রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
২৫ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
২৫ রবিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি। ১০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
গ্রামের সৌন্দর্য সবসময় মানুষকে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সব রূপগুলো যেন গ্রামের মধ্যেই ফুটে ওঠে। আজকে সকাল বেলায় যখন আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিলাম ঠিক তখনই পাশে একটা বড় পুকুর ছিল। ওই পুকুরে কিছু পাতে হাঁস ছিল। পুকুরের মধ্যে কিছু শ্যাওলা ছিল আর ওই পাতিহাঁস গুলো শ্যাওলা খেয়ে বেড়াচ্ছিল। যারা শহরে থাকেন তাদের কাছে এ ধরনের দৃশ্যগুলো দেখা কখনোই সম্ভব নয়। এই দৃশ্যটি আমাকে মন করেছে। দেখতে কত সুন্দর লাগছে এটা দে যখন আমি দেখি ভাগ্যিস আমার কাছে ওই সময় মোবাইলটি ছিল না হলে এই দৃশ্যটা আমি ধারণ করেতে পারতাম না। এই দৃশ্যটা আমার কাছে এত ভাল লেগেছে তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমার বিশ্বাস আপনাদের ও ভালো লাগবে।
গোলাপ ফুলের রানী। হয়তো আমরা সচরাচর কিছু রকমের গোলাপ ফুল দেখতে পাই। আর এর মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য লাল গোলাপি সাদা বেগুনি ইত্যাদি। কিন্তু আমরা অনেকে হয়তো জানি না গোলাপ ফুলের প্রজাতি রয়েছে একশোর উপরে। পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে যারা গোলাপ ফুলের চাষ করে নিজেরা অনেক স্বাবলম্ব হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময় বাংলাদেশে অনেক জায়গায় এই গোলাপ ফুলের চাষ হয়। আর এই গোলাপ ফুল বাজারের বাজারজাত করে অনেক। গোলাপ ফুল দেখতে অত্যন্ত সুন্দর বলে এ চাহিদা অনেক। যেকোনো অনুষ্ঠানে অন্য ফলের সাথে গোলাপ ফুল থাকবেই। আগের জন্য তো গোলাপ ফুলকে ফুলের রানী বলা হয়ে থাকে।
ছোটবেলায় আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের খেলা করতাম এর মধ্যে আরেকটি খেলা করতাম সেটা হলো মায়েরা রান্না করতে রান্না দেখে আমরাও রান্না করতে চাইতাম। এখন রান্নার জন্য তো কিছু ভাতের দরকার তখন আমরা এই ফলকে ভাত হিসেবে ব্যবহার করতাম। এই গাছের নাম হচ্ছে আসসর। গ্রামাঞ্চলে এই গাছগুলো প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায় এবং এই গাছের ডাল দিয়ে গ্রামের মানুষ দাঁত পরিষ্কার করে থাকে। এই গাছে যে ফলগুলো দেখতে পাচ্ছেন এই ফলগুলো ছোটবেলায় আমরা অনেক খেলা করেছি। আজকে অনেকদিন পরে এই ফলটি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
ছোটবেলায় আমরা একটা কথা বলতাম যে ঝনঝনে ফলের বীজ খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। আসলে এই কথাটুকু কতটুকু সত্য সেটা আমি জানি না কিন্তু মানুষের মুখে মুখে আমরা শুনেছি। যদিও আদিকালে মানুষগুলো ছিল সহজ সরল তাই তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করাটাই ছিল স্বাভাবিক। এর বীজগুলো অনেকটা কলাই এর মত। কলে ফল ছোট হয় কিন্তু এর ফল গুলো অনেক লম্বা হয়। এর অনেক সুন্দর ফুল হয় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেই ফুলটি। হলুদ রঙের এত সুন্দর ফুল লেখা আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের এই ফুলটি ভালো লাগবে।
কিছু ফটোগ্রাফি থেকে যার কোন অর্থ থাকে না। কিন্তু দেখতে খুব ভালো লাগে। আজকে সকালে আমি একজনের বাড়ি পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা গাছের ডাল কেটে ফেলে রেখেছে। গাছের দিকে তাকাতে ডালের দিকে আমার চোখ পরে। ডালটি কেটে ফেলে রাখলেও এর সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। ঠিক এমন একটি ফটোগ্রাফির আগে আমি করেছিলাম আজকেও এমন এই ধর একটি ফটোগ্রাফি করলাম। এই ডালটি কি গাছের ডাল সেটা আপনারা যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রাস্তার আশেপাশে আপনি যেখানেই যাবেন এই ফুলটি দেখতে পাবেন। অবশ্য শহর অঞ্চলে না দেখতে পেলেও গ্রামাঞ্চলে এই ফুলগুলো অ্যাভেলেবল দেখা যায়। আর ফুল সাধারণত শীতকালে বেশি দেখা যায়। বাড়ির আনাছে কানাছে কিংবা রাস্তার পাশে এই ফুল গাছের জন্মে থাকে। ফুল যেমন হোক না কেন ফুলের সৌন্দর্য রয়েছে। আরে সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সুবাস থাকলেই যে ফুল সুন্দর লাগবে না এমন কোন কথা নয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকারে ফুল রয়েছে। এই ফুলটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল তাই ফটোগ্রাফি করেছে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ধন্যবাদ আপনাদেরকে সবাই।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/trotters.smokeless.uses |
