ক্রিয়েটিভ রাইটিং:- কিছু কথা মানুষের জীবনকে বদলে দেয়।

মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্রময়। পৃথিবীতে মানুষ যখন সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েছেন সবাইকে নিশ্চয়ই একই বংশে বা একই ঘরে পাঠায় নাই। কেউ ধনীর দুলালী হয়ে এসেছে কেউ বার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কেউ বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে পৃথিবীতে এসেছে। সৃষ্টির রহস্য বোঝা অনেক কঠিন। মানুষের জীবন কখনো সরলরেখায় চলে না। মানুষের জীবনে উঠান-পাথান রয়েছে। কেউ ধনী থেকে গরিব হয়ে যায় আবার কেউ গরিব থেকে ধনী হয়ে যায়। সে যাই হোক না কেন যে যেখানে জন্মগ্রহণ করুক প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের একটা সময় থাকে যে সময়টা জীবন উপভোগ করলেও কেউ কিছু বলে না। কিন্তু একটা সময় আসার পরে নিজের পরিবার বাড়ির আশেপাশের সমাজের লোক সবাই বেশি কিছু কথা বলে থাকে। যে সময়টা কথা বলে সেই সময়টা হল আপনি যখন বেকার থাকবেন অর্থাৎ আপনার যখন কোন কর্ম থাকবে না। কর্ম বিহীন মানুষের জীবন কতটা দুর্বিষহ যে এর মধ্যে আবদ্ধ সেই জানে।

তবে একটা বিষয় ঠিক মানুষের জীবন সব সময় এক রকম যায় না। প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের জীবনের পরিবর্তন ঘটে। যখন জীবনের এই শুরুটা এমনভাবে হতে থাকে চারপাশের মানুষ নানা ধরনের কথা বলে। একটা সময় এই সমস্ত কথাবার্তা শুনতে শুনতে আপনার মধ্যে একটা ক্রিয়া সৃষ্টি হবে। এই ক্রিয়া সৃষ্টি হওয়াতে কেউ পজিটিভ মাইন্ডে নাই কেউবা নেগেটিভ মাইন্ডে নাই। যারা পজেটিভ মাইন্ডে নেয় তারা জীবনে উন্নতি করতে পারে। এগুলোকে পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাই উত্তম। এতে করে সামনের সিঁড়িগুলো ধাপ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এমন কিছু কথা থাকে যেগুলো বারবার শোনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমি বাইরের মানুষের কথা বলবো না আপনার পিতা, যখন আপনি বেকার থাকবেন তখন আপনার পিতা-মাতা আপনার বিমুখ পোষণ করবে। হয়তোবা আপনার সাথে চলবে খেলবে খাবে কিন্তু তার মধ্যে একটা বিষয় লুকিয়ে থাকে। যেটা তাদের মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায় তারা কিছু বলতে চাই বা তারা কিছু আমাদের কাছ থেকে আশা করতে চাই। সত্যি কথা বলতে আপনি যখন বেকার থাকবেন তখন আপনার বাপ মা পাশে থাকতে চাইবে না। কথায় আছে না কিছু জিনিস থেকে যেগুলো নিতেও পারেনা ছাড়তেও পারে না। পিতা-মাতা সমাজ আত্মীয়র কাছে আপনার তখন ঠিক তেমনটাই হয়ে থাকেন।

যখন এভাবে চলতে থাকে তখন কোন না কোন সময় কিছু মানুষ নিজের পথটা ভুল করে ফেলে হয়তো বা নিজের জীবনটাও হারিয়ে ফেলে। এই কাজটা না করে যদি আমরা ওই কথার উপরে ভিত্তি করে যদি নিজের জীবনটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি তাহলে মনে হয় উভয় লাভবান হতে পারে। পিতা-মাতা থেকে শুরু প্রত্যেকে চাই আপনার কাছ থেকে কিন্তু যখন তারা সেগুলো পায় না তখন তারা বিরূপ প্রভাব ফেলে আপনার উপর। চাকরিজীবী ছেলে যদি তার পিতা-মাতের কিছু না দেয় তবুও তার প্রতি তারা সন্তুষ্ট থাকে। অথচ একজন বেকার ছেলে তার পিতা মাতাকে সর্বস্বটা দেবে তারপরও তার উপর তারা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। তাদের কোন দোষ নেই, তারা চায় তাদের সন্তান আরো বেশি ভালো থাকুক। তাদের এই আকাঙ্ক্ষাটা হয়তো বা একটা সময় ভালো বা খারাপের একটা দিক নেয়। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি তাদের কথাগুলোকে যদি আমরা পজিটিভ ধরি এবং সেই অনুযায়ী যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, তাহলে ওই অল্প কিছু কথাতেই আমরা নিজেকে ইস্টাবলিশ করতে পারি। এর জন্য কিছু মানুষের কথা নিজের জীবনকে বদলে দেয়ার জন্যই যথেষ্ট।

মানুষের জীবনে চলার পথে কিছু ধাক্কা আসবে। সে ধাক্কা গুলো সামাল দিতে হবে। কথায় বলে হাতি যখন কাঁদায় পরে তেলাপোকা তখন লাথি মারে। প্রতিটা মানুষ হাতির মতোই তারা পরিশ্রম করতে পারে। কিন্তু ওই মানুষ যখন বেকার থাকে তখন তার অবস্থাটা ঠিক এমনি হয়। আর এই সময় অনেক মানুষ অনেক কথা বলবে তাদের কথাগুলোকে নিজের ভিতরে চাপা রেখে কষ্টের মধ্য দিয়ে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে যদি ওই পথ অনেক কঠিন তারপরও নিজেকে ধৈর্য ধরে যেতে হবে। আজকে যে মানুষদের কথা শুনে আপনি কঠিন পথটা পাড়ি দিতে যাচ্ছেন ঠিক একটা সময় ওই কঠিন পথটার কথা মনে থাকবে না সফলতা অর্জন করবেন। সফলতা দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন আপনার ঐসব মানুষের কথা মনে হবে যারা আপনার অনেকগুলো কথা বলেছিল আর ওই কথার মধ্য দিয়ে আপনি কিন্তু আজকে এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন। যে মানুষগুলো আপনাকে দূরে রেখেছিল তারাই আপনার সব থেকে আপন হয়ে যাবে। আর এটাই হলো মানুষের রীতিনীতি।

প্রত্যেকটা মানুষের জীবন সংগ্রামময়। আপনার দুঃসময়ে আপনার পাশের মানুষ অনেক কথা বলবেই। আর এই কথাগুলোকে পুঁজি করে আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। দেখবেন সফলতা আপনার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সেদিন আপনার মনে হবে ওই সমস্ত পেছনের মানুষগুলো যদি কথা না বলতো তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারতেন না। তবে হ্যাঁ সর্বশেষ আমি একটা কথা বলবো যদি পেছনের মানুষের কথায় আপনি সফলতা অর্জন করেন অবশ্যই পেছনে মানুষগুলোকে কখনো কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলবেন না। তাদেরকে আপন করে নেবেন এতে সৃষ্টিকর্তা আপনার প্রতি খুশি হবেন। আর এটাই হবে সত্যিকারের মানুষের পরিচয়।

আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।