লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন - বাই @tithyrani
হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই বেশ ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি।
আজকের পোষ্টের বিষয়বস্তু লেভেল ওয়ান থেকে আমার অর্জন।
লেভেল ওয়ানের দুইটি ক্লাস করানো হয়েছে। সেখানে আমার বাংলা ব্লগের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিকভাবে ১২ টি বিষয় শিখানো হয়েছে। সেই ক্লাসের প্রেক্ষিতে এটি আমার রিটেন এক্সাম।
☞ কোন ধরনের এক্টিভিটিজ স্পামিং হিসেবে গণ্য হয়:
বারবার করা অবাঞ্চিত/অপ্রাসঙ্গিক, বিরক্তিকর এক্টিভিটিজ স্পামিং হিসেবে গণ্য হয়। যেমন:-
- একটিমাত্র ছবি দিয়ে ফটোগ্রাফি পোস্ট করা/১০০ শব্দের কম লেখা বারবার পোষ্ট করা।
- কাউকে অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ /মেনশন করা (পোষ্ট বা কমেন্টে)
- কারো পোষ্টে গঠনমূলক ও প্রাসঙ্গিক কমেন্ট না করে অযথা অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট করা বা গৎবাঁধা একই কমেন্ট সব পোস্টে করে যাওয়া।
- একজন ব্লগার কমিউনিটিতে ২৪ ঘন্টায় ৩ টির বেশি পোস্ট করা... ইত্যাদি।
☞ ফটো কপিরাইট সম্পর্কে কি জ্ঞান অর্জন করেছি :
কপিরাইট হচ্ছে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির পেটেন্ট রক্ষা সম্পর্কিত আইন। অন্য কোন ব্যক্তির জ্ঞান/মেধাপ্রসূত জিনিস হবুহু কপি করে নিজের বলে দাবী করা কপিরাইট আইনের আন্ডারে পরে।
অনেক সময় নিজস্ব লেখা গল্প, কবিতা বা লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি অন্য কোথাও থেকে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এমন সময়ে সব সোর্স থেকে আমরা ফটো ব্যবহার করতে পারবো না। ফটো ব্যবহার করতে চাইলে আমাদের কপিরাইট ফ্রি সোর্স থেকে ফটো ব্যবহার করতে হবে এবং ফটোর সাথে সোর্স উল্লেখ করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় নিজের তোলা ফটো ব্যাবহার করলে।
☞ ৩ টি ওয়েবসাইট যেখান থেকে কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহ করা যায়:
১। https://pixabay.com
২। https://www.pexels.com
৩। https://www.freeimages.com
☞ পোষ্ট করার সময় ট্যাগ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং কিসের ভিত্তিতে ট্যাগ ব্যবহার করতে হয় :
ট্যাগ হচ্ছে যে বিষয় নিয়ে লেখা, সেই বিষয় সম্পর্কিত কী ওয়ার্ডস। লেখার সাথে সবসময় প্রাসঙ্গিক ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। তাহলে সেই ট্যাগ এ ক্লিক করলে সেই সংক্রান্ত সমস্ত লেখা খুঁজে বের করা যায়।যেমন, আমাদের এই রিটেন এক্সামের পোস্ট এ abb-level01 ট্যাগ টি ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ট্যাগে ক্লিক করলে আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের রিটেন পরীক্ষার পোষ্টগুলো খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। বা ট্রাভেল এর পোষ্ট গুলোতে ট্রাভেল ট্যাগ ব্যবহার করলে, সেই সংক্রান্ত পোষ্টগুলি খুজঁতে সুবিধা হয়। বা NSFW ট্যাগ ব্যবহার করলে বুঝা যায় যে পোষ্টে আপত্তিকর বা দুর্বল হৃদয়ের মানুষদের জন্য দেখা সুখকর না এমন কিছু থাকতে পারে। ফলে তারা সহজেই এই পোষ্ট ইগ্নোর করতে পারবেন।
