নতুন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি। @tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২ -০৩-২০২৩)
বেশ কিছুদিন আগে আমার ছোট শালা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। যদিও তার বাড়িতে অনেক কাজ থাকে তাই সে সকাল করে আসতে পারেনা পিছনের দিকে আমাদের বাড়িতে আসলো। এসে একটু দাঁড়াতে না দাঁড়াতে এসে বলে ভাই বাইরে বেড়াতে যাব। আমি তাকে বললাম কোথায় বেড়াতে যাব তুই বল তো বলল ভাই আমি আপনাদের শহরে যেতে চাই। যেহেতু আমার বাড়ি থেকে আমার শহর সাত কিলো দূরে। তাই আমি কথা না বাড়িয়ে আর সহজে রাজি হয়ে গেলাম। যেহেতু আমি প্রস্তুত ছিলাম না তাই একটু প্রস্তুতি নিলাম এবং দুই ভাই একসাথে বাইকে চড়ে রওনা দিলাম। শহর বলতে আমাদের গাংনী। যেহেতু ছোট ভাই তাকে তো কিছু না কিছু খাওয়াতেই হবে। অনেকদিন থেকে মনে মনে ভাবি যে ওখানে একটা নতুন খাবারের হোটেল দিয়েছে। ওখানে নাকি অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমি ওকে বললাম তুই কি খাবি তখনও বলল ভাই নান রুটি এবং গিরিল খাব। তার এই কথার উপর ভিত্তি করে আমরা খাবারে হোটেলে প্রবেশ করলাম। হোটেলের সামনে ঢুকতে দেখি একটি ভাই মুরগির রানগুলো কেটে কেটে পাশে রেখে দিচ্ছে। সামনে কাচের মধ্যে মুরগি গুলো আগুন দিয়ে ঝলসানো হচ্ছে অর্থাৎ গিরিল এ পরিণত করা হচ্ছে। যাক সেগুলো দেখে মনে হলো খেতে বেশ মজা হবে।
এরপরে আমরা বসে পড়লাম। একজন ওয়েটার আসলো, বলল ভাই আপনারা কি খাবেন? আমি বললাম গিরিল এবং নান রুটি দেন আমাদেরকে। প্রায় পনেরো মিনিট বসে থাকার পরে তিনি আমাদের সামনে গিরিল নান রুটি এবং সস এনে দিলেন। এগুলোর কালার দেখে মনে হল খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। পুরানোটা অনেক সুন্দর ছিল এবং সসের কালারটা বেশ ভালো ছিল সব মিলে খাওয়ার হওয়াটা যে ভালো পেতে কোন সন্দেহ ছিল না।
আমরা দুজনাই খাবার খাওয়া শুরু করে দিলাম। এর মধ্যে একটি মজার ব্যাপার হলো, আমার ছোট শালার দাঁতে একটু সমস্যা। ও দাঁতের মাড়ি দিয়ে কোন কিছু খেতে পারে না। তাই সামনের দাঁত দিয়ে খাই। যেহেতু দুইজন একসাথে খেতে বসেছি ও আস্তে আস্তে খাচ্ছে আমি ওর সাথে তাল মিলিয়ে খেয়ে চলেছি। ওর দাঁতের সমস্যার কারণে ও ঠিকভাবে খেতে পারছে না। ওর আগে আমার খাওয়াটা শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রায়। আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলছে ভাই একটু আস্তে খান না। আমি ওকে বললাম আমি তো আসতেই খাচ্ছি তোর তো দাঁতের সমস্যা সামনের দাঁত দিয়ে কখনো খাওয়া হয়। ও হাসে আর বলে কি করব ভাই এই সমস্যা তো হয়েছে। আমি ওকে মজা করে বললাম তুই তোর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে যদি এভাবে খাওয়া দাওয়া করিস তাহলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বলবে আমার জামাই বুড়ো হয়ে গেছে। খাওয়ার মধ্যে দিয়েই দুই ভাইয়ের একটু হাসি হয়ে গেল।
এর মধ্যে আমি লক্ষ্য করে দেখলাম যে আমাদের আশেপাশের কিছু লোক আমাদের মত করে খেতে বসেছে। সব মিলিয়ে যদি হোটেলটি নতুন দেয়া হয়েছে কিন্তু খাবারে মান ভালো বলে মোটামুটি মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। যেহেতু প্রথম নতুন তাই এদের খাবার গুলো পরিবেশন এবং বাঁচার ব্যবহার গুলো অনেক ভালো। হোটেলের মালিক আমাদের কাছে এসে বলছে খাবারের মান ভালো। তিনারে জিজ্ঞাসা করো দেখি আমি একটু অবাক হলাম আমি ওনাকে বললাম যে আঙ্কেল খাবারের মান যথেষ্ট ভালো। বর্তমানে প্রত্যেকটা পণ্যের দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তো সেই হিসেবে দামের থেকেও খাওয়ার মান টা অনেক ভালো।
এরই মধ্যে আমার খাওয়া শেষ হয়ে গেছে। আমি ওর জন্য অনেকক্ষণ বসে আছি। এর আগেই বলেছি ওর দাঁতের সমস্যার জন্য ও দ্রুত খাবার খেতে পারছে না। আপনাদেরকে একটু বলে রাখি এখানে এক পিস গ্রিলের দাম একশত বিশ টাকা ও নান রুটির দাম বিশ টাকা। দামের তুলনায় খাওয়ার মানটা অনেক ভালো। যাইহোক সব মিলিয়ে মোটামুটি আমাদের খাওয়াটা শেষ করলাম।
আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসার সময় খাবারের দাম দেওয়ার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। যেহেতু আমরা দুজন ছিলাম তাই বিল খুব একটা বেশি হয়নি। মোট আমাদের বিল আসছিল তিনশত আশি টাকা। আমরা বিল পরিশোধ করলাম করে বাইরে চলে আসলাম। তবে একটা কথা বলে রাখি এই দোকানের এখনো সেভাবে নাম দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমি দোকানে মালিকের সাথে কথা বলেছি উনি বলল বাবা কেবল নতুন দিয়েছি তো কিছুদিনের মধ্যে নতুন একটা সুন্দর নাম আমার দোকানের সাইনবোর্ড লিখে দেবো।
আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @tuhin002 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | poco M2 |
ক্যামেরা | camera-13MP |
আমার বাসা | জুগীর গোফা,গাংনী, মেহেরপুর। |
লোকেশন | https://w3w.co/shrivel.subscriptions.minimal |
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। অবসর সময় মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে। আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
নতুন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি দারুন ছিল ভাই।
নতুন রেস্টুরেন্টে প্রথম প্রথম খাবারের মান বেশ ভালো হয়, এরপর ধীরে ধীরে এভারেজ হয়ে যায়।
আপনার শালা বাবু তো খেতেই পারছিলো না দাঁতের কারনে। যাক খাবারগুলো দেখতেও দারুন লাগছে, দামটাও হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশের লোক কোন জায়গাতেই মান ধরে রাখতে পারেনা। তার জন্যই জাতি হিসেবে আমরা এত পিছিয়ে পড়েছি। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার খাবার গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আপনি আপনার শালার সাথে নান রুটি ও গিরিল খেয়েছেন। আসলে নতুন রেস্টুরেন্ট অনুযায়ী খাবার গুলো অনেক ভালো ছিল জেনে অনেক ভালো লাগল। তবে আপনার শালার দাঁতে সমস্যার জন্য খেতে সময় লেগেছে আর এদিকে আপনি খাচ্ছেন হা হা হা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপু আমার শালা যখন খেতে পারছিল না সত্যি বলতে আমার অনেক হাসি লাগছিল। এটা ঠিক নতুন হোটেল বলে খাবারের মান খুব ভাল ছিল।
নতুন রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। নতুন অবস্থায় বেশ ভাল সার্ভিস এবং খাবার পাওয়া যায়। আপনি খাবার খুব এনজয় করেছেন তা বোঝতে পেরেছি। খাবারের ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দাম মোটামুটি রিজনেবল আছে বলে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেহেতু নতুন রেস্টুরেন্ট তাই খাবারের দামটা অনেক নাগালের ভেতরেই ছিল। তাদের মান ধরে রাখতে পারলে একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যাইহোক শালাবাবুকে নিয়ে তাহলে বেশ আনন্দ করে গ্রিল আর নান রুটি খেয়ে এসেছেন। তাছাড়া আপনার শালা বাবুর দাঁতে সমস্যা থাকার কারণে সে ঠিকমতো খেতে পারছে না এটা জেনে একটু খারাপ লাগছে। আমরাও মাঝেমধ্যে এভাবে যখন খেতে ইচ্ছে করে তখন চলে যাই আমাদের প্রিয় একটা রেস্টুরেন্টে। যেখানে আমরা সব সময় যাওয়া আসা করি। আর পরিচিত হওয়ার কারণে প্রায় সময় যাওয়া হয় এবং আপ্যায়নটাও ভালো পাওয়া যায়। তাছাড়া খাবারের মান এখানে খুব ভালো তাই সেখানে যাওয়া হয়। প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করে। আপনারা নতুন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের মান ভালো পেয়েছেন এবং দামও হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েছেন সেটা জেনে ভালো লাগলো।
আসলে ভাই খাবারের মান যদি ভাল থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে খেতে ইচ্ছা করে। কারন সাথে পরিবেশটা ভালো থাকতে হয়।গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের গোছানো একটি ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।।
গ্রিলের কালার দেখে মনে হচ্ছে খাবার বেশ সুস্বাদু হয়েছে ভাই। আপনার শালা তো দাঁত ব্যথার কারণে ভালোভাবে খেতেই পারেনি। নতুন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাই আলাদা। খাবারের দামও কম থাকে আবার মানও বেশ ভালো হয়। যাইহোক এটা হচ্ছে ব্যবসায়ের একটি নীতি। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই অনেক দিন থেকেই এই সমস্যায় ও ভুগতেছে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
নতুন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো। নতুন তাই কোয়ালিটির পাশাপাশি দাম ও রিজেনেবল ছিল।খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খাবারগুলো লোভনীয় ও পাশাপাশি খাবারে মানগুলো অনেক সুন্দর ছিল।