আমার তোলা রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
১৮ আশ্বিন মাস ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

২৮ রবিউল আওয়াল ১৪৪৫ হিজরি। ০৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু


বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।



১ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240928_063546.jpg

সবুজ শ্যামল দেশ আমাদের দেশ বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আমাদের এই দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময় আমাদেরকে মুগ্ধ করে। বর্তমান সময়ে ধান গাছ লাগিয়েছে মানুষ ধানগুলো কেবল মাঝারে আকারে ধারণ করেছে। ধানের মাঠের পাশে পুকুরপাড়ে রয়েছে পুকুর পাড়ে কিছু কলা গাছ। কলা গাছের উপরে সূর্যের আলোর রং পড়েছে দেখে মনে হচ্ছে সৌন্দর্য যেন এখানে চারিদিকে বিছিয়ে রয়েছে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদেরকে সবসময় মুগ্ধ করে আর এই সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। বর্তমান সময়ে চারিদিকে সবুজের মেলা কারণ ধানগুলো সবুজ হয়ে রয়েছে এখনো এই রং এর কোন পরিবর্তন হয়নি সুতরাং এগুলো দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর।


২ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240928_060436.jpg

চলছে বর্ষা কাল প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির কারণে চারিদিকে প্লাবিত হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে একটানা বর্ষার ফলে মানুষের জীবনযাত্রা বেশ ভিন্ন ঘটছে। গ্রামের মানুষের পুকুরে পাড় গুলো যেন ধসে গেছে। আর এর কারণে মানুষ চেষ্টা করছে চারিদিক থেকে মাটি কেটে গর্ত করে পানি বের করে দিতে। করে এমন একটি দৃশ্য পড়ে এক সাইডে। পানি পুকুর থেকে বের হয়ে গর্ত হয়ে কেনাল দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে এমন একটি দৃশ্য দেখে আর দেরি না করে একটি ফটোগ্রাফি করলাম এই ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


৩ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240924_170837.jpg

এই ফটোগ্রাফি দেখে নিচ্ছে আপনার বুঝতে পেরেছেন এটি আর অন্য কিছু নয় এটি হলো রেলস্টেশন। এইতো কয়দিন আগে রেলস্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিলাম আমারে প্রিয় ভাই মোহাম্মদ লিটন আলী। হয়তোবা যারা তাকে চিনেন হয়তোবা তাকে দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তিনি মিরপুরে থাকেন বিকেল বেলায় তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম পাশাপাশি একটু স্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আসলে বিকেলে স্টেশনে বেড়ানোর মজাটা অন্যরকম খুব ভালো লেগেছিল। স্টেশনের পাশগুলো ছিল বেশ সুন্দর যদিও আমি এর আগে অনেকবার গিয়েছি স্টেশনে পাস গুলো দেখে ভালো লাগেনি কিন্তু এই পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছিল শুধু একটাই কারণে বর্ষার কারণে সবকিছু ধুয়ে গিয়েছিল।


৪ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240924_153842.jpg

এই পাখিগুলো দেখে অনেকেই চিনতে পেরেছেন এই পাখির নাম হচ্ছে কোয়েল পাখি। প্রতি মঙ্গলবার বিশাল হাট বসে মিরপুরে আর এই হাটে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি আসে। এসব পশুপাখি গুলো কিন্তু ক্রয় বিক্রয় করা হয় বিক্রি করে মানুষ নিজের শখের জন্য বাড়িতে এনে পুষে থাকেন। আপনারা অবশ্য এটাকে চিনে থাকবেন এটা হল কোয়েল পাখি। বর্তমান সময়ের সবাই কোয়েল পাখি বাড়িতে বসে থাকেন এবং এই কোয়েল পাখির ডিম খুবই পুষ্টিকর। কোয়েল পাখি বাচ্চা খেলা দেখতে বেশ ভালো লাগে এই কোয়েল পাখির গায়ের উপর পশম গুলো ছিল না দেখে মনে হচ্ছে কোয়েল গুলো বেশ বয়স হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অতি পরিমানে ডিম দিয়েছে এখন তারা গোস্ত হিসাবে মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্যই মনে হচ্ছে হাটে নিয়ে এসেছে কোয়েল গুলো।


