" উড়ো চিঠি " ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ) by tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০১-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন।আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছুক ।তাই আজকে আমি একটি নাটক শেয়ার করতে যাচ্ছি।নাটকের নাম " উড়ো চিঠি "নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো .......
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | উড়ো চিঠি |
---|---|
পরিচালক | নির্জন নাহুল |
অভিনয় | নির্জন নাহুল, জুলকার নাফিজ, নাজিয়া বর্ষা |
দৈর্ঘ্য | ২৩ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং। |
নাটকের সার-সংক্ষেপ। |
---|
প্রথম ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে চারপাশে নির্জন ঘন সবুজ গাছপালা মাঝখান দিয়ে সুন্দর একটি রাস্তা পিছনে থেকে হেঁটে আসছে একজন এই নাটকের চরিত্রের নায়িকা এবং সামনে বসে আছে নায়ক। কিছুক্ষণ পরে দুজনে এক জায়গায় হয়ে নাটকের নায়িকা বলে আমি আমার বন্ধুদের সাথে করে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। এখন তাদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। তুমি একটু আমাকে সাহায্য করবে, তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য।তখন সে বলে আচ্ছা ঠিক আছে।
এরপরে দুজনা আস্তে আস্তে সামনের দিকে হাঁটতে থাকে। এদিকে নাটকের নায়িকা বারবার চেষ্টা করে মোবাইলে নেটওয়ার্ক আনার জন্য কিন্তু মোবাইলে কোন নেটওয়ার্ক থাকে না। তার বন্ধুদেরকে ফোন দিবে,সেটাও হচ্ছে না। তাই তারা তাদেরকে খুঁজতে থাকে।
এরপরে তার হারিয়ে যাওয়া সাথীদেরকে ফিরে পায় এবং তারা সবাই একত্রিত হয়। এর মধ্যে একজন বলে আমরা কোন ভাল একটা জায়গায় যেতে পারি।তখন নাটকের নায়ক বলে পাশে একটা সুন্দর জায়গা আছে, আমরা সবাই সেখানে গিয়ে বসতে পারি। এই বলে তারা সামনের দিকে রওনা দিল।
এরপরে সবাই যখন একত্রিতে বসে থাকে তখন নায়ক অন্য জায়গায় গিয়ে বসে ওর সাথে সাথে একটু বসে কিছু কথা বলি।এরপরে নায়িকা যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে তখন একটা ছেলেকে ভালোবাসে এই ভালোবাসার গল্প নায়কের সামনে সে বলতে থাকে। কিন্তু তখনও সে জানেনা এই নায়কই হচ্ছে তার সে অষ্টম শ্রেণী ভালোবাসার মানুষ।
নায়িকা তখন নায়কে বলে আমি যখন অষ্টম শ্রেণী পড়ছিলাম তখন সে আমাকে চুপি চুপি চিঠি লিখে একটা জায়গায় রেখে যায়। কিন্তু সে কখনো আমার সাথে দেখা করেনি। আমি চিঠি গুলো প্রথম দিকে অতটা লক্ষ্য না করলেও পরবর্তীতে আমি চিঠিগুলো নিতাম এবং দেখতাম। তার চিঠিগুলো কথা খুবই সুন্দর ছিল যা আমাকে বিমোহিত করেছে।
কিছুক্ষণ পরে তার বন্ধুরা তাদের কাছে এসে বলে তোরা এখনো গল্প করছিস? আমাদের তো এদিকে খুব খিদে পেয়েছে। এখন তো আমরা সবাই খেতে যাব তখন নাটকের নায়ক বলে পাশে একটা ভালো হোটেল আছে আমরা ওখানে যেতে পারি। এরপর তারা হোটেলের দিকে রওনা হয় ঠিক সেই সময় দুজন সন্ত্রাসী পিস্তল হাতে করে সামনে ধরে বলে তোদের কাছে যা আছে সবকিছু আমাদেরকে দিয়ে দে তখন সে বলে আমার কাছে তেমন কিছুই নেই।
এরপরে ওই দুই সন্ত্রাস তাদেরকে বলে তোরা মাথায় হাত উঠা এবার তারা হাত পিছনে দিয়ে বোনের মধ্যে হাঁটতে থাকে তারপরে তাদেরকে একটা গাছের সাথে সবাইকে এক দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে এর মধ্যে নায়ক বলে আমার একটু হিসু লেগেছে যদি আমাকে একটু বাইরে নিয়ে যেতে তাই বলে তাকে বাইরে নিয়ে আসে।
এরপরে নায়ক দাঁড়িয়ে প্রসাব ফিরে ঠিক সেই সময় সন্ত্রাস বলে কিরে তাড়াতাড়ি নে। কিন্তু নায়কটি খুব আস্তে আস্তে সব কিছু করতে থাকে সুযোগ বুঝে তার হাত থেকে পিস্তলটি কেড়ে নেয় এবং তাকে উল্টো পিস্তল ধরে বলে এবার কি হবে। এবার তাকে তার বন্ধুদের কাছে নিয়ে যাই।
এরপরে নায়কটি পিস্তল ধরে তাকে বলে তাদের বলে যা স্বর এখান থেকে আর আমাকে যা জানিয়েছে সেগুলো তুই নিয়ে নে এই কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে একজন হাতে এভাবে এক বাঁখার মারে আর এমনিতেই পিস্তলটি দূরে পড়ে যায় তখন তার অপলক চোখে পিস্তলটি দেখতে থাকে।
এই অবস্থা দেখে নায়ক তখন বলে তোমরা সবাই দৌড়াও এই বলে তারা চারদিকে দৌড়াতে থাকে। যে যেদিকে পায় সেদিকে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু এর মধ্যে নায়ক এবং নায়িকার একত্রিত দৌড়ায় এবং তারা একসাথে এসে এক জায়গায় থেমে যায় তখন নায়ক বলে তোমার তুমি যখন আমার সাথে তোমার গল্প শেয়ার করেছিলে তখন সবটুকু কিন্তু আমাকে বলনি এবার বলবে তোমার সবটুকু তখন নায়িকা তার শেষটুকু বলতে থাকে কিছু একটা বলে
