" জুমাবি ৫০ বছর পূর্তি মিলন মেলা অনুষ্ঠান -২০২২, পর্ব- ৬।১০ % প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য । by @tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৭ -০১-২০২৩)
যখন এই স্কুলের প্রতিষ্ঠিত হয় ঠিক সেই সময়ের শিক্ষক। আমাদের স্কুলে প্রথমদিকে শিক্ষকতা করেন তার মধ্যে ইনি একজন। ইনারা যখন শিক্ষকতা করেন তখন এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। সেই সময় উনাদেরকে অল্প টাকা করে বেতন দেয়া হতো। যদি উনি বলেছিলেন খুব বেশিদিন উনি এই স্কুলের শিক্ষকতা করতে পারেননি। যেহেতু তাদের বাড়ি থেকে এই স্কুলের দূরত্বটা ছিল অনেক বেশি। আর সেই সময় রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল খুবই করুন। স্কুলে যারা প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং এই স্কুলের জন্য যাদের অবদান আছে তাদের সম্পর্কে কিছু কথা বললেন আমাদের মাঝে তিনি তুলে ধরেন।
ওই সময় শিক্ষকের মধ্যে এনি আর একজন। ইনার মুখ থেকে শুনেছিলাম উনি বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস নেন। তিনি বলেছিলেন প্রচুর পরিমাণে কাঁদা আর এই কাদার মধ্যে আমরা বাড়িতে গিয়ে ছাত্র খুঁজে নিয়ে আসতাম। কারণ ওই সময় পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ মানুষের ছিল খুবই কম। যদিও মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। সে সময় মানুষ এক ওয়াক্ত খাবার ঠিকমতো খেতে পারত না। তো পড়াশোনা করার কথা তো তাদের মাথায় আসতো না। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিদিন বাড়িতে যেয়ে তাদেরকে বুঝাইছি এবং তাদেরকে যতটুকু পারা যায় স্কুলে আনা চেষ্টা করেছি। এবং আমরা তাদেরকে শিক্ষাদান করেছি। এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে আমরা প্রথম শিক্ষা দান করে দিয়েছি। আমাদের সেই কষ্টের ফলাফল ফলশ্রুতিতে আজকের এই সমাবেশ। আমার এখানে এই সমাবেশ দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও জীবনের শেষ সময়টা আমরা পদার্পণ করছে। উনার কথাগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে অনেক কিছু কথা বলেছিলেন।
ইনিও আমাদের সেই সময়কার একজন টিচার। তিনিও বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বেশি বলেছিলেন এই স্কুলে প্রতিষ্ঠা ব্যাপারে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার সময় তেমন জমি ছিল না। আশপাশে এই গ্রামে যারা মন্ডল মাতব্বার ছিল তারা সব জমি দান করে এবং স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দিক থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে স্কুলটি শুরু হয়। এরপরে কয়েকজন ব্যক্তি যাদের পরিশ্রমের দ্বারায় আস্তে আস্তে এই স্কুলটি বিল্ডিং এ পরিণত হয়। সেই সময় আসলে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। উনি বলেছিল যদিও আমার বাড়ি থেকে বিশ কিলো দূরে। এই স্কুল হতে তারপর শিক্ষাদানের জন্য আমাকে এখানে আসতে হতো। আর এই গ্রামে মানুষগুলো ছিল খুবই নম্র ভদ্র। যার জন্য সহজে তাদের সাথে মিশা যেত এবং তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে তাদের ছেলেদেরকে স্কুলে নিয়ে আসা যেত। আজকে আমরা এই স্কুলের পেছনে শ্রম দিয়েছি এরপরে কতজনে স্কুলে পেছনে শ্রম দিয়েছে আর এই তো শ্রমের পেছনে রয়েছে আজকের এই সফলতা। যে সফলতা আজকে আমি দেখতে পাচ্ছি এই সফলতা দেখে আমি আমার চোখে পানি ধরে রাখতে পারছি না। তিনি আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। যে কথাগুলো মানুষের অনেক অজানা কথাগুলো তার কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছিলাম।
এখানে যাকে দেখছেন ইনার পরিচয় এর আগেই দিয়েছে কিন্তু এনার সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি ।এই ছবিটা আপনার যাকে দেখছেন ইনি আমাদের ইংলিশ টিচার। তিনার নাম হল আবু হানিফ। তিনি কিন্তু ইংলিশ এর উপর খুবই দক্ষ একজন টিচার। যখন আমরা পড়তাম তখন আমাদের সাথে সবসময় ইংলিশেই কথা বলতো ক্লাসে। তিনি সব সময় স্মার্ট ভাবে চলাফেরা করেন যদিও তিনি খাটো। ইনি যখন এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তখন তিনি সবকিছু ইংলিশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সবাই হতবাক হয়েছে ছিল যে এত সুন্দর করে তিনি ইংলিশে কথা বলতে পারেন।
আমি কিছুদিন আগে একটি পোস্টে আমার টিচারের কথা আপনাদের তুলে ধরেছিলাম আজকেও কিছু কথা তার সম্পর্কে বলার আমি তার তার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই স্যার অত্যন্ত পরিচিত আমাদের গ্রামে। আমাদের গ্রাম প্রত্যেকটা লোক জানে অতি মানবীয় কিছু গুণ আছে তার ভিতরে। প্রতিটা মানুষের সাথে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। আমাদের গ্রামে কিভাবে উন্নয়ন হবে ঠিক সেটাই তিনি চান। এই ধারাবাহিকতায় তিনি স্কুল এবং গ্রামের সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তিনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তি আমাদের গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষেরই আছে।
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা যাকে দেখছেন ইনার নাম আজগর আলী। তিনি আমাদের সায়েন্সের শিক্ষক। এবং পাশাপাশি তিনি গণিত দিয়ে থাকেন। তিনি কিন্তু বরাবরই খুবই ট্যালেন্ট একটি শিক্ষক। আবার তিনি অনেক রসিক লোক। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খুবই মজার মজার কথা বলেন। এবং তিনি খুবই সুন্দর ভাবে শিক্ষাদান করে থাকেন। ঠিক তেমনি তিনি এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে খুবই কথা আমাদেরকে মাঝে বলেছেন। যে কথাগুলো অত্যন্ত সত্য। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমরা সব সময় ভালবাসি।
আপনারা এই ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ইনি হচ্ছেন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ইনার শ্বশুর ছিলেন আমাদের এই বিদ্যালয়ের প্রথম স্থপতি সদস্য। তার ধারাবাহিকতায় তিনি এখানে চাকরি করেন।এখানে সে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা তার শ্বশুরকে নিয়েই। তার শ্বশুরের নামে কিছু কবিতা লিখেছেন এবং সেই কবিতাগুলোই তিনি আজকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন।
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @tuhin002 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | poco M2 |
ক্যামেরা | camera-13MP |
আমার বাসা | জুগীর গোফা,গাংনী, মেহেরপুর। |
লোকেশন | https://w3w.co/tots.undertones.demanded |
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি পাশাপাশি একটি ব্যবসা করি।এ ছাড়া আমার একটি বাগান আছে। এবং বারে থাকে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।।
হ্যাঁ আপনি কিছুদিন আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু দৃশ্যপট শেয়ার করেছিলেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উপলক্ষে দারুন একটা অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিল। সত্যিই এই ধরনের মুহূর্তে স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী একইভূত হতে পারে। পুরনো যারা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় অনেক ভালো লাগে। আমাদের স্কুলের ৫০ বছরের হয়েছিল দুই বছর আগে অনেক দারুন মুহূর্ত পার করেছিলাম।
আপনি সত্যি বলেছেন ভাই ওই দিনের মুহূর্তগুলো ছিল খুবই আনন্দের।