ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- মারা গিয়ে বেঁচে থাকার নামই হলো সার্থকতা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম মারা গিয়ে বেঁচে থাকার নামই হলো সার্থকতা।। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কত মানুষ মারা গেছে তার কোন হিসাব নেই। প্রতিটা মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীতে কোন মানুষ স্থায়ী নয়। সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। যাওয়া আসার মাঝে মানুষ কিছু জিনিস রেখে যায়। কোন মানুষের জীবনে রেখে যায় জিনিসগুলো তাকে সারা জীবন জীবিত করে রাখে। অবশ্য এই জীবিত দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো কেউ সুনাম রেখে যায় আর একজন কেউ দুর্নাম রেখে যায়। সুনাম এবং দুর্নামের মধ্যে পার্থক্য আমরা সবাই বুঝতে পারি। পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে কিছু মহৎ মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে। যারা এখন পর্যন্ত মারা গিয়েও জীবিত রয়েছে মানুষের মধ্যে। আমি বেশি দূরের কথা বলবো না, এ ধরনের মানুষ সম্পর্কে সবার অনেক জানা আছে। নিশ্চয়ই আমার নিজের গ্রামে যারা আছে তারা যে সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই আজকে আমি আমার নিজের গ্রামের কিছু মানুষ রয়েছে যারা মহৎ যারা মারা গেছে কিন্তু এখনো বেঁচে আছে আমাদের মাঝে।
যেমন কর্ম তেমন ফল। আপনি যদি পৃথিবীর বুকে যদি ভালো কাজ করে যান তাহলে প্রত্যেকটা মানুষ আপনার ভালো কাজের সুনাম করবে। আর যদি আপনি খারাপ কাজে লিপ্ত থাকেন মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করেন মানুষের সাথে সব সময় মারামারি ঝগড়া-বিবাদে ঝরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে খারাপ হিসেবে গণ্য করবে। পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করে। তবে যতদিন সৃষ্টিকর্তা মানুষের আয়ু দিয়েছেন, তারে বেঁচে থাকাটা এমন ভাবে তৈরি করা উচিত যা মানুষকে সব সময় তাকে মনে করিয়ে দেবে। আপনি যদি সমাজে ভালো ভালো কাজের আমজাম দেন তাহলে অবশ্যই মানুষ আপনাকে ভালো বলে মনে করবে। উদাহরণস্বরূপ আমি আমাদের গ্রামের একজন এরকম মানুষের কথা বলি, তেরা নাম হলেন আইয়ুব আলী মাস্টার। তিনি মারা গেছেন প্রায় দুই যুগ আগে। কিন্তু তার কথা এখনো আমাদের গ্রামের মানুষ স্মরণ করে যাচ্ছে। তার একটাই কারণ তিনি আমাদের গ্রামের অনেক কিছু উন্নয়নের অবদান অপরিস। তিনি মারা গেছেন কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পরও সার্থকতা অর্জন করেছেন। কিছু কাজ রয়েছে যেমন পৃথিবীর বুকে মানুষের মুখে সুনাম অর্জন করা যায় আবার মারা যাওয়ার পরেও পৃথিবীর বুক থেকে তার প্রাপ্য পেতে থাকে।
আবার দুনিয়ার বুকে এমন মানুষ রয়েছে যারা এতটা নিকৃষ্ট পশু পাখি দেখলেও তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে না। এদেরকেও কিন্তু মানুষ মনে রাখে মৃত্যুর পরে। কিন্তু এখানে একটা পার্থক্য রয়েছে। সারা জীবন তাকে মানুষ খারাপ সেভাবে গণ্য করে। ঠিক যেমন বলে থাকে এই মানুষটা এতটাই খারাপ ছিল সে মারা গেছে খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণে দেখেন একজন ভালো মানুষ যখন মারা যায় তখন সবাই তার জন্য আফসোস করে। মারা যাওয়ার পরও সবাই তাকে বলে লোকে এতটাই ভালো ছিল মারা গেলো। এজন্যই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের এমন কিছু