" বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা - ২০২৩" ১০ % প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য । by @tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি, আজ মঙ্গলবার । (২৪ -০১-২০২৩)
এই ফটোগ্রাফি তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো মানুষ চারদিকে দাঁড়িয়ে। আর এইসব মানুষগুলো সবাই এই খেলা দেখার জন্য এসেছে এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং গ্রামের কিছু মানুষও রয়েছে। আরো রয়েছেন ওইসব স্কুলের শিক্ষক মন্ডলীরা। এখানে লাফ ঝাপ খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আরে খেলা দেখার জন্য এত মানুষের ভিড়। আসলে এই সমস্ত খেলা গুলো খুবই মজাদার। তবে বর্তমানে সব খেলা গুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্তের পথে।
এত মানুষগুলো দেখে আমিও একটু সামনে দিকে এগিয়ে গেলাম এবং সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলাম একটা ছোট মেয়ে দৌড়ে আসছে এবং দড়ির উপর দিয়ে এসে লাফ দেয়ার জন্য প্রস্তুত নিয়েছেন। যদিও মেয়েটি দড়ির উপর থেকে লাফ মারতে পারে নাই। লাফ মারতে গিয়ে দড়ি পড়ে যায়। আপনারা তার পায়ের নিচে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে তার পায়ে দলটি বেধে যায়। আর এ কারণে সে প্রতিযোগিতায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পারে না। কিন্তু তার দেখে বোঝা যাচ্ছে তার চেষ্টা ছিল কিন্তু সে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
প্রথম প্রতিযোগিতা তার খেলা শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয় প্রতিযোগী দৌড়ে আসে। এই মেয়েটির নাম আছে লুকমা। এ মেয়েটি দৌড়ের গতি দেখে আমি ভেবেছিলাম এই হয়তোবা দড়িটির লাফ দিয়ে এদিকে চলে আসতে পারবে। কিন্তু সেও সফলকাম হয় না। দড়ি থেকে ঝাঁপ মারতে গিয়ে দড়িটা তার পায়ে বেধে যায় এই মেয়েটার, আর সে পড়ে যায়। আর পড়ে যাওয়ার কারণে সেও প্রথমবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে পারেনি।
আর খেলা গুলো পরিচালনা করছেন যেসব শিক্ষক মন্ডলীগণ তারা সবাই দাঁড়িয়ে আছেন। একে অপরে আলোচনা করছেন এর মধ্যে সালাউদ্দিন নামে একটি স্যার তিনি খাতা এবং কলম ধরে আছেন কে কতটুকু লাফ মারছে সেটা খাতায় লিখে রাখছেন। চশমা চোখে দিয়ে যে শিক্ষকটি দাঁড়িয়ে আছেন উনার নাম আব্দুল মাবুদ তিনি হলেন শারীরিক শিক্ষক যাকে আমরা গেম টিসার বলে থাকি। উনারা খুবই দক্ষতার সাথে খেলা গুলো পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ছেলেটিকে দেখতে পারছেন আমার সাথে, এই ছেলেটির নাম আরিফুল ইসলাম।সে এই প্রতিযোগিতায় চারটি খেলা দিয়েছে । আমি তাকে বললাম তোর খেলার খবর কি? সে বলল চাচা আমি তিনটাতে ফার্স্ট হয়েছে এবং একটাতে সেকেন্ড হয়েছে। অবশ্যই এর মধ্যে যেটি একটি ফাস্ট হয়েছে সেই খেলাটা আমি দেখেছি। এই ছেলেটা অনেক দূরে লাফ মারলো। ছেলেটা খেলার প্রতি তার একটা আগ্রাসী মনোভাব ছিল। আর এর ফলে এসে এতগুলো প্রাইস পেতে সক্ষম হয়েছে। শুধু এই নয় এই ছেলেটা খুব সুন্দর ফুটবল খেলে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি মঞ্চ। আর এই মঞ্চে বসে আছেন কিছু গণ্যবান ব্যক্তি। এখানে যে ক্রিয়া প্রতিযোগিতা চলছে এই প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম এবং দ্বিতীয় হচ্ছে শুধুমাত্র তাদেরকে পুরস্কৃত করার জন্য এই লোকগুলি বসে আছেন। এদের মধ্যে আছেন সভাপতি সহ-সভাপতি প্রতিটা ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং গ্রামের কিছু মান্যগণ্য ব্যক্তি বর্গ।যখন আমি তাদের সামনে একটি ফটোগ্রাফি তুল পরে একটা লোক আমাকে দেখে একটু হেসে ওঠে। এই প্রতিযোগিতার জন্য যে মানুষটি তৈরি করেছে মানুষটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে খুবই চমৎকারভাবে মানুষটি তারা তৈরি করেছেন। সব মিলে খুবই সুন্দর একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সবাই অংশগ্রহণ করেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @tuhin002 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | poco M2 |
ক্যামেরা | camera-13MP |
আমার বাসা | জুগীর গোফা,গাংনী, মেহেরপুর। |
লোকেশন | https://w3w.co/tots.undertones.demanded |
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি পাশাপাশি একটি ব্যবসা করি।এ ছাড়া আমার একটি বাগান আছে। এবং বারে থাকে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।।
এরকম বিভিন্ন রকমের খেলার মাঝেও আমাদের দক্ষতার প্রকাশ ঘটে। ছোটবেলায় এইরকম খেলা করো প্রচুর খেলতাম যেগুলো এখন মনে পড়লে বেশ ভালোই লাগে। স্কুলে যখন এরকম বিভিন্ন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো তখন সবাই মিলে খুবই মজা করে অংশগ্রহণ করতাম। আপনার পাশে যে ছেলেটি দেখলাম সে তো দেখছি বেশ ভালোই দক্ষ খেলার প্রতি। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন এই পোস্ট শেয়ার করে বেশ ভালো লাগলো।আমাদের সবার জীবনে স্কুল জীবনের অনেক মুহূর্ত রয়েছে যেগুলো কখনো ভোলার না তার মধ্যে খেলা হচ্ছে অন্যতম। এখন তো চারিদিকে এরকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। ভালোই ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।
শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে খুব ভালো লাগে। ছোটবেলায় কত রকমের খেলা খেলেছি আসলে আপু সত্যি বলতে ছোটবেলা স্মৃতিগুলো সহজে ভুলা যায় না।
ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় গিয়ে তো দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এরকম খেলা গুলো আমরা আগে স্কুলে থাকতে দিয়ে থাকতাম। আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো। স্কুল জীবনের খেলার সেই মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্ট দেখে এবং পড়ে। পুরো পোস্ট কিন্তু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য দেখি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করলেন। যে ছেলেটির কথা আপনি বললেন তার মনে হয় খেলার প্রতি অনেক দক্ষ রয়েছে। ভালোই ছিল আপনার লেখাগুলো।
সত্যি আপু স্কুল জীবনের মত আনন্দ আমি কখনো করি নাই।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বর্তমান সময়ে যেন এই ধরনের খেলা গুলো প্রায়ই বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে। এই জন্যই মূলত বাংলাদেশের সরকার উদ্যোগ নিয়ে এই খেলাগুলোর আয়োজন করে চলেছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ যে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান দ্বারা অধিকার করছে তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
তবে এই ধরনের খেলা গুলো আমাদের বর্তমান সমাজে বেশি বেশি হওয়া দরকার।
আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন সুন্দর একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যা দেখতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার ফলে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনি দেখছি ওখান থেকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন এবং তার বিস্তারিত বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যা করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। হয়তো গেলে পারে বাস্তবে দেখতে পারতাম জানতে পারতাম কিন্তু তা না জানতে পারলে আপনার পোস্ট এর মধ্য দিয়ে করে দিয়েছেন,তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ছোট ছেলে পেলে খেলা খেলছিল দেখে অনেক ভালো লাগছিল ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যেটা শীতের মৌসুমে হয়ে থাকে। প্রতিটা স্কুলের প্রাঙ্গনে এই ধরনের আয়োজন যেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা অনুপ্রেরণা দেয়। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আমাদের এই দিকে কোন পর্যন্ত বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়নি অনেকদিন হলো উপভোগ করা হয় না।
এসব ক্রিয়া প্রতিযোগিতা প্রত্যেক বছর হলে আসলেই ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে।
ঠিক বলছেন ভাইয়া প্রতিবছরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। এর মাধ্যমে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে নিজের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবং সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা দুইটাই আমার অনেক ভালো লাগে।আপনি বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন স্কুলের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ দেখে।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি অনেক জমজমাট একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু
বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতা বছরের শুরুতে এই শীতের সময়ই হয় সব স্কুলগুলোতে। এখানে হারিয়ে যাওয়া অনেক খেলাই দেখা যায়। আপনার পোস্ট পড়ে স্কুল জীবনে চলে গিয়েছিলাম।আপনি সবকিছুই খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আশাকরি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বহুদিন পরে এ ধরনের খেলা গুলো দেখলাম আপু দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।
আপনার বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা - ২০২৩ এর পোস্টটি দেখে স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। এমন দিনটি খুব বেশি মিস করছি। যাই হোক আপনি দুটি প্রতিযোগিতার ছবি পোষ্টে উল্লেখ করছেন। সেখানে দুটি মেয়ে হাই দড়ি লম্ফ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছেন এবং দুজনেই ফেইল মারছে। আসলে হাই দড়ি লম্ফ একটি কঠিন খেলা বটে । সবার দ্বারা এই খেলায় সফল হওয়া সম্ভব না। কিন্ত ছেলেটি বেশ ভালো করেছে সে চারটি খেলায় অংশগ্রহণ করে তিনটিতে ফাস্ট হয়েছেন এবং একটিতে সেকেন্ড হয়েছে। ধন্যবাদ ছেলেটিকে। আমাদের প্রতেকেরই উচিত এই রকম হারিয়ে যাওয়ার মতো প্রতিযোগিতা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।