স্পোর্টস :- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
ম্যানচেস্টার সিটি ও ফুলমিনেস লোগো ।
খেলার রিভিউ
আপনারা জানলে হয়তো বা অবাক হবেন আজকের এই ম্যাচটি যদি ম্যানচেস্টার সিটি জিততে পারে তাহলে তারা এই বছরের সব ট্রফিগুলো জয়লাভ করবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেবে ৩৯ সেকেন্ডে আলভারেজ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। এই বছরে আলভারেজ দূরান্ত খেলে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত যতগুলো ম্যানচেস্টার সিটি কাপ জিতেছে তার প্রত্যেকটা ফাইনাল ম্যাচে তার গোল রয়েছে। ক্লাব ফুটবলে এর থেকেও কম সময় আর কেউ গোল করতে পারেনি যেটা দেখেছে আলভারেজ।
ম্যানচেস্টার সিটি প্রথম দিক থেকে আধিপত্য বিস্তার করেই চলেছে। ফুলমিনেস ১৭ মিনিটের মাথায় বেশ একটা সুবিধা তৈরি করতে পেরেছিল কিন্তু বর্তমান যে প্রযুক্তি এই প্রযুক্তিতে ফাঁকি দেয়া এতটা সহজ নয়, যদি সামান্যতম অফসাইড হয়ে থাকে সেটাও ধরে ফেলে। আর এই অফসাইডের ফাঁদে পড়ে তাদের একজন খেলোয়ার। তারা বেশ ভালো খেলেছিল কিন্তু কোন ভাবে ম্যানচেস্টার সিটের সাথে তারা পেরে ওঠেনি।
যেহেতু ফাইনাল খেলা সেহেতু সবাই আশা করতে পারে খেলাটি খুবই ভালো হবে। আর ম্যানচেস্টার সিটি যেহেতু একটা বড় ক্লাব সে তো তারা যে ভালো করবে এটা কোন সন্দেহ ছিল না। ঠিক তারপর করে আবারও গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি একজন প্লেয়ার। এই বলে তারা ২-০ তে এগিয়ে যায়। খেলার মধ্যে বরাবরই তারা চাপ সৃষ্টি করছে আর এই চাপ বিপক্ষ টিম খাওয়াও সহজে সামলাতে পারছে না। যার ফলে হাফ টাইম এর আগে তারা বেশ সুবিধা করে নিল।
খেলা যখন শেষের দিকে তখন ম্যানচেস্টার সিটি অলরেডি তাদের জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। কারণ সে সময় স্কোর 3-0 গোলে এগিয়ে রয়েছে তারা। হয়তোবা এরপরে কোন গোল না করলেও ম্যানচেস্টার সিটি জয়লাভ করবে। কিন্তু হুলিয়ার আলভারেজ সে তো এই বছরের যা করছে তা দেখে সারা বিশ্ব অবাক। অল্প সময় এতগুলো ট্রফি জেতা প্লেয়ার একমাত্র সে। খেলা শেষের দিকে প্রায় আর মাত্র তিন মিনিট খেলা রয়েছে। ঠিক সেই সময় ডি বক্সের মধ্যে বল পাই। বল পাওয়ার সাথে সাথে গোল করতে এসে একটুকু ভুল করে নাই। এই গোল দেওয়াতে সে এই ম্যাচে দুইটা গোল করে থাকে। পাশাপাশি একটি গোলের এসিস্ট তার আছে। কত ভালো খেলে এত কিছু দেয়া সম্ভব একটা দলের জন্য তার প্রমাণ সে বরাবরি করে চলেছে। শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটি ৪-০ গোলে পরাজিত করে।
খেলা শেষে স্টেডিয়াম একটি জাঁকজমকপূর্ণময় হয়ে ওঠে। চারিদিকে লাইটের সমরহ দেখতে একটা অপরূপ সুন্দর সৃষ্টি হয়েছিল। সত্যি মনে হয়েছিল যেন একটা বড় বিশ্বকাপের খেলার ফাইনাল ম্যাচ হল এখানে। তবে সত্যি কথা বলতে কম কিসের। যেখানে একটা ক্লাব পাঁচটা কাপ যেতে এ বছরে। তাদের সংবর্ধনা তো রাজকীয় হওয়া উচিত।
ফুটবলের সভাপতি এবং ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের মালিক এখানে এসেছিল। তাদেরকে রাজকীয়ভাবে সংবর্ধনা দেয়া হয়। খেলা মানুষ সৌন্দর্য খেলা মানে অন্যরকম একটা অনুভূতি। যখন ফিফার ক্লাবের সভাপতি উপস্থিত তখন তো সেই জায়গায় অন্যরকম একটা অনুভূতির জায়গায় কাজ করবে।
এর কিছুক্ষণ পরে দেখতে পেলাম ব্রাজিলের কিংবদন্তি কাকা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। এই মুহূর্তটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ কাকা নিঃসন্দেহে একজন ভালো প্লেয়ার। এটা আনার পরে তা নির্দিষ্ট স্থানে রাখল এবং সভাপতির সাথে এবং অন্যান্য লোকের সাথে তিনি বিনিময় করে নিলেন। সবকিছু মিলে একটা সুন্দর মুহূর্ত ছিল।
ফুলমিনেস তার হলো পরাজিত দল। পরাজিত দল হল তাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এটা হচ্ছে খেলার একটা সৌন্দর্য। তারা এই ম্যাচটি জেতার জন্য যত শুধু চেষ্টা করছিল। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি প্লেয়াররা এতটাই ভালো খেলেছিল যে তারা কোনভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তাই আজকের ওই দিনে তাদেরকে রানার আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
এবার চ্যাম্পিয়নদের পালা। স্টেজে দেখে তাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। কিভাবে সংবর্ধনা দেয়া হয় এটা সবারই জানা। সর্বশেষে ফিফা সভাপতি ম্যানচেস্টার সিটির অধিনায়কের হাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফিটা তুলে দেন। আর এর পর পরে মেতে ওঠে তারা আনন্দ। এর আগেও তারা চারটা ট্রফি জিতেছে। সব মিলে এটা তাদের পঞ্চম শিরোপা। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার যত ক্লাব রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে সফল ক্লাব হলো এই ম্যানচেস্টার সিটি। এই দলের এত কিছু সাফল্যের পেছনে একটা মানুষের পরিশ্রম লুকিয়ে আছে সে হল গার্দিওয়ালা। এই লোকটা যে ক্লাবে গেছে সে ক্লাবকে সোনা বানিয়ে ফেলেছে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | YouTube |
লোকেশন | মেহেরপুর |
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1741299100497457245?t=nsTm8BZiTqpLEVpFt6aRcg&s=19