নাটক রিভিউ:- সাদাকালো মন, পর্ব -২১।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" সাদা কালো মন , পর্ব- ২১" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

একটা বিষয় সম্পর্কে সবাই একমত হবেন সেটা হল কোন বদমেজাজি বা রাগী লোকের কাজ করতে যাওয়াটা বিপদজনক। নাপিত এসেছে জমিদারের ছেলের চুল কাটতে। সে তাকে জিজ্ঞাসা করছে ভালোভাবে চুল কাটতে পারবি তো সে তখন বলছে আমি আপনার স্টাইল দিয়ে চুল কেটে দেব। তখন সে বলে তুই যেভাবে বলছি সেভাবে যদি আমার চুল কাটতে না পারিস তাহলে তোর মাথাতে চুল নিয়ে যতটুকু আছে কেটে ঢোল ঢেলে পাড়া ঘুরে নিয়ে বেড়াবো। এই কথা শুনেই তো নাপিতের হাত-পা কাঁপতে শুরু করল। এরপরে নাপিত দৌড়ে পালিয়ে গেল। আর এটা দেখে তারা হাসাহাসি করল।

সৎ মা কখনো আপন হয় না তার প্রমাণ আবারও দিল। তন্ত্র মন্ত্র কাজ থেকে হলুদ পড়ে নিয়ে এসেছেন এবং সেই হলুদ নাদিয়ার গায়ে দিয়ে দেবে বলে নাদিয়ার সাথে প্রথমে ভালো আচরণ করেন এই আচরণ দেখে নাদিয়া সন্দেহ হয়। তার সৎ মাতাকে বলে যে এই হলুদ গায়ে দিলে তুই আরো সুন্দর হবে ফর্সা হয়ে যাবে। কিন্তু নাদিয়া তার সৎ মায়ের কথাবার্তা একটু ভালো লাগেনি সে মনে মনে ভাবছে সে আজকে আমার সাথে এত ভালোভাবে কথা বলছে কেন নিশ্চয়ই কোন কারণ রয়েছে। আর স্বার্থ ছাড়া যে তার মা কোন কথা বলে না সেটা সে আগে থেকে জানে। সেও মনে মনে বলল যে আমি কখনো এটা আমার গায়ে দেব না। এখানে একে অপরের চালাকি চলছে।

নিজের ভাতিজাকে একটু বেশি সুন্দর করে চলাফেরা করার জন্য দর্জি নিয়ে এসেছে বাড়িতে। ধৈর্য অনেকক্ষণ বাড়িতে বসে আছে তার ভাতিজার বাড়িতে ছিল না বলে সে বসেই রয়েছে এবং অপেক্ষা করছে। তখন দর্জি বলছে আমি চলে গেলাম বাড়িতে আমার অনেক কাজ রয়েছে তখন সে বলছে তোর যতটুকু সময় বা টাকা ইনকাম কম হচ্ছে ততটুকু পুষিয়ে দিলেই হবে। এই কথা বলতে বলতে তার ভাতিজা চলে আসে এবং তার গায়ের মাপ নিতে শুরু করে। আসলে দর্জির কাছে তারা বিয়ের সামগ্রী জিনিসগুলো বানানোর জন্যই দর্জিতে বাড়িতে আনা হয়েছে এবং তার গায়ের মাপগুলো নেয়া হচ্ছে।

বহুদিন পরে নিজের ভাইকে পেয়ে অনেকটা সময় পার হয়ে যাচ্ছে। অনেক দূর থেকে এসেছে খাওয়া দাওয়া হয় নাই সে ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। জাহিদ হাসান এবং তার ভাই বাড়িতে আসার পরে না দিয়া বলে সেই কখন গিয়েছেন আপনারা। উনি আমার মেহমান আমার বাড়িতে এসেছে এখন পর্যন্ত কোন কিছু খেতে পারি নাই এটা কোন কথা হলো। তখন জাহিদ হাসানের ভাই বলছে না বোন অনেকটা দিন তার সাথে আমার দেখা নেই তার সাথে কথা বলতে বলতে আসলে কখন সময় পার হয়ে যাচ্ছে আমি সেটা নিজেও বুঝতে পারি নাই। আর অনেক দিনের জমানো কথা এত সহজে তো শেষ হয় না। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলতে থাকে।

জাহিদ হাসানের যে ভাই এখানে এসেছে সে হলো ভূমি অফিসে চাকরি পেয়েছে এবং সে চাকরি করে এবং সেই বিষয়টা তাদেরকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়টা যদিও নাদিয়ার বাবা মা জানে না। জাহিদ হাসান তাকে বলছে চাচা আপনি চিন্তা করবেন না আমার ভাই এখানে এসেছে আমাদের জমিগুলো সব তারা বের করে দেবে। এই কথা শুনে না দেয়ার বাবা তো খুবই খুশি তখন সে বলে তোর জমিগুলো বের হয়ে গেলে তোদের জন্য তাই গাছপালা লাগাবো আর বাড়ি বানাবো আবার তোদের আগের মত করে দিব। আমি যদি এগুলো করতে পারি তাহলে তোর বাবার কার আত্মার শান্তি পাবে এবং তার কাছে আমি আর ছোট হয়ে থাকতে পারছি না। তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন তার জন্য যদি এইটুকু করতে পারি তাহলে নিজের কাছে একটু ভালো লাগবে বাপ। এদিকে নাদিয়া সৎ মা পেছন থেকে সবকিছু শুনছে আর বলছে যে তোমাদের এই পরিকল্পনা আমি সবই ভেস্তে দেব। আসলে খারাপ কখনো ভালো হয় না তার প্রমান আবারও সে দিল।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।