☞ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কি কি বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ:
মোট ১২ টি বিষয়ের উপর পোষ্ট আমার বাংলা ব্লগে লেখা নিষিদ্ধ। যথা:-
১/ শিশুশ্রমকে সমর্থন করে এমন কোন লেখা।
২/ চাইল্ড এবিউজ/ চাইল্ড পর্ণোগ্রাফি রিলেটেড কোন লেখা।
৩/ নারীদের অসম্মান করে বা নারী নির্যাতন কে সমর্থন করে এমন কোন লেখা।
৪/ কোন জাতীভেদ/ বর্ণপ্রথা সম্পর্কিত কোন লেখা।
৫/ নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপমান করে /ঘৃণা ছড়ায় এমন কোন লেখা।
৬/ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি/ দলের বা সমোষ্টির প্রশংসাসূচক বা সমালোচনা করে কোন লেখা
৭/ অবৈজ্ঞানিক / ভিত্তিহীন / মিথ্যা / কুসংস্কার সমর্থন করে এমন কোন লেখা
৮/ কারোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোন লেখা
৯/ কোন পশু/পাখি আঘাত বা নির্যাতন করা নিয়ে কোন লেখা
১০/ NSFW যার ফুল মিনিং Not Safe For ওওরক, ট্যাগ ছাড়া আপত্তিকর বা কারো জন্য সংবেদনশীল হতে পারে এমন কোন পোষ্ট।
১১/ সামাজিক বর্ণবৈষম্য মূলক কোন লেখা
১২/ যে কোন অপরাধকে সমর্থন করে এমন কোন লেখা।
☞ প্লাগারিজম সম্পর্কে আপনি কি জানেন:
অন্য কোথাও প্রকাশিত অন্য কারো কোন ধরনের কোন লেখা হুবহু কপি করে বা আংশিক পরিবর্তন করে তা সম্পূর্ণ নিজের লেখা বলে চালিয়ে দেয়ার অপ-চেষ্টাকে প্লাগারিজম বলে। আমার বাংলা ব্লগে প্লাগারিজম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কেউ এমন চেষ্টা করলে তার পোষ্ট ব্যান করা হয়ে থাকে। বারবার এমন অপচেষ্টা করলে তার রিওয়ার্ড মাইনাস করা হয়, এমনকি কমিউনিটি থেকেও ব্যান করা হয়ে থাকে।
☞ রি-রাইট আর্টিকেল কাকে বলে :
আমাদের সবার সব বিষয় নিয়ে সমান জ্ঞান থাকে না। তো অনেক সময় অনেক তথ্যের জন্য আমরা গুগল বা নির্ভর যোগ্য কোন সোর্স এ সার্চ করে লেখায় ব্যবহার করে থাকি। কোন একটি বিষয় নিয়ে লেখার সময় অথেন্টিক সোর্চ থেকে কিছু তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখাকে রি-রাইট বলে।
☞ রি-রাইট আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
রি-রাইট আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫% লেখা সোর্স থেকে নেয়া যাবে আর অন্ততঃ ৭৫-৮০% লেখা নিজের হতে হবে। তবে তথ্য বা ছবি যেটাই অন্য সোর্স থেকে সংগ্রহ করা, সেই সোর্স উল্লেখ করতে হবে। আর সোর্স থেকে উল্লেখিত তথ্য " --" এর ব্যবহার করতে হবে।
☞ একটি পোস্ট কখন ম্যাক্রো পোস্ট হিসেবে গণ্য হয়:-
শুধুমাত্র একটি ছবি সংবলিত ফটোগ্রাফি পোস্ট বা নূন্যতম ১০০ শব্দের কম লেখা যুক্ত পোষ্ট ম্যাক্রো পোষ্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং বারবার ম্যাক্রো পোষ্ট করাকে স্পামিং হিসেবে গণ্য করা হয়।
☞ ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার কতটি পোস্ট করতে পারবেন:
২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার আমার বাংলা কমিউনিটিতে সর্বোচ্চ ৩ টি পোস্ট করতে পারবেন। এবং সপ্তাহে নূন্যতম ৩ টি পোস্ট করতে উৎসাহিত করা হয়।
এই ছিলো আমার লেবেল ওয়ান এর অর্জন বিষয়ে লিখিত এক্সাম।
ভালো লিখেছেন, পোস্ট সঠিক হয়েছে৷ আশাকরি ভাইবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ধন্যবাদ।