অসহায় এতিম ভাইয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহবান

আসসালামু আলাইকুম /আদাব,

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আমার শুভেচ্ছা।আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।



IMG_20220808_143855.jpg

সপ্তাহ খানেক আগে আমাদের গ্রামে এক ছেলে সম্পর্কে আমার পাড়া প্রতিবেশী ভাগিনা হয় গুরুতর এক্সিডেন্ট করে। কাঁঠাল গাছ থেকে থেকে পড়ে গিয়ে ঘাড়ের ধমনী ছিড়ে যায়।তৎক্ষনাৎ অটোরিকশা করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডাক্তার তাকে দেখার পর এক সপ্তাহের ঔষুধ দেয় খেতে।ঔষুধ খাওয়ার পর যদি ফলাফল ভালো আসে তাহলে অপারেশন করতে হবে না। আর যদি ঔষুধ খাওয়ার পরও ভালো না হয় আর যদি অবনতি হয় তাহলে অপারেশন করতে হবে। ১ সপ্তাহ পর ঔষুধ খেয়ে ভালো না হওয়ায় আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এরপর ডাক্তার অপারেশন করার জন্য ১ লক্ষ টাকা বলে। এখন ছেলেটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করতে বলছেন।

IMG_20220808_144515.jpg

IMG_20220808_144326.jpg

ছেলের বাবা একজন অটোরিকশা চালক। তার মা দুনিয়াতে নেই। তাদের ভিটে মাটি বলতে কিছুই নেই থাকার জায়গা ছাড়া। তাদের পরিবারের পক্ষে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব না। ডাক্তারের কাছে ওর চাচি কান্না করে এবং অপারেশনের টাকা কমানোর কথা বললে ডাক্তার ২০ হাজার টাকা কমিয়ে দেয়।এখনও ষাট হাজার টাকার মতো প্রয়োজন ছিলো।ছেলেটার বাবার কিছু সঞ্চয় ছিলো আর গ্রামবাসীর মিলে টাকা দিয়ে শুক্রবার অপারেশন করা হয়। এখন অপারেশন করে আরেকটি বিপদের মুখে পড়েছে ছেলেটার পরিবার। অপারেশন করার পর এখন তার ঔষধের প্রয়োজন।


রোগীর ভাইয়ের কাছে বিস্তারিত জানতে পারিঃ

পরিবার ও গ্রাম প্রতিবেশীর সহযোগীতায় অপারেশন হয় যায়। অপারেশনের টাকা ডাক্তারকে দেয়ার পর ও থেকে যায় সমস্যা। এখন অপারেশন হওয়ার পর থাকার টাকা নিয়ে সমস্যা ছিল। প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীকে রাখা তাদের পরিবারের স্বাধ্যের বাইরে তাই তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে নিবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে নেয়ার টাকাও তার বাবা পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না থাকায় আবারও মানুষের কাছে সহযোগিতা চায়। তারা ৬ দিন যাবৎ হাসপাতালে অবস্থান করছে৷ এই ছয় দিনে প্রায় নয় হাজার টাকা বিল আসে। তাদের পরিবারের সকলেই মিলে হাসপাতালের মালিকের কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরে এরপর হাসপাতালের মালিক কতৃপক্ষ তিন হাজার টাকা ছাড় দেয়। কিছু টাকা ছাড় দেয়ায় ৯ তারিখ হাসপাতল থেকে রিলিজ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার বাবা।

তাদের পরিবার এখনো চিন্তা আছে কিভাবে তার ঔষুধ কিনে খাওয়াবে। ইনজেকশন দিন ১টা। ইনজেকশনের দাম এক হাজার টাকা। আর ওষুধ প্রায় পাঁচ শত টাকা দিনে। ইনজেকশন ৭দিন দিতে হবে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় এরপর রিলিজ হয়ে গেলে ইনজেকশনের পরির্বতে এন্টিবায়োটিক দিবে ডাক্তার বলছেন। ঔষধ নিতে গেলেও মানুষের কাছে চেয়ে কিনতে হবে। আর অটোরিকশা চালিয়ে যে টাকা পাবে সেই টাকা দিয়ে পরিবারের খরচ করবে না ঔষধ কিনবে। যতদিন পর্যন্ত রোগী সুস্থ না হয় ততদিন পর্যন্ত ঔষধ চালিয়ে যেতে বলেছেন ডাক্তার। আনুমানিক ১ মাস ঔষধের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। এখনও ঐ পরিবারের জন্য ২৫০০০-৩০০০০ টাকার মত সাহায্য প্রয়োজন।

IMG_20220808_205545.jpg

এই পরিস্থিততে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। বিপদে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করবে। আমার কোন ভূল ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

Sort:  
 2 years ago 

আপনি রংপুর সরকারী মেডিকেলে গিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন । আমি তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা তে সহয়তা করব । তবে আপনার ব্যাপার গুলো এবিবি চ্যারিটির নিয়মের ভিতরে পড়ে নি । কারণ এই ক্ষেত্রে ভিকটিম আপনি নিজে নন এবং তাছাড়া আপনি নিজেই আমাদের কমিউনিটির কেউ না । তারপরেও মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমার ব্যক্তিগত সহযোগিতার মতামত জানিয়ে দিলাম । ধন্যবাদ

 2 years ago 

আমরা চেষ্টা করব ছেলেটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য, দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।

ধন্যবাদ ভাই, দোআ করবেন৷

ALLAH bless You. AMİN🤲

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 91041.99
ETH 3137.89
USDT 1.00
SBD 2.96