লাইফ স্টাইল :- লেবুর শরবত খাওয়ার মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।
আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোটামুটি বেশ ভালো গরম পড়লো। নিজের অনেক গুলো প্রয়োজনীয় কাজের জন্য আবারও আজকে যেতে হয়েছিল কুষ্টিয়াতে। ইসলামিয়া মার্কেটে কিছু কাজ ছিল সে হিসাবে ওই পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম লেবুর শরবত তৈরি করছে এক ভাই। লেবুর এই শরবত খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর এই ভালোলাগাটা আমার শুরু হয়েছে পাঁচ মাস আগে আমি আর দ্বীন হাসপাতালের পাশে একজন চাচা এ লেবু শরবত বিক্রি করছিলেন। উনি আমাকে যে শরবত বানিয়ে খেয়ে খাওয়াইছিলেন ওই দিন, ওই শরবত খাওয়ার পর থেকে আমি লেবুর শরবত প্রেমী হয়ে গেছে। যেখানেই যাই সেখানেই না খেয়ে আসি না। তবে ওই চাচার যে সুন্দর করে বানিয়েছিল এতটা স্বাদ আমি আর কোথাও পাই নাই। আমি আপনাদের সামনে লেবুর শরবত খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে যে উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া তে গিয়েছিলাম সেই উদ্দেশ্যের কিছু অংশ শেষ করতে পেরেছিলাম। আপনারা যারা কুষ্টিয়াতে থাকেন তারা অবশ্যই এই কলেজ মার্কেট চিনে থাকবেন। রেল স্টেশন পার হয়ে বাম হাতেই এই লেবুর শরবত তৈরি করে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখে অনেকজন এই লেবুর শরবত পান করছে। কয়েক মিনিট দাঁড়ানো পরে অনেক মানুষ চলে আসলো। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই ফটোগ্রাফির মধ্যে কিছু মেয়েরা এই শরবত পান করছে। তারা পান করছিল এবং বলছিল বেশ সুস্বাদু লাগছে। এটা খেতে ভালো লাগুক বা না লাগুক খেতে হবে এটাই বড় কথা। তবে বিশ্বাস করেন এত চাপাচাপি আমি কোন ভাবে উনাকে বলতেই পারছি না যে আমাদের দুই গ্লাস শরবত লাগবে। সব সময় যেন পিঠের উপরে ১০-১২ জন দাঁড়ায় আছে। আসলে আজকে প্রচন্ড গরম পড়েছে যার কারণে মানুষের খাওয়া চাহিদাটা একটু বেড়ে গেছে। আর খাবে না বা কেন বলেন এত খেতে সুস্বাদু যা বলার মত নয়। আর এমনিতেই মানুষ গরমের সময় একটু লেবুর শরবত খেতেই চায়।
মানুষের ভিড়ে বলে যদি আপনি বসে থাকেন তাহলে কখনোই এই লেবুর শরবত খেতে পারবেন না। যত বসে থাকবেন তত মানুষের চাপ যেন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে সুযোগ পেয়ে যে ভাইটি লেবুর শরবত তৈরি করছে, উনাকে বললাম ভাই দুই গ্লাস আমাদের দিবেন। তবে উনি খুব দ্রুত শরবত বানিয়ে ফেলছেন। আসলে হাত যদি একটু দ্রুত না চালানো যায় তাহলে অনেকজন দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে না খেয়ে চলে যাবে। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম উনার লেবু গুলো অনেক বড়। আসলে এই লেবু গুলোকে আমরা কাগজি লেবু বলে থাকি। তবে এই শরবত দেশীয় লেবু দিয়ে তৈরি করলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আমার সাথে সাথে অনেক জন তার কাছে এই শরবত চাইলো। আমি তার বানানোর দিকে লক্ষ্য করে ছিলাম এবং একটু উঁকি মেরে দেখলাম একসাথে সাত আটটা গ্লাস তৈরি করছে। আসলে এভাবে যদি তৈরি না করে তাহলে সে কভার করতে পারবে না। এ লেবুর শরবত তৈরি সবার মোটামুটি জানে জানা আছে। আসলে এই শরবত তৈরি করার সময় এক ধরনের সিরাপ দেওয়া হয়। আর আমি শুনেছি এই সিরাপ তৈরি করাটা বেশ কঠিন। সাধারণত মধু অথবা মিসরী দিয়ে সিরাপটি তৈরি করা হয়ে থাকে।
লেবুরের শরবত পাওয়ার জন্য আমাকে প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আসলে আমি যে মুহূর্তে ওখানে পৌঁছেছিলাম ঠিক পরে ওখানে কলেজের অনেক ছেলে মেয়েরা চলে আসছিল এবং আন্দাজ করলাম আজকে তাদের ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা হচ্ছিল মনে হয়। যাহোক ওখানে অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আসছিল এবং আসার সাথে সাথে যেন একটু ভিড় জমে গেল। আর এর জন্য আমাদেরকে দ্বিতীয় তার দেরী হয়ে গেল। আপনারা সবাই জানেন এক গ্লাস শরবত দাম নেই ১০ টাকা। উনারা এখানে যে গ্লাস ব্যবহার করেন দুই থেকে তিন ঢোক খেলেই সব ফুরিয়ে যায়। তাই এক গ্লাস শরবত খেয়ে নেশা মেটেনা। যখন শরবতটা পাওয়ার পরে বেশ খুশি হলাম এবং খেতেও বেশি মজা লাগে। তাই যিনি বিক্রি করছিল উনাকে বলেছিলাম ভাই আরেক গ্লাস দেন। কিন্তু কপালে যদি এক গ্লাস খেওয়া লেখা থাকে তাহলে তো দুই গ্লাস পাব না। যখন আমি পুনরায় তাকে দিতে বললাম তখন আরও বেশি সময় নিচ্ছিল আমার সময় ছিল না তাই তাকে বললাম ভাই দরকার নেই আপনি এক গ্লাসের দামি নেন। আপনারা যারা কুষ্টিয়া কোটপাড়া দিকে বেড়াতে যান, তারা ইচ্ছা করলেই ওখানে এই শরবত খেতে পারবেন।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
