সাতটি ভিন্ন ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১১ রবিউল আওয়াল ১৪৪৫ হিজরি। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
আমার বিশ্বাস এই ফটোগ্রাফি টা সবার ভালো লাগবেই। এই ফটোগ্রাফি টা আমি করেছি প্রায় এক বছর আগে। এখানে যে প্রাণীটা দেখছেন সবারই জানা। এর নাম হল ফড়িং। ফড়িং বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে লাল সাদা কাল সাদায় মিশ্রিত। যেকোনো রঙে ফড়িং হোক না কেন এই ফড়িং সবার কাছে খুব প্রিয়। ফড়িং যখন উড়ে বেড়ায় তখন দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেকদিন আগে এই ফটোগ্রাফি টা করলেও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারে নাই। আজকে হঠাৎ করে আমার চোখের সামনে পড়াতেই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। এই ফটোগ্রাফিটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমি যত ফটোগ্রাফি করেছি তার মধ্যে এটা আমার নিজের কাছে জানিনা আপনাদের কাছে কতটুকু ভালো লেগেছে।
এখন শরৎ মাস ক্ষণে ক্ষণে আকাশের রং বদলাবে। শরত মাসে আকাশ গুলো খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। আজকে আমি যখন মাছের খাবার দিতে গিয়েছিলাম ঠিক তখনই বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম সূর্য আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে নিমজ্জিত হচ্ছে। অর্থাৎ সূর্য ডুবে যাচ্ছে এটা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। অন্যদিনের মতো আমি মোবাইল সাথে নিয়ে যায় না আছে কি মনে হল মোবাইল সাথেই ছিল। তাই দেরি না করে এই সৌন্দর্যটা মোবাইলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আমি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি প্রথমেই বলেছি শরৎ মাসের সৌন্দর্য হলো কাশফুল। সাদা বক যেমন পালক নিয়ে আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায়। ওই সময় আকাশের সৌন্দর্য দেখতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি যখন বাতাসে কাশফুল দোল খায় মনে হয় যেন সাদা বকের মতই সৌন্দর্য লাগছে। শরৎকালে প্রত্যেকটা মানুষের মূল আকর্ষণ থাকে হলো এই কাজ ফুল। এই কাশফুলের ছবিটা আজকে আমি তুলেছি। বাড়ি আসার সময় মাঠের এক পাশে দেখলাম একগুচ্ছ কাশফুল ফুটে রয়েছে। দেরি না করে সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি এই ফুলটা আপনাদের ভাল লাগবে।
রাস্তার পাশেই এই গাছটি ছিল। আমরা এই গাছকে ঝনঝনি গাছ বলে থাকি। জানিনা আপনাদের এলাকায় এ গাছের নাম কি বলে থাকে। ছোটবেলায় এই গাছের ফল দিয়ে আমরা অনেক খেলা করতাম। আর কোথাও যদি একটু কেটে যেত তাহলে আমরা এর রস ওই জায়গায় দিয়ে দিতাম। এ ফটোগ্রাফির মধ্যে একটা বিষয় রয়েছে, আপনারা সবাই লেডিবার্ড পোকা কে দেখতে পারছেন। এর মধ্যে আর একটা জিনিস রয়েছে, আপনাদের জন্য প্রশ্ন থাকলো সেই বই সেই জিনিসটা এখানে কি? আশা করি আপনারা সকলেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
শরৎতের আকাশ দেখতে কতই না ভালো লাগে, ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় বহুরূপী মানুষের মত করে। যখন আমি এই ছবিটা তোলার জন্য প্রস্তুত হই তখন আকাশটা ছিল পরিষ্কার। মুহুর্তের মধ্যে এক খন্ড মেঘ এসে ঢেকে গেল। আমার ইচ্ছা ছিল এখানে ধান এবং প্রাকৃতির এক সৌন্দর্যের দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। কিন্তু ওই যে বললাম শরৎতের আকাশ ক্ষণে ক্ষণে তার রং বদলায়। সবুজ শ্যামল প্রকৃতিটা যেন এক টুকরো মেঘে ঘন অন্ধকারে ঢেকে আসলো। তারপরও ফটোগ্রাফিটা করে আমি যখন দেখলাম বেশ ভালো লাগলো আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
