জেনারেল রাইটিং:-উন্নয়নের পেছনে জনগণের ভূমিকা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো সরলতা নিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে যাবেন না,তাহলে নিজেই ধোঁকায় পড়বেন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ... |
---|
পৃথিবীতে সব মানুষ একইভাবে জীবনযাপন করে না প্রতিটা মানুষের জীবনযাত্রা মান ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আমরা যদি একটু উন্নত দেশের দিকে তাকিয়ে থাকি তাহলে দেখা যাবে যে তাদের জীবনযাত্রা মান কেমন এবং আমাদের জীবনযাত্রা মান কেমন। একটা দেশ যখন উন্নত হয় তখন ওই দেশে জনগণের মান উন্নত হয়। একটা দেশে মূল চালিকা শক্ত হলো জনগণ জনগণ যদি চায় তাহলে যে কোন দেশকে উন্নত স্বর্ণ শিখরে করে পৌঁছে দিতে পারে। যে দেশে বেশি জনসংখ্যা সেই দেশ বেশি উন্নত। জনগণ তাদের নিজ জায়গা থেকে দেশ সমাজ এবং পরিবারকে উন্নত করতে পরিপূর্ণভাবে সহায়তা করে। কোন পরিবারের যিনি কর্তা তিনি যদি বসে থাকেন তাহলে ওই পরিবার কখনোই উন্নত করা সম্ভব নয়। আবার করতে যদি ওই পরিবারের সকল কাজকর্মে করে থাকে এবং পরিবারে আর বাকি মানুষ যদি বসে থাকে তাহলে ওই পরিবার উন্নত হবে না। যেমন একটা পরিবারকে উন্নয়ন করতে হলে পরিবারের সকল মানুষ তার নিজ নিজ জায়গা থেকেও পরিশ্রম করতে হবে ঠিক তেমনি দেশের উন্নত করতে হলে দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে যারা বড় বড় পদে রয়েছেন তাদের উচিত দেশের সম্পর্কে ভাব এবং দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা করা। আমরা জানি যে যে কোন কাজ করলে তার পরিকল্পনা সেই কাজের অর্ধেক সম্পন্ন করে থাকে। আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আমাদেরকে নিজের জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।
প্রত্যেকটা মানুষ তার পরিবার সমাজ এবং দেশের জন্য কাজ করে থাকেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। আমরা এখানে একটা উদাহরণ দিতে পারি মনে করেন যে কোন হতদরিদ্র মানুষ কোন জায়গা থেকে কিছু ঋণের মাধ্যমে বা কারো কাছ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে একটা ছাগল ক্রয় করল। কয়েক বছর ওই ছাগল পালন করার পরে সে বিক্রি করল। এতে করে কি সেই ব্যক্তি শুধু নিজের আর্থিকভাবে সেই লাভবান হলো এবং নিজের স্বাবলম্বী হল না দেশেরও কিছু লাভ হলো। আপাতত দৃষ্টিতে আমরা মনে করি যে আমি নিজে ছাগল নিজে বিক্রি করেছি এখানে আমি নিজে লাভবান হয়েছি। আসলে একদিকে যেমন আমি নিজে লাভবান হয়েছি অন্যদিকে তেমন সমাজ এবং জাতীয় ও রাষ্ট্র উন্নত হয়েছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এটা কিভাবে হইল। আমরা সবাই জানি চামড়া বাংলাদেশের একটা অন্যতম ও রপ্তানি পণ্য। ছাগলের চামড়া আমরা বিদেশে রপ্তানি করে সেখানে কিছু টাকা অর্জন করতে পারি। আবার চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করা হয় আবার এই জুতা বিক্রি করেও লাভবান হতে পারে একটা রাষ্ট্র। তাহলে এ থেকে বোঝা যায় যদি কোন পরিবার থেকে কোন কিছু ও আয় উন্নয়ন হয় এটা রাষ্ট্রের প্রতি প্রভাব পড়ে। তাই রাষ্ট্রের উচিত যে কোন বিষয়ের প্রতি জনগণের প্রাধান্য দেয়া কারণ একটা জনগণই পারে রাষ্ট্রের উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে।
একদিকে যেমন জনগণ দেশকে উন্নয়ন করতে পারে আবার এই জনগণ একটা দেশকে ধ্বংসের মুখে পতিত করতে পারে। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে এটা কিভাবে সম্ভব তাহলে এখানে উত্তরটা এমনই আসবে যে, দেশের জনগণ যদি অকরমূত হয় যদি তারা কাজ কর্মে যদি মনোনিবেশ না করে এবং তারা সব সময় যদি বসে থাকে তাহলে ওই দেশ কখনোই উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে করে পৌঁছাতে পারবে না। এতে করে একটা রাষ্ট্র দিন দিন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে থাকবে। আমরা সবাই জানি দেশ থেকে যারা বাইরের দেশে যায় তারা কঠোর পরিশ্রম করে এবং অনেক টাকা ইনকাম করে। কিন্তু ওই ব্যক্তি বা ওই মানুষের দেশে থেকে কিন্তু ওই পরিমাণ পরিশ্রম করে না। আর এই পরিশ্রমটা না করার কারণ হলো দেশে থেকে যে পরিমাণ পরিশ্রম করে সেই পরিমাণ সে পারিশ্রমিক পায় না। আমাদের দেশে একজন মানুষ সর্বোচ্চ সারাদিন ইনকাম করে ৫০০ টাকা। তাহলে সে মাসে ইনকাম করে ১৫ হাজার টাকা। অথচ ওই ব্যক্তি