৫ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240924_153831.jpg

গ্রাম অঞ্চলের শহরে অনেক জায়গায় দেখা যায় খরগোশ আর এই খরচ গুলো মানুষ কিন্তু অনেক সময় নিজের বাড়িতে নিয়ে পুষে রাখে। তবে খরগোশ দেখতে ভীষণ সুন্দর মিরপুর হাটে আমি গিয়েছিলাম দেখলাম অনেকগুলো খরগোশ একটা খাচায় বন্দি করা রয়েছে হয়তোবা তারা বিক্রির উদ্দেশ্য এখানে নিয়ে এসেছে। তবে খরচ গুলো দেখতে বেশ সুন্দর ছিল না কারণ গায়ে ছিল বেশ নোংরা কিন্তু তারা বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে বলে মনে এমন কিন্তু এসব খরগোশগুলো বসে থাকে সেসব খরচ গুলো কিন্তু ভীষণ সুন্দর। আর একটা বিষয় তো আপনারা জানেন ছাগলের মতই খরগোস ঘাস খেয়ে থাকেন।


৬ নং ফটোগ্রাফি।


IMG_20240924_153813.jpg

এই পাখিটির নাম টিয়া পাখি এটা সবার কাছেই পরিচিত আর টিয়া পাখি গুলো দেখতেও ভীষণ সুন্দর। আসলে এই হাটে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি বিক্রয় করা হয়ে থাকে এর মধ্যে দেখলাম টিয়া পাখিও রয়েছে। যদিও বর্তমান সময়ে টিয়া পাখি গুলো দেখতে অনেক কম একটা সময় প্রচুর পরিমাণে গ্রাম অঞ্চলে টিয়া পাখি দেখা যেত এখন আর তেমন দেখা যায় না। এই টিয়া পাখি গুলো দেখে নিজের কাছে মনে হল অনেকদিন পরে পাখিগুলো দেখলাম। এই টিয়া পাখি গুলো যদি ছোট হতো তাহলে আমি কিনে আনতাম বাড়িতে পৌঁসার জন্য কারণ ছোট হলে বাড়িতে মানিয়ে নেয় কিন্তু বড় হলে সহজে পোস্ট মানিয়ে নেয় না সেদেরকে খাতা আবদ্ধ করে রাখতে হয় আর হবে আবদ্ধ করে রাখাটা আমার কাছে অসহ্য লাগে।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি।


ডিভাইসের নামPoco
মডেলM2
ফটোগ্রাফার@tuhin002
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 3 months ago 

প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী গুলো দেখলেই মনের অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।

 3 months ago 

টিয়া পাখি গুলো আমারও বেশ ভালো লেগেছে তবে ছেড়ে দিতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লাগেছে।আপনি খুবই সুন্দরভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আর সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো বিশেষ করে টিয়া পাখি দেখে যেন আমারও এই পাখি পালতে ইচ্ছা করলো।

 3 months ago 

চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

বাহ খুবই সুন্দর ছিল। চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। খরগোশ আমার খুবই পছন্দের প্রাণী। খরগোশ এবং টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার করেছেন। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

 3 months ago 

খরগোশ আমারও ভীষণ পছন্দের আর এগুলো বাড়িতে পোষা মানাতেও বেশ ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

অনেক সুন্দর ছিল আপনার তোলা আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো। আর প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখতেও অনেক ভালো লাগছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। আমার কাছে খরগোশের ফটোগ্রাফি গুলো এবং টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। অসাধারণ ভাবে সব ফটোগ্রাফি করে তুলে ধরেছেন।

 3 months ago 

আপনি খুব সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ফসলের মাঠের চিত্র যেমন ধারণ করেছেন তেমনি পানি বের হওয়ার সুন্দর দৃশ্য ধারণ করেছেন। খুবই ভালো লাগলো এমন বিভিন্ন রকমের ফটোগুলো দেখে।

 3 months ago 

ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি আর বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি দেখে যেন মুগ্ধ হলাম।

 3 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

ভাইয়া আপনি বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দৃশ্য ও টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। খাঁচার ভিতরের টিয়া পাখি দেখে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে। আপনি ফোগ্ৰাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

 3 months ago 

আপনি আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন।আসলে রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপভোগ করা যায়। তবে টিয়া পাখি ও খরগোশের ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 months ago 

আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক চমৎকার হয়েছে ভাইয়া । ঘরের পেছনে এমন পানি জমেছে না জানি কেমন করে যাতায়াত করছেন।