জেনারেল রাইটিং :- বিয়ে নিয়ে একটি মজার ঘটনা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
একটা সময় ছিল যখন মানুষ সারাদিন কাজ করত রাত্রে বসে গল্প গুজব করতো। যখন দাদাদের সাথে বিভিন্ন গল্প হতো সেসব গল্প শুনতে বেশ ভালো লাগতো। জোসনা রাত আকাশে ফিটফেটে তারাগুলো জলে থাকে। গরমের সময় মৃদু বাতাস যেন গায়ে লাগে। ওই সময়টা এত ভালো লাগে যা বুঝে বলে বোঝানো যাবে না। গল্প করতে করতে রাত কখন পার হয়ে যায় এমন দিন যাই বোঝাও যায় না। অতীতে সমাজে এত মধুময় ছিল ইচ্ছা করলে ভুলে থাকা যায় না। আমার দাদার বয়সে যেসব মানুষগুলো ছিল তারা এখন প্রায়ই অতীত। সত্যি তখনকার মানুষ এত সহজ সরল ছিল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। তাদের কথা মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে। যাহোক ঐ সময় যেসব মানুষগুলো মারা গেছেন আল্লাহ যেন তাদেরকে বেহেস্ত নসিব করেন। যে বিষয়টি আমি আপনাদেরকে বলতে চাচ্ছি। গল্প করতে করতে একটা বাস্তব ঘটনা আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আশা করি গল্পটা পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
অবশ্য ঘটনাটি একটি বিয়ে নিয়ে। মেয়েরা সবসময় নিজের রূপচর্চা করতে একটু বেশি ভালোবাসে। এটা প্রাচীন কাল থেকেই বর্তমান সময় পর্যন্ত হয়ে চলেছে। আশা করি ভবিষ্যতে এটা চলমান থাকবে। ঠিক এমনই একটা ঘটনা। একজনার বারোটা মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে একটা মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা চলছে। আগের সময় কোন মেয়ে বা ছেলের বিয়ে হলে তারা দেখাশোনা করে সবকিছু জানাশোনা করেই কিন্তু বিয়ে-শাদী করত। যদিও সেই সময়ের ব্যাপারটা এখন তার পুরোটাই ভিন্ন। যখন বিয়ে শাদী করবে তখন তো দেখাশোনা করতেই হবে আর সেই নিয়ম অনুযায়ী ছেলে মেয়েকে দেখতে আসছিল। ছেলে দেখতে আসলে তার সাথে আরো কিছু মানুষ যেন আসে ঠিক তেমনি আসছিল। যে ব্যক্তির মেয়ে তার মেয়েগুলো সবাই ছিল উজ্জ্বল শ্যামলা এবং দেখতে ভারী মিষ্টি। তাই ছেলেপক্ষের মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যায়। আর পছন্দ হয়ে যাওয়ার অর্থই হলো দিন ঠিক করে নেওয়া। অবশ্য আপনারা সবাই জানেন সেই সময় যা বিয়ে হতো তা ঘটকের মধ্য দিয়েই বিয়ে হতো। ঠিক তেমনি ঘটকের মধ্য দিয়ে ছেলের বাবা মেয়ের বাবা কথাবার্তা শেষ করে নেয়। দিন খান পড়ে গেল ছেলে মেয়ে উভয় পছন্দ তারা উভয় বিয়েতে সম্মতি প্রদান করলো।
বিয়ের সময় ঘনিয়ে আসছে এদিকে মেয়ের বাড়ি ছেলের বাড়ি উভয় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। হঠাৎ করে মেয়ে বাড়িতে ঘটে গেলে একটা মজার ঘটনা। এই যে আগেই বলেছি মেয়েরা একটু রূপচর্চা করতে ভালোবাসে। ঠিক তেমনি ওই মেয়ে পোড়া ইটে ঝামা দিয়ে মুখ ঘষে ছিল। এমনিতেই বেশ সুন্দর আরো বেশি সুন্দর হওয়ার জন্য তিনি এই কাজটি করেছিলেন। তিনি কখনো বুঝতে পারেননি এটা তার বিপদ দেখে আনবে। এরপরে তিনি মুখ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে পরের দিন দেখে তার মুখে দাগ হয়ে গেছে। যে অংশটুকু তিনি ঘষে ছিলেন সেই অংশটুকু পুরাটাই কালো হয়ে মুখের আকৃতি পরিবর্তন ঘটেছে। এই অবস্থা দেখে মেয়ের বাড়িতে সবাই হতাশ। তখন তারা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না কারণ তারপরের দিনই ছেলে পক্ষ মেয়েকে বিয়ে করতে আসবে। আমরা সবাই জানি মুখের ত্বক বেশ নরম। আর তিনি যেটা দিয়ে মুখ ঘষেছেন সেটাতে যে তার মুখে প্রচন্ড পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন। এই অবস্থায় চলে গেলে ঐ দিনটা।
