রেসিপি || স্বল্প সময়ে সুস্বাদু ক্ষীর রান্না রেসিপি।
স্বল্প সময়ে ক্ষীর রান্নার রেসিপি। |
---|
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকে আমি পুনরায় আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। যেহেতু বরাবর আমি মিষ্টি খেতে একটু বেশি পছন্দ করি। আর তাই আমি আমার নিজের হাতে রাধুনী ক্ষীর মিক্স রান্না করেছিলাম। খেতে বেশ দারুণ হয়েছিল। আচ্ছা কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আমার রেসিপি পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
রাধুনী ক্ষীর মিক্সড | এক প্যাকেট |
তরল দুধ | এক লিটার |
গুড়া দুধ | তিন টেবিল চামচ |
চিনি | পরিমাণ মতো |
প্রথমে আমি একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়েছি। এবং এই পাত্রটি আমি কারেন্টের চুলার উপরে বসিয়ে দিয়েছি।
এবার আমি ওই পরিষ্কার পাত্রের মধ্যে ১ লিটার তরল দুধ ঢেলে দিয়েছি। এরপর দুই থেকে তিন মিনিট মতো গরম করে নিয়েছি।
এরপরে ওই দুধের মধ্যে তিন চা চামচ গোড়া দুধ দিয়েছি। গুড়া দুধ দেওয়ার পরে সুন্দর মত নাড়তে হবে যাতে করে গোড়া দুধের দলা না থাকে।
তরল দুধ এবং গুড়া দুধ সুন্দর মত মিক্সড হওয়ার পরে রাধুনী ক্ষীর এর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। ঢেলে দেওয়ার পরে বারবার নাড়তে হবে।
যদি প্রয়োজন হয় কিছু চিনি দিতে হবে। যেহেতু আমি মিষ্টি পছন্দ করি তাই অল্প পরিমাণের কিছু চিনি এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছি এবং পুনরায় সুন্দর মত করে নাড়তে হবে।
এরপরে আস্তে আস্তে দুধের ফুটে উঠতে শুরু করবে। লক্ষ্য রাখতে হবে খুবই কম তাপে জ্বাল দিতে হবে। কারণ এর মধ্যে যে চাল আছে সে চাল এই দুধ দ্বারা সিদ্ধ করতে হবে। এভাবে ৩৫ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে।
এভাবেই আস্তে আস্তে সিদ্ধ করা পাশাপাশি ঘন ঘন নাড়তে হবে। কোন অবস্থাতেই যেন নিচে লেগে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুধ অনেকটা শুকিয়ে গেছে। এভাবে এটি কন্টিনিউ করতে হবে।
ঠিক ৩০ মিনিট পরে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। এ রেসিপিটি এর আগেও আমি করেছি এবং খেয়েছি। আমার কাছে দারুন লাগে। আর এভাবে ঝটপট করে তৈরি হয়ে গেল ক্ষীর রেসিপি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | রেসিপি। |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1671066518908735488?t=YsEEl633GT1odLZKENwjrA&s=19
ক্ষীর রান্না রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
দুপুরবেলা করে এমন মজার ক্ষীরের রেসিপি দেখে সত্যি খুব লোভ হচ্ছে। ক্ষীর আমার খুবই ফেভারিট প্রায় প্রতি শুক্রবারে বাসায় প্রস্তুত করে খেয়ে থাকি।
সত্যি আপনি অনেক লোভনীয় ভাবে প্রস্তুত করে উপস্থাপন করেছেন যে কেউ দেখলে লোভে পড়ে যাবে।।
আমারও অনেক প্রিয় একটি খাবার। আমি মিষ্টি খেতে এমনি তো অনেক পছন্দ করি। তাই যখন ইচ্ছায় তখনই নিজে রান্না করে খেয়ে থাকি।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন স্বল্প সময়ে সুস্বাদু ক্ষীর রান্না রেসিপি। আপনার তৈরি খেয়ে রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে নারিকেল দিলে খেতে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতো। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাগ্নে এই ক্ষীরের মধ্যে নারকেল দেওয়া হয় না। এটা তৈরি থেকে জাস্ট তরল দুধ এবং গুড়া দুধের মধ্যে ঢেলে দিয়ে রান্না করে নিতে হয়।
অল্প সময়ে খুব মজাদার রাধুনী ক্ষীর রান্না করার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রাধুনী ক্ষীর এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু এই রান্নাটি কিন্তু আমি নিজে হাতে করেছি। খেতে দারুন লাগছিল। এমনিতেই আমি একটু মিষ্টি পছন্দ করি। যাই হোক একদিন বাসায় বানিয়ে খাবেন। খেতে অনেক ভালো লাগবে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
স্বল্প সময় হলেও দারুন একটি এসিপি তৈরি করেছেন ।যেটা দেখলেই খেতে মন চায় ক্ষীর রেসিপি আমার খুবই পছন্দের যেটা অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না ।আপনার রেসিপিটি অনেক ভালো লেগেছে।
ক্ষীর আমারও অনেক পছন্দের একটি খাবার। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ভাই ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি জাতীয় তেমন কোনো খাবার পছন্দ না করলেও এই জিনিসগুলো খুবই ভালো লাগে খেতে আমার কাছে। আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাদু ক্ষিরের গেছে কি তৈরি করে ফেলেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে বুঝতে পারছি অনেক সুন্দর এবং ইয়াম্মি হয়েছিল। এরকম মজাদার একটা রেসিপি দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার রেসিপিটা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার ভাবে সম্পূর্ণ রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে।
আপু এটা আমি নিজে রান্না করেছি।খেতে বেশ দারুণ লাগছিল।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখছি অল্প সময়ের মধ্যে খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। ক্ষীর খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। পরিবেশন অবস্থায় দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। আপনি অল্প সময়ের মধ্যে এই সুস্বাদু ক্ষীর রান্না করেছেন। অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা দেখে। এরকম রেসিপি গুলো দেখলে আমার ইচ্ছে করে খেয়ে নিতে। অনেক মজাদার ছিল আপনার রেসিপিটা।
ধন্যবাদ ভাই গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ক্ষীর রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। মাঝে মধ্যে বিকেলের নাস্তায় ক্ষীর খেতে দারুণ লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই রেসিপি আমি নিজ হাতে তৈরি করেছিলাম। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।