বারান্দায় ঘটে যাওয়া একটা অস্বাভাবিক ঘটনা || 10% Beneficiary @shy-fox & 5% @abb-school

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আমার এই ছোট্ট লেখার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে আজকের এই লেখা শুরু করছি।

people-gfbe294277_1920.jpg
Copyright Free Image Source: Pixabay

আমাদের বারান্দার মুখোমুখি পাশের বিল্ডিং এর একদম লাগোয়া বারান্দায় একজন মাঝবয়সি মহিলা,বয়স সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ হবে, তিনি প্রায়ই মন খারাপ করে বারান্দার গ্রীল ধরে দাড়িয়ে থাকতেন, দিনে বা রাতের বেশীর ভাগ সময়টাতেই উনি বারান্দায়ই কাটান।

আমি প্রতিদিন বিকাল বেলা অফিস থেকে এসে আমার মেয়েকে নিয়ে বারান্দায় যায় ঠাণ্ডা বাতাসের আশায়। আমি যতোবার ই বারান্দায় যাই ততোবার ই চোখে পড়ে ওই মাঝবয়সি মহিলাকে। কখোনো কখোনো রাতে ঘুম ভাঙলে টয়েলেটে যাওয়ার সময় বারান্দা থেকে চাপা কান্নার স্বর শুনতে পাই। আমার স্ত্রীকে বিষয়টা নিয়ে দুএকবার বলেছি, সে তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়নি।

একদিন না পারতে আমি ঐ মহিলার সাথে যেচে পড়ে কথা বললাম, আমি জানতে চাই উনার কি এমন দুঃখ, কি এমন কষ্ট যে জীবনবটা একটা বারান্দায় সীমাবদ্ধ হয়ে গেলো। কথায় কথায় জানতে পারলাম উনি একজন ক্যান্সার রোগী, ডাক্তার সময় বেধে দিয়েছে বড়োজোর ৫/৬ মাস বাচঁবে, এখন উনাকে দেখা শোনার জন্য উনার ছোটবোন এসে রয়েছে, সংসার সামলাচ্ছে, হাজবেন্ড সরকারি চাকরি করেন আর একমাত্র ছেলে কলেজে পড়ে, হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে, বাসায় উনারা তিনজন ই বলতে গেলে।

কথা গুলো শুনার পর ভেতরটা কেমন শূন্য হয়ে গেলো, মানুষের জীবনে কতরকম কষ্ট থাকে ভাবা যায়! আমি উনাকে আপা বলেই ডাকা শুরু করলাম, এরপর থেকে আপার সাথে আমার প্রতিদিন টুকটাক কথা হতো, আমি যতটুকু পারতাম আপাকে সংঙ্গ দিতাম, অল্প দিনের পরিচয়ে আপা কেমন আপন হয়ে গেলো আমার।

একদিন দুপুর বেলা আপার ডাকাডাকিতে আমার ঘুম ভেঙে গেলো, দৌঁড়ে বারান্দায় গেলাম, আপাকে খুব উষ্কখুষ্ক লাগছে, মলিন গলায় বললো ভাই তোমার বাসায় চিংড়ি মাছ আছে আমার খুব চিংড়ি মাছ ভুনা খেতে মন চাচ্ছে, আমার জন্য একটু নিয়ে আসবে? আমার মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গেলো, এই প্রথম আপা মুখ ফুটে কিছু একটা খেতে চাইলো, কত সময় কত কিছু সেধেছি, নিতে চায়নাই, এখন যাও চাইলো কিন্তু বাসায় তো চিংড়ি নেই, আমি বললাম আপা চিংড়ি নেই, আমার স্ত্রী সরিষা দিয়ে ইলিশ মাছ আর টমেটোর টক রান্না করেছে খাবেন?

