নাটক রিভিউ :- আরমান ভাই হানিমুনে। পর্ব :-১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩ - ০৮ - ২০২৩)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" আরমান ভাই হানিমুনে , পর্ব- ১" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | আরমান ভাই হানিমুনে পর্ব -১। |
---|---|
পরিচালক | সাগর জাহান। |
অভিনয় | জাহিদ হাসান, তিশা, আরফান,মুনিরা,মিঠু, বাদল, সাগর জাহান ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৩৯ মিনিট ০৯ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০২ জুন ২০২০ ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ । |
---|
আমি এর আগে যে নাটকটি আপনাদের সামনে রিভিউ করেছে সেটা হল আরমান ভাই দা জেন্টলম্যান। ওই নাটকে হুমায়ন ফরিদীর অভিনয় করেছিল। এই নাটকে প্রথমে দেখা যায় জাহিদ হাসান মন মরা হয়ে বসে আছে। আসলে এমন থাকার কারণ হলো হুমায়ন ফরিদের মৃত্যুতে সে গভীর শোক পেয়েছে। তার পাশে যেসব সহদররা থাকে তারা সবাই তাকে হাসানোর জন্য একটু চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আরফান তাকে একটা যুক্তি দেয় তা হলো বলে যে, ভাই আপনি বিয়ের পরে হানিমুনে যান নাই। আপনার হানিমুনে যেতে হবে এই কথা শুনে জাহিদাসের একটু হেসে পড়ে এবং সে মনে মনে অনেক খুশি হয়।
তাদের কথা শুনে জাহিদ হাসান বাড়ির দিকে চলে আসে। সে যখন সিঁড়ি বয়ে উপরের দিকে আসে ঠিক তখনই তার স্ত্রী এবং শাশুড়ির কথা শুনে দেওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। সে শুনতে পারে তার শাশুড়ি বলে আমার জামাই টার কতকিছু খেতে চাই তুই কিছু খেতে দিস না। শুধু শাক খেতে দিস। এই কথা শুনে তিশা রাগ করে বলে, মা তুমি রান্না ঘরে আসো কেন? তোমার বলি না রান্না ঘরে আসার দরকার নেই। জাহিদ হাসান তার শাশুড়ির মুখে জামায়ের এত আদর ভক্তির কথা শুনে জাহিদ হাসান বিশাল খুশি। এর পরে তাদের সামনে আসে এবং সালাম বিনিময় করে, পরে তার শাশুড়ি সেখান থেকে চলে যায়।
বিয়ের পর থেকে জাহিদ হাসান তিশার সাথে কথা বলতে গেলে একটু ভয় পাই। সে কখন যেন কি বলে বসে সেইজন্য। যাইহোক তাকে অনেক কিছু কথা বলে। বলতে বলতে এর মধ্যে তিশাকে বলে জান চলনা আমরা তো বিয়ে করেছি, বিয়ে করার পর কোথাও যাওয়া হয়নি চল আমরা হানিমুনে যাই। এই কথা শোনা মাত্রই তিশা রেগে যাই, বলে তোমার বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে। জাহিদ হাসান এই কথা শুনে বলে তুমি কি বলো জান,এখনো আমাদের বাচ্চাকাচ্চা হলো না চলনা একটু যাই তখন তিশা বলে না আমি যাব না।
রাত্রে তার পায়েস খেতে খুব ইচ্ছা করেছিল তাই পাশের টেবিলে পায়েস রান্না ছিল কিন্তু সে কোনভাবেই খেতে পারছিল না। কারণ তার পাশে তার স্ত্রীর শুয়ে আছে। সে অনেক চেষ্টা করছিল তার স্ত্রী হাতের মধ্যে থেকে সরে নিজেকে গুটিয়ে নিতে এবং সে যেন পায়েসটা খেতে পারে। কয়েকবার চেষ্টা করার পরে সে তার হাত বের করে আনছিল এবং পরে পাশে যে টেবিলে পায়েস ছিল সেটা সে খেতে পারছিল।
পাশে বউ শুয়ে আছে, বউয়ের ভয়ে সে চুরি করে পায়েস খাচ্ছে। এভাবে পায়েস খেলে যে গলায় না বেঁধে যায়। তাই খেতে খেতে তার গলায় পায়েস বেধে যায় এমন মুহূর্তে সে পানি গ্লাস তার সামনে চলে আসে। এবার পানি গ্লাস নিয়ে মুখে দিতে গিয়ে সে ভাবে এই গ্লাসটি কে দিল তাকে? দেখে তার স্ত্রী। তখন সে হাত দিয়ে বলে সত্যি জান আমি আর কোনদিন পায়েস খাবো না। তুমি আমাকে কিছু বলো না।। এ বলে জাহিদ হাসান তার সামনে একটু কাকুতে মিনতি করে। তিশা এটা দেখে হেসে বলে তুমি এমন করছো কেন তুমি খাচ্ছ খাও আমি তো তোমাকে কিছু বলছি না।
তাদের পুরনো ঘরে রং করা চলছে। তিশার মা অর্থাৎ জাহিদ হাসানের শাশুড়ি তিশাকে বলছে যে, এই আমার জামাই কোথায় গেছে তুই কি দেখেছিস? তিশা তখন বলে তোমার আদরের জামাই কোথায় গেছে তুমি ভালো জানো। যখন তুমি নিজের হাতে ভালোমতো কিছু খেতে দাও, তখন তো জামাইকে খোঁজ রাখো এখন আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করছো কেন। এভাবে এখানে মা এবং মেয়ের মধ্যে এক প্রকার যুদ্ধ হয়, মায়ের জামাই এবং তার স্ত্রীর স্বামীকে নিয়ে।