লোকেশন | https://w3w.co/meandered.fights.succumbing |
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1703448161564631324?t=awCkWFUN1l7-RDs7TKfuVw&s=19
গরমের দিনে লেবুর শরবত স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া এই ধরনের দোকানের লেবু শরবত গুলো খুবই মজার হয়। তারা অভিজ্ঞ মানুষ কিভাবে লেবুর শরবত তৈরি করলে মজার হয়। সেই আইডিয়া গুলো তাদের খুব ভালো জানা থাকে। আপনি যেহেতু কাজে গেলেন সেই সাথে লেবুর শরবত খেলেন। সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
আসলে আপু যেদিন আমি প্রথম লেবুর শরবত খেয়েছিলাম, ঐদিন ঐ শরবত খেয়ে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আর ওখান থেকে এই লেবুর শরবত খাওয়ার প্রতি ভালোবাসা। চোখের সামনে পড়লে না খেয়ে সেখান থেকে আমি কখনোই যাইনি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই গরমের তীব্রতা প্রচন্ড পরিমানে বেড়ে যাওয়ায় লেবুর শরবত এর টানটাও বেড়ে গিয়েছে। দোকান টিতে দেখছি সত্যিই অনেক ভিড় বেশ কয়েকজন মহিলারা এই শরবত পান করছেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে আপনি এই লেবুর শরবতের প্রেমে পড়েছেন দেখছি ভাই, হসপিটালের পাশে বসা চাচার বানানো সুস্বাদু লেবুর শরবত খাওয়ার পর থেকে। তবে এই শরবত টিও আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে গরমের সময় লেবুর শরবত আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকার। তবে কুষ্টিয়া রেল স্টেশনের পাশে থাকা এই লেবুর শরবতের দোকান থেকে আমি অনেক শরবত খেয়েছি যখন কুষ্টিয়াতে ছিলাম প্রায় দিন এখানে যাওয়া হতো। ঠিক বলেছেন মামা সেখানে শরবত খেতে হলে এত মানুষের ভিড় অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। আপনার কাছ থেকে দাম নিয়েছিল মাত্র ১০ টাকা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তুমি যদি এখনো কুষ্টিয়ায় থাকতে তাহলে ওইদিন তোমাকে ডেকে নিতাম। আসলে গরমের সময় লেবুর শরবত খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সেখানে এক গ্লাস লেবু শরবত খেতে হলে অবশ্যই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে। কারণ সেখানে যথেষ্ট মানুষের ভিড়ে থাকে সব সময়। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আমিও অনেক জায়গায় লেবুর শরবতকে খেয়েছি কিন্তু এই জায়গার মত এতটা স্বাদ অন্য কোথাও পাইনি। যেদিন আমি প্রথম এখানে গিয়েছিলাম আমাকেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আসলে এই চাচার জনপ্রিয়তা খুবই বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে তাই লেবুর শরবত খেতে গেলেই অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয়।
আসলে ভালো জিনিসের কদর সব সময় থাকে। উনি চমৎকারভাবে লেবু শরবত তৈরি করেন বিধায় উনার কাছে এত মানুষ খেতে যায়। আর যেই যাক তাকে অবশ্যই কিছু সময়ের জন্য হলেও দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রচন্ড গরমে যখন বাইরে বেরোই তখন যেন মনে হয় এ শরবত বিক্রেতায় যেন এক টুকরো স্বস্তি। এখন বর্তমানে যে গরম বেড়েছে রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটলেই এত গরম আর শরীর এত ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে লেবুর শরবত না খেয়ে পারি না। প্রায় সময় আমিও বাজারে গেলে এই ধরনের লেবু শরবত খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু প্রচন্ড গরমের মধ্যে স্বস্তির জন্য লেবুর শরবত খুবই উপকার। আরে এখানে যেভাবে লেবুর শরবত তৈরি করে দেয়া হয় এটা খেতে ভীষণ মজার। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।