আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।
আজকে আমি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আর আজকে আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করব কুষ্টিয়া থেকে বাড়ি ফেরার সময় "কিছুক্ষণ" কিছু সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং ওই সময়ে বাস্তব একটি ঘটনার বিবরণ আপনাদের সামনে আজকে তুলে ধরব। আসলে যে কোন ডিপার্টমেন্টে এরিয়া গুলো খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর এই আশে পাশে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। যদিও আমি সেভাবে ভিতরে দেখতে পারিনি। ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারেনি তবে এখানে একটি ঘটনা ঘটে। এটা আপনাদের সামনে অল্প করে লেখার ভিতর তুলে ধরবো।
আমার মনে হয় যাদের বাসা কুষ্টিয়া বা এর চারপাশ এলাকায় তারা এই জায়গাটা অনেকেই চেনেন। শুধু তারাই নয়, আরো অনেক মানুষই এই জায়গাটা সম্পর্কে অনেক পরিচিত। মিরপুর থেকে একটু সামনে গিয়েই এই জায়গাটা। গিয়েছিলাম কুষ্টিয়াতে একটা বিশেষ কাজের জন্য। প্রায় এদিক দিয়েই কুষ্টিয়ায় যাওয়া হয়। কিন্তু কখনোই কিছুক্ষণ ক্যান্টিনে দাঁড়ানো হয় না। তো ঐদিন ভাবলাম আজকে এখানে একটু দাঁড়াবো? কিছু একটা পান করবো করবো। তো কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরে খুব পিপাসা লাগছিল, তাই ভাবলাম কিছু একটু পান করা যায়। তবে এখানকার জায়গা গুলো আসলে খুবই সুন্দর। বিজিবির যেসব সদস্যরা রয়েছে তারা সব সময় এগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন। এখানকার এরিয়াটা কিন্তু অনেক বড়। তবে আমার মাঝে মধ্যে মনের ভিতরে একটা প্রশ্ন ঘোর পাক খায় । আর সেটা হলো বিজিবি শব্দের অর্থ হলো সীমান্ত প্রহরী। কিন্তু এখানে মিরপুর মাঝখানে কুষ্টিয়া এর মাঝখান দিয়ে এই বিজিবির ক্যাম্প এখানে তো আমি কোন সীমান্ত পাইনা। এইসব বিজিবিরা থাকে হচ্ছে দেশের সীমান্তের অর্থাৎ দেশের শেষ অঞ্চলে। কিন্তু এখানে হলো মাঝখানে পড়েছে। যাইহোক অন্য কোন নিশ্চয়ই কারণ এখানে রয়েছে যার জন্যই এখানে বিজিবির এলাকা রয়েছে।
আপনারা এখানে অনেক কোমল পানীয় জাতীয় জিনিস দেখতে পারছেন। বিভিন্ন ধরনের পানীয় এখানে পাওয়া যায়। আর এখান একটি বিষয় আছে । এখানে যে দোকানই ভাই ছিল উনাকে আমি একটা ছবি তুলি, যদিও উনাকে না বলেই আমি ছবিটা তুলেছিলাম। প্রথম দিকে উনি আমাকে বললেন আপনি যে আমার ছবিটা তোললেন আপনি আমার অনুমতি নিয়েছেন? আমি একটু হতবাক হয়ে গেলাম যে অনেকের ছবি তুললে বেশ মজা পাই, আর এ দেখছি রাগ করছে। কি আর করা আমি বললাম সরি ভাইয়া। তখন উনি বলল আসলে ভাই কিছুদিন আগে এখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই থেকে আমরা কাউকে এখানে সহজে ছবি তুলতে দেয় না পারমিশন ব্যতীত। কি ঘটনা ঘটেছিল আমি সেটা জানতে চাইলাম না। এরপর ভাইকে আমি বললাম আমাকে একটা ড্রিংকো দেন। এরপরে আমার মনের মধ্যে ঘুরপাক খেলো যেখানে কি এমন ঘটেছিল যে এই ভাইটি ছবি তুলতে গিয়ে উনি বাধা দিলেন। তখন আমি ওনাকে