আমার তোলা প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।

---

---

পৃথিবীর সব রূপ লাবন্য সৌন্দর্য হার মানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হলো আল্লাহর নেয়ামত। যে সৌন্দর্য মানুষকে সব সময় বিমোহিত করে। মাঝেমধ্যে পুকুর পাড়ের দিকে বেড়াতে যাই। ঠিক তেমনি বিকেলের দিকে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম সূর্যটা অল্প অল্প করে অস্ত যাচ্ছে পশ্চিম দিকে। চোখ পড়ল সূর্যের দিকে মনটা ভরে গেল। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে কার না ভালো লাগে। হাতে ছিল মোবাইল সাথে সাথে ফটোগ্রাফিটা করে নিলাম। আজ আমি এই ফটোগ্রাফি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক ভালো লাগবে।

গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য যেন সব জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে। এসব সৌন্দর্যগুলো শুধু অবিকলন করতে হবে। রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে চোখ জার্মানের ফুলের উপরে। পুকুরটি অবশ্য জার্মানিতে ভরে গেছে। গুলো জার্মানির মধ্যে মাত্র একটি ফুল ফুটে রয়েছে। সৌন্দর্য কোথায় লুকিয়ে রয়েছে দেখছেন। এখানে তো অনেকগুলো ফুল পড়তে পারতো কিন্তু সেখানে মাত্র একটি মাত্র ফুল ফুটেছে। সৌন্দর্য তো এখানেই রয়েছে। এসব সৌন্দর্যগুলো দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে গ্রামে থাকা লাগবে। কারণ গ্রামের প্রত্যেকটা জায়গায় সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। আর গ্রামের সুন্দর সব সময় মানুষকে বিমোহিত করে। জার্মানি ফুল গুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর। সকালবেলা যখন গায়ে শিশির পরে তখন আলাদা একটা সৌন্দর্য তৈরি হয় সেখানে। সবাই ভালো লেগেছে এই ফুলটি।

কিছু ডালপালা উপরে কিছু ফুল রয়েছে হয়তোবা অনেকেই ভাবছেন এটি আবার কি? আপনাদেরকে একটু খোলসা করে বলি এটি হলো সজিনা গাছ। এই গাছটি শীতের আগে লাগানো হয়েছিল। অবাক বিষয় কি জানেন এই গাছটিতে পাতা আসার আগেই ফুল এসেছে। এত পরিমাণ ফুল ফুটেছে যা দেখে আমি রীতিমতো বিষ্ময় হয়েছি। একটা ভালো গাছে এতগুলো ফোন ধরে না যতগুলো ফুল এই গাছে ধরেছে। সেটা আবার খুব কম সময়ে এই গাছটি লাগানো হয়েছে। এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ অবাক লাগছে তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আর একটা খনি সেটা হল দোয়েল পাখি। বিশেষ করে শীতকালে দোয়েল পাখি যখন শিস দেয় সকালবেলায় তখন এই শিস শুনতে অপূর্ব সুন্দর লাগে। আপনারা যারা খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেন, ওটাই শুনতে পারবেন দইলের শিস। তারে মধুর কন্ঠের শিস আমাদেরকে বিমোহিত করে। রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে দেখি দোয়েল পাখিটি ওরে বাশেঁর উপরে বসলো। অবশ্য ছবিটি তুলতে আমার একটু সময় লেগেছে। একবার ফুরুত করে ওরে অন্য জায়গায় বসছে আবার ওরে আবার অন্য জায়গায় বসছে। সর্বশেষে বাশেঁর উপরে বসতে আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আশা করি এই ফটোগ্রাফি টা অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগেবে।

আপনার এখানে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন হয়তোবা অনেকের কাছে খুব একটা ভালো লাগবে না। এখানে যে লতা এবং লতার উপরে যে ফুল,এই ফুল দেখতে পারছেন এটা কিন্তু আমাদের গ্রাম অঞ্চলে সব জায়গাতে দেখা যায়। এর গুনাবলী সম্পর্কে আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা। হঠাৎ কিছুদিন আগে এর গুণাবলী সম্পর্কে জেনে আমি চমকে উঠলাম। আপনারা জানেন অনেকে নাকে পলিপাস হয়। আর এই পলিপাসের জন্য এই গাছটি খুবই উপকারী। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করে এবং অনেকের যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে এ থেকে আপনারা কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবেন।

সবার সৌন্দর্য দেখতে পছন্দ করে আর এই সৌন্দর্য দেখার জন্য অবশ্যই আমাদের গ্রামের যেতে হবে। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা সৌন্দর্য ভিন্ন ধরনের। মহান সৃষ্টিকর্তা তার নিখুঁত এবং চমৎকারভাবে তিনি এই পৃথিবীর সৌন্দর্য চারদিকে ছড়িয়ে ছিটে রেখেছে। আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখছেন নিশ্চয়ই ফটোগ্রাফি টা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন এই ফটোগ্রাফির মধ্যে কতটা সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। কিছু কিছু সৌন্দর্য রয়েছে যেসব সৌন্দর্যগুলো দেখতে হলে একটা মন লাগবে। আর এই মনের দ্বারা উপলব্ধি করা যায় সৌন্দর্য। এই ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আশা করি আমার পাশাপাশি আপনাদেরও ভালো লেগেছে।

আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।