আজকেও আমি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আমি এমনিতেই অনেক বেশি মুগ্ধ হই। রেনডম ফটোগ্রাফি করলে যে কোন কিছুর সৌন্দর্য যেন আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। আপনি সবকিছুর ফটোগ্রাফি এত সুন্দর ভাবে করেছেন যা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে ৬ নাম্বার ফটোগ্রাফিটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। ৬ নাম্বারে থাকা যে ফুলটার ফটোগ্রাফি করেছেন এটি অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
আপনি যে ফুলের কথা বলছেন এই ফুলটির নাম আমার জানা নেই। কিন্তু শীত কাল আসলে এই ফুলটি অনেক সময় দেখা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
https://twitter.com/ABashar45/status/1722807961666588714?t=0ohJiTm28PrVxSqQlArD8Q&s=19
আপনার ছবিগুলো দূরদান্ত ছিল।
বিশেষ করে পুকুরের হাঁস, ফুলগুলো আর আসসার ফল দারুন ছিল। ছোটবেলায় এই ফলগুলো দিয়ে আমিও খেলা করেছি যখন গ্রামে বেড়াতে যেতাম। বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন।
আমাদের শৈশব জীবনে যতটা আমরা আনন্দ উপভোগ করেছি বর্তমান ছেলে মেয়েরা তাদের শৈশব জীবনে এতটা পারবে না। আমাদের সব জীবনের আনন্দ উপভোগ করার জন্য কি ছিল না সবকিছুই ছিল। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ভাই যে শীত পড়ে জনতা কাজ করাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। আসলেই ভাই শীতকালে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ আরও সৌন্দর্যময় হয়ে ওঠে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো ভাই প্রাকৃতিক এসব ফটোগ্রাফি আমি সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি। সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
শীতের সময় প্রকৃতি নিয়ে নিজের রূপে সেজে ওঠে। আপনি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর একটা কথার সাথে আমি একমত গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয়। প্রতিটা ফটোগ্রাফি শুক্ষভাবে ক্যাপচার করেছেন। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
গোলাপ ফুল আমারও অনেক প্রিয় একটি ফুল। শীতের আগমন সবার মধ্যে একটা অন্যরকম পরিবর্তন দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন তো। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। পুকুরের মধ্যে থাকা হাঁস গুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। সবুজ অংশ গুলোর কারণে হাঁসগুলো যে জায়গা দিয়ে আসছিল ওখান দিয়ে পানি দেখা যাচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে কয়েকটা রাস্তা তৈরি হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর ভাবে করে বর্ণনাটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
হাঁসের এই ফটোগ্রাফি টা আমি তুলেছিলাম ওই পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ভাই দেখতে এত সুন্দর লাগছিল ভাবলাম ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে পুকুরে কিছু পাতে হাঁসের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো দেখতে হলে অবশ্যই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হবে কারণ গ্রামে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
সব গুলো ফটোগ্রাফি অসম্ভব রকমের সুন্দর তবে পুকুড়ে হাঁস গুলোর শেওয়া খাওয়ার দৃশ্যি আমার ভীষণ ভালো গেছে এবং ছোট বেলার কথা মনে করিয়েছে। এমন হাঁসের শেওলা খাওয়ার দৃশ্য ছোট বেলায় দেখতাম মুগ্ধ হয়ে। ফুলের ও গাছ কাটার ফটোগ্রাফি এবং বর্ননা গুলো দারুন হয়েছে।
আপু এখনো গ্রাম অঞ্চলে এ ধরনের দৃশ্যগুলো সচরাচর প্রত্যেকটা জায়গায় দেখা যায়। আর এজন্য তো গ্রামাঞ্চলকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অঞ্চলে বলা হয়। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন গ্রামের সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করা বেশি। তবে আজকে আপনি খুব চমৎকার একদম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আসলে ফটোগ্রাফি যত সময় দিয়ে করা হয় ততই ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়। তবে আপনার গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটা মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ভালোবাসে। আর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে অবশ্যই গ্রামে থাকতে হবে। গোলাপ ফুলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে গ্রামের একটা ফীল পেলাম আসলে ভাইয়া। হাসের ফটোগ্রাফি টা আসলে ভালো ছিল । গাছের ডাল কেটে ফেলার পরের দৃশ্যটা আসলেই সুন্দর হয় । আপনি খুব সুন্দর করে ক্যাপচার করেছেন ফোনে ।
ভাই একদিন আমাদের গ্রামে চলে আসেন। অনেক সুন্দর একটা গ্রাম। নিজের গ্রাম বলে বলছি না সত্যি অনেক সুন্দর।