লাইফ স্টাইল :- মেলাতে গিয়ে খেলনার জিনিস ক্রয়।

আমাদের গ্রামের দক্ষিণ দিকে একটা বড় মেলা বসেছিল বেশ কয়েকদিন আগে। সেই মেলাতে হরেক রকম জিনিস এসেছিল। সেসব জিনিসের মধ্যে ছিল মনিহারি জিনিস ছোট বাচ্চাদের খেলার জিনিস। সেখানে যাওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে দেখলাম অনেক কিছু এসেছে আর জিনিসগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। সেখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা সবাই নিজের মতো করে কোনো না কোনো জিনিস কেনার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মেরা মানুষের মধ্যে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে, একেক জন একেক রকম ভিন্ন ভিন্ন অবস্থাতে বের হয়েছে। বাজার বিষয় হল ভিন্ন ভিন্ন মানুষের মুখের দিকে তাকালে তাদের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় এরা কতটা খুশিতে রয়েছে এই মেলাতে। যাক সব মিলে খুবই দারুণ সময় কাটিয়েছিলা সেখানে। বিভিন্ন জায়গায় কিছু জিনিস কেনার জন্য যখন ঘুরতে লাগলাম তখন দেখলাম ছোট বাচ্চাদের বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। যেহেতু নিজে ছোট ছেলে আছে সে তো তার জন্য কিছু কেনাকাটা করার জন্যই মনস্থির করলাম। এরপরে শুধু দোকানদার ওদের কাছে গেলাম বিভিন্ন জিনিস দেখার সাথে সাথে দাম দর করতে থাকলাম।

অনেকক্ষণ দেখার পরে কিছু জিনিস পছন্দ হলো না সেই পছন্দমতাবেক জিনিস নিলাম এবং তাদের সাথে দাম দর করলাম। একটা বিষয় অবাক লাগছিল ছোট বাচ্চাদের জিনিসগুলোর দাম এতটাই বেশি বলছিল আমি তো বরাবর অবাক হয়ে গেছিলাম। এসব জিনিসের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা সেসব জিনিসের দাম বলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অন্য যে কোন জায়গায় এসব জিনিস গুলো কিনতে গেলে অনেক সস্তা থেকে কেনা যায় যেহেতু মেলা বলে কি এত দাম সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। যাহোক অনেকক্ষণ প্রত্যেকটা দোকানে একটু ঘুরতে লাগলাম দামের অবস্থা দেখে। ২৫ থেকে ৩০ টাকা যেসব জিনিসের দাম টাকাটা কিন্তু বেশি বড় কথা নয় কথা হলো কম জিনিসের দাম এত টাকা বেশি নিবে কেন। যাইহোক ছেলের জন্য যখন কিনবো তখন ভালো জিনিসের কিনব এর থেকেও ভালো কোনটা আছে সেটা খোজার জন্য বের হয়ে গেলাম। এক দোকানে গিয়ে বল সবথেকে দামি কি খেলা জিনিস আছে সেগুলো দেখান। তিনি বল ভাই এখানে মেলা এই মেলাতে তো বেশি দামি জিনিস আনলে বিক্রি হয় না তাই কম দামের জিনিসগুলো আমরা বেশি আনি। আমি বললাম ভাই একটু বের করেন দেখা যাক।

এরপর তিনি বেশ কিছু গুলো দেখালো তার মধ্যে যেগুলো পছন্দ হলো সেগুলো দিয়ে দিলাম। যেহেতু দাম অন্য জায়গা থেকে একটু বেশি তাই আমাদের করলাম না সে যা বলল তাই সে টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিলাম। যখন স্কুলে পড়তাম তখন নিজের বান্ধবীর জন্য অনেক কিছু কিনতাম মেলা থেকে সেই কথা মনে পড়াতেই ভাবলাম নিজের বাড়িতে তো কেউ আছে দেখি তার জন্য কিছু ক্রয় করা যায় কিনা। সে হিসাবে নাকে কানে পায়ের হাতের কিছু জিনিস গুলো দেখলাম দেখে বেশ ভালো লাগলো। এটা দেখে একটা সময়ের কথা মনে পড়ল যখন গার্লফ্রেন্ডের জন্য নাকের কানের এবং পায়ের জিনিস কিনেছিলাম। সেই জিনিসটা দেখে কিনা সে ভীষণ খুশি হয়েছিল। আসলে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে যদি কোন কিছু পাওয়া যায় তাহলে সেটা সত্যি অনেক আনন্দ। যা হোক সে সবার কথা বাদ দিয়ে এখন সামনে যেটা আছে তাকে নিয়ে কথা বলি। তার জন্য বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করলাম দেখতে বেশ দাম বেশি না হলেও বেশি ভালো ছিল। আসলেই সব জিনিসগুলোর তো টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না ভালোবাসা যেমন করতে হয়।

আপনারা এই ছবিটা একজন চাচা দেখতে পারছেন যিনি আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে আমি যখন ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখনই আমার মুখের দিকে চেয়েছিল এবং বেশ ভঙ্গিটা ভাল ছিল। এরপরে এই চাচার কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করেছিলাম। জিনিসগুলো বেশ মোটামুটি ভালো আর চাচার সাথে ব্যবহারটা অনেক ভালো বলেই মনে হচ্ছিল এবং তার কাছ থেকে জিনিস কিনার বেশি উপকৃত হয়েছে। আসলে মানুষ যদি ভাল হয় তাহলে তার কাছ থেকে জিনিস কিন্তু ভালো লাগে। লোকটা যে কোন জিনিসের বেশি দাম বলছিল না অল্প দামে জিনিস দিয়েছিল কারণ তিনি বলেছিল আগামীকালকে যেহেতু মেলা শেষ হয়ে যাবে তাই যতদূর পারা যায় কম দামে বিক্রি করে অল্প টাকা লাভ হলে কোন সমস্যা নেই। বর্তমানে এরকম অনেক ব্যবসায়িক রয়েছে যারা অল্প লাভের জিনিস বেশি বিক্রি করে থাকেন তাদের ওই বেচাকেনা কিন্তু অনেক বেশি হয়ে থাকে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।