খেলা শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম এর দিকে উইকেট পড়ে যায়। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক প্লেয়ার নতুন এখানে। আগে যে সব প্লেয়ার গুলো ছিল তারা কেউ নেই। হয়তোবা ছাতারা যাচ্ছে এই টিমটাকে ভালো একটা পজিশনে করার জন্য তারা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের এদেরকে নিয়ে এসেছে। তবে তাদের খেলার ধরনটা কিন্তু যথেষ্ট ভালো। হয়তোবা একদিন এরা অনেক ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আন্দোলনের জন্য। সত্যি কথা বলতে এখানে যেসব প্লেয়ার এসেছে সবাই নতুন তাদের নাম ঠিক আমার জানা নেই।

শুরুর দিকে উইকেট পড়ে যাওয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব বেশি রান করতে পারছে না। সব থেকে বড় কথা অস্ট্রেলিয়ার এই কন্ডিশনে যে কোন টিম এসে ভালো কিছু করাটা অনেক কঠিন। মাত্র ৫৯ রানে চারুকের পড়ে যায় এরপরে একটা ভালো পার্টনারশিপ করে। এই পার্টনারশিপ প্রায় ১০০ এর উপরে করে। এ পার্টনারশিপের খেলার ভাব দেখে মনে হয়েছিল রান আড়াইশো থেকে ২০০ বা ৩০০ হতে পারে। কিন্তু এরপরে আর একজন আউট হয়ে যাওয়ার পরে তারা আর বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারে নাই।

শেষ পর্যন্ত তারা ৫০ ওভার খেলতে পারে নাই 48 ওভার চার বলে অলআউট হয়ে যায়। সেই পর্যন্ত তারা রান মাত্র 231 করতে সক্ষম হয়। এই উইকেট কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হয়তোবা এরাম তাড়া করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। নিজের মাঠে এবং নিজে পিছের পরে অস্ট্রেলিয়া এমনিতে অনেক ভয়াবহ। তারপরও ক্রিকেট খেলা বলা যায় না দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।

অস্ট্রেলিয়া ইনিংস শুরুতেই ট্রাফিস হেড আউট হয়ে যায়। প্রথম উইকেট পড়াতে একটু বলাই যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে ঠিক এদেরও তেমন অবস্থা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর পরে একটা কথা আছে উইকেট তো অস্ট্রেলিয়ার উইকেট এখানে তাদের বেশ পরিচিত। তারা যেকোনো সময় এমন পরিস্থিতি কাটে উঠতে পারে। অস্ট্রেলিয়া তাদের পুরো শক্তি নেই কিন্তু মাঠে নেমেছে। শুধু কিছু বোলিং নতুন নিয়ে এসেছে।

ইগন্যাল এবং গ্রীন তৃতীয় জুটিতে তারা বেশ ভালো একটা পার্টনারশিপ করে আর এতেই অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালো একটা পজিশনে চলে যায়। ইগনালস ৫০ করেন এবং এরপরে তিনি আউট হয়ে যান তারপরে আসে অস্ট্রেলিয়া ক্যাপ্টেন স্মিথ। আপনারা সবাই ভালোভাবে জানেন স্মিথ খুবই ভালো মানের একজন ব্যাটিং। আর এই কন্ডিশনে তার থেকেও ভালো খেলবে অন্য কেউ সেটা আশা করা অনেক কঠিন। তারপরও সে যথেষ্ট ফর্মে রয়েছে সুতরাং আশা করা যায় সে ভালো কিছু করবে এখান থেকে।

শেষ পর্যন্ত ২৩১ সালে তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া মাত্র দুইটা উইকেট হারায়। ইসমিত এবং গ্রিন ভয়াবহ রূপ নিয়ে খেলেন। প্রায় ৭৮ বল হাতে থাকতে তারা ২৩১ রান পূর্ণ করে ফেলেন। দুই দিক থেকে দুই ব্যাটসম্যান তাদের ফিফটি বা অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। এতে করে তারা সিরিজে প্রথম ওডিআই ম্যাচের ৮ উইকেটে জয়লাভ করে। সিরিজে একসঙ্গে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। আজ এ পর্যন্তই আবার আগামী দিন দেখা হবে আল্লাহ হাফেজ।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।