নায়ক তার সব কথা শোনার পরে তাকে বলে আমি তোমার জন্য একটা গিফট দিব তখন নায়িকা বলে এটা না তুমি তোমার প্রিয় লোকজন কে দিবে তখন নায়ক বলে আমার তাকে দেয়ার দরকার নেই তুমি এটা নাও এবং তোমার জন্যই আমি এটা এনেছিলাম তখন নায়িকা তো হতবাক হয়ে নায়কের দিকে তাকিয়ে থাকে নায়ক এটা দিয়ে সে চলে যায়।
এরপর নায়িকা যখন বাক্সটি খুলে তখন সে দেখে এর মধ্যে অনেকগুলো চিঠি রয়েছে। একটি চিঠি বের করে দেখে সেই তার নাম লেখা আছে এবং তার মধ্যে একটি সুন্দর কানের দুল রয়েছে। সেটা দেখে বুঝতে পারে এ হচ্ছে তার সেই অষ্টম শ্রেণীতে যার সাথে না দেখে ভালোবেসেছিল সেই ছেলে তখন সে দেখে কেঁদে পড়ছিল।
এর মধ্যে একটা চিঠিতে লেখা ছিল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আর এর জন্যই মাঝেমধ্যে তোমাকে আমি চিঠি লিখে এখানে রেখে যাই আমি পাশে দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু কখনো সাহস হয় না তোমার পাশে দাঁড়ানো বা তোমার সামনে যাওয়া তাই আড়াল থেকে আমি শুধু তোমাকে একটু একটু করে দেখে যাই তোমার শেষ স্মৃতিতে যখন লেখা ছিল তুমি ঢাকায় চলে যাবে তখন আমার হৃদয়টা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছিল তখনই ভেবে নিয়েছিলাম যে আর তোমাকে পাওয়া হবে না।
ভালো থেকো আর ভালোবাসা নিও নিজের প্রতি খেয়াল রেখো।আর হ্যাঁ এটাই হয়তো তোমাকে দে আমার শেষ চিঠি।
" উড়ো চিঠি " এই নাটক থেকে এটা বুঝতে পারলাম যে নীরব ভালোবাসা কাকে বলে। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কেউ কাউকে কখনো দেখেনি শুধু চিঠির মাধ্যমে আদান-প্রদান। দুজন দুজনাকে দু প্রান্তে থেকে শুধু ভালোবেসে গেছে। যখন সামনে তাদের দেখা হল তখন জীবনটা ছিল কিছু পরিবর্তনশীল। যেটা প্রত্যেকটা জীবনে ঘটে থাকে আর তা হলো বিয়ে। যখন বিয়ে হয়ে যায় তখন ভালবাসার কোন রং থাকে না। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম। তবে নাটকটা অনেক ভালো ছিল আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে ধন্যবাদ সবাইকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিবো ১০ এর মধ্যে ৮.৫ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি পাশাপাশি একটি ব্যবসা করি।এ ছাড়া আমার একটি বাগান আছে। এবং বারে থাকে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।।
নাজিয়া বর্ষা নাটক গুলো অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। এর অনেক কয়েকটি নাটক দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এত সুন্দর নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট করেছেন তা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো আমার কাছে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। আমি এই নাটকটি যদিও এখনো পর্যন্ত দেখিনি কিন্তু আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। ভাবছি সময় পেলে দেখে নেব। এমনিতে আমার কাছে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে একটু বেশি ভালো লাগে। তারা দুইজন দুজন দুজনকে না দেখেই ভালোবেসেছিল। নাটকের পুরো কাহিনী ভীষণ ভালো লেগেছে।
বাস্তবে এমন প্রেমের কাহিনী আছে আপু।
বাহ আপনি খুব সুন্দর নাটকের রিভিউ করেছেন। আসলে সময়ের কারণে এখন তেমন একটা নাটক দেখা হয় না। আগে অনেক নাটক দেখতাম । আপনার উপস্থাপন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে আজ উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটক রিভিউ করার জন্য মাঝে মধ্যে নাটক দেখা লাগে ভাই।
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট করেছেন। এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি। এখন দেখার খুব ইচ্ছে হল গল্প পড়ে। মাঝেমধ্যে নাটকের নায়িকা বর্ষার কিছু নাটক দেখে থাকি। নাটকটি দেখার খুব ইচ্ছে জাগলো কারণ একদল সন্ত্রাসী তাদেরকে জিম্মি করেছে। তারপর কৌশলে সেখান থেকে ঢাকাত থেকে পিস্তল নিয়ে ডাকাতকে জিম্মি করে সবাই ছাড়া পেলেন। মনে হয় নাটকটি দেখতে খুব দারুণ হবে।
নাটকের শেষ টুকু আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাই
বাংলাদেশের নাটকগুলো খুবই ভালো লাগে পড়তে ও দেখতে।তবে এই নায়ক ও নায়িকা মনে হয় নতুন অভিনেতা।যাইহোক ভালোবাসার মানুষগুলো মনে হয় এভাবেই ফিরে আসে আবার হঠাৎ হারিয়ে যায়।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু