লাইফ স্টাইল :- বিয়েতে আনন্দঘন মুহূর্ত, পর্ব ৩।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বেশ কিছুদি বেশি পড়লেও আজ কয়েকদিন দেখছি বেশ ভালো গরমও পরছে। সকাল সকাল সূর্য উঠছে মানুষের মধ্যে জড়তা কেটেছে। শীতের পরে গরমের এই আগমন আসলে মানুষের মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। যদিও গরম অধিকাংশ মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে না। চলতি বছরে এত পরিমাণ গরম পড়বে হয়তো মানুষের জন্য অসহ্য হয়ে পড়বে। তারপরও নিয়তি যেভাবে চালাবে সেভাবে আমাদের চলতে হবে। আমরা কেহই প্রকৃতির বাইরে নয়। তাই আজকে সকাল সকাল শুরু করে দিলাম। একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে সেখানে কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেটা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
অনেক অপেক্ষা করে বসে থাকার পরেও ছেলে পক্ষ মেয়ের পক্ষের বাড়িতে এসেছে। এর আগের পর্বে বলেছি টেবিলে বেশ কয়েকটা গ্লাসে পানি ছিল শরবত ছিল আরো অন্য কিছু ছিল পাশে কয়েকটা প্রিসে অনেকগুলো মিষ্টি ছিল। এইগুলো সবই বর এবং বরের সহপাঠীদের জন্য। আসলে এখানে যে বিষয়টি হয় সেটা কিন্তু সবার বেশ আনন্দ দেয়। অনেকজন বড়ে যাত্রা এসেছিল তারা সবাই সেখানে আসলো এসে সামনে একটি সুতা ছিল সেটা কাটল। এরপরের বরের জন্য একটা চেয়ার দেয়া হয়েছিল সে সেখানে বসলো সবাই এক জায়গায় জড়ো হলো এবং সবাই এর ভিতর একটা আলোচনা শুরু হয়ে গেল এই গ্লাসের মধ্যে কোনটা শরবত কোনটা লবণ কোনটা ঝাল। সাধারণত এইগুলো গ্রাম অঞ্চলের শহর অঞ্চলে বেশ মজার জন্যই করা হয়ে থাকে। আসলে বিয়ে মানে তো আনন্দ বিয়ের আনন্দ করার জন্য যা কিছু করার দরকার সবকিছুই করা হয়ে থাকে। এখানে তার ভিন্ন কোন কিছু হয়নি।
এখন শরবত খাওয়ার পালা। সব সময় বরের সাথে বরের দুলাভাই এ ধরনের মানুষ বেশি আসে এই সমস্ত কাজের জন্য। তেমনি বরের এক দুলাভাই সে আসলো এবং তিনি প্রত্যেকটা গ্লাসে মধ্যে আঙ্গুল দিলো এবং সেগুলো মুখে দিয়ে পরীক্ষা করে দেখল কোনটা ঝাল কোনটা মিষ্টি কোনটা লবণ। আসলে আমি প্রথম দেখলাম এখানে আঙ্গুল দিয়ে স্বাদ নেওয়া। আমি যতগুলো বিয়ে দেখেছি সেগুলো এভাবে করে না তারা এদেরকে বলা হয়ে থাকে আপনি যেকোন একটা আপনার হাতে তুলে বাছাই করে নিতে হবে। এই বিয়ের বিষয়টা একটু অন্যরকম ছিল এখানে কোন ধরা ধরতে কোন বিষয় ছিল না যেভাবে করবে সেভাবেই হবে কারণ এখানে গ্যাঞ্জাম যেন না হয় সেদিকে বেশি মনস্তর ছিল। যাক অবশেষে তিনি বুঝতেই পারছেন যে যেহেতু কোনটা মিষ্টি যেটা মিষ্টি সেটা তিনি চয়েস করলেন। আপনারা দেখতে পারছেন এই ব্যক্তি তার আঙ্গুল মুখের মধ্যে দিয়ে প্রতিটা গ্লাসের স্বাদ নিচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত যেটা শরবতের গ্লাস সেই গ্লাসটি তিনি নিলেন এবং বরকে দিলেন। যদিও শীতের সময় তাই অতটা শরবত খাওয়ার প্রতি কারো আগ্রহ আমি দেখলাম না। গরমের সময় হলে তৃষ্ণাতের যে যেভাবে পারত সেভাবে খেয়ে নিতো। আসলে শীতের সময় এ ধরনের পানি ও জিনিসের উপর মানুষের আগগো একটু কম থাকে। যাইহোক বর এবার শরবতের পান করল। টেবিলের সামনে অনেকগুলো মিষ্টি রয়েছে সেগুলো কিন্তু সবাই মিলেই খাবে। শরবতে গ্লাসে তো একটাই দেয়া হয়েছিল তাই একটা গ্লাসের পানি শুধু বরি খেয়েছে অন্য কেউ খেতে পারে নাই। তাতে কি হইছে এর মধ্যে থেকে অনেকটা আনন্দ তারা করেছে। এর ফাঁকে আমিও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ওই সময়টা বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার মেয়ে পক্ষ দিক থেকে দাদি অথবা নানী বরের মুখে মিষ্টি দিয়ে থাকে। এখানেও তার ভিন্নতা কিছু হয়নি। মে নানি এসেছিল বরের মুখে মিষ্টি দেওয়ার জন্য। দুই প্লেটে অনেকগুলো মিষ্টি ছিল এখানে যে মিষ্টিগুলো আনা হয় সেই মিষ্টিগুলো কখনো আর বাড়িতে ফিরে যায় না। বরের সাথে সাথে বরের পাশে যেসব মানুষগুলো থাকে সবাই মিষ্টিগুলো খেয়ে নেয়। তবে এখানে একটা বিষয় মেয়ের নামে সেটা করেনি যেটা হলো বরের মুখে মিষ্টি দিতে গিয়ে নিজেই খেয়ে ফেলে এই কাজটা উনি করেননি। এ কাজটি না করার জন্য আমার বেশ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে আনন্দ যেভাবেই হোক না কেন আনন্দের মধ্যে একটা ভদ্রতা রয়েছে। সেই ভদ্রতা এই বৃদ্ধ মহিলাটি দেখেছেন এখানে। এরপরে মেয়েরা একজন দাদি ছিল তারা মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য এগিয়ে আসছিল। যাক শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর ভাবে এই সময়টা কাটিয়েছি এবং এই সময়ের কাজগুলো সম্পন্ন করে পরবর্তীতে আমরা আবারো অন্য কাজে নিয়োজিত ছিলাম আজ এই পর্যন্তই শেষ।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/failing.pertinence.frontman |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1755071095282286845?t=39zRGEod86V1BspbG19gHA&s=19
বিয়েতে আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। একদমই ঠিক বলেছেন শীতকাল এজন্য হয়তো কেউ শরবত খেতে চায় নি। তবে হয়তো গরম পানির শরবত হলে খেতো। বরকে সবাই অনেক সুন্দর করে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই বর্তমান সময়ে যে অবস্থায় সময় যদি বিয়ে করে কেউ তাহলে তার জন্য ঘড়ায় করে পানি আনতে হবে সামনে।
এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করার মজাই আলাদা। আসলে বিয়ের পুরো সময়টুকু বেশ আনন্দের হয় এবং উপভোগ্য হয়। যাহোক আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।