লাইফ স্টাইল:- বিয়ে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
বিয়ে পড়ানো সকল কার্যক্রম যখন শেষ এবার খাওয়া-দাওয়ার পালা। বিয়ের সব আনন্দ ছাড়িয়ে সবচেয়ে বড় একটা বিষয় থাকে সেটা হচ্ছে খাওয়া দাওয়া। এই বিয়েতে প্রায় ৬৫ জন বরযাত্রী গিয়েছিল। সবাইকে তো ভালো খেতে পারে সেটা কথা নয় কিন্তু এর মধ্যে কিছু মানুষ থাকে যারা ভিন্ন ধরনের খাদক। বিয়ে মানে আনন্দ বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যেহেতু কোন বিয়ে খেতে গেলে সেখানে একবারই খাবে একটু একটু বেশি খাওয়াটাই ভালো। তবে এই না যে খাবার নষ্ট করতে হবে। এখানে অনেক মানুষ একত্রে বসে রয়েছে। এ সময় আমাদের নাস্তা দেয়া হয়। প্রতিটা মেয়ের বাবা চায় তার মেয়ের বিয়েতে যতটুকু পারে বর যাত্রীদের যথেষ্ট খাওয়াতে। আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট করবেন তারা আমাদের নাস্তা দিয়েছিল এবং আমরা তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। সবার নাস্তা শেষ হয়েছে হয় এই পর্বে।
আমাদের নাস্তা পানি দেওয়া শেষ হওয়ার পরে আমরা সবাই বসে থাকি। যে যতটুকু পেরেছে খেয়েছে এবার আসল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হবে। কিছু কিছু এলাকায় আমি এখনো দেখেছি প্রথমে নাশতায় মিষ্টি পরোটা দুই ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। আবার কিছু কিছু এলাকায় ফল দিয়ে নাস্তা করা। এরপর আমাদের ভাতের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এখানে টোটাল ১০ টি টেবিল দিয়েছিল। প্রতিটা টেবিলের সাতটা আটটা থেকে নয়টা লোক বসেছিল। এ দেখা দেওয়ার ব্যবস্থাটা ভালো ছিল। পরিবেশটা সুন্দর ছিল পরিবেশ ভালো না থাকলে সেখানে বসে থাকাটা কষ্টকর। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি প্রতিটা বিয়ের কিছু সংস্কৃতি কিছু বিষয় থাকে। যেগুলো প্রত্যেকটা মানুষ আমরা তাদের বিয়ের মধ্যে তুলে ধরে। বিয়েতে অনেকে গান বাজনা ইত্যাদি করেও থাকেন। আমাদেরকে খাওয়ানোর আগে সবাইকে সুন্দরভাবে বসে যেতে বললেন। এর মধ্যে আমরা সবাই বসে গেলাম এবং আমাদের প্রত্যেকটা টেবিলের জন্য দুইটা করে লোক ঠিক ছিল। এরা আমাদের ভাত গোশত দই ইত্যাদি পরিবেশন করে থাকবে। রান্নাটাও বেশ খুবই মজাদার ছিল খেয়ে খুব ভালো লাগছিল। তবে একটা বিষয় বেশ ভালো লাগলো যে যতটুকু পেরেছে সে ততটুকু খেয়েছে। আসলে ছেলে পক্ষের দিক থেকে আমি নিজেই খুব খুশি কারণ তারা ছিল খুবই বিনয় এবং খুবই ভালো। আসলে খাওয়া দাওয়া বড় বিষয় না বড় বিষয় আছে তাদের ব্যবহার তাদের উপস্থাপনা। সব মিলে খুবই সুন্দর একটা সময় পার করেছিলাম।
প্রত্যেকটা বিয়ের বাড়িতে আমরা লক্ষ্য করে দেখি ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা খুব বেশি আগ্রহ হয়ে থাকে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। বিয়ে বাড়িতে আসা পর্যন্ত পাশের মেয়েগুলো বসে আছে টেবিলে এভাবেই। একবার নাস্তা দিয়েছে তারপরও তারা সেখান থেকে সরে যায় নাই। এর কারণ ছিল এই জায়গাটা ছিল একটু ঠান্ডা। মেয়েরা সবসময় সুবিধাবাদী এই জায়গা থেকে তারা একটু নড়বে না। নাস্তার পরে খাবারে দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা ওখানে বসেই থাকলো আমি ওনাদেরকে বললাম আপনারা চলেন একটু বাইরে যাই কিন্তু তাদের একই কথা আমরা এখান