এখানে একটা মজার বিষয়। আমি এই সময় মাছের খাবার দিয়েছিলাম। পাশে পুকুরে কিছু মাছ নড়াচড়া করছিল। কোথা থেকে এই বিড়ালটি ছুটে চলে আসলো। পুকুরের পাশে এসে মাছগুলো ধরার জন্য সে খুব চেষ্টা করল। কিন্তু সে পারল না যখন সে চলে যাচ্ছিল তখন তার দিকে যখন আমি ছবি তুলতে গেলাম সে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।এই বিষয়টি দেখে আমি হেসে পড়লাম আর বলতে লাগলাম বা বিড়াল তোর শখ হয়েছে ফটো ওঠার জন্য। আপনারা দেখুন বিড়ালের লোক দেখে বুঝতে পারবেন সে ফটো ওঠার জন্য কতটা আপ্লুত ছিল।
এখানে আপনারা বেশ কিছু কাশফুল দেখতে পারছেন। আসলে আমার উদ্দেশ্য এখানে কাশফুলের ফটোগ্রাফি করা নয়। আপনারা ঠিক কাশফুলের মাথার উপরের দিকে দেখতে পারছেন একটি পাখি উড়ে যাচ্ছে। এই পাখিটি আমি যখন ফটোগ্রাফি করতে যাই তখন সে সামনের দিকে এগিয়ে আসছিল। কাশফুল এবং এই পাখি মিলে খুব সুন্দর একটি দৃশ্য তৈরি হয়েছিল ওই সময়। তাই দেরি না করে সাথে সাথে ফটোগ্রাফিটা করে নিলাম। একদিকে কাশফুল অন্যদিকে শরৎতের আকাশ আর পাখি সব মিলিয়ে খুবই দারুণ একটি সৌন্দর্য এখানে তৈরি হয়েছিল। এই ছবিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
| সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। |
|---|
| ডিভাইসের নাম | Poco |
|---|---|
| মডেল | M2 |
| ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
| ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
| লোকেশন | https://w3w.co/trotters.smokeless.uses |
আজকেও আমি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। |
|---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1706666741437522288?t=NGl5OjVWE0O1JSeZWSmw9Q&s=19
ঠিকি বলেছেন ভাই শরৎ আসলেই যেনো আশ পাশ নতুন রুপে সেজে ওঠে।আজ আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করেছেন আপনি।
ভাইয়া আপনার সাতটি ফটোগ্রাফিই অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ঘাসের উপর ফড়িং বসে থাকার ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর। প্রতিটা ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি সবসময় চেষ্টা করে থাকি ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে তোলার জন্য। আপু আপনার মত ঘাসফড়িং এর ফটো আমারও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। শরৎ মাসের সৌন্দর্য কাশফুল। কাশফুল আমারো খুব পছন্দ। প্রত্যেকটি ছবির সাথে বর্ণনা ও দারুণ ভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু শরৎতের সৌন্দর্য হলো কাশফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এক ঝাঁক বক যেন পুকুর পাড়ে বসে আছে। চমৎকার মন্তব্য করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর কাশফুলের ফটোগ্রাফি দেখলাম ভাইয়া। শরৎ আসে কিন্তু কাশফুল আর দেখা হয় না। আপনাদের দিকে তাহলে কাশফুল দেখা যায়। বিড়ালের ব্যাপারটাও ভালো লেগেছে। বেচারা মাছ ধরতে গিয়ে আর পারলো না।
আমাদের এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কাশফুল জন্মায়। অনেক পুকুরের পাশে এই কাশফুল বেশি দেখা যায়। আর বিড়ালের বিষয়টা বেচারা মাছ ধরতে পারে নাই দৌড়ে পালাইছে।
সবসময়ই খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আসছেন আপনি। আজকেও একদমই অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমি এরকম ফটোগ্রাফি অনেক কম পরিমাণে দেখেছি। তবে আপনার কাছ থেকে এই ইউনিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি সবসময় চেষ্টা করি ভাই নতুন নতুন কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আমার এই ফটোগ্রাফি গুলা আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে আমার নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।