আপা খুশিতে আপ্লুত হয়ে বলল, অবশ্যই খাবো, আমার খুব খুদা পেয়েছে, বাসায় তো কেউ নেই, আমার বোনকে টুকটাক কেনা কাটা করে দিতে আমার হাজবেন্ড শপিং এ নিয়ে গেছে, আর যা রান্না করা আছে তা মুখে দেওয়া যাচ্ছে না, রুচিতে কুলোয়না এমন সব খাবার। তাই তোমাকে বলা, কিছু মনে করোনা ভাই।

আমি তরিঘরি করে টিফিন ক্যারিয়ার এ করে খাবার নিয়ে প্রথমবারের মতো আপার বাসায় গেলাম, আপা আমাকে তার নিজের ঘরে নিয়ে বসালো। আপার রুমে ঢুকে আমি ধাক্কা মতো খেলাম, ছোট সিংগেল একটা খাট, খুব এলোমেলো স্টোর রুমের মতো একটা রুম, এটার সাথে বারান্দাটা, পাশের রুমটা পরিপাটি গুছানো, কাপল রুম বোঝাই যাচ্ছে, হিসেব অনুযায়ী ওটা আপার রুম হওয়ার কথা। আমার মনে হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তবুও চুপ করে রইলাম। আপা খুব তৃপ্তি নিয়ে সবটুকু খাবার খেলো, খাওয়া শেষে আমার কাধে হাত রেখে বললো কতদিন পর পেট ভরে খেলাম জানিনা, আল্লাহ তোমাকে সুখি করুক ভাই।

আপা তার ছেলের ছবি দেখালো, কতশত গল্প আওড়ালো, আমি মনোযোগ দিয়ে সব শুনলাম, হয়তো অনেকদিন পর মন খুলে কথা বলছে,তবে আমার মনের কনফিউশন আর ধরে রাখতে না পেরে আমি বললাম, আপা পাশের রুমটায় কে কে থাকে ? আপনি এখানে একা থাকেন? আপা মুহুর্তেই কেমন স্তব্ধ হয়ে গেলো, অন্যদিকে দৃষ্টি রেখে বললো বোন ডেকেছো, লুকাবো কি আর বলো ভাই। আসোলে ঐটা আমার সতীনের সংসার, সে আমার বোন নয়! সংসারটা আমার ছিলো, এইতো গত বছর ও ঐ রুমটাই আমি আর আসিফ থাকতাম আর এটায় আমার ছেলে থাকতো। সাজানো গোছানো ছিমছাম সংসার।

আমি কিছু বলার আগেই আপা আমার দুইহাত মুঠোতে নিয়ে বলল ভাই, আমার জীবনে অনেক দুঃখ, তোমার কি দুদন্ড সময় হবে কথা গুলো শোনার? খুব হাসফাস লাগে জানো কাউকে বলতে পারিনা। আল্লাহ ছাড়া কাউকে পাইনা বলার, কিন্তু আল্লাহ তো নিশ্চুপ থাকে, আমাকে শান্তনা দেয়না, শান্তনা কই পাবো বলোতো? বলেই আপা ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। আমি আপার নিষ্প্রাণ চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম, গলা দিয়ে আমার কোনো কথা বেরুচ্ছে না।

আপা নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলতে শুরু করল, জানো ভাই আমার যখন প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন ডাক্তার বলেছিলো ইন্ডিয়া গিয়ে চিকিৎসা করালে আমি সুস্থ হয়ে যেতে পারি, অনেক টাকা লাগবে, সেদিন বাসায় আসার পর অনিকের আব্বুকে বললাম আমাদের দক্ষিণের জমিটা বেঁচে দাও আর টাকা টা আমার চিকিৎসার জন্য খরচ করবো, অনিকের আব্বু বললো ঠিক আছে । কিছুদিন পরে আবার আমি জিজ্ঞেস করলাম অনিকের আব্বুকে, জমির খবর কি কিছু বললেন নাহ যে। তখন ই অনিকের আব্বু আমতা আমতা করে বলল, আমাদের অনিকের ভবিষ্যতের কথা তো ভাবতে হবে, একটা মাত্র জমি বেঁচে দেওয়া কি ঠিক হবে? আর তা ছাড়া তুমি সুস্থ হবে এটার শিউরিটি তো ডাক্তার দিচ্ছে না, যদি শিউর হতাম তবে না হয় বেচেই দিতাম। আমি খুব অবাক হয়ে অনিকের আব্বুর মুখটা দেখলাম, হুট করে খেয়াল করলাম ঐ চেহারায় কোনো মায়া নেই, ভালোবাসা নেই, কিচ্ছু নেই। আমি তাহলে এতোদিন মরিচিকার পেছনে ছুটেছি। মানুষ কত নিষ্ঠুর হয়, ১৮ বছর সংসার করার পর তার মনে হলো আমার মৃত্যু মেনে নেওয়াটা খুব সহজ!