থেকে একটু নড়ব না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন কি হয়েছে ওরা বলতেছিল যে এখান থেকে যদি আমরা সরে যায় তাহলে এই জায়গাটা আমরা হারিয়ে ফেলবো। মেয়েদের মানসিকতা সব সময় এমনই রয়ে গেল। তবে মজার ব্যাপার হলো খাবার দেয়ার পরে তারা কিন্তু খুব ভালো খেতে পারছিল না। অবশ্য অনেকে আছে ছোট কাগজ নিয়ে যায় না খেতে পেলে কাগজের মধ্যে নিয়ে আসে। এ ধরনের ব্যাপার গুলো বিয়ে বাড়িতে প্রায়ই দেখা যায়। অবশ্য শুধু মেয়েরা এ কাজগুলো করে থাকে। আমি দেখেছি গ্লাস পর্যন্ত তারা ভ্যানিটি ব্যাগে করে নিয়ে আসে।
বিয়ে বাড়িতে বরের যাত্রীদের খাবারে পাশাপাশি সব থেকে আকর্ষণীয় খাবার থাকে আছে বরের খাবার। আমাকে বলা হয়েছিল বরের পাশে বসতে কিন্তু আমি বসে ছিলাম না। বড় প্লেটের মাংস যেমন বেশি থাকে তেমন একটা ছাগলের মাথাও থাকে। দই মিষ্টি ইলিশ মাছ ভাজি শসা লেবু ইত্যাদি প্রত্যেকটা জিনিস একটু বেশি বেশি করে দিয়ে থাকে। বরের পাশে খালাতো ভাই ফুফাতো ভাই এবং দুলাভাই সবাই বসে ছিল। আসলে আমি আগেই বলেছি বিয়ে মানে আনন্দ বিয়ে মানে এক ধরনের অন্যরকম একটা অনুভূতি জায়গা। যেখানে সবাই চায় আনন্দ করতে আসে আনন্দটা যে কোনোভাবেই তারা করতে চায়। খাবারের মধ্যেও কিন্তু আনন্দ রয়েছে অবশ্য সেটা অবশ্যই নিজেদের মধ্যে রেখে। এখানে যারা পরিবেশনের দায়িত্ব ছিল এবং পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তাদের মুখে আমি একটা কথাই শুনেছিলাম যে যতটুকু পারবেন ততটুকুই খাবেন কেউ জানে এতটুকু নষ্ট করবেন না। যারা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তারা কারা ছিল জানেন তারা ছিল ছেলেপক্ষ ছেলেপক্ষ বলেছিল আপনার কখনই কোন খাবার নষ্ট করবেন না। আসলে মেয়ের বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের জন্য খাবার তৈরি করা সেটা যদি আমরা নষ্ট করি এটা কিন্তু খুবই দৃষ্টি বছর এবং খুবই লজ্জাজনের একটা বিষয়। তাই বিয়ে বাড়িতে আমাদের অবশ্য সচেতন হওয়া উচিত এই বিষয়ে। এটা হল মানুষের মানসিকতা এবং মানবিক পরিচয়।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/callously.skis.dizzyingly |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1725711253530869832?t=zL2H_sE5AsvG-y0Lv5aQiw&s=19
বিয়া মানে শুধু খাওন আর খাওন।
বিয়ে বাড়িতে গেলে ভালই লাগে সবাই মিলে একসাথে করে আনন্দ মজা করা যায় আর সেইসাথে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম তো রয়েছেই।
ফটোগ্রাফি এবং লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম সুন্দর সময় পার করেছেন সেই সাথে খাবারের তো কোন জুড়ি নেই।
আপনার সাথে আমি একমত ভাই বিয়ে বাড়িতে মানে খাওন আর খাওন। যে কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া টা একটু বেশি হয়ে থাকে। বন্ধুদের সাথে একত্রে মিলে আনন্দ শহীত খাওয়াটা বেশি হয়ে যায়। অনেক ভালো সময় পার করেছিলাম ভাই ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বিয়ে মানে মজা আর খাওয়া দাওয়া। কোন বিয়ে বাড়িতে গেলে আমার তো সেই রকম মজা লাগে। বিয়ে বাড়িতে গিয়ে মনে হচ্ছে ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনি। তবে আপনি এটা বলেননি যে কার বিয়েতে গিয়েছিলেন। যাই হোক এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মামা শশুরের বড় ছেলের বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম।