ওই পরিমাণ ওই সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করে সে বাইরের দেশ থেকে ইনকাম করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাহলে নিশ্চয়ই বোঝা যায় দেশের মানুষ বাহিরের দেশে গিয়ে বেশি টাকা কামিয়ে থাকেন যার জন্য মানুষ বাইরে যাওয়ার আগ্রহটা বেশি থাকে। আমাদের দেশের সরকার প্রধানদেরকে এটা নিশ্চয়তা করতে হবে যে দেশের মানুষ যেন তা ন্যায্য পারিশ্রমিকটা পাই। এতে করে মানুষের পরিশ্রমের আর যেমন বাড়বে তেমন তাদের কাজের প্রতি মন নিবেশ করতে পারবে। বাইরের দেশগুলো উন্নতি কেন এত তারা কঠোর পরিশ্রম করে। তাদের অবসর সময় বলতে কিছু নেই।
আমরা জেনেছি বৃটিশরা এত পরিমাণ জীবনেও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বা শোষণের মধ্য দিয়ে তারা নিজের দেশকে এতটাই উন্নয়নের সমস্যা করে পৌঁছে দিয়েছে তারা নাকি এখন কাজ করে না। শুধু ব্রিটিশরা ব্যতীত পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশ তাজরা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে থাকে এবং তার জন্য তারা আজকে দেশে সর্বোচ্চ জায়গায় নিজেদেরকে নিয়ে গিয়েছে। তাই মনে রাখতে হবে একটা দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই জনগণকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং জনগণের সুযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের দেশের লোক কঠোর পরিশ্রমী যদি তাদেরকে একটু সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া হয় তাহলে তারাও আমাদের দেশকে একদিন উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে করে পৌঁছে নিয়ে যাবে। তাই দেশের সরকার এবং সরকার প্রধানের যারা আছে তাদের উচিত এই দেশের গরীব জনগণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এইটা বাস্তব কথা। মানুষ যদি সরলতা নিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে যায় তাহলে সেই মানুষটা নিজেই একসময় ধোঁকা পড়ে যায়। একটা কথা ভালো লাগলো যে একটা দেশ যখন উন্নত হয় সেই দেশের জনগণের মান ও উন্নত হয়। এটাই ঠিক। একটা পরিবারকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য সবাইকে কর্মঠ হতে হবে একজনের উপর নির্ভরশীল হলে পরিবার চলবে না। তেমনি আমাদের দেশটাকে উন্নত করার পিছনে জনগণের অবদান লাগবে । আপনি একটা ছাগলের উদাহরণ দিয়ে কি সুন্দর ভাবে আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। সত্যি ভাই আপনি অনেক সুন্দর কাজ করেন এবং সব সময় ভালো কিছু উপদেশ আমাদের দেন। বর্তমান সময়ের তো সরকার ঠিকই হতদরিদ্রের সাহায্য করে কিন্তু বড় বড় রাঘব বোয়ালরা তারা সবাই লুটেপুটে নেই।এ কারণে তারা সাহায্য পায় না।
আসলে ভাই জনগণই পারে একটা দেশের মেরুদন্ডকে ধরে রাখতে। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনি কিন্তু বেশ বাস্তবিক একটা টপিক তুলে ধরে আজকের এই পোস্টটা লিখেছেন। আসলে জনগণ চাইলে একটা দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যারা সরকার এর পদে আছে তাদের উচিত সাধারণ জনগণদের পাশে থাকা এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। অনেক সুন্দর করে এত সুন্দর একটা পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সরকার যদি জনগণের সুবিধাকে নিশ্চিত করেন তাহলে জনগণে অনেকটা দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের দেশকে।
উন্নয়নের পেছনে জনগণের ভূমিকা পোস্ট টা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। আর আপনি যে কথাগুলো লিখেছেন এগুলো কিন্তু একেবারে সত্যি। জনগণরা যদি চেষ্টা করে তাহলে একটা দেশকে অনেক বেশি উন্নত করতে পারবে, আর গরিব মানুষদের যদি সরকার পাশে থাকে এবং তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে অনেক কিছুই করতে পারবে।
জনগণকে সর্বোচ্চ অধিকারটা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে এবং তাদের কাজ করার সহজ করতে হবে তাহলে সম্ভব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। একটি দেশের দক্ষ জনশক্তি নির্ভর করে ঐ দেশের উন্নয়ন কতটা হবে। দক্ষ জনশক্তি প্রডিউস করতে পারে না বলেই আমাদের দেশের এই অবস্থা। ছাগলের উদাহরণটা ভালো ছিল ভাইয়া। আসলে রাষ্ট্রের উচিত জনগণের সকল অধিকার পূরণ করা।
সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে দেশ ও জাতি উভয় হবে।