লাইফ স্টাইল :- মাছের খেতে দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


IMG_20230823_173742.jpg

আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন আমার কিছু পুকুর আছে। এবং সেখানে নিয়মিত সকল বিকালে খাবার দিতে যেতে হয়। আমি আজকে যে পুকুরে খাবার দিতে যাচ্ছি সে পুকুরের মাছ অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম এই বড় মাছের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করি। বাড়ি ফেরার সময় কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনকাটার দরকার ছিল তাই এক ভাইয়ের দোকান থেকে সেগুলো কিনে বাসায় ফিরেছি। আর ওই মুহূর্ত গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


IMG_20230823_170723.jpg

আসলে আমাদের অনেক গুলো পুকুরের মধ্যে এই বড় পাঙ্গাস মাছের পুকুরটা অনেক দূরে। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে যেতে হয়। এই পুকুর আমার বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। তবে বাড়ি থেকে পুকুর পর্যন্ত সাইকেল চলে যায়, এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। কারণ এই মাছের খাবারে বস্তায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একদিন ঘাড়ে লেগেছিল। এই মাছ গুলো অনেক বড় হয়েছে তাই খাবার একটু বেশি লাগে।


IMG_20230823_171210.jpg

এই হচ্ছে মাছের খাবার। এই খাবার গুলো তৈরি করা হয় অনেক কিছুর সমন্বয়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে পালিশ, গুড়া, খৈল, সয়াবিন তেল, লবণ,ভিটামিন, মাছের গুড়া,ডয়ার পালিশ ইত্যাদি। এই সব খাবার তৈরি করতে প্রচুর খরচ করতে হয়। প্রতি কেজি খাবারের দাম পড়ে ৬৫ টাকা হবে। এ হিসাবে আমাদের প্রতিদিন মাছের খাবার দিতে হয় ৫০ কেজি। সে হিসাবে মোট দাম পড়ে ৩২৫০ টাকা। আপনি যত ভালোভাবে মাছের খাবেন মাছ তত দ্রুত বেড়ে যাবে। আর বড় মাছ হলে মাছের দামও একটু বেশি। প্রতিটা পাঙ্গাস মাছের ওজন যদি তিন কেজি হয় তাহলে এর দাম ২০০ টাকা করে। আর যদি এক থেকে দেড় কেজি হয় তাহলে দাম পরে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। তাই চাষীদের লাভ করতে হলে একটুও বড় করতেই হয়।


IMG_20230823_171335.jpgIMG_20230823_171514.jpg

IMG_20230823_171235.jpg

পুকুরে খাবার দেওয়ার সময় একটা থাল অথবা বাটির নিতে হয়, খাবার দেয়া সুবিধার্থে। যখন খাবার গুলো পুকুরে ফেলা হয় তখন মাছ গুলো বড় রকমের পানির মধ্যে লাফালাফি করে। পানি উপরে উঠে যায় এবং ঢেউ গিয়ে পাড়প লাগে। তবে পুকুরের মাছের খাবার দেয়ার অনুভূতিটা দারুন। মাছগুলো যখন খাবার খায় তখন দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেই বুঝতে পারছেন যে মাছগুলো কিভাবে খাচ্ছে। আমি আমার এই পুকুরে তেরোশো মাছ দিয়েছি। আশা করছি মাছ গুলো তিন কেজির একটু বেশি হলে বিক্রি করবো। ইনশাল্লাহ আশা করছি এখান থেকে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা আয় হবে আমার।


IMG_20230823_173742.jpg

IMG_20230823_174117.jpg


যখন আমি বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম তখন কিছু খাওয়ার জিনিস আনার কথা বলছিল বাড়ি থেকে। তাই আমি মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে আমাদের গ্রামে একটা বড় দোকান আছে। সেই দোকানে গিয়ে একটা স্প্রাইট এবং এক কোটা স্যাম্পন নামের একটি খাবার নিয়েছিলাম। এ খাবারটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও অঞ্চল ভেদে হয়তো বা এর নাম অন্য হতে পারে। এই দুইটা মিলে ২২০ টাকা নিল। তবে একটা বিষয় এখানে খুব ভালো লাগলো যখন আমি ফটো তুলছিলাম তখন দোকানদার আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার জন্য সাহায্য করেছিল।

IMG_20230823_173513.jpg


আজকে যেহেতু বুধবার। এই দিনে আমাদের গ্রামে হাট বসে আর হাটে একটা ভাই মিষ্টি বিক্রি করতে আসে। অনেক দিন ধরে রসগোল্লা খাওয়া হয়নি তাই বাড়িতে যাবার সময় এক কেজি রসগুল্লা নিয়ে গিয়েছিলাম। আগে যে রসগোল্লার দাম ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে সেই রসগোল্লার দাম ২৮০ টাকা। যেহেতু আমি মিষ্টি পছন্দ করি তাই টাকার দিকে তাকালে কি আর হবে মিষ্টি কিনতেই হবে। এ ভাইয়ের মিষ্টি গুলো অনেক সুন্দর সে পুরোপুরি ছানা দিয়ে তৈরি করে থাকে তা যথেষ্ট বেচাকেন হয় এখানে।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/mercies.tropic.unbuckles

👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Sort:  
 last year 

আজকাল মাছের চাষতো বেশ লাভজনক। যেই রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা ছিল তা এখন ৪০০-৪২০ টাকা। আর নিজে দেখা শোনা করলে আরো লাভ হয় নিশ্চয়ই। মাছ বিক্রি করে ৫-৬ লক্ষ টাকা লাভ হবে শুনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার মাছের ব্যবসা আরও লাভজনক হোক এ প্রত্যাশা করি।অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে আপু মাছের খাবারের দাম বাড়ায় মাছের দাম ও বেড়ে গেছে। আর প্রকৃতপক্ষে চাষি তার ন্যায দাম পায় না। আড়ৎদার তাদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকিয়ে নেয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার পুকুরের পাঙ্গাস মাছগুলো তো দেখছি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ভাইয়া। ১২০ টাকা দামের রসগোল্লা যদি ২৮০ টাকা হয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষেরা কিভাবে এগুলো কিনে খাবে ভাই। আপনি তো দেখছি মিষ্টি প্রেমী মানুষ বলে দামের বিষয়ে তেমন একটা তোয়াক্কা করলেন না।

 last year 

কি আর করবো ভাই, মাঝে মধ্যে নিজের ইচ্ছে গুলো পুরুন করতে গেলে অনেক সময় দামের দিকে তাকানো হয় না। যায় হোক কম বেশি একটু খেতেই হয়।

 last year 

জী ভাইয়া আমরা অনেকেই জানি যে আপনি পুকুরে মাছ চাষ করেন। মাছের খাবার দেওয়ার পরে বাড়ি ফেরার পথে অনেক কিছু কিনলেন। কোমল পানীয়,মিষ্ট ইত্যাদি। আর যেহেতো সব কিছুর দাম বেড়েছে সেহেতো মিষ্টির দাম তো বাড়বেই। ধন্যবাদ।

 last year 

জি ভাই ঠিক বলেছেন, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের মূল্য অনেক বেশি।

 last year 

বাড়ি থেকে দেখছি আপনার পুকুর অনেক দূরে অবস্থিত। খুবই ভালো করেছেন দুই কিলোমিটার দূরে তো আর মাথায় করে খাবার নিয়ে যাওয়া যায় না তাই সাইকেল ব্যবহার করেছেন। আর এখন বর্তমানে সব জিনিসের দামই অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে।

 last year 

মাথায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব হলেও আমার পক্ষে সম্ভব না রে বোন। এই খাবার নিতে গিয়ে ঘাড়ের রগে সমস্যা হয়েছিল তারপর থেকে কিছু নিতে পারি না ঘাড়ে। তাই বিকল্প হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করেছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58551.09
ETH 2617.32
USDT 1.00
SBD 2.44