স্পোর্টস :- পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
খেলার রিভিউ
আজকের এই খেলাটি ছিল এশিয়া কাপের সুপার ফোর এর শ্রীলংকা বনাম পাকিস্তানের খেলা। এই খেলাতে যে জিতবে সেই ফাইনাল খেলবে ভারতের সাথে। টসে জিতে পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবার আজম প্রথমে ব্যাট নেয়। শুরুর কিছুক্ষণ মুহূর্তে তারা প্রথম ব্যাটিং ফখর জামান কে হারায়। এরপরে বাবর আজম এবং আসাদ শফিক টুকটাক করে খেলাটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাবর আজম জমে আউট হয়ে যায়। পাকিস্তান পুনরায় ব্যাকফুটে পড়ে। ক্রিকেট খেলায় প্রথম ওপেনিং জুটি যদি ভালো না খেলে, সে খেলায় বেশি রান করার প্রত্যাশাটা করা যায় না। আর পাকিস্তান যেন ওপেনিং জুটি দু-পাচ ওভার এর মধ্যেই আউট হয়ে যায়। তাই সবসময় তারা চাপে থাকে।
এরপরে পাকিস্তানের উইকেট দ্রুত পড়ে যায়। তারপরে আসে ইফতেখার আহমেদ। ইফতেখার আহমেদ মোহাম্মদ রেজওয়ান দুইজনের সাথে খুব ভালো একটা জুটি করে। আর এই জুটির উপরে ভর করে পাকিস্তান সামনের দিকে এগিয়ে যাই। যেহেতু এই ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য কিছু ওভার কমিয়ে দেয়া হয়েছিল তাতে মনে হয়েছিল পাকিস্তান খুব একটা বেশি রান করতে পারবে না। তাদের খেলার গতিবিধি দেখে। বল যেহেতু ব্যাটে ভালোভাবে আসছিল না তারাও সেভাবে বল মারতে পারছিল না। মনে হয়েছিল ২২০ রান এমন একটা রান করতে পারবে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের একটা খেলা আমরা বরাবরই দেখে আসি, তারা শেষে ১০ ওভারে একটু বেশি রান করে থাকে। এদিকে ইফতেখার আহমেদ তার ব্যাট যেন চলতেই থাকে তাতে রানের চাকা যেন সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই জুটিতে পাকিস্তানের ১০৮ রান যোগ করেন। আর তাতে পাকিস্তানের একটা শক্ত ভীত অবস্থান করে। পাকিস্তানের ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ ভাবছেন হাফ সেঞ্চুরি কিছু রান কম থাকতে তিনি আউট হয়ে যান। অন্য প্রান্তে রিজওয়ান যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে তার নিজের দলের জন্য। রিজওয়ান যেন প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো খেলে যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত রিজওয়ানের ঘাড়ে ভর করে পাকিস্তান 252 রান করতে সক্ষম হয়। যদিও খেলা ছিল ৪২ ওভার। ২৫২রান শ্রীলংকার এই মাটিতেই যথেষ্ট ছিল । যদি তারা ভালো বল করতে পারে। খেলায় প্রথম ইনিংস পাকিস্তান এখানেই শেষ করে। যদি বৃষ্টির না হানা দেয় পুনরায় তাহলে আবারও দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হবে। শ্রীলংকার দরকার ছিল ২৫৩ রান ওভার প্রতি ছয় রান করে নিতে হবে তাদের জেতার জন্য।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকা শুরুটা ভালো না হলেও শ্রীলঙ্কা কিন্তু খুব ভালো খেলেছে। এক কথায় বলা যায় শ্রীলংকা একতরফা প্রথম দিক থেকেই খেলা খেলেছে। প্রত্যেকটা অভারে রান রেট তারা ঠিক রেখেছে। শুধু প্রথম দিকে কুশল ম্যেন্ডিস রান আউট হওয়াতে শ্রীলংকা একটু ব্যাকফুটে পড়েছিল।
ওপেনিং জুটি ভালো না হলেও দ্বিতীয় জুটিতে তারা প্রায় ৭৭ রান করতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে তারা চতুর্থ জুটিতে প্রায় ১০০ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। আর এই বড় একটি পার্টনারশিপের কারণে শ্রীলংকার জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলা দেখেছিলাম। খেলা দেখে একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পারলাম কোন সময় পাকিস্তানের দিকে ম্যাচ ছিল না। শ্রীলঙ্কা যেন খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে গেছিল তাদের খেলাটা। যার জন্য সব সময় শ্রীলঙ্কার দিকে ম্যাচটা ছিল।
