" গ্রামের সভায় কিছু মুহূর্ত " ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ) by tuhin002
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯ - ০২ - ২০২৩)
আমি যে কোন জায়গায় যদি যাই আগে মিষ্টি জাতীয় কোন জিনিস খায়।কারন আমি মিষ্টি খুব বেশি পছন্দ করি। আমাদের গ্রামে সভা হয়েছিল। সেখানে গেলাম গিয়ে দেখে জিলাপি ভাজচ্ছে।যে লোকটি জিলাপি ভাজে উনি দাদা হয় সম্পর্কে। দাদাকে বললাম আমাদের এক কেজি জিলাপি দেন। যেহেতু গরম জিলাপি খেতে বেশি ভালো লাগে তাই উনাকে চিকন করে এক কেজির মতো জিলাপি বানিয়ে দিতে বললাম। জিলাপি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগছিল মচমচে ছিল। আমরা জিলাপি খাওয়ার পরে যে জিলাপি বিক্রি করছিল তার একটি ফটোগ্রাফি তুললাম।
অনেক বিক্রেতার মধ্যে এই হচ্ছে পেয়ারা এবং কামরাঙ্গা বিক্রেতা। আমি তার কাছে গিয়ে বললাম কিছু পেয়ারা দেন। পরিমাণ পেয়ারা আমাদেরকে কেটে সুন্দর করে মিশিয়ে দিল। আসলে পেয়ারা সরিষা বাটা কাঁচামরিচ এবং ধনে বাটা দিয়ে যদি সুন্দর করে মাখিয়ে খাওয়া যায় তাহলে খেতে অনেক মজা লাগে। উনি যখন পেয়ারা কাটছিল তখন আমি ওনাকে একটি ফটোগ্রাফি তুললাম।
আপনার দেখতে পাচ্ছেন ইনি হল পেঁয়াজ বড়া বিক্রেতা। এই ভাইটি বহুদিন ধরে এই পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছে। যদিও তিনি পেঁয়াজ বড় বলে আলু দিয়ে ভেজে বিক্রি করে। তারপরও গরম গরম পেঁয়াজি খেতে বেশ ভালই লাগে।যাই হোক পাশে যে ছোট ছেলেটি বসে ছিল ওই ছেলেটা হচ্ছে এই ভাইয়ের সন্তান। আমি তাকে বললাম বাবু আমাকে কিছু পেঁয়াজি দাও তো। এখান থেকে কিছু পেঁয়াজি কেনার পরে আমরা তার একটি সেলফি তুলে নিলাম।
এই ভাইটি এখানে চটপটি এবং ফুচকা বিক্রি করছে। যদিও চটপট এবং ফুচকা আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। মাঝেমধ্যে এ ধরনের খাবার খেতে বেশ ভালই লাগে। এখানে গিয়ে দেখি এই দুইটা বাচ্চা এগুলো খাচ্ছে। তো ফুচকা বিক্রেতাকে কিছু ফুচকা এবং চটপটির দুটোই দিতে বললাম আলাদা আলাদা পেলেটে করে। যখন তিনি এগুলো তৈরি করতে লাগলো ঠিক সেই ফাঁকে আমি ওনার একটি ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম এবং সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
এই ভাইটির নাম আরিফুল ইসলাম।ইনি এখানে ডিমের মামলেট রসুনের চপ,আলুর চপ,চিংড়ির চপ, মাশরুমের চপ ইত্যাদি তৈরি করে থাকেন। আমরা উনার কাছে গিয়ে সব রকম একটা একটা করে খেলাম। যদিও চিংড়ির চপ আমি খাই না কারণ আমার গায়ে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি যার জন্য চিংড়ির চপ একেবারে নিষিদ্ধ। তবে ওনার তৈরি খাবার গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছিল।
অনেকজন অনেক কিছু বিক্রেতা করতে এসেছে এর মধ্যে এ ভাইটু একজন ইনি বিক্রি করতে এসেছে পপকন। অবশ্য আমাদের গ্রামের ভাষা এটাকে বলা হয় ভুট্টার খই এইটা খেতে বেশ ভালই লাগে অবশ্য এটা আমরা ক্রয় করিনি কারণ এটা খাওয়ার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না আর সবচেয়ে বড় কথা এত পরিমান খাওয়া হয়ে গিয়েছিল যে এটা খাওয়ার প্রতি কারো সেই ধরনের রুচিবোধ ও ছিল না তাই খাওয়া হয়নি।