সেদিন থেকে আমার মৃত্যু ভয় শুরু হলো, কেননা আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমার বেঁচে থাকার চেয়ে জমি থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আমি নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনতে শুরু করলাম। তখন আমার ছেলেটা আমার কাছেই থাকতো, এরপর ওর বাবা তরিঘরি করে ওকে হোস্টেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করলো, বললো আমার অসুস্থতা দেখে নাকি ছেলের পড়াশোনার ক্ষতি হবে, সেদিন না বুঝলেও পরে বুঝেছিলাম কেনো ছেলেকে হোস্টেল এ পাঠিয়েছে যখন দেখলাম আমি বেঁচে থাকতেই নতুন কাউকে আমার সংসার হস্তান্তর করা হয়েছে। বুঝলে ভাই আমার স্বামী আমাকে বুঝ দিয়েছে আমাকে দেখাশোনা করার জন্য নাকি লোক লাগবে, তাই বিয়ে করে এনেছে যেনো সমাজ আবার খারাপ কথা না বলতে পারে।

কিন্তু আমার খোজ নিতে কেউ তো এ ঘরে উকিও দেয় না, আমি শরীরের যন্তনায় যখন চিৎকার করি তারা বিরক্ত হয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, আমি রাতেও বারান্দায় বসে থাকি, এ ঘর থেকে পাশের ঘরের সুখের আওয়াজ শুনতে আমার ভিষন কষ্ট হয়, আমার শারীরিক কষ্টের চেয়ে মানসিক কষ্ট খুব বেশী হয়। তাদের সুখের সংসার, প্রেম ভালোবাসা এগুলো আমি সহ্য কেনো করতে পারছিনা।

জানো একদিন রাতে আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আবদার করলো নতুন বড় ফ্ল্যাট কিনে দিতে, আমার প্রানপ্রিয় স্বামী তাকে আশ্বস্ত করে বলল,"এখন ফ্ল্যাট কিনলে সবার চোখে সে খারাপ হয়ে যাবে যে চিকিৎসা কেনো করালো না, সে শান্তনার স্বরে বললো আর তো কয়েকটা মাস এরপর তোমার মনের মতো করে সব গুছিয়ে দিবো, চিন্তা করোনা" সেদিন সারারাত আমি হাউমাউ করে কেঁদেছি, কার জন্য সংসার সাজালাম, কাকে উজার করে ভালোবাসলাম, সে কিনা আমার মৃত্যুর প্রহর গুনে। আমি কখোনো কিছু চাইনি ওর কাছ থেকে ভালোবাসা ছাড়া, আর সেটাও পেলাম না।

আত্মহত্যা মহাপাপ না হলে কবে নিজেকে শেষ করে ফেলতাম। কথা গুলো বলতে বলতে আপা জোরে শ্বাস নিতে শুরু করলো। আপার সাথে সাথে আমার চোখ থেকেও পানি ঝরছে। আমি আপাকে শান্ত করার চেষ্টা করে বললাম, আপা আল্লাহ আপনার ধৈর্যের ফল নিশ্চয়ই দিবেন, আপনি পরপারে সুখি হবেন।

কেনো জানিনা বাসায় ফিরে আমি হাউমাউ করে কাদলাম, আপার জন্য অনেক কষ্ট হতে লাগলো, কত নির্মম কষ্ট আল্লাহ কারো কারো জন্য নির্ধারন করে রেখেছে ভাবতেই শিউরে উঠছি। একটা মানুষ মৃত্যুর আগে না পাচ্ছে চিকিৎসা না পাচ্ছে স্বামীর ভালোবাসা, সন্তানটাও দূরে।

এর মাঝে আমার শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে যেতে হয়, যাওয়ার সময় আপাকে কথা দিয়েছিলাম ফিরে এসে আপাকে চিংড়ি ভুনা খাওয়াবো। কিন্তু ফিরে এসে দেখি আপা তো নাই, শুন্য বারান্দায় হাহাকার, আমার ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো, আপার তো পাঁচ-ছয় মাস বাঁচার কথা ছিলো, এখোনো ৩ মাস বাকি। আমি ছুটে গেলাম ওই বাড়িতে, খোজ নিয়ে জানলাম আপা মারা গেছেন, তবে ক্যান্সারে নয়, হার্ট এ্যাটাক করে। আপাকে খালি বাসায় ২ দিনের রান্না করে দিয়ে নাকি তারা স্বামী স্ত্রী শশুড় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তিনদিন পর এসে আপাকে মৃত দেখতে পান,পুরো একদিন আপার লাশ রুমে পড়ে থেকে পঁচন ধরেছিলো। তাই পুলিশ কেস হয়, পোস্ট মর্টেম এ জানা যায় আপা ভয় এবং মানসিক চাপ থেকে হার্টস্ট্রোক করে মারা যান।