পরের দিন সকালবেলা সবাই নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেহেতু দুপুর পরপরই বরযাত্রী চলে আসবে। এদিকে রান্নাবান্না চলছে বাড়ির মানুষের আর একটা সমস্যা ঘটেছে যেহেতু মেয়ের মুখের আকার পরিবর্তন ঘটেছে। এরপর ছেলে পাত্র মেয়ের বাড়িতে চলে আসলো। মেয়েকে দেখতে এসে ঘটলে আর এক ঘটনা। তারা যে মেয়েকে দেখতে এসেছে এখন তো সে মেয়েকে তারা চিনতে পারছে না। আসলে চিনবে কি করে তার মুখটা ফুলে গিয়েছিল। কয়েকদিনের মাঝে তার এমন পরিবর্তন সেটা সবার কাছে হতাশা জনক। ছেলেপক্ষের দুলাভাই বলতে ছিল যে এই মেয়েকে তোমরা দেখে যাইনি। যে মেয়েকে আমরা দেখে গিয়েছে সেই মেয়ের সাথে আমার কুটুমকে বিয়ে দিব। এখন মেয়ের পক্ষ বলছে না ইনি সেই মেয়ে। এই নিয়ে রীতিমত ঝগড়াঝাঁটির বেঁধে গেল। ছেলে পক্ষ বলতেছে আপনারা আমাদের সাথে বেইমানি করছেন। পরবর্তীতে মুরুব্বীরা আসলো। তাদেরকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। এরপর ছেলেদেরকে ডাক দেয়া হলো। ছেলেকে ডেকে বলল আপনি কি এই মেয়ের সাথে বিয়ে করবেন। এটা স্বাভাবিক সময়ের জন্য হয়েছে আবার এটা সেরে যাবে।
এই ঘটনাটি ব্যক্ত করেছিলেন বাড়ির মুরুব্বিরা। যখন এই ঘটনাটি বর্ণনা করা হয় তখন আমরা অনেকেই ছিলাম। সত্যি বলতে এই ঘটনা শুনে আমরা ভীষণ হেসেছিলাম। এত মজার ঘটনা আমি এর আগে শুনি নাই। তবে এই ঘটনার থেকে এটা প্রমাণ করায় যে মেয়েরা সবসময় সাজুগুজু করতে বেশি ভালোবাসে। তারা সবসময় নিজের রূপচর্চা কে বেশি অগ্রগতি দেয়। আর এই বিষয়টি প্রাচীনকাল থেকে বহমান বর্তমান সময় এবং অতীত সময় এটি থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এখানে একটা কথা না বললেই নয়, সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা মানুষকে সর্বোচ্চ সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এই সৌন্দর্য টাকে যদি আমরা আরো বেশি সৌন্দর্য করতে যাই তাহলে সেটাই বিকৃতি ঘটে। সৃষ্টিকর্তার সৌন্দর্য টাকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের সৌন্দর্য টাকে বেশি শ্রেয় মনে করে। এটা কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সাথে নাফরমানি করা।
যাহোক আমার শেয়ার করা ঘটনাটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। তবে আমার জীবনে এই প্রথম ঘটনা শুনলাম যে বিয়ের আগে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আসলে মানুষ বহুরূপী মানুষের জীবনে অনেক ঘটনা থাকে। এইসব ঘটনা মানুষকে সচরাচর বেশ কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকে আর এসব থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়াটা উচিত।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1735887276230770833?t=Jjh3X9taCpmJhLwe2VZcqw&s=19
আপনি হেসেছেন শুনে আপনার শোনা গল্পটি শেয়ার করে তো মনো হচ্ছে সবাইকে হাসিয়েছন।আর কেউ হাসুক না হাসুক আমি কিন্তুু পুরাঘটনা টি পরে খুব হাসলাম। আসলে ছেলেপক্ষের সামনে নিজেকে আরো বেশি সুন্দর আকর্ষণীয় করে তোলার ইচ্ছেই উনি একটু মুখটি ঘসা মাজা করেছিলেন হিতে বিপরীত হবে এটা তিনি বুঝতে পারেননি। যাইহোক শেষমেষ বিয়েটা হয়েছে এটাই অনেক বেশি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর হাস্যকর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য
এই বিষয়টা শুনে আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। আসলে আপু শেষে বিয়েটা হয়েছে এটাই ভালো।