এখানে এই ভাইটি বিক্রি করছে সন্দেশ কদমা বাতসা আর চিনি দিয়ে তৈরি করেছে আকারটা অনেকটা পাখির মত দেখতে বেশ ভালই লাগলো। যেহেতু আমরা মিষ্টি জাতীয় কিছু জিনিস এর আগেই খেয়েছি তাই এই মিষ্টিগুলো খাওয়ার প্রতি খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। তাই শুধু আমরা ওনার এগুলো দেখলাম এবং ফটো তুললাম তুলেই আমরা চলে আসলাম ওখান থেকে।
এতক্ষণ আমরা খাবারের জিনিসের সাথে পরিচয় হলাম এবার আমরা একটু ভিন্ন ধরনের একটা জিনিসের সাথে পরিচয় হব। এ ভাইটি বেলুন ফুলাচ্ছে। এই বেলুনগুলো ছোট ছোট ছেলে পেলেরা খেলা খেলার জন্য খুবই উপযোগী এবং তাদের জন্য অনেকেই এই বেলুনগুলো কিনছে। এ তো আমাদের সাথে কোন ছোট বাচ্চা ছিল না তাই আমরা এগুলো ক্রয় করিনি। তবে তার বেলুনগুলো দেখে মনে হয়েছিল বাচ্চাদের জন্য না বড়দের জন্যই কারণ বেলুন গুলোর উপরে লেখা ছিল আই লাভ ইউ।
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @tuhin002 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | poco M2 |
ক্যামেরা | camera-13MP |
আমার বাসা | গাংনী, মেহেরপুর |
লোকেশন | https://w3w.co/casino.boathouse.fans |
সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন ব্লগ।আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি।এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়।আমি আমি বর্তমানে একজন বেকার এবং চাকরির খোঁজে রয়েছি।এ ছাড়াও আমার একটি বাগান আছে।আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি।মাছের চাষ আমার প্রধান পেশা।এছাড়াও আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।।
আপনি গ্রামের সভায় সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। তারপর আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে কোথাও গেলে মুখরোচক খাবার গুলো দেখলে খেতে মন চায়। তবে আপনি মিষ্টি পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগল, কারণ আপনাদের ভাই অনেক মিষ্টি পছন্দ করে। আর বেলুন আমার বাচ্চাদের অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপু আমি সভা শুনতে গেলে শুধু খাই। বিশেষ করে মিষ্টি না খেলে তো আমার ভালোই লাগে না। আমার জীবনে আমি একটানা ৩৮ টা রসগোল্লা খেয়েছিলাম।
আপনি তো গ্রামের সভা থেকে অনেক খাবার ক্রয় করলেন তবে আপনার মত আমারও মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক প্রিয়।জিলাপি দেখলে আমার জিভে জল এসে যায় যা আপনার জিলাপি দেখে হলো।এই জাতীয় খাবার আমার অনেক প্রিয় আমার প্রতিটি খাবার অনেক ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে সভার নাস্তা খাওয়ার এমুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু আমি মিষ্টি পছন্দ করি তাই কোথাও গেলে মিষ্টি আমি খাবই খাবো।
আপনি গ্রামের সভায় থেকে অনেক কিছু কিনলেন এবং খেলেন। জিলাপি এবং চটপটি আমার অনেক প্রিয়। তবে গরম গরম জিলাপি খেতে অনেক মজা। আপনি এক কেজি জিলাপি কিনলেন। তবে মেয়েরা একটু চটপটি খেতে বেশি পছন্দ করে। তবে আপনি অনেক কিছু খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। এবং সুন্দর করে আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।