জেনারেল রাইটিং:- দারিদ্রতা by @tuhin002
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আমাদের দেশের মানুষ দারিদ্রতার কষাঘাতে জরাজীর্ণ। আর তাই দারিদ্রতা নিয়ে আজকে আমার ব্লগ লেখা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এশিয়া মহাদেশের ছোট্ট একটি দেশ। দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অধিক। এদেশের মাথাপিছু আয়ও অনেক কম। এদেশের অধিকাংশ লোক কৃষক এবং দারিদ্রতার সীমার নিচে বসবাস করে। আমাদের দেশে যারা হতদরিদ্র তাদের যে আয়, তাতে তাদের সংসার চালানো কঠিন। দেশের অধিকাংশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মানুষ যা আয় করে, তার থেকে খরচ বেশি। মানুষের দিন দিন খরচে হার বেড়ে গেছে। তার পাশাপাশি মানুষের আয় কমে গেছে। আমরা নিজেকে যতই বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাহির করে থাকি কিন্তু আসলে কি তাই? যে দেশের মানুষ এখনো সেভাবে দু মুঠো ভাত পায় না। যে দেশের মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে সে দেশ কখনো উন্নয়নশীল দেশ হতে পারে না। আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি এখনো আমাদের গ্রামেরই অনেক মানুষ আছে যারা তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারে না। তাদের সংসার চালানোর জন্য তারা নিজেদের কাছে নিজেরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। দারিদ্রতা মানুষকে ঘিরে ধরেছে। যদিও তারা দারিদ্রতা কাটানোর জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের লোনের মাধ্যমে নিজেদেরকে ধাপিতো করছে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাচ্ছে তাদের দারিদ্রতা আরও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই দারিদ্রতা থেকে কি তাদের মুক্তির উপায় আছে?
বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন এবার যে বাজেট পেশ করেছে আমাদের দেশে, তাতে যে সন্তান আজকে জন্ম নিল, সেই সন্তানের মাথার উপর দুই হাজার কর ধার্য করা হয়েছে। গত কালকে আমি রাস্তা দিয়ে হেটে আসছিলাম, একজন চাচা বলছে আমাদেরকে এবার দুই হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়েছে। এখন তুমি বলো বাবা আমার তো দুই হাজার টাকা দেয়ার মত সামর্থ্য নেই। তাহলে আমি টাকা কোথায় পাবো? আমি আগেই বলেছি মানুষের জীবিকা চাহিদা মেটানোর জন্য যে আয় করে তা তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। পণ্যদ্রব্য দাম যে হারে বেড়েই চলেছে তাতে মানুষের ধারা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। শিক্ষার মান দিন দিন অবনতি হয়ে গেছে। একটা ছাত্র লেখাপড়া না করেই সে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একজন ব্যক্তি বারো ঘণ্টা পরিশ্রম করেও সে তার সংসার চালাতে পারছে না। দারিদ্রতা যেন মানুষের ঘরে ঘরে কোনায় কোনায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের নিম্ন থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ে পর্যন্ত যদি দুর্নীতি না থাকে, তাহলে দেশে দারিদ্রতা কমবে। একটা বিষয় আপনি লক্ষ্য করে দেখেন, কৃষক জমি চাষ করে ফসল ফলায়। ফসল ফালানোর সময় সে,যে যেসব জিনিস ব্যবহার করে, সেসব জিনিস কিনতে গেলে অধিক মূল্যে তাদের কিনতে হয়। অথচ যে ফসলটা সে তৈরি করল বিক্রয় সময় সে ঠিক রকম দাম পাচ্ছে না। বাজার মূল্য কম পাচ্ছে অথচ যারা বাইন্ডিং করছে তারা অধিকা হারে মুনাফা লাভের জন্য গুদামজাত করছে। এক্ষেত্রে যারা হতদরিদ্র আছে তাদের কেনা সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এর ফলে দেশে দারিদ্রতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ যদি তারা নিজের থেকে নিজ দায়িত্ব এবং নিজের মতো করে জীবনের দীর্ঘ পথ অতিবাহিত করে কাজের মধ্য দিয়ে এবং সরকার যদি তাদের সহযোগিতা করে তাহলে মানুষের দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে। দিন দিন মানুষ দারিদ্রতার নিচে চলে যাচ্ছে। আমরা যতই গলা বাজায় না কেন? যে আমাদের দেশের মানুষ খুবই সুখে খাচ্ছে। কিন্তু যারা আপনারা এই ভাবনা নিয়ে পড়ে আছেন তারা জানেন এখনো মানুষ এক বেলা খেতে পারে না। দারিদ্র তাদের চারদিকে ঘিরে রেখেছে। তাদের খাবারের দুমুঠো পয়সা নেই। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে বেড়ায়। কখনো ক্ষুধার জ্বালায় ঘুমিয়ে পড়ে ছোট শিশু। তাদের এই মর্মান্তিক কষ্ট দেখলে নিজের চোখে জল চলে আসে।
আমাদের এই সমাজে জাতিকে যদি দারিদ্রতার কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার আমলা থেকে শুরু করে সবাই একত্রে কাজ করতে হবে। ঘুষ দুর্নীতি থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করতে হবে। জনগণের স্বাধীনতা হরণ করা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে। দেশের ১৮ কোটি লোক যেন তার খাবার পায় সে ব্যবস্থা করা। আর এটা করতে হবে যাকাতের মধ্য দিয়ে। দারিদ্রতা নিধন করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত যাকাত দেন তাহলে অবশ্যই দেশে দারিদ্রতা দিন দিন কমে আসবে।
নিজের এই ছোট্ট জ্ঞানে যতটুকু পেরেছি লিখেছি ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি তুহিন, আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। এছাড়াও আমার একটি বাগান আছে। বাগানে অনেক ফল ও সবজির চাষ করে থাকি। আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1666797731812343810?t=yYXXabwWXpCzd8KuL2CBcA&s=19
দারিদ্র্যতা নিয়ে আপনি চমৎকার একটি পোস্ট করছেন। সত্যি দারিদ্র্যতা আমাদের ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। আমরা যতই বলি আমরা উন্নত দেশে বাস করি কিন্তু আসলে কি তাই? যাইহোক আমাদের সবারই দারিদ্র্যতা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যথেষ্ট সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে সুন্দর একটি পোস্ট সাজিয়েছেন। আসলে বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি চলছে এই অবস্থায় কে যে কতটা সুখী তা বোঝা যায়। যা হোক খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট পড়ে।
আপনার চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।