লাইফস্টাইল :- মিষ্টি কেনা ও খাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
আমাদের গ্রামের নাম জুগীর গোফা। আমাদের গ্রামে ছোট্ট একটি বাজার বসে। এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িরা ভিন্ন ধরনের মালামাল বিক্রয়ের জন্য আমাদের এই হাঁটে আসে। আর তাই আমাদের নিজ হাট থেকে কিছু মিষ্টি কেনার জন্য এসেছিলাম। আর এই মিষ্টি কেনা নিয়ে আজকে আমার এই ব্লগ।
এনার নাম হলো বাবলু মিয়া। তার বাড়ি শহড়াবাড়িয়া পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি মিষ্টি বিক্রি করেন। মিষ্টি বিক্রয় করার জন্য তিনি আমাদের এই বাজারে প্রতি বুধবার এবং শনিবার আমাদের হাটে আসেন। ভালো মানের মিষ্টি বানানোর জন্য তা যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আমি প্রতি সপ্তাহে তার কাছ থেকে মিষ্টি কিনে থাকি। যেহেতু আমি মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করি। আর তার মিষ্টি গুলো পুরা ছানা দিয়ে তৈরি করে থাকে। তার তৈরিকৃত মিষ্টি গুলো এতটাই ভালো যে আশেপাশে যতগুলো গ্রাম রয়েছে সবাই তার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার জন্য আসে। এইতো সামনে ঈদ আসছে আমি তাকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলাম ভাই ঈদের সিজনে আপনার কেমন বেচাকেনা হয়ে থাকে সে বলল ভাই আনুমানিক পাঁচ লক্ষের উপরে বিক্রি করে থাকি। তার তৈরি মিষ্টি গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি সুস্বাদু হলো রসগোল্লা। ছানার মিষ্টির পাশাপাশি সে খোরমা বিক্রি করে থাকেন। গুড় এবং চিনির উভয় খোরমা এ তিনি বিক্রি করে থাকেন।চিনির খুরমা থেকেও গুড়ের খুরমা গুলো খুবই বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে মিষ্টির জন্য তিনি আমাদের এলাকার বিখ্যাত।
এখানে আপনারা রসগোল্লা দেখতে পারছেন দুইটা হাড়িতে।
একই রসোগোল্লা কিন্তু সাইজ দুই রকম। একটি বড় এবং একটি ছোট। আমরা সবাই জানি বর্তমানে চিনির দাম বেশি। এইতো কিছুদিন আগের কথাই এসব মিষ্টিগুলো ৫ টাকা এবং ১০ টাকা করে কিনে খেয়েছি। অর্থাৎ ছোট মিষ্টি গুলোর এক কেজির দাম নিতো ১২০ টাকা এবং বড় মিষ্টি গুলোর দাম নিত ১৫০ টাকা। তারপরও ওই সময়ে এত ভালো মিষ্টি গুলো অন্য মিষ্টির তুলনায় দাম অনেক কমই ছিল। বর্তমানে চিনি এবং ময়দার দাম বাড়ার কারণে এই মিষ্টি গুলোর দামও অনেক বেড়ে গেছে। বলতেই হয় বড় মিষ্টি গুলো এখন ২২০ টাকা কেজি। এবং ছোট মিষ্টি গুলো একশত ৬০ টাকা। মিষ্টির দাম বাড়ার কারণে তার মুখ থেকে আমি শুনতে পেলাম যে আগের মতো তেমন বেচাকেনা হয় না। আসলে মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয়ে গেছে যার কারণে এই সমস্যা গুলো দেখা যাচ্ছে। যাহোক আমি তার কাছ থেকে এক কেজি রসগোল্লা কিনলাম। যেহেতু আমি একটু মিষ্টি খেতে পছন্দ করি তাই বসে সেখানে কিছু মিষ্টি খেয়ে নিলাম।
যেহেতু তিনি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানিয়ে থাকেন আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি। আপনারা এখানে দেখতে পারছেন কিছু খুরমা বুন্দিয়া এবং ছোট মিষ্টি এ মিষ্টি তার নাম আমার জানা নেই তবে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না আমার কাছে। তাকে আমি খোরমা নেয়ার জন্য বললাম সে বলল ভাই এই খোরমা নেয়ার দরকার নেই, কারণ এই খোরমাটা হলো দুইদিন আগে। আসলে তিনি আমাকে কখনো খারাপ জিনিস দেয় না। আমাকে ছোট ভাই হিসেবে যথেষ্ট স্নেহ করে। অন্য যে কোন মানুষের কাছে যে দাম নেয় তার থেকে অনেক কম নেই আমার কাছ থেকে। কারন আমার বাড়ি বা বাড়ির আশেপাশে যে কোন অনুষ্ঠানে মিষ্টি বা খুরমা লাগলে আমি তার কাছ অর্ডার দিয়ে থাকি। আর একটা মজার বিষয় হল এই ভাইয়ের কাছ থেকে সামনে ঈদ আসছে অনেকেই তার কাছ থেকে মিষ্টি নিবে। আর সবাই জানে আমি তার কাছ থেকে নিয়ে থাকি এবং সবাই আমাকে টাকা দিবে এবং আনতে বলবে ঈদের মধ্যে। তবে মিষ্টি আনতে গেলে অনেকগুলো মিষ্টি খাওয়া হয়ে থাকে। ঈদের সময় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তিনি বানিয়ে থাকেন এবং প্রত্যেকটা মিষ্টির একটা একটা করে আমাকে খেতে বলে। যদিও আমি খেতে চাই না কিন্তু তিনি জোর করে হলেও খাওয়ান। যা কিছু পরিমাণ মিষ্টি কিনলাম এবং সেখানে বসে কিছু মিষ্টি খেয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। যদিও আমার কেনা মিষ্টি গুলো ফটোগ্রাফি আমি এখানে দেয়নি। সব মিলে তার কাছ থেকে মিষ্টি কেনা এবং খাওয়ার মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লাগে
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1668614153408512003?t=fbZTz-8ZbDCwjhs8pWW61Q&s=19
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এমন লোভনীয় খাবার শেয়ার করেছেন দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আমি আবার মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে লোকটি ঠিক বলেছেন জিনিসের দাম বাড়ার জন্য এখন সবারই বিক্রি যেমন কমে গিয়েছে তেমনি মানুষেরও কেনাকাটা করার চাহিদা কমে গিয়েছে। তার জন্য হয়তো আগের মত বিক্রি করতে পারেনা। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আপু আপনার মত আমিও মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করি। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমি এক জায়গায় বসে ৩৫ টা মিষ্টি খেয়েছিলাম।
আপনি মিষ্টি পছন্দ করেন তা জানি।তবে এমন রসগোল্লা আমারও বেশ পছন্দ। আপনি সব সময় এই বাবলু মিয়ার কাছ থেকে মিষ্টি নিয়ে থাকেন।উনি আপনাকে কখনও খারাপ কিছু দেননা।জেনে খুব ভালো লাগলো। মিষ্টি কেনা ও খাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি কেনা ও খাওয়ার দারুন একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটি আনন্দ ঘন মুহূর্ত আমাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই মিষ্টিওয়ালার চেনা মনে হচ্ছে, যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাবলু ভাইয়ের বানানো মিষ্টি আমি মাঝে মাঝে কিনে খায়। আসলে আমাদের পাশের গ্রামের মানুষ তিনি। বাবলু ভাইয়ের নিকট থেকে মিষ্টি ক্রয় করে খাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই ধরেছেন সে আমাদের পাশের গ্রামেরই মানুষ।