এরপরে জাহিদ হাসানের শাশুড়ি, জাহিদ হাসান কে ফোন দিয়ে বলে আব্বা তুমি কোথায় আছো? তুমি আজকে বাড়িতে খাবার খাবে। কারণ আমি তোমার জন্য খুব ভালো কিছু রান্না করেছি, যেগুলো তুমি পছন্দ করো। যে খাবার গুলোই আমি রান্না করেছি। এই কথা বলার কিছুক্ষণ পরে জাহিদ হাসান তার শাশুড়ির কাছে চলে আসে। ওই সময় জাহিদ হাসানের স্ত্রী বাইরে থাকে যার কারণে সে খেতে পারে। তবুও জাহিদ হাসান ভয়ে ভয়ে বলে আম্মা আপনার মেয়ে বাড়িতে নেই তো? তখন তার শাশুড়ি বলে না বাবা তুমি কোন ভয় পেয়ো না, তুমি এগুলো সব খেয়ে নাও। তখন জাহিদাস আর মিটমিট করে হাসে এবং সেগুলো খেয়ে নেয়।
তারা খাবার শেষ করে খাবারে প্যাকেট গুলো বাহিরে ফেলে দেয়, ঠিক সেই জায়গাতেই ফেলে দেয়, যে জায়গা দিয়ে তিশা বাড়িতে আসে। ঠিক বাড়িতে ফেরার সময় সে প্যাকেট গুলো দেখে বুঝতে পারে যে এই প্যাকেট গুলো কে এনেছে। এবং এতে যে খাবার গুলো ছিল সেই খাবার গুলো কে খেয়েছে। প্রথমে সে একটু রাগ করলেও পরে মিটমিট করে হাসে। আর এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়। এরপরে দ্বিতীয় পর্বটি পরবর্তী সপ্তাহে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আরমান ভাই হানিমুনে এই নাটকের প্রথম পর্ব এটি। এই নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। রক্তের কেউ না হলেও অনেকে আছে অনেক আপন হয়। আর সে আপনজন মরে গেলে বা দূরে চলে গেলে অনেক কষ্ট হয়, সেই বিষয়টা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি শাশুড়ি জামাইকে কতটা ভালোবাসে সেটাও এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আর জামাইয়ের সাথে শাশুড়ির এত সুন্দর ব্যবহার দেখে মেয়ে অনেক খুশি। আসলে প্রতিটা ছেলে তার নিজের মা যেমন মা, ঠিক তেমনি তার স্ত্রীর মাও হলো তার মায়ের মতো সুতরাং তাদেরকে এভাবে সম্মান করা উচিত। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ সকলকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৯.৮ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1690675778596560896?t=RGcV0mg0xXHkc2VUVKbENw&s=19
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করলেন। জাহিদ হাসান ও তিশার নাটক দেখতে ভীষণ ভালোই লাগে।আপনি নাটকের রেটিং ১০/ ৯.৮ দিলেন।খুব ভালো লাগলো রিভিউ টি পড়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আরমান ভাইয়ের হানিমুন পর্বের নাটকটি দেখা হয়নি রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নাটক দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি সময় পেলেই নাটক দেখে থাকি।এই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
সময় পেলে দেখবেন ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটক।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনি অনেক আদিম যুগের নাটক রিভিউ করেন সত্যি এগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে কিন্তু এগুলো দেখতে মন চায় না। তবে আপনার রেটিং পয়েন্ট দেয়া দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি। নাটকটি দেখতে মনে হয় বেশ হাসির ছিল তাই আপনি এত রেটিং পয়েন্ট দিয়েছেন। চেষ্টা করব আপনার শেয়ার করা নাটকটি খুব দ্রুত দেখার জন্য।
আসলে রেটিং পয়েন্টটা তখনই দেয়া হয় যখনই নাটকটি তার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। জাহিদ হাসানের এই নাটকগুলোর মধ্যে অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো জানা বোঝা এবং সেভাবে চলা মানুষের উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও মানুষের সঙ্গে এতো ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় যে রক্তের সম্পর্কেও হার মানায়। এই নাটকের ক্ষেত্রেও তেমন হয়েছে। এই নাটকটি অনেক আগেকার। দেখেছিলাম মনে হয়। খুব ভালো লেগেছিল নাটকটি আমার কাছে। আপনি আজকে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার রিভিউ দেখে। ধন্যবাদ।
একটা সময় আসবে মানুষ রক্তের সম্পর্ক কেউ ভুলে যাবে। আর রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও মানুষ অনেক সময় বাইরের মানুষ আপন হয়ে যায়। এই নাটকটি কিন্তু তার বাস্তব উদাহরণ কারণ জাহিদ হাসানের সাথে যারা থাকে সবাই তার রক্তের বাইরের মানুষ।