কাজ করা উচিত যেগুলোর মধ্য দিয়ে সে যেন সারা জীবন বেঁচে থাকে। তবে বেঁচে থাকা ধরন যেহেতু দুইটা যেহেতু অবশ্যই আমাদেরকে সৎ এবং ভালো ধরনটা নেয়া উচিত। কিছু মৃত্য রয়েছে যেখানে মৃত্যুর পরে মানুষ তাকে ভুলে যায়। আর কিছু মৃত্যু রয়েছে মানুষ মারা যাওয়ার পরও তাকে মানুষ মনে রাখে। আর এই মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে নিজের সার্থকতা। পৃথিবীতে আপনি যতদিন বাঁচবেন ততদিন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন তাহলে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। তবে হ্যাঁ কিছু স্বার্থ নিজে মানুষ রয়েছে যারা কখনোই মনে রাখেনা। আর এসব মানুষ রাখবে ও না। তবু আপনি অবশ্যই সবার মাঝেই বেঁচে থাকবেন।
পৃথিবীতে কোন মানুষ ক্ষণস্থায়ী নয়। আর এক ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমাদেরকে সব সময় সরল পথে চলা উচিত। যে পথে চলে আপনি সারা জীবন মৃত্যুর পরে আপনার কথা মানুষ স্মরণ করবে। প্রতিনিয়ত আপনার জন্য আফসোস করবে। কোন ভাল কাজ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আপনার কথা মনে করবে। মানুষের মনের মধ্যে এমনিতে বলে উঠবে এমন কাজ ওই লোকটা করত। যখন আপনি বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা মানুষের হৃদয় আপনি জুড়ে রয়েছেন। আপনার জন্য মানুষ আফসোস করছে। আপনার জন্য মানুষ দোয়া করছে তখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনি সত্যিকারে মানুষ হয়ে উঠেছেন। অথবা আপনি বুঝতে পারবেন যে মৃত্যুর পরেও আপনি অবশ্যই মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। আর এই বেঁচে থাকা নামই হল সার্থকতা।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1743836841986728026?t=7OVC12Tc9MAX7gc24_qE8Q&s=19
মারা গিয়ে বেঁচে থাকার নামই হলো সার্থকতা কথাটার সাথে আমি একমত। আসলে মানুষের কর্মের কারণে মানুষ মানুষের কাছে মরে গিয়েও বেঁচে থাকে। কেউ জীবনে সুনাম অর্জন করে আবার কেউ দুর্নাম অর্জন করে। সুনাম অর্জন করলে মানুষ থাকে মন থেকে ভালোবেসে স্মরণ করে। তবে মানুষ পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য আসলো। তাই মানুষের কর্মের উপর মানুষ মরেও মানুষের কাছে বেঁচে থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য এসেছি। ক্ষনিকের এই দুনিয়ায় বেঁচে থেকে যদি এমন কিছু কাজ করতে পারি মৃত্যুর পরও আমাদের কথা স্মরণ করবে এটাই আমাদের সার্থকতা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেঁচে থাকতে মানুষ যেমন কর্ম করবে তেমনি ফল পাবে তারা। একটা মানুষ যদি বেঁচে থাকতে ভালো কিছু করে যায়, তাহলে সে মারা যাওয়ার পরও তাকে সবাই অনেক বেশি মনে রাখে। কিন্তু তেমন কিছু না করলে দেখা যায়, সে মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার সবকিছুই চলে যায়, আর কেউই তাকে মনে রাখে না। আর এই কারণেই আমাদের সবার উচিত বেঁচে থাকতে ভালো কিছু করার, এবং মানুষের মন জয় করার। তাহলেই তো আমরা মারা গেলেও তারা আমাদের সবকিছু স্মরণে রাখবে। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই লেখাটা। বাস্তবিক টপিক নিয়ে লিখলেন দেখে ভালো লেগেছে।
মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষের নাম হারিয়ে যায়। কিন্তু মানুষের কর্মটা থেকে যায়। আর এর জন্য সমাজের ভালো কাজে আমজাম দিতে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।