ঠিক বলেছেন ভাই।
বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া, বিয়ে মানেই আনন্দ হৈ হুল্লোড়।।
বরের পাশে বসে খেতে আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না, কারন একেবারে অতিরিক্ত খাবার। যাইহোক আমার কাছে একটা জিনিস ভীষণ ভালো লাগলো তা হলো ছেলে পক্ষ খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সবাইকে বলে দিয়েছেন খাবার নষ্ট না করার জন্য। মেয়ের বাবা তার আজীবনের সঞ্চয় দিয়ে খাবারগুলো খাইয়ে থাকে, এটা আমাদের বোঝা উচিত। আর মেয়েদের কান্ড-কারখানার বিষয়ে কিছু বলতে চাই না 😄
আমি আশা করেছিলাম মেয়েদের কাণ্ডকারখানা নিয়ে আপনি কিছু বলে যাবেন। তবে বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া যেমনই হোক না কেন অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকাটা উত্তম। মেয়ের পরিবার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে চাই তাদের যেন ভালোভাবে খাওয়াতে পারে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন বিয়ে মানে আনন্দ এবং ভরপুর খাওয়া দাওয়া। আপনি বরযাত্রী গিয়ে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। একটা বিষয় ভালো লাগলো যেখানে আপনাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সেখানকার পরিবেশটা বেশ ভালো ছিল। আসলে ভালো পরিবেশ না হলে খাওয়া দাওয়া করতে ভালো লাগেনা। তবে একটা বিষয় অবাক হলাম যে আপনি অনেকে গ্লাস সহ ব্যাগের ভিতর ঢুকাতে দেখেছেন। খাবার খেতে না পারলে সেটা এমনিতেও নষ্ট হবে তাই সেটা বাড়ির জন্য নিয়ে যেতে পারে কিন্তু গ্লাস এটা একেবারে অনুচিত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিয়ে বাড়িতে মেয়েদের কাণ্ডকারখানা দেখলে অবাক হয়ে যায় মাঝে মাঝে মধ্যে। এগুলো অবশ্য ছেলেরা দেখে আর খিলখিলে হাসে। এমনকি ভ্যানিটি ব্যাগে বাড়ি থেকে পলিথিন কাগজ নিয়ে যায়😄।
ভাই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখছি অনেক মজা করেছেন। সত্যি বলেছেন ভাই বিয়ে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত অনেক সুন্দর হয়। বরের পাশে বসলে তো বেশ ভালই করতেন খাসির বড় মাথাটা খাইতে পারতেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে ভাই আগে যেমন খেতে পারতাম বর্তমানে তেমন পারিনা। তাই যেসব লোকজন ভালো খেতে পারে তাদের বসাটা উত্তম মনে করছিলাম। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেক মেয়ের পরিবার চাই তাদের মেয়ের বিয়েতে ভালোভাবে বর যাত্রীকে খাওয়া-দাওয়া করা। সেই সাথে যারা মেহমান আসেতাদেরকে ভালোভাবে আপ্যায়ন করার। কিন্তু আপনার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম তারা খুবই ভালো মানুষ। আপনাদেরকে খুবই সেবা যত্ন করলেন। আসলে বিয়ে বাড়িতে খাবার দাবারের বিষয়টা খুব বেশি চলে আসে। কারণ খাওয়া-দাওয়া যদি খারাপ হয় খুবই বদনাম হয়। আপনারা খুব সুন্দর এনজয় করলেন বিয়ে বাড়িতে। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।
কোন বাপ মা চায় না তার মেয়ের বিয়েতে কোন বদনাম হোক। নিজের সামর্থ্য যতটুকু আছে সে ততটুকু দিয়ে চেষ্টা করে ভালো কিছু করে দেখাতে। তবে সত্যিই তারা আমাদের সাথে খুবই সুন্দর আচরণ করেছেন।