শ্রীলংকার হাতে আছে পাঁচ উইকেট ১১ বলে ১০ রান দরকার আর কি লাগে। শ্রীলঙ্কা ৯৯% এই ম্যাচ জিততে চলেছে এর কোন সন্দেহ নেই। তখন বল করেছিল শহীন খান আফ্রিদি। যদিও আফ্রিদি এখন পর্যন্ত এই ম্যাচে ভালো বল করতে পারেনি। কিন্তু এই ওভারে এসে পরপর দুইটো উইকেট ফেলে দেয়। আর এতেই অনেকটা খেলা জটিলতা হয়ে পড়েছিল শ্রীলংকার। শাহীন আফ্রিদি তার ওভার শেষ করলে লাস্ট ওভারের দরকার থাকে ছয় বলে আট রান।
শেষ ওভারে বল করতে আসেন জামান খান। আজকেই তার ডেবিও হয়। জামান খানের বল আমি অনেকবার দেখেছি। লাস্ট ওভার এসে যথেষ্ট ভালো বল করে থাকেন। আর সেই আশাতেই ক্যাপ্টেন বাবর আজম তাকে শেষ ওভারে বল করতে দেয়। আমি আগেই বলেছি কখনোই পাকিস্তানের দিকে ম্যাচ ছিল না এবং ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। লাস্ট চার বলে রান নিয়েছিল মাত্র ২ রান। এই যে ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না, তাই পঞ্চম বল কানাই লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। শেষ বলে দরকার দুই রান। শেষ বলটা ব্যাটের এক কোনে লেগে রান হয়ে যায় আর এতে জয় পাই শ্রীলংকা।
পাকিস্তানের সাথে এই ম্যাচে দুই উইকেটে জয়লাভ করার জন্য শ্রীলংকা ফাইনালে চলে গেলো। আর ফাইনালে ভারতের সাথে তাদের মুখোমুখি হবে। ভারতের আগে পরপর দুইটা ম্যাচ জিতে তারা ফাইনালে চলে গেছে। আশা করছি ফাইনাল ম্যাচটা বেশ জমকপূর্ণভাবেই শেষ হবে।
Posted using SteemPro Mobile
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | kingobd Sports, Prince Sports, SHK SPORTS, Kingobd . sports corner. |
লোকেশন | মেহেরপুর |
যেহেতু ফেসবুক লাইভে দেখেছি। যখন যে চ্যানেলটিতে খেলা দেখিয়েছে তখন সেই চ্যানেলটাতে খেলা দেখার চেষ্টা করেছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1702560102212108383?t=cuTJbxitwVKQo9p6PE8umg&s=19
সত্যি বলতে পাকিস্তানের জন্য অনেক বেশি খারাপ লেগেছে যে একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে তারা ম্যাচটি হেরে গিয়েছে। যদিও অনেক ভালো ভালো প্লেয়ার ছিল যেগুলো লোকে তারা ইস্কটে নাম রাখেনি কিন্তু কেন রাখেনি সেটা বুঝলাম না। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের রিভিউ তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাই পাকিস্তানের যারা প্রথম সারির বোলিং ছিল এরা সবাই ইনজুরি তে ছিল। আর ভাগ্য বলে একটা কথা থাকে কখনো এই ম্যাচ পাকিস্তানের ভাগ্যে ছিল না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি খেলা রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন । আসলে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। পাকিস্তানের কোনো বেটার তেমন ভালো রান করতে পেরেছিল না এই খেলাতে। বাবর আজম দুর্দান্ত একটি ক্যাস ধরেছিল এই খেলায়। শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি খেলা শেয়ার করার জন্য।
এই খেলাটি আসলেই দারুণ ছিল। পাকিস্তান বেশ ভালো খেলেছিল তার থেকে বেশি ভালো খেলেছে শ্রীলংকা। তাই তারা ফাইনালে গেছে তাদের জন্য শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খেলাটা যে এমন হয়ে যাবে সেটা আমি কোন ভাবেই ভাবতে পেরেছিলাম না। শেষ দুই বলে ৬ রান বাকি ছিল আর সেটাই করে ফেলল শ্রীলংকা। আমি কোন সময় ভাবতেই পেরেছিলাম না যে পাকিস্তান এশিয়া কাপ থেকে আগেই বাদ পড়ে যাবে। জমজমাট একটা ম্যাচ দেখেছিলাম আমরা পাকিস্তান শ্রীলংকার মধ্যকার।
ক্রিকেট খেলায় লাস্ট ৬ বলে ৮ রান খুব বেশি না। তবে ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। তবে দুই দলের খেলাটা বেশ ভালো উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভেবেছিলাম ভারত পাকিস্তান ফাইনাল খেলা হবে। কিন্তুু পাকিস্তান যে খেলা উপহার দিয়েছে সেটা আশা করি নাই। মাত্র ২৫২ রান করে সেমিফাইনালে লড়াই করা যায় না। যায়হোক ঐদিন শ্রীলংকার ভাগ্য সহায় ছিল। দেখি ফাইনালে কি হয়। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই সবকিছু উপর থেকে নির্ধারণ করা থাকে। ঐদিন শ্রীলংকা ভাগ্য খুবই ভালো ছিল। পাকিস্তান যত চেষ্টাই করেছে কোন কিছুই তারা পারে নাই শুধু ব্যর্থ হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।