জেনারেল রাইটিং :- সততার পুরস্কার।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো,সততার পুরস্কার । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
একটি ছোট্ট গ্রাম ছিল। গ্রামের মানুষ গুলো ছিল অনেক ভালো। ওই গ্রামে ছিল এক ধনী ব্যক্তি। তার নাম ছিল নুরু মিয়া। তার বাবা মায়ের জন্মস্থান হলো কলকাতা। কোন কারণবশত তারা কলিকাতা থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। কলিকাতায় যতগুলো অর্থ সম্পদ ছিল সবকিছু তারা বিক্রি করে আসে এবং সেই অর্থ সম্পদ দিয়ে বিশাল সম্পদের মালিক হয়। ওই গ্রামে যত জমি ছিল তার বেশি তারা ক্রয় করে নেয়। শুধু তাই নয় গরিব মানুষ ওই সময় যারা দুমুঠো খেতে পারতো না তাদের জমি জায়গা গুলো কিছু কৌশল অবলম্বন করে সে জমি গুলো তারা নিয়ে নেয়। এভাবে তাদের রাজত্ব চলতে থাকে। এরপরে ওই নুরু মিয়ার ছয় সন্তান হয়। এর মধ্যে চারটি সন্তান হলো ছেলে এবং দুটি সন্তান হলো মেয়ে। বাবার অঢল সম্পত্তি এর জন্য ছেলে মেয়েরা কেহই তেমন বেশি শিক্ষিত হতে পারেনি। এর মধ্যে সেজ ছেলেটা কিছুটা লেখাপড়া শিখেছিল এবং পরবর্তীতে সে গ্রাম ছেড়ে অন্য একটি শহরে চলে যায়। আর বাকি তিন ভাই গ্রামেই থেকে যায়।
যেহেতু তাদের সম্পত্তির শেষ ছিল না তারা তাদের সম্পত্তিতে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূলের এছাড়া যেসব গাছ গুলো সচরাচর দেখা যায় না ওরা বাইরের দেশ থেকে নিয়ে আসতো এবং গাছগুলো নিজেরা দেখা শোনা করতো। বুঝতে পারছেন গ্রামের মানুষ সহজ সরল তারা সেগুলো কখনো দেখেনি তাই দেখার পরে এরা নিজেদের কোন কোন সময় লোভ সামলাতে পারে না। কোন কোন সময় যদি কেউ এইগুলো খেতে আসে বা কোনভাবে নিতে আসে তাহলে তাদেরকে না বলে অনেক সময় নিয়ে যায়। যার ফলে এক কথায় চুরি করাই বলে। আর যদি ধরতে পারে তাহলে তাদেরকে একটা অন্ধকার আবদ্ধ ঘরের আটকে রাখে। কখনো কখনো তাদের উপরে চালায় জুলুম অত্যাচার। এভাবে চলতে থাকে তাদের রাজত্ব। কিন্তু সবাই তো খারাপ হয় না তার মধ্যে ভালো মানুষ থেকেই যায়। তাদের ভাইদের মধ্যে একটি ভাই খুব ভালো ছিল। পরবর্তীতে তাদের বাগান গুলো একজন লোককে দেখা শোনার জন্য দায়িত্ব দেন। তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। এভাবে আস্তে আস্তে দিন পার হয়ে যায়, মাস পার হয়ে যায়, এভাবে চলে যায় বারোটি বছর। যে ব্যক্তিকে এই সব গুলো দেখাশোনার জন্য রেখেছিল ওই ব্যক্তি ওদের বাড়িতে একদিন প্রবেশ করার সামনে দেখছিল একটা কাছের গ্লাসের সম পরিমাণ স্বর্ণ পড়ে আছে। লোকটি ঠিক রকম বুঝতে পারছিল যে এটা স্বর্ণ। যদি ওই সময়ে রেখে দিত তাহলে তার আর কোন কাজ করা লাগতো না। যেহেতু মালিকের নুন খায় তাই সে মালিকের সাথে বেইমানি করতে পারলো না।
গ্লাস এর সমান স্বর্ণটির সে নিজে হাতে তুলে তার মালিকের হাতে তুলে দিল। এটা দেখে তো তার মালিক রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছে। সে থাকে বলল তুমি কি জানো এটা কি? তখন তিনি বলল যে এটা হচ্ছে স্বর্ণ। তখন তার মালিক বলল তাহলে তো তুমি এটা আমাকে না দিয়ে গোপন করে নিয়েও যেতে পারতে। আপনাদেরকে একটু বলে রাখি যিনি এখানে কাজে নিয়োজিত ছিল উনার নাম ছিল করিম। তখন বললো আপনাদের নুন খায় তাই বেইমানি করতে পারবোনা। শুধু এ ঘটনায় নয় তার বাগানের দায়িত্ব সে নিষ্ঠার সাথে পালন করে। এরপরে তার সে মালিক এই ঘটনা দেখে সে ভীষণ খুশি হয়। তখন নুর মিয়া বলে করিম তুমি আজকে যে দৃষ্টান্ত দেখালে তা দেখে আমি