জেনারেল রাইটিং :- অতৃপ্ত আত্মার শেষ ইচ্ছা। শেষ পর্ব
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো,অতৃপ্ত আত্মার শেষ ইচ্ছা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
মালির কথা ঠিক বিশ্বাস হলো না আপনের। মালির কথার মধ্যেও তার কোথাও একটা সন্দেহ তৈরি হলো। শুভ যদি রোড এক্সিডেন্টে মারা যাবে তাহলে সে তার বাবা-মার কাছ থেকে জানতে পারতো। শুভর সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার বেশ কিছুদিন আগেও শুভর বাবা মায়ের সঙ্গে আপনের কথা হয় এবং তাদের সাথে কথা বলে আপনের এমন কিছু মনে হয়নি যে, শুভর রোডে এক্সিডেন্ট এর মৃত্যু হয়েছে। আপনের মনে হচ্ছে তার মৃত্যুটা অস্বাভাবিক এবং মৃত্যু তার অনেক দিন আগে নয় কিছুদিন আগেই ঘটেছে। তাই আপন সিদ্ধান্ত নেই তার অফিস থেকে কিছুদিন ছুটি নিয়ে শুভর বাসা তে কিছুদিন থেকে তার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করে তবে সে ফিরবে। মালির ওখান থেকে আপন সোজা শুভোর অফিসে যাই। আসসালামু আলাইকুম স্যার। আমি কি ভিতরে আসতে পারি আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিল। হ্যাঁ অবশ্যই ভিতরে আসুন। আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না! স্যার আমি আপনাদের একজন এমপ্লয় শুভর বন্ধু। ও আচ্ছা আপনি শুভর বন্ধু শুভ আপনার নামে অনেক কথা বলতো। কিন্তু আপনি তো এখানে থাকেন না। হঠাৎ এখানেই কোন দরকার? জি স্যার শুভ মারা গেছে সেটা আমি জানতাম না। জানার পরে এখানে এসেছি এবং মনে হলো আপনার সঙ্গে আমার কিছু কথা বলা দরকার। হ্যাঁ শুভর মৃত্যুটা সত্যিই অস্বাভাবিক। ছেলেটা আমাদের মাঝে হল এই এক মাস নেই। তবুও মনে হয় কোথাও না কোথাও ছেলেটা আছে।
স্যার যদি ওর সম্পর্কে আমাকে কিছু বলতেন। আসলে শুভ খুবই ভালো একটা ছেলে আমাদের ডিপার্টমেন্টের সব থেকে নম্র ভদ্র ছেলে একমাত্রই ছিল। শুভোর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বেশ ভালই ছিল। আমার সঙ্গে অনেক কথা শেয়ার করতো। শুভর একটা ইচ্ছা ছিল ওর গ্রামের একটা অনাথ আশ্রম আছে সে অনাথ আশ্রমে ওর যাবতীয় সম্পত্তি যা আছে সবকিছু ওখানে দান করে যাবার। আচ্ছা স্যার এমন কি কেউ আপনাদের ডিপার্টমেন্টে ছিল যে ওকে কি কখনো সহ্য করতে পারত না? ঠিক সেরকম বলতে পারবো না তবে আমাদের ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র ছিল যে শুভোর কথা শুনতে পারতো না। এমনকি তার সাথে কোন কথা হতো না ঠিকমতো। এমনকি এমনটাও শোনা যেত শুভর যে সম্পত্তি আছে ওই সম্পত্তির প্রতি তার অনেক আকর্ষণ ছিল। শুভকে এসে টাকার লোভ দেখিয়ে ওই সম্পত্তি গুলো আত্মসাৎ করতে চেয়েছিল। এই নিয়ে মাঝে বেশ ঝামেলাও হতো। তাদের মাঝে কথা হয় বা বিতর্ক হয় আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটা অনুষ্ঠান। সে অনুষ্ঠানে দুজনই উপস্থিত ছিল এবং একপর্যায়ে তাদের মাঝে কিছু কথা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। শুভ খুব নরম ছেলে ছিল, সে বিষয়টা মীমাংসা করতে চাই, সজল এ বিষয়টাকে আরো কমপ্লিমেন্ট করে এবং সেখানে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সজল শুভ কে হুমকিও দেয়। কিন্তু শুভ তার ওয়াদা থেকে একটাও বিক্রি করবে না। সে সব সম্পত্তি সে অনাথ আশ্রমেয় দান করতে চাই।
সন্ধ্যার পরে তিনি সকালে আমরা খবর পাই যে এই শুভ আর নেই। আমরা আন্দাজ করেছিলাম হয়তো সজল কিছু করেছে, এই ঘটনার পরের থেকে সজলকে আমাদের ডিপার্টমেন্টে দেখা যায়নি এমনকি এই দেশেও আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা পুলিশ রিপোর্ট লিখিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সজলকে আজ পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আচ্ছা স্যার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে সকল কথা জানানোর জন্য। আর প্লিজ আমি যে এখানে এসেছিলাম এবং শুভোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা যেন আর কেউ জানতে না পারে। আমি তাহলে আজ আসি। প্রয়োজন হলে আবার আসবো। শুভর অফিসের অফিসারের কথা শুনে আপন ভাবতে থাকে এই খুনের পেছনে সজলের সঙ্গে হয়তো মালিও সংযুক্ত আছে। তাই সে অফিস থেকে সরাসরি মালীর কাছে যাই এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাকে পুলিশের ভয় দেখানোর পর এবং অনেক ধমকা ধমকির পর মালি শিকার করে যে মালি এবং সজল মিলে শুভোকে খুন করেছিল। এবং তারা শুভোর লাশকে ওই পুকুরের পাড়ে দাফন করেছিল। আপন মালির কথা রেকর্ড করে পুলিশের কাছে জমা দেয়, এবং পুলিশ এসে মালিকে গ্রেফতার করে। সজলকে খুঁজে বের করে।
এবার শুভ তার বন্ধুর লাশকে পুকুরপাড় থেকে তুলে জানাজা করে পুনরায় দাফন করে। এবং তার বন্ধুর শেষ ইচ্ছা তার সকল জমি জায়গা, সম্পত্তি ছিল সেগুলো অনাথ আশ্রমে দান করে দেয়।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1681937548988538881?t=Zykt7ddo3L7jo0Yvj5YvLQ&s=19
ভাইয়া, গল্প পড়ে মনে হলো এখানে শুভ এর বদলে আপন হবে। আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়া হয়নি।তবে শেষ পর্ব পড়ে বুঝলাম সম্পত্তির জন্য ভয়াবহ পরিণতি হয় শুভ এর।শেষমেশ মৃত বন্ধুর অনাথ আশ্রমে জমি দেওয়ার ইচ্ছে পূরণ করলো আপন জেনে ভালো লাগলো।আপনার লেখা গল্পটি সুন্দর ও বাস্তবমুখী ছিল।গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো আমার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু ছোট্ট একটা ভুল হয়েছে সেটা আমাকে ধরে দেয়ার জন্য। এভাবে ছোট ছোট ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে পরবর্তীতে ভুল করা সম্ভববন অনেক কম থাকে।
আমি প্রতিটি পোষ্ট খুঁটিয়ে পড়ি তাইতো ভুল খুঁজে পেলাম।আপনাকেও ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।