প্রশ্ন করলাম ভাই কি এমন হয়েছিল যে আপনি মনে করলেন? তখন উনি বলল ভাই বেশ কিছুদিন আগে একটা ছেলে আপনার মত করে ছবি তুলেছিল। আর সেখানে আমাদের কিছু ব্যক্তিগত বিষয় ছিল যা ওই ছবিতে উঠেছিল। পরবর্তীতে ওই ছেলেটা যখন আমাদের একটু সমস্যা হয়েছিল। আর যেহেতু আমাদের কৈফত দিতে হয়। আর সে থেকে আমরা একটু বেশি সজাগ হয়েছি। তাই পারমিশন ছাড়া আমরা কখনোই ছবি তুলতে দেয় না। এছাড়াও উনি আমাকে ইন্টারনি কিছু কথা উনি আমাকে বলেছিলেন যেটা আমি এখানে বলতে পারছিনা। তবে এটা ঠিক যে কোন মানুষ হোক আর কোন কিছুই হোক না কেন তার নিজস্ব কোন ব্যক্তিগত জিনিস হলে তার কাছে পারমিশন নিয়ে ছবি তোলাটাই উত্তম।
ওখান থেকে একে এসে আমি বর্ডার গার্ড যে স্তম্ভটা লেখা আছে সে জায়গায় আমি একটু দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নেই। আর চারপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকি। তবে একটা বিষয় আমি ভালোমতো বুঝতে পারলাম যে আসলে সৌন্দর্য মানুষের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মানুষ ইচ্ছা করলে অনেক সুন্দরভাবে সাজাতে পারে। এর বাস্তব প্রমাণ হলো প্রত্যেকটা প্রশাসন বাহিনীর কর্মস্থানগুলো দেখলেই বোঝা যায়। এদের মধ্যে কতটা ডিসিপ্লেন কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। তাদের এরিয়ার চারপাশে তাকালেই মনটা ভরে যায়। প্রতিটা বর্ডার গার্ড এলাকায় এই স্বাগতম বর্ডার গার্ড এলাকা লেখা থাকে।আর এটাই আমাদের ইঙ্গিত দেয় আমরা বর্ডার এলাকার মধ্যে রয়েছি । যদিও যুক্ত যুক্তি সঙ্গত ভাবে এটা বর্ডারের এলাকার মধ্যে আমার মনে হয় না যেটা বড় এলাকার মধ্যে পড়ে। তবে ওখানে আমি বসে যে সময়টা পার করেছি যদিও একা তারপরও বেশ ভালো লেগেছে চারপাশের সুন্দর এরিয়া গুলো দেখে।
এরপরে আমি ওখান থেকে পুনরায় ওই ভাইয়ের দোকানে চলে আসি অর্থাৎ কিছুক্ষণে। বাড়িতে ফেরার সময় ভাইকে বললাম ভাই আমাকে একটা ড্রিঙ্কও দেন। উনি আমাকে একটা ড্রিংকও দিলেন এবং একটি কাগজের মধ্যে দিয়ে দিলেন। আমি বাইকের পাশে থাকা অ্যাঙ্গেলে বাঁধিয়ে রাখলাম। এরপর ভাইয়ের সাথে কথা বলে বিদায় নিলাম। সত্যি বলতে ড্রিঙ্ক ও পানিটা আমার খুব ভালো লাগে। ভেবেছিলাম এটা বাড়িতে গিয়ে খাব। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছানোর পরে পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি কাগজ ঝুলছে কিন্তু ড্রিঙ্কর বোতলটা নেই। অর্থাৎ কখন যে ড্রিঙ্ক করতেছি ছিড়ে পড়ে গেছে সেটা আমি খেয়ালই করতে পারিনি। প্রথমে একটু খারাপ লাগলো যে কয়দিন ধরে এটা খাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি আজকে পেলাম অথচ খেতে পারলাম না। কিন্তু একটা বিষয় তাকদীরে যা লেখা থাকবে সেটা সে পাবেই এটা ভেবে নিজের মনের মধ্যে অনেক আনন্দ লাগলো। যাহোক মাঝে মধ্যে কোন জায়গায় একা হোক আর বন্ধুদের নিয়েই হোক বেড়াতে গেলে কোন না কোন জায়গায় কিছু জানা যায়।