ভীষণ খুশি। আমার কোন কিছুর অভাব নেই তোমার যখন যা কিছু লাগবে তুমি এখান থেকে নিয়ে যাবে। আর তোমার এই পুরষ্কার হিসেবে আমি এই স্বর্ণটি তোমাকে দিয়ে দিলাম। যদিও তিনি নিতে চেয়েছিলেন না তারপরও তাকে জোর করে দিয়েছিলেন। আর এরপর থেকে করিম কে আর পিছে ফিরে তাকানো দরকার হয়নি। পরিবার পরিজন নিয়ে সে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। মানুষ সৎ থাকলে কখনো ভাতের অভাব হয় না। সততা মানুষকে উপরে তোলে। আর সৎ মানুষ সব সময় মাথা উঁচু করে সমাজের বুকে চলাফেরা করতে পারে।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1679861636914642947?t=XHF7VUQed06ICTp65xoaDQ&s=19
সব জায়গাতে সততার একটি আলাদা সম্মান আছে। নুরু মিয়া কলকাতা থেকে এখানে এসে অনেক সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছে। এরকম অনেক মানুষ আছে যাদের অটলিকা সম্পত্তি থাকে। কিন্তু ছেলেমেয়েদেরকে ঠিকমত মানুষ করতে পারে না। তবে তার মেজো ছেলে সেই মোটামুটি শিক্ষিত করেছেন। এবং তারা যেভাবে বাহির থেকে গাছ এনে সম্পত্তি অনেক ছিল সে হিসেবে তারা গাছগুলো এবং ফল গাছগুলো দেখাশোনা করে। তাদের ফল যদি কেউ নেই তাহলে তাদের উপর অত্যাচার করে। তাদের সেই ফলের লোকটির সততার কারণে তার জীবন বদলে গেল। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করেছেন।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সততার পুরস্কার নিয়ে লেখা একটি পোস্ট। আসলে সব জায়গায় সততার একটি আলাদা সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। আসলে সম্পত্তির মালিক হলে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে পারেনি ঠিকমতো তাও মেজ ছেলেকে মানুষ করার চেষ্টা করেছিল। আসলে তাদের ফল গাছের ফল যদি কেউ নেয় তাদের উপর অত্যাচার করতে এই বিষয়টি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সৎভাবে বেঁচে থাকাটা অনেক কঠিন কিন্তু সততার একটা পুরস্কার ঠিকই জীবনের শেষ পর্যন্ত পেয়ে থাকে।
বাহ অসাধারণ গল্প শেয়ার করলেন আপনি আসলে সততা হচ্ছে বড় জিনিস। এ জীবনে যদি সততা একবার হারিয়ে যাই তাহলে সে সততা আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু সততা যদি একবার ভালোভাবে দেখাতে পারেন ঠিক আপনার গল্পের মত আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। অনেক সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করলেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু সততা একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। আর এই সততা ধরে রাখা অনেক কঠিন।
বর্তমান সময়ে সৎ ভাবে চলা অনেক কষ্টকর। আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। ভিনদেশী হলেও সে আপনাদের ওখানে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করার কারণে স্থায়ী লোক হয়ে গেছে। এবং অনেক জায়গা সম্পত্তির মালিকও হয়েছে। যদিও তারা যে লোকটিকে কাজের জন্য রাখল তার সততা দেখে তাদের কাছে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সততা থাকা এবং গুন থাকা দরকার। চমৎকারভাবে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন ভালো থেকো খারাপের পরিমাণটা বেড়ে যায় তখন ভালো হয়ে থাকাটা আসলেই কঠিন ব্যাপার। সৎ মানুষের কষ্ট বেশি অসৎ মানুষের দাম বেশি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সৎ থাকাটাই হল সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।