আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।
আজকে আমি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। খলিশা কুন্ডির ঘাট অনেক নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি সেভাবে। তাই বাসা থেকে বের হলাম খলিশা কুন্ডি ঘাট দেখার উদ্দেশ্যে। আমার বাড়ি থেকে খলিশা কুন্ডি ১২ কিলোমিটার দূরে। খুব বেশি দূরে নয় তাই খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে গেলাম। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম অনেক বড় কিছু একটা ঘাট। আর এই ঘাটের কিছু কথা আপনাদের মাঝে আজকে আমি শেয়ার করব।
যেহেতু প্রথম ওখানে গিয়েছি যদিও বাড়ির পাশেই বলা যায় কারণ এটা আমার বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে । কিন্তু আমাকে একটু বেগ পেতে হয়েছে, কারণ আমার অজানা জায়গা রাস্তাঘাট সম্পর্কে খুব একটা বেশি ধারণা নেই এখান কর। সবাইকে একটু জিজ্ঞাসা করতে করতে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম সেই খলিসা কুন্ডির ঘাটে। যখন আমি সেখানে পৌঁছালাম দূর থেকে একটি ছবি ফটোগ্রাফি করেছি এই সেই ফটোগ্রাফিটা আমি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আমি দূর থেকে লক্ষ্য করে দেখলাম একজন ঘাসের বস্তা মাথায় করে নৌকার উপরে উঠলো। এরপর আমি আস্তে আস্তে নদীর ধারের কাছে পৌঁছে গেলাম। মাটির রাস্তা অবশ্য এখানে আমি দাঁড়ালাম এবং নিজেরও একটি ফটো সেলফি তুললাম। তবে আর যাই হোক জায়গাটা কিন্তু অনেকটা দেখার মত ছিল। যদিও সেখানে পৌঁছানোর পরে আমি মন থেকে যেটা ভেবেছিলাম অতটা নয়। আমার ভাবনা টা ছিল বিশাল যে ঘাট কেমন হবে কিভাবে পার হব অনেক কিছু প্রশ্ন আমার মনের ভিতরে ঘোর পাক খাচ্ছিল ।
এরপরে আমি ঘাটের কিনারায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই প্রথমদিকে যে লোকটা ঘাসের বোঝা মাথায় নিয়ে আসছিল তিনি ওই পার থেকে ওপারে পৌঁছে গেলেন। এটা দেখে প্রথমে আমি একটু হেসে পড়ছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম এত দূর থেকে আসলাম ঘাট পার হবে বলে,তো এই লোকটা তো দেখছি মাত্র ৩০ সেকেন্ড পৌঁছে গেল তাহলে আর কি হল কোন মজাই তো পাবো না। যাইহোক উদ্দেশ্য যেহেতু ঘাট পার হওয়ার অনুভূতিটা নেয়ার জন্য। জায়গাটা যতই কম হোক না কেন নিজের ইচ্ছাটা তো পূরণ করেছি। তবে ঘাট পার হওয়ার পদ্ধতিটা আমার কাছে বেশি মজার লেগেছে।
আপনারা এখানে দেখতে পারছেন এই বাচ্চাগুলো একটি দড়ি টানছে। আসলে এরাই দড়ি টানার অর্থ হল নৌকাটাকে কাছে নিয়ে আসছে। আর এভাবে এরা দড়ির মাধ্যমে এপার থেকে ওপারে নৌকা আনা নেওয়া করছে। আর এই নৌকার মধ্য দিয়ে মানুষ পারাপার করছে। আমি যখন বাইক নিয়ে নৌকার উপরে উঠলাম তখন ওই বাচ্চাটার দিকে আমি লক্ষ্য করে দেখলাম যে ওরা দড়ি দিয়ে টান দিচ্ছে এবং ওপারে পারাপার করছে। আসলে এ পার থেকে ওপারের জায়গাটা দূরত্বটা ছিল খুবই কম। আমার পার করে দেওয়ার পরে ওখানে এক বাচ্চা বলল যে দশটা টাকা নিবি ভাইয়ের কাছ থেকে। ওরা বলছে ভাই বাইক নিয়ে উঠেছে তাই দশ টাকা নিবো। কোন কথা ছাড়াই তাদেরকে দশটা টাকা দিয়ে দিলাম। অবশ্যই ঘাট পার হওয়ার জন্য তারা জনপ্রতি দুই টাকা করে নিয়ে থাকে। তবে এটা বুঝতে পারলাম এখান থেকে তারা যথেষ্ট আয় করে থাকে। কারণ প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ লোকের আনাগোনা দেখা যায় এখানে। বিশ্বাস করে সকালের দিকে এবং বিকেলের দিকে বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকে। আমি যখন ওখানে পৌঁছেছিলাম তখন ছিল ঠিক একটা বেজে ৪০ মিনিট। সেখানে আমি সময়টা খুব অল্প সময় কাটিয়েছিলাম কিন্তু বেশ মজা পেয়েছিলাম।
আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল খলিশা কুন্ডের এই ঘাটটি ভ্রমণ করা। আর সেখানকার দৃশ্য গুলো কাছ থেকে দেখা। অবশ্য দেখার মতো তেমন কিছুই নেই তবে ভালো লেগেছে যদিও সেখানে অল্প সময় পার করেছি। জায়গা যেমন হোক না কেন অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। মানুষের শিক্ষা শেষ নেই। আর এই শিক্ষা যেভাবে যেখান থেকে যেকোনো ভাবেই হোক না কেন। |
পোস্ট বিবরণ
আজ এ পর্যন্তই, আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
আল্লাহ হাফেজ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
https://twitter.com/ABashar45/status/1660988715425218560?t=1F0gPXR40M-xiQ9kB7TBCA&s=19
দারুণ অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাই। বাইক থাকায় ভালোই হয়েছে। সহজেই ১২ কিলো দূর থেকে ঘুরে আস্তে পারলেন। নৌকা দিয়ে বাইক পার করেছেন ব্যপারটা মজাদার ছিলো। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জেনে। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
নৌকা দিয়ে বাইক পার করেছিলাম আর এটাই আমার জীবনের প্রথম এবং প্রথম অভিজ্ঞতা ভাই ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খলিশা কুন্ডির ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আপনার পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে নদী আর নদীর ঘাটে ঘুরতে আমারও বেশ ভালোই লাগে ৷ আপনি বাইকে করে সহজেই পৌচ্ছে গেছেন ৷ যদিও জায়গাটা অচেনা হওয়াতে মানুষকে জিগ্যাসা করতে হয়েছে আপনাকে ৷ যাই হোক ভালোই লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
জায়গাটা অচেনা হওয়ার জন্য আমাকে একটু ব্গে পেতে হয়েছে ভাই। তারপরও ভাল লেগেছে যে অচেনা জায়গা সবাইকে জিজ্ঞাসা করছি আর সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
খলিশা কুন্ডি ঘাট ভ্রমণ কাহিনী অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। রশি টেনে নৌকায় নদী পারাপার দারুণ লেগেছে। ঘাসের বোঝা মাথায় লোকটির ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। এই তো আমাদের চিরায়ত বাংলার দৃশ্য। খলিশা কুন্ডি ঘাটটি কোথায়? শুভ কামনা আপনার জন্য।
আপু খলিশা কুন্ডি ঘাট হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলায়। আমলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার সামনের দিকে। এখন পানি কমে গেছে।