আপা ভেবেছিলো ক্যান্সারে মরবেন, কিন্তু আপা তো রোগে মরেনি, আপাকে খুন করা হয়েছে, কতটা অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে আপা দুনিয়া ছেড়েছে। পুরো অন্ধকার বাসায় আপা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করেছে, পাশে বসে মাথায় হাত বুলানোর কেউ ছিলো না, দোয়া পড়ার কেউ ছিলো না, শুন্য বাসায় আপা একবুক অভিমান নিয়ে পৃথিবী ছেড়েছে। আমার ভেতরটা ভেঙে চুরে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, আপাকে দেওয়া কথা তো রাখতে পারলাম না। আপাকে আর চিংড়ি মাছ ভুনা খাওয়ানো হলো না।

শেষ

বিঃদ্রঃ উপরের ঘটনাটি শতভাগ সত্য।
ঘটনা অবলম্বনে @towhidulislam

আমার পোস্টটি দেখার এবং পড়ার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। অতএব আমার লেখায় কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ

PicsArt_12-29-10.13.01.jpg

আমি তৌহিদুল ইসলাম জীবন। আমার ব্যবহারকারীর নাম @towhidulislam। আমার জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জে এবং বর্তমানে আমি নারায়ণগঞ্জ জেলায় থাকি। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলা বলতে ভালোবাসি। নিজেকে একজন বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে পেরে আমি গর্বিত। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।আমি বই পড়া, বিষয়বস্তু লেখা এবং ব্লগিং সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে লিখতে, পড়তে এবং শিখতে ভালোবাসি। আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী মার্কেটিং সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছি। পাশাপাশি স্টিমিটে লেখা লেখি করছি। আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে _ আসসালামু আলাইকুম

Sort:  
 2 years ago 

ভাই ঘটনাটা পড়ছি আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিনা। আসলে মানুষ কেন এত নির্দয় আর পাষাণ হয় জানি না। কিভাবে এত আপন মানুষটাকে এভাবে দূরে ঠেলে দেয়। এসব মানুষদের দুনিয়াতে আল্লাহতালার বিচার করে দেন বুঝতে পারে না আর বুঝতে পারলেও সে সময় আর কিছুই করার থাকেনা। এদের শাস্তি অনিবার্য। তবে ভাই আপনি যে কাজটা করেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো সেটা হলো তার মনের হাহাকার দূর করেছেন তার কাছ থেকে কথাগুলো শুনে এই জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এক্ষেত্রে আফসোস করার কিছু নেই আপনি আপনার জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন।

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। কি আর বলবো এই সমাজে মানুষ নামের কিছু অমানুষ আছে, যাদের কারনে নারী জাতিদের বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর। আমি লজ্জিত এই রকম একটা অমানুষদের দেশে বাস করি। আজকাল পরকীয়ার কারনে সুন্দর সাজানো গোছানো সংসারগুলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই যাতে সবাইকে সাহায্য করতে পারি। আশাকরি পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন।

 2 years ago 

ভাই আপনার গল্পটি নিঃসন্দেহে হৃদয়বিদারক। তবে আপনি সম্ভবত এই কমিউনিটির নিয়মগুলো জানেন না। এখানে অন্যের কোন গল্প কপি করে পেস্ট করা যাবে না। এই গল্পটি আমি কয়েকদিন আগে ফেসবুকে পড়েছি। আপনার গল্পটিও হুবহু তাই। এ ধরনের পোস্ট কিউরেশনের জন্য বাছাই করা হয় না। উপরন্তু সত্যতা প্রমাণ হলে আপনি চুরির দায় অভিযুক্ত হবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। ইনশাআল্লাহ! আমি আমার বাংলা ব্লগ এর সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবো। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59987.83
ETH 2418.78
USDT 1.00
SBD 2.41