ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- গরমের দিন ও করণীয় । by @tuhin002
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজ মঙ্গলবার অন্যদিনের চেয়ে আজকের দিনটা অনেক বেশি গরম পরছ। গরমের এই দিনে প্রত্যেকটা মানুষ এবং জীবজন্তু পশু পাখি গুলো একরকম হাঁপিয়ে উঠেছে। দিন দিন পৃথিবীতে তাপমাত্রায় বেড়েই চলেছে। আর তাই আজকে আমি গরমের দিন ও এর করণীয় কি সে সম্পর্কে আমি আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ....
একটা সময় ছিল যখন পৃথিবী তাপমাত্রা ছিল অনেক কম। মধ্যপ্রাচ্যর দেশ সৌদি আরব একটা সময় সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ। দোস্ত সেই সময় বাংলাদেশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যখন আমরা খবরের শুনতাম, তখন অবাক হয়ে যেতাম যে সৌদি আরবের তাপমাত্রা এত সেখানকার লোক কিভাবে বসবাস করে। অথচ বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় যে তাপমাত্রা পড়ছে সেটা আমাদের জন্য সহনশীল না। পৃথিবীর বয়স যত বেড়ে যাচ্ছে তত পৃথিবীর তাপমাত্রাটাও বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে যে স্তর রয়েছে ওই স্তরগুলো ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানে বইতে পড়েছি ওজন ও চেয়ার নাকি দিন দিন পাতলা হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে খুব সহজে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বুকে পড়ছে। সূর্যের যে তাপ এই তাপটা রিফাইন না হয়ে সরাসরি পড়ার কারণেই পৃথিবীতে তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরেকটি কারণ আছে সেটা হল পৃথিবীতে গাছ পালা বা বনজ সম্পদ গুলো দিন দিন মানুষ উজাড় করে ফেলছে। আর এই বনজ সম্পদ কমে যাওয়ার ফলেও পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমি এখানে পৃথিবীর সব দেশের কথা বাদ রেখে নিজের দেশের কথাই বলি, বাংলাদেশের কিছু কিছু জেলায় এখন রাস্তাঘাট উন্নয়ন করছে। আর এই উন্নয়নের ফলে ব্রিটিশ আমলে যেসব বড় বড় গাছ ছিল রাস্তার দুই ধারে এই গাছগুলো সবই কেটে ফেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয় যেখানে বন জঙ্গল গাছপাড়া অধিকাংশ বেড়ে গেছে সেসব জায়গা গুলো সবই কেটে ছাপ করে ফেলা হচ্ছে। আর এসবের কারণে তা দেশে তাপমাত্রা অধিকতর বেড়ে গেছে। যদিও বাংলাদেশের মানুষ এত তাপমাত্রা তাদের নিজেদের জন্য সহনশীল নয়। আর এর ফলে অধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে বৃষ্টি হারো অনেক কম। আর এটিও একটি অন্যতম কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির। দেশের জনসংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে তত তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। যে হারে তাপমাত্রা পড়ছে তাতে প্রত্যেকটা মানুষের জীবন যাপনের অতি কষ্ট সয় হয়ে যাচ্ছে।
গরমের দিনে মানুষ পরিশ্রম করতে পারে না। সত্যি কথা বলতে মানুষ পেট পুরে খেতেও পারে না। না জানি কখন কে স্ট্রোক করে। গরমের দিনে মানুষের কর্মস্থলে কর্ম করাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিটা মানুষ এবং জীবজন্তু অসহায় করেছে এই গরমের দিনে। একদিকে মানুষ যেমন নিজের ঘরে অবস্থান করতে পারছে না ঠিক তেমনি পশুপাখি তাদের নিজের বাসস্থানে শান্তি মত বসবাস করতে পারছি না। পুকুর নদী নালা সাগরে পানি সব কমে যাচ্ছে। আরে পানি স্বল্পতার কারণে পশু পাখিরও অনেক সমস্যা পরতে হচ্ছে। আর এভাবে প্রখর গরম পড়ার কারণে মানুষের প্রত্যেকটা কাজে বিঘ্নতা ঘটছে। মানুষের জীবন অস্থির হয়ে পড়েছে। অবশ্য আজকের এই দিনের জন্য আমরা নিজেই দায়ী। কারণ প্রত্যেকটা মানুষ তার কর্মের জন্য নিজের দায়ী।
গরমের এই দিনে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। অধিক গরমের কারণে নিজে পরিশ্রম কমিয়ে দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে উপকূলীয় এলাকাতে বসবাস করার জন্য। পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করতে হবে। সীজনাল ফল ও সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। নিজের প্রসাবের রং এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে যদি দেখা যায় প্রসবের রং হলুদ তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি আরো পানি পান করতে হবে। রোদে অধিক পরিশ্রম করা করলে আপনাকে অবশ্যই স্যালাইনে পানি এবং ডাবের পানি খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবে যেন ডিহাইড্রেশনে না ভোগেন। মাংস জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যদি কোন প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যান তাহলে অবশ্যই আপনার সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কোন কিছু আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে না যাওয়ার জন্য। সর্বশেষে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এই গরমে পানি বিকল্প আর কিছু নেই।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1663482640434102273?t=DAoe6vVaVUBdeNpEOeV-eA&s=19
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আগে সৌদি আরবের এত তাপমাত্রার কথা শুনে আমরা আবাক হয়ে যেতাম। কিন্তু এখন সেই দৃশ্য নিজের দেশেই দেখতে পাচ্ছি। এর জন্য দায়ী আমরাই। যত দিন যাচ্ছে তত গাছ পালা কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তার জন্য আজ এত গরম সহ্য করতে হচ্ছে। গরমের এই সময়ে আমাদের কি করণীয় তা খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
প্রতিদিন আপু যে হারে গরমের তাপ বাড়ছে তাতে মানুষের জীবন যাপন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর এত গরমের জন্য আমরা নিজেই দায়ী।
ভীষণ ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই। সত্যিই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে পরিবেশের এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া একমাত্র মানব সৃষ্ট ঘটনা। বেশ কিছু করনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যা ভালো লেগেছে।
পুরো পোস্টটি ভালো লাগলো তবে কিছু কিছু জায়গায় বানানের ভুল ছিল, আশাকরি যত্নশীল হবেন।
দোয়া রইল।
ভাই বর্তমানে গরমের যে অবস্থা তাতে মানুষের জীবন বিষন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা নিজেদের এই অবস্থার জন্য নিজেরাই দোষি। ধন্যবাদ ভাই ভুল গুলো ধরে দেওয়ার জন্য।
গত দুই-তিন ধরে আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি সময়োপযোগি সুন্দয় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন এই গরমে রোদ এড়িয়ে চলা,বেশি করে পানি পান ও হালকা-পাতলা পোশাক পরিধান জরুরি। এছাড়া খাল-বিল ভরাট বন্ধ ও বৃক্ষনিধন রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের পৃথীবিকে আমাদেরই বাচাতে হবে। ভালো থাকবে।
জি আপু আপনার সাথে আমি একটা বিষয়ে একমত খালে বিল ভরাট বন্ধন ও বৃক্ষ নিধন এগুলো গ্রামাঞ্চলে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে আর এর জন্য এই সমস্যা আমরা পড়ছি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ব্লগটি লিখেছেন। সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর প্রধান কারন হলো বন উজারকরন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেশের এই ভয়াবহতার জন্য আমরা নিজেই দায়ী ভাই। আর এ থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র কাজ হলো অধিক গাছপালা লাগানো।
বর্তমানে দেশের গরমের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আপনাদের ওখানে কেন সব জায়গাতে গরম অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেছে। গরমের মধ্যে যেমন তেমন করে চলাফেরা করা যাবে না। অনেক সুন্দর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক কাজে আসবে এই কথাগুলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন।গরমে সবাই অতীষ্ঠ। এই গরমে কিছু নিয়ম মেনে চললে আসলে ভালো থাকা যায়। সবার উচিত নিয়ম মেনে চলা।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
দিন যতই বাড়ছে গরমের উত্তপ্ত বেড়েই চলেছে আপু। মানুষের জীবন খুব অসহায় পড়েছে।