আমার একটি বাগান আছে। এবং বারে থাকে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।।
এই নাটকটির রিভিউ পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই একটি ধারণা পেয়ে গেলাম। যদিও আমার এখনো এই নাটকটি দেখা হয়নি কিন্তু ভাবছি সময় পেলে দেখে নেব। আমার কাছে চঞ্চল চৌধুরীর গ্রামের এরকম নাটক ভীষণ ভালো লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই ধরনের মানুষ আমাদের সমাজে বহু দেখা যাচ্ছে। পুরো রিভিউ টা খুবই ভালোই লিখলেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের মানুষ সমাজে না থাকলে সমাজ সুন্দর হয় না।
কাসু দালাল নাটকটি এখনো দেখিনি। তবে আমার কাছে চঞ্চল চৌধুরীর গ্রামের নাটক গুলো ভীষণ ভালো লাগে। নাটকটির মধ্যে শিখনিও রয়েছে। আমাদের দালালের হাত থেকে দুরে থাকা উচিত। চমৎকার ভাবে নাটকটি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার কাছেও চঞ্চল চৌধুরীর নাটক গুলো অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।
কাসু দালাল এই নাটকটি আমি আগে দেখিনি ভাইয়া। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে নাটকের রিভিউ দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটক থেকে কিছু শিখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার এখন আর নাটক তেমন দেখা হয় না। তাই কাসু দালাল নাটকটি আমার দেখা হয়নি।তবে আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটির বিষয়ে জানতে পারলাম,ভাল লাগলো। চঞ্চল চৌধুরীর নাটক আমার খুব ভাল লাগে। দালালদের হাত থেকে আমাদের মুক্ত থাকা উচিত।নাটকের রিভিউয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমিও নাটক দেখিনি শুধু নাটক রিভিউ করার জন্য দেখতে হয় মাঝে মধ্যে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। নাটকটি আমি দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে নাটকের চরিত্র এবং দৃশ্যপট খুবই অসাধারণ। গ্রাম বাংলা বাস্তব কিছু চিত্র এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এই নাটকটিতে গ্রাম বাংলার কিছু বাস্তবতা ফুটে তুলেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
যদিও এই নাটকটি আমার আগে দেখা হয়নি কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার কাছে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটক থেকে বেশ কিছু জিনিস শিখতে পারলাম। আসলে এক একটি টপিক নিয়ে নাটক তৈরি হয় যেখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এরকম দালালের হাত থেকে দূরে থাকা উচিত সবসময়। যাই হোক ভালোই লিখেছেন ধন্যবাদ।
প্রত্যেক ক্ষেত্রে এ ধরনের দালাল ভরে গেছে।