লাইফস্টাইল :- একটু সহযোগিতা এবং নিজের জন্য রাস্তার মাঝে কিছু কেনাকাটা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আমি @tuhin002, বাংলাদেশ থেকে বলছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন নিশ্চয় অনেক ভাল আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়টা আমি তুলে ধরব সেটা হলো অনলাইনে একটি কার্ড করতে গিয়েছিলাম এবং বাড়ি ফেরার পথে এক পথিক ব্যবসায়ের কাছ থেকে একটি হিজাব ক্রয় করেছি। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ....

উপরে বোর্ডে লেখা আছে ব্যাংক এশিয়া। অর্থাৎ এখানে ব্যাংক এশিয়ার সমস্ত কার্যক্রম গুলো এখানে হয়। এছাড়াও গ্রামে যে ইউনিয়ন কাউন্সিল আছে, সেইখান কার যেসব কাজকর্ম তা এখানেই করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আজকে এক ব্যক্তির একটি কার্ডের সমস্যা হয়েছিল। সেটা ঠিক করতে পারছিলেন না। এটার মধ্য দিয়ে তিনি রিলিফের কিছু তেল ডাল চিনি কিনে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে সরকার গরিবদের জন্য এইগুলো দিয়ে থাকেন। যে ব্যক্তির এই কার্ড তার নাম হচ্ছে রফিকুল ইসলাম। তিনি অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। আমি ওখানে যাওয়ার পরে তিনি আমাকে বললেন আপনি কি এটা ঠিক করে দিতে পারবেন? তখন আমি দেখলাম, দেখেই বুঝতে পারলাম যে খুব সহজে ঠিক করা যাবে অনলাইনে মধ্য দিয়ে।

অনলাইনে করার জন্য ওই ব্যাংক এশিয়া যেখানে একজন কাজ করে নাম তার হাসান আলী। তাকে বললাম যে আঙ্কেল এটা আপনি ভাই ঠিক করে দেন। অনেক কিছু করার পরে তার এ কাজ ঠিক হলো। এবং ঠিক হওয়ার পরে সে অনেক খুশি হয়েছিল। তিনি আমাকে বললেন ভাই আপনি আজকে আমার বেশি উপকার করলেন। যদি না থাকতেন তাহলে এটা করা সম্ভব হয়ে উঠত না। আসলে গরীব মানুষের জন্য এই কার্ড গুলো দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে গরিব ধনী লোক সবাই এ কার্ড নিয়ে থাকেন এবং এর মধ্য দিয়ে তেল নিয়ে থাকছেন কেন সবার আগ্রহ এই রিলিফের কার্ডের জন্য। নিয়ন্ত্রণ করে গ্রামের মেম্বার এবং চেয়ারম্যান দ্বারা।

উনার কাজ সম্পন্ন করার পরে আমি বাড়ির দিকে আসছিলাম। এর মধ্যে একজন কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হল। দেখি তার কাছ থেকে অনেকেই কিছু অনেক কিছু কিনছেন। হঠাৎ করে মনে হলো যে একটি হিজাব কেনার কথা বলছিল বাসা থেকে। বললাম ভাই আপনার কাছে কি কোন হিজাব রয়েছে। এখানে হিজাব বলতে আমরা ওড়নাকে বোঝায় ওই ওড়নাটা মাথায় পেচিয়ে দেয়া হয় তাই এটাকে হিজাব হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। দুইটা হিজাবের কাপড় দেখালেন। দুইটা কাপড়ের মোটামুটি ভালো ছিল। উনাকে দাম বললাম দুইটা ৫০০ টাকা। আমি ওনাকে বললাম ভাই একটা নিলেই যথেষ্ট। তাই দুইটার মধ্যে আমার একটা পছন্দ হলো আমি সেই হিজাবটাই নিলাম। পাশে আমার এক চাচাতো বোন ছিল। যদিও সে ছবি তুলতে নারাজ ছিল তা আমি তার ছবিটা তুলি নাই। জিজ্ঞাসা করছিল ভাই আমিও একটা নেব আমাকে একটা পছন্দ করে দেন ওর জন্য আমি একটা পছন্দ করে দিয়েছিলাম। আসলে আমার ওই বোনকে হিজাব নিয়ে কিনছেন তার শাশুড়ির জন্য। মজার ব্যাপার হলো তার শাশুড়ি তাকে বলেছিল আমাকে একটা হিজাব কিনে দিবে তো মা। এক গ্রামে উনি অন্য জায়গায় থাকেন। ইচ্ছা করলে তার শাশুড়ি তার গ্রাম থেকেও কিনতে পারেন। যাক সেও একটা নিলো।

আমি যে হিজাবটা কিনেছিলাম সেই হিজাবটা হচ্ছে এমন রঙের। দেখতে বেশ নিজের কাছে ভালো লাগছিল তাই ২২০ টাকা দিয়ে এটা কিনেছিলাম। যদিও দিতে চেয়েছিল না যেহেতু আমার একটা চাচাতো বোন কিনেছিল দুইটা মিলে ৪৪০ টাকা নিয়েছিল। এখন মজার ব্যাপার হলো আমার কাছে তো কোন টাকা নেই। ভেবেছিলাম উনি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাবে তখন ওনাকে টাকা দিয়ে দেব। কিন্তু উনি বলছে ভাই আমি আর ওই দিকে যাব না কারণ এইমাত্র ঐদিক থেকে আসলাম। তখন আমি ওনাকে বললাম ভাই তাহলে এটা নেয়া হলো না। ওই ব্যবসায়ী মনে করছে যে যাই হোক বিক্রি করেছি ২০ টাকা লাভ তো হয়েছে। তখন উনি বলছে ভাই এটা তো আপনার বোন আপনি ওনার কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে বাসায় গিয়ে দিয়ে দিবেন। তখন আমি ওনাকে বললাম বাহ ভালো একটা কথা বলেছেন তো এটা তো আমার মাথায় কাজ করে নাই। এর কাছ থেকে টাকাটা নিলাম এবং সেই হিজাবটি ক্রয় করলাম ওনার কাছ থেকে।

আজকে এই প্রথম আমি স্টিম প্রো দিয়ে একটি পোস্ট করলাম। আমার মনে হয় কোন না কোন ভুল হতেই পারে যেহেতু প্রথম তাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

যদিও টিসিবি কার্ড নিম্নবিত্তদের সুবিধার্থে করা হয়েছে, তবে অনেক মধ্যবিত্তরাও টিসিবি কার্ড বানিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে। আমি মনে করি এই কাজটি খুবই নিকৃষ্ট। যাইহোক আপনি লোকটার উপকার করেছেন,যা দেখে খুব ভালো লাগলো। তারপর হিজাব কিনে বাসায় ফিরেছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনার কথার সাথে আমি সহমত ভাই আমিও নিজের চোখে দেখেছি অনেকেই যারা সামর্থ্যবান বিশেষ করে ধনী বলা যায়। তারাও এই কার্ড নেয়। যেটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া ছোট ছোট কিছু কাজ মানুষকে অনেক খুশি করে দেয়। তাদের অন্তর থেকে দোয়া আসে। আজকে আপনি ঐভদ্রলোকের জন্য যে কাজটা করলেন সেটা খুবই ভাল কাজ। আপনি না থাকলে হয়তো এই কার্ড নিয়ে উনি অনেক পেরেশান হয়ে যেত। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45