তবে এখানে আমি একটা শিক্ষা পেয়েছি সেটা হল, কাউকে কিছু না বলে তার ব্যক্তিগত ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা বা তার ফটোগ্রাফি করা এটা কিন্তু খুবই দৃষ্টিগোচর একটি কাজ। কারো ব্যক্তিগত কোনো কিছু ফটোগ্রাফি করতে হলে অবশ্যই তার পারমিশন নেওয়াটা খুবই জরুরী। |
পোস্ট বিবরণ
আজ এ পর্যন্তই, আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
আল্লাহ হাফেজ।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
https://twitter.com/ABashar45/status/1659508647490355201?t=3aAXzDIxUrTl1VDwUMSYuQ&s=19
সত্যি কোন জায়গা ঘুরতে গেলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়।আসলে এটা সত্যি অনেকে অনুমতি ছাড়া ছবি তুলতে দেয় না তবে কারো ছবি তুলতে হলে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া উচিত। তবে এটা জেনে খারাপ লাগল যে ড্রিঙ্কটা খেতে পারলেন না। যাইহোক আবার পরে কিনে খাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কারো ছবি তুলতে অনুমতি নেয় এটা একটি ভদ্রতা। আর ড্রিংকোর কথা বলছেন আপু তারপর থেকে প্রায় ১০ টা খেয়েছি ।
কারো ব্যক্তিগত কিছু জানতে চাওয়া কিংবা ফটোগ্রাফি করা এটা ঠিক নয়। আপনি বুঝতে পেরেছেন জেনে খুন্ব ভালো লাগলো। পানীয়টি কখন যে গাড়ি থেকে পরে গেলো টেরই পেলেন না।যাক এরপর থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন আশাকরি।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু যেহেতু ভাইটি ছিল প্রশাসনের লোক তারপরও দেখে মনে হয়েছিল না তিনি রাগ করবে কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম তিনি রাগ করেননি কিন্তু একটু মাইন্ডে নিয়েছিলেন। আর পানীয়টি যে কখন পড়ে গেছে আমি একটুও বুঝতে পারিনি।
খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন আপনি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলছেন প্রত্যেকটি সরকারি প্রশাসন কিংবা বাহিনী গুলো অনেক নিয়মকানুন মেনে চলে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায় যে অফিস আদালত গুলো কতো শৃঙ্খভাবে সাজানো থাকে। আমার কাছে বেশ ভালই লাগে তাদের পরিবেশ এবং এরিয়া গুলো অনেক সুন্দর বাগান আকারে সাজানো থাকে। তবে আপনার ড্রিঙ্কস টা পড়ে গেল শুনে বেশ খারাপ লাগলো। হয়তো আপনার রিযিকেই ছিল না। ধন্যবাদ খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলে।
বিশেষ করে সেনাবাহিনীর এরিয়া গুলো খুব বেশি সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
বিজিবির ক্যাম্পগুলো বেশ পরিপাটি হয় এবং এমন জায়গায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আসলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যেকোনো কিছু দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে অনুমতি ছাড়া কখনো কারো ছবি তোলা ঠিক না। যাইহোক ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হলো আপনার। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। পরিষ্কার যে কোন জায়গায় যেতে যেমন ভাল লাগে, ঘুরতেও তেমন ভালো লাগে। দেখতে